%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ১৬তম আসর ৬-৭ মে
ডেনিম জগতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ’বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’র ১৬তম আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৬ ও ৭ মে।
ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজন করা হয়েছে এবারের প্রদর্শনীর।
এবারের সংস্করণের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘রিইমাজিন’ বা নতুন করে ভেবে দেখা।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রতিপাদ্য হিসেবে ‘রিইমাজিন’ বেছে নিয়েছি। কারণ এর মাধ্যমে কেবল ডেনিম শিল্পের রূপান্তরের বিষয়টি বোঝানো হয় তা নয়, বরং ডেনিমের মূল ধারাকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করার বিষয়টিও প্রকাশ পায়।”
তিনি আরও বলেন, প্রচলিত প্রথা থেকে বের হয়ে ডেনিম সম্পর্কে দূরদর্শী ও যুগান্তকারী অভিজ্ঞতা তৈরির পাশাপাশি এ শিল্পে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোর অন্বেষণ চলছে। সাসটেইনেবল প্র্যাকটিস থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক ডিজাইনের কৌশলগুলো নিয়ে ডেনিম শিল্পে যুগান্তকারী পরির্বতনে কাজ করছে ডেনিম এক্সপো।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ কয়েকটি প্যানেল আলোচনা, ট্রেন্ড সেমিনার এবং একটি ট্রেন্ড জোন থাকবে।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর ট্রেন্ড জোনে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ডেনিম পণ্য প্রদর্শন করা হবে।
দুদিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপানসহ ১১টি দেশের ৬০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
এর মধ্যে রয়েছে ডেনিম ফেব্রিক মিলস এবং নন-ডেনিম, পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, ওয়াশিং লন্ড্রি, এক্সেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিক ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- অরক্রোমা ম্যানেজমেন্ট এল এল সি, আর্গন ডেনিমস লিমিটেড, এ.আর.এম কিমিয়া, আর্টিস্টিক মিলিনার্স (প্রা.) লিমিটেড, আসুটেক্স, ব্ল্যাক পিওনি টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ব্লু-সাইন টেকনলজিস এ.জি, কেয়ার এপ্লিকেশন্স, এস. এল, ইউ., চ্যাংজু ডেই প্রিন্টিং এন্ড ডাইং লিমিটেড, চ্যাংজু তাওশেং টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, চ্যাংজু তেহোম টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, চেরি বাটন লিমিটেড, ক্লিয়ারিটি – কিমিয়া টেক্সটিল পাজারলামা সানায়ি দিস টিকারেত কো. লিমিটেড এসটিআই, সি.এম.এ সি.জি.এম, ডেনিম সলিউশন লিমিটেড, ডাবল উয়িনস ডেনিম কো. লিমিটেড, ডাইসিন গ্রুপ, এক্সপেরিয়ান্স গ্রুপ লিমিটেড, ফোশান আইলিকুন টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ফোশান ফয়জন টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ফোশান গাবা টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ফোশান জে.কে.এল টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ফোশান হটলাইন টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ফোশান এম-জে.আই.টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ফোশান নানহাই দাইয়্যু টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ফোশান নানহাই হংজিনদা টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ফোশান ইউতাই টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ফ্রীডম ডেনিম, গোয়াংডং দাসেন ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কো. লিমিটেড, গোয়াংডং শিনহুসন (হুইসেং) টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, গুয়াংজু ফেংগু টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, গুয়াংঝো এইচ এন্ড এইচ টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, গুয়াংঝো হংটাই ইম্পঃ অ্যান্ড এক্সপঃ ট্রেড কো. লিমিটেড, গুয়াংঝো হুয়াজিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো. লিমিটেড, জিয়ানজিন হেংলিয়াং টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, কান ইন্ডাস্ট্রি মুহেন্দিসলিক সান. ভিই টি.আই.সি. লিমিটেড এস.টি.আই, কাইসার, লিবার্টি মিলস লিমিটেড, লায়ন ফেব্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেড, লাকি টেক্সটাইল গ্রুপ কোং লিমিটেড, মেসার্স এল.এন.জে ডেনিম, ম্যাকড্রাই ডেসিক্যান্ট লিমিটেড, মেটোড মেকাইন সান. ভিই. টিক. লিমিটেড এসটিআই, নিয়ারকিমিকা এস.পি.এ, অফিসিনা +৩৯ এস.আর.এল, ওজোনডেনিম টেক্সটিল ভে টেক্সটিল ওয়াইআইকে. পাজ, দান. সান. টিক. এল এইচ আর. লিমিটেড এস.টি.আই, রেমন্ড ইউ.সি.ও ডেনিম প্রা. লিমিটেড, রেসপা কিম্যা বয়া সান. ভি টিক. লিমিটেড এস.টি.আই, আর.এ.নটি (বিডি) লিমিটেড, সোকো কিমিকা এস.এল. আর, স্কয়ার ডেনিমস লিমিটেড, টেক্স ফাস্টেনারস, ফ্ল্যাক্স কোম্পানি এস.এ.এস, ভেভ টেকনোলজি বিলিসিম সান. ভিই টিক. এ. এস., ভিটা টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, এক্স.ডিডি টেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেড, ওয়াই_কে.কে বাংলাদেশ পি.টি.ই লিমিটেড, ঝেজিয়াং জিনসুও টেক্সটাইল কো. লিমিটেড, ঝেজিয়াং উইক্সিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, এবং ঝেজিয়াং জিনলান টেক্সটাইল কো. লিমিটেড।
১৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়বে বেক্সিমকো
বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) তাদের বেক্সিমকো প্রথম আনসিকিউরড জিরো কুপন বন্ড'-এর সাবস্ক্রিপশন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।
আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এই সাবস্ক্রিপশনের প্রথম ধাপ শেষ হবে চলতি বছরের ১৫ মে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ৩ এপ্রিল বেক্সিমকোকে মোট ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এই বন্ডের অ্যারেঞ্জার আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এর ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছে সন্ধানী লাইফ।
‘বেক্সিমকো প্রথম আনসিকিউরড জিরো কুপন বন্ড’-এর ডিসকাউন্ট রেট ১৫ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এতে প্রতি ১ লাখ টাকায় মাসিক রিটার্ন আসবে ১ হাজার ২৫০ টাকা।
এই অ-পরিবর্তনযোগ্য, পুনরুদ্ধারযোগ্য, আনসিকিউরড বন্ডের লক্ষ্য বাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা, যার মধ্যে ১ কোটি টাকা শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডকে মায়ানগর প্রকল্প উন্নয়নের জন্য ঋণ হিসেবে প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হবে। বাকি ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বেক্সিমকো লিমিটেডের বিদ্যমান ব্যাংক ঋণ পরিশোধে।
আরও পড়ুন: কাতারের সঙ্গে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি
এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে মূলধনসহ পাঁচ বছরে মোট রিটার্ন আসবে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এই বন্ড সাবস্ক্রিপশনে বিনিয়োগের নিম্নসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা এবং এটির সর্বোচ্চ সীমা নেই। ফলে সব ধরণের বিনিয়োগকারীরা এতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
আগ্রহীরা ১৬৯০০ নম্বরে কল করে অথবা এ সংশ্লিষ্ট প্রচারণায় ব্যবহৃত কিউআর কোড স্ক্যান করে এই বন্ড সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ফের সোনার দাম কমাল বাজুস
বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেওয়া হবে না এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে।
করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ ১৭ এপ্রিল পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: বিডিবিএল সোনালী ব্যাংকে এবং রাকাব বিকেবির সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযত কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।
আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১%, আগামী বছর হবে ৬.৬ %: এডিবির পূর্বাভাস
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়বে।
ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক বলেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে এবং আগামী অর্থবছরে এটি বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
ব্যাপক অভ্যন্তরীণ চাহিদা, সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানির উন্নতি এবং পর্যটন পুনরুদ্ধারের মধ্যে এই অঞ্চলের স্থিতিস্থাপক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো এই বছর গড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এডিবি প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) এপ্রিল ২০২৪ অনুযায়ী, আগামী বছরও একই হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
গত দুই বছর ধরে অনেক অর্থনীতিতে উচ্চতর খাদ্যের দাম বাড়ার পরে ২০২৪ ও ২০২৫ সালে মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রপ্তানির দ্বারা চালিত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সম্পত্তির বাজারে দুর্বলতা এবং কম খরচের কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনে (পিআরসি) মন্দার ভারসাম্য রক্ষা করছে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত একটি প্রধান প্রবৃদ্ধির চালক হিসেবে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এই বছর ৭ শতাংশ এবং পরের বছর ৭ দশমিক ২ শথাংশ বৃদ্ধি পাবে।
চীনের প্রবৃদ্ধি গত বছরের ৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে এই বছর ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পরের বছর ৪ দশমিক ৫ শতাংশে এ নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, 'আমরা চলতি বছর ও আগামী বছর উন্নয়নশীল এশিয়ার বেশিরভাগ অর্থনীতির শক্তিশালী ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের আস্থা উন্নত হচ্ছে এবং বিনিয়োগ সামগ্রিকভাবে স্থিতিস্থাপক। বাহ্যিক চাহিদাও কমে আসছে বলে মনে হচ্ছে, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে।’
নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ বেশ কয়েকটি ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্ন, মার্কিন আর্থিক নীতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা, চরম আবহাওয়ার প্রভাব এবং চীনে সম্পত্তি বাজারের আরও দুর্বলতা।
উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি এই বছর ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং আগামী বছর ৩ শতাংশে এ নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ বিশ্বব্যাপী মূল্যের চাপ হ্রাস পাবে এবং অনেক অর্থনীতিতে মুদ্রানীতি কঠোর থাকবে। তবে চীন বাদে এই অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি এখনও কোভিড-১৯ মহামারির আগের চেয়ে বেশি।
চালের দাম খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে আমদানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য। এডিও এপ্রিল ২০২৪ অনুসারে, এ বছর চালের দাম বাড়তে পারে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি ও চাল রপ্তানিতে ভারতের বিধিনিষেধও এর অন্যতম কারণ। লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হামলা এবং পানামা খালে খরার কারণে বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে।
চালের ক্রমবর্ধমান দাম মোকাবিলা এবং খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষার জন্য, সরকার ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে ভর্তুকি দিতে পারে এবং মূল্য হেরফের ও মজুতদারি রোধে বাজারের স্বচ্ছতা ও পর্যবেক্ষণ বাড়াতে পারে।
মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি নীতিতে মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য কৌশলগত চালের মজুদ প্রতিষ্ঠা, টেকসই চাষ ও ফসল বৈচিত্র্যকরণকে উৎসাহিত করা এবং উত্পাদনশীলতা বাড়াতে কৃষি প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
আঞ্চলিক সহযোগিতা চালের দাম এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের ৩৩ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়: ড. দেবপ্রিয়
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশ একটি অনিশ্চিত আর্থিক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে রাজস্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হয়।
ড. ভট্টাচার্যের মতে, সরকারের মোট ঋণের দুই-তৃতীয়াংশ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসে, যার ফলে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ ডলারে পৌঁছায়।
বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এশিয়া ফাউন্ডেশন-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বে সিপিডি আয়োজিত 'বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের পরিস্থিতি: উদ্বিগ্ন হওয়ার কি কোনো কারণ আছে?' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বাংলাদেশের ঋণ কাঠামোর জটিলতার ওপর আলোকপাত করেন সেমিনারে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
ড. দেবপ্রিয় পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, 'জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যয়ের ৩৪ শতাংশ ঋণ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই পরিসংখ্যানে অভ্যন্তরীণ ঋণের জন্য ২৮ শতাংশ এবং বৈদেশিক ঋণের জন্য ৫ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা মাত্র তিন বছরে ২৬ শতাংশ থেকে ৩৪ শতাংশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০১৮-১৯ সাল থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, রাজস্ব বাজেট এখন এতটাই টানাটানি যে, উন্নয়ন প্রকল্পে এক পয়সাও অর্থায়ন করা সম্ভব নয়।
ঋণ পরিশোধের বৃহত্তর প্রভাব তুলে ধরে ড. দেবপ্রিয় অর্থনীতিবিদদের সতর্কবাণীর প্রতি নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাখ্যানমূলক মনোভাবের সমালোচনা করেন। তিনি ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে দুই বছর আগে করা নিজের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা উল্লেখ করেন। ২০২৫ সাল থেকে শুরু করে ২০২৬ সালে ঋণ পরিশোধে প্রত্যাশিত অস্বস্তির ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ছাড়া সবাই বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বন্ধ করতে চায়: সিপিডি
তিনি বেসরকারি খাতের ঋণের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মোট ঋণের ৮০ শতাংশই সরকারি ঋণ, বাকি ২০ শতাংশ বেসরকারি খাত। তিনি দেশের দায় ও বিনিময় খাতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রভাবের ওপর জোর দিয়ে ব্যক্তিগত ঋণ এবং এর ব্যবহার দেশে বা বিদেশে যেখানেই হোক না কেন, অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের আহ্বান জানান।
বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ একত্রিত করে ড. ভট্টাচার্য মাথাপিছু দায়বদ্ধতার বোঝার উপর জোর দিয়েছিলেন, যা কেবল বৈদেশিক ঋণের জন্য ৩১০ ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫০ ডলারে উন্নীত হয়। বাংলাদেশের ঋণ পরিস্থিতির এই সামগ্রিক বিশ্লেষণ সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় রাজস্বের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতা ও কৌশলগত পরিকল্পনার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার-সোনালির দাম বেড়েছে ১০-৩০ টাকা
আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৬৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে এবং সারা দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এই প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। তাদের অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, বিনাধান ১৯ ও বিনাধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারাখাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতিমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় রোজায় খোলা থাকবে স্কুল
মানবাধিকার ও আইনের শাসন বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্পিকার
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআইয়ের
দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা জোরদারে সরকারের সঙ্গে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির জেষ্ঠ সহসভাপতি আমিন হেলালী।
শনিবার(২ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
এফবিসিসিআই নেতারা বলেন, দেশের বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে আরও জোরালোভাবে কাজ করতে হবে।
আমিন হেলালীর নেতৃত্বে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ব্যবসায়ী হোক বা সরকারি প্রতিষ্ঠান, কমপ্লায়েন্স নিশ্চয়তা ও তদারকির সঙ্গে জড়িত কি না; শাস্তি নিশ্চিতের জোর তাগিদ দেন তিনি।
অগ্নিকাণ্ডকে মনুষ্যসৃষ্ট সংকট উল্লেখ করে এফবিসিসিআই নেতা বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে এখন থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে।আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা হলো না পটুয়াখালীর জুয়েলের
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার-সোনালির দাম বেড়েছে ১০-৩০ টাকা
পবিত্র রমজান সামনে রেখে এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা।
গত রমজানের আগেও রেকর্ড দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে। তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকা। এক পর্যায়ে তা কেজিতে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ২০০ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে বর্তমানে হয়েছে ২২০ টাকা।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমবে ৩০-৪০ টাকা: ডিএনসিআরপি’র ডিজি
সোনালি মোরগের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যেখানে সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদিও গত বছরের মতো ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো মুরগির দামও বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৪৫ দিন আগে প্রতিটি ব্রয়লার মুরগি (১ দিন বয়সী) প্রায় ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম সাধারণত প্রতি পিস ৩০ টাকা। এই বাড়তি দামের কারণে খামারে নতুন বাচ্চার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন চাষিরা।
যে কারণে বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম বাড়ছে। গতবারের মতো এবারও শবে বরাত ও রমজানের আগে যাতে বাজারে কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজরদারি করতে হবে বলে মনে করছেন মুরগি ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার ইউএনবিকে বলেন, সব ধরনের মুরগির দাম বাড়ছে।
মাংস ও ডিমের দাম বাড়লে সরবরাহ কম থাকায় মুরগির দামও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
তিনি বলেন, ১ দিন বয়সী একটি বাচ্চার দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় উঠলে ব্যবস্থা নিতে হয়। চাষের খরচ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রথমেই মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির খাদ্য সরবরাহে অস্থিরতা দূর করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে খামারের মুরগির উৎপাদন ছিল ৩১ কোটি ৯৭ লাখ পিস।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ অর্থবছরে ক্রমান্বয়ে মুরগির উৎপাদন বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগ পর্যন্ত দেশে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। এরপর থেকে মুরগির বাজার ওঠানামা করছে। কখনো চাষিরা লোকসান দিচ্ছেন, আবার অনেক সময় ক্রেতাদের বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে।
গত বছর রমজানের ঠিক আগে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম নির্ধারণের জন্য সরকার বড় চারটি মুরগি উৎপাদককে ডেকেছিল। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তে বাজারে মুরগির দাম কমানো হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে দাম কমাতে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি করতে চায় এফবিসিসিআই
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায় হলেও গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬২ থেকে ৭১ শতাংশ।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, যা জানুয়ারি শেষ দিকে ছিল ১০০ টাকা।
এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি। গতকাল (শুক্রবার) প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে হয়েছে ১২০ টাকা। আজ (শনিবার) খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ফলে মাত্র ২১ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
আলামিন হোসেন নামে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পাবনা থেকে পাইকারি দরে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় খুচরা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পাবনায় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে এবং রাজধানীতে খুচরা ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকায় কেনা হলেও এখন পাবনায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকায় কিনতে হয়েছে বলে জানান হোসেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষ পর্যায়ে। প্রায় দেড় মাস আগে এসব পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে, আর এখন কৃষকের পেঁয়াজ শেষের দিকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
ফলে সরবরাহ কমতে শুরু করে এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় বলে জানান আলামিন।
এখন কৃষকের প্রধান পেঁয়াজ বা হালি পেঁয়াজ যা সারা বছর পাওয়া যায় সেই ফসল তুরতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত বাজারে এ ধরনের বাড়তি দাম থাকতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি, যা এক মাস আগে ছিল ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়। কিন্তু গত বছর এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
এজেন্ট ব্যাংকের আউটলেটে ১৪,৩০৫ কোটি টাকা জমা: ইসলামী ব্যাংকের সিইও
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন-২০২৪ এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের একটি হোটেলে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জেকিউএম হাবিবুল্লাহ এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দিন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট উইং চিফ মো. মাকসুদুর রহমান।
মনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ১৪ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা জমা রেখে দেশব্যাপী ২ হাজার ৭৭১টি এজেন্ট আউটলেট পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
২০২৩ সালে এজেন্ট আউটলেটগুলো নতুন করে জমা পড়েছে ৩ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই এজেন্ট আউটলেটগুলো প্রবাসীদের সেবা বৃদ্ধিতে বিশেষ করে বৈদেশিক রেমিট্যান্স ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা গত বছর রেমিট্যান্স আহরণে নিয়োজিত দেশের মোট এজেন্টের ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ব্যাংকটি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধে ৫৬৬৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুতে সম্মত ২৪ ব্যাংক