ব্যবসা-বাণিজ্য
এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সিরাজগঞ্জে পেঁয়াজ কেনার হিড়িক
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। পেঁয়াজ আর পাওয়া যাবে না এমন গুজবে মঙ্গলবার পণ্যটি কেনার হিড়িক পড়ে যায়।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার আগে কেনা পেঁয়াজ হিলিতে আসতে পারে আজ
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আগে কেনা পেঁয়াজের চালান বুধবার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে।
২ দিন ধরে ভোমরা বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত দুইদিন যাবৎ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা
অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এ পদক্ষেপের ফলে বিপাকে পড়েছেন হিলি বন্দর ব্যবহারকারী পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
দেশে যে পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয় তার সিংহভাগই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসলেও সোমবার দুপুর থেকে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি, দেশে দাম বাড়ার আশঙ্কা
দেশের বাজারে যখন পেঁয়াজের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে তখন আরেকদফা পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
খুলনায় চাল বস্তায় ১০০ ও পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে
খুলনা মহানগরীর বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি(৫০ কেজির বস্তা) বেড়েছে ১০০ টাকা। অর্থাৎ কেজি প্রতি বেড়েছে দুই টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা করে বেড়েছে।
বিসিকে শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেই ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর নির্দেশ শিল্পমন্ত্রীর
শুধু মুখে মুখে বা কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেই বিসিক শিল্প নগরীগুলোতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৭৬টি বিসিক শিল্পনগরীতে উদ্যোক্তারা যাতে সহজে ও অল্প খরচে দ্রুত শিল্প সংশ্লিষ্ট কার্যকর সেবা পান, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। শিল্পখাতে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে এক ছাদের নিচে শিল্প স্থাপনের সব ধরনের সেবা দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার বিসিক শিল্পনগরীতে ওয়ানস্টপ সেবা চালুর লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নধর্মী দুই দিনব্যাপী ‘নাগরিক সেবা উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ নির্দেশনা দেন শিল্পমন্ত্রী।
নূরুল মজিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিসিকের ইতিহাস জড়িত। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৫৭ সালের ৩০ মে পর্যন্ত তদানীন্তন কোয়ালিশন সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও গ্রাম সহায়তামন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র শিল্প করপোরেশন (ইপসিক) প্রতিষ্ঠা করেন, যা স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) নামে তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন কার্যক্রম জোরদারে অবদান রাখছে। বিসিকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে গ্রামগঞ্জে হাজার হাজার শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে। এ জন্যই দেশের শিল্পখাত জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
করোনা মহামারিকালে বিসিকের কার্যক্রমের প্রশংসা করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ৩১ দফা নির্দেশনার আলোকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বিসিক শিল্পনগরীর কারখানাগুলো চালু রাখা হয়েছে। এসব শিল্প ইউনিটে ভোগ্যপণ্য উৎপাদন, মাঠে লবণ চাষ, লবণ মিলগুলোতে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন এবং সাভার চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধকমূলক পণ্য যেমন পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, মেডিকেল অক্সিজেন, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, জীবাণুনাশক ফ্লোরক্লিনারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রাখতে বিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিল্প মালিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন।’
তিনি বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার ফলে বাংলাদেশে শ্রমঘন শিল্প স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি হয়েছে। অনেক বিদেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান এ দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে দেশেই বিশ্ব মানের বিনিয়োগ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে কার্যকর ওয়ানস্টপ সেবা প্রদানের উপযোগী উদ্ভাবনী কৌশল খুঁজে বের করার তাগিদ দেন।
শিল্পমন্ত্রী বিসিক গৃহীত মাস্টার প্লানের আওতায় ২০৩০ সাল নাগাদ ২০ হাজার একর জমিতে ৫০টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপন, ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃজন, উদ্যোক্তাদের পণ্য বিপণনে সহায়তা দিতে অনলাইন মার্কেটিং প্লাটফর্ম তৈরি এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ৫টি প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ৭২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা জোরদারের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিসিক প্রধান কার্যালয়, চারটি আঞ্চলিক কার্যালয়, ৭৬টি শিল্পনগরী, ৬৪টি শিল্প সহায়ক কেন্দ্র, একটি লবণ কেন্দ্র, ছয়টি মৌ চাষ কেন্দ্র, একটি চামড়া শিল্পনগরী ও ১৫টি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের প্রায় ৬ হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং দেশের লাখ লাখ বেকার যুবকের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে বিসিক কাজ করছে। ‘নাগরিক সেবা উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের জন্য বিসিকের সেবা সহজলভ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।