আন্তর্জাতিক-ব্যবসা-বাণিজ্য
এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে পোশাক মালিকরা উদ্বিগ্ন নন: বিজিএমইএ সভাপতি
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন নন। কারণ এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে বিজিএমইএ সরকার ও ক্রেতা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন, বিনিয়োগ বাড়ানো, পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ফলে কোটা ও শুল্ক মুক্ত সুবিধাহীন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের টিকে থাকা নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম(ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি ও বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চীফ শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক হাসান বলেন, বর্তমানে তাদের কৌশল হচ্ছে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিকাল অর্থাৎ, ২০২৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারের সুবিধা নেয়া। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০২৬ সালের পরে যে বাড়তি তিন বছর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুযোগ দেবে, আলোচনার মাধ্যমে তা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বিজিএমইএ ইইউর কাছে ১০ বছরের জন্য এই সুবিধা চায়। এরপরে বিজিএমইএ ইইউর সঙ্গে জিএসপি প্লাস নিয়ে আলোচনা করবে। তবে পোশাক মালিকরা চান এই সময়ের মধ্যে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করবে।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ সব সময় পুরো খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে, এখনও করে চলেছে। এই সংগঠনটিতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা সকলেই পোশাক শিল্পের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তিনিও উত্তরসূরীদের মত করে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় পোশাক খাতের এসএমই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন ধরনের চার্জ ও ফিস কমানো হয়েছে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাজার ও পণ্য বহুমুখীকরণের কাজ চলছে। কৃত্রিম তন্তুর পোশাক যাতে দেশে বেশি তৈরি হয় সেজন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গবেষণা জোরদার করা হয়েছে। এক কথায় বিজিএমএর ভূমিকা ভবিষ্যতমুখী করার চেষ্টা চলছে।
প্রারম্ভিক বক্তব্যের পরে বিজিএমইএ সভাপতির কাছে উপস্থিত সাংবাদিকরা এ খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা, করোনা মহামারি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃহত্তম এই বাজারে তৈরি পোশাক জিএসপি সুবিধা পেতো না। এখনও পাচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত দিয়েছিল সেগুলো পোশাক মালিকরা ও সরকার বাস্তবায়ন করেছে। কমপ্লায়েন্স বা নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে এদেশের উদ্যোক্তারা প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন। বিশ্বে নিরাপদ কারখানা এখন বাংলাদেশে। ১৫৩টি গ্রীণ ফ্যাক্টর রয়েছে দেশে। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা তাদের কাজটি করেছেন। এখন জিএসপি দেয়া না দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়।
তিনি বলেন, দেশটির জিএসপি সুবিধা দেয়ার সঙ্গে শুধু শর্ত বাস্তবায়ন নয়, রাজনীতিও জড়িত। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের র্যাব ও সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ব্যবসায় পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। তবে ব্যবসায়ীদের কাজ তারা করছেন। আমরা কোনো বাজার হারাতে চাই না।
আরও পড়ুন: দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের শীতল সম্পর্ক, র্যাব ও র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা, আগামী বছরের শেষে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়ী হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রত্যাশা যে কারখানায় উৎপাদন ও পণ্যের সরবরাহ ব্যহত হয়, এমন কোনো কর্মসূচি যাতে তারা না নেয়। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে সেই পরিবেশ থাকতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না ব্যবসা করতে গেলে রাজনৈতিক আশীর্বাদ লাগে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স ২০ থেকে ৩০ বছর আগে নেয়া। তিন দশক আগে বাংলাদেশ যে ধরণের পণ্য তৈরি করতো এখন তার চেয়ে ভিন্ন ও উন্নত পণ্য তৈরি করছে। ফলে পুরানো বন্ড লাইসেন্সে অনেক পণ্যেরই উল্লেখ নেই, কিন্তু ওই লাইসেন্সধারী কারখানার নতুন পণ্যের প্রয়োজন হচ্ছে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সে উল্লেখ না থাকলেও ব্যবহারিক ঘোষণাপত্রে (ইউডি) তা থাকছে। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনেক সময় পণ্য ছাড় করছে না। এতে ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে আগামী সপ্তায় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইউসিবি’র মোনাশ এন্ট্রি স্কলারশিপ প্রদান
সাম্প্রতিক সময়ের রপ্তানি বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথমত বেড়েছে আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে। এছাড়া করোনার সময়ে ক্রেতাদের অনেক দাবি দেশের রপ্তানিকারকরা রেখেছেন। বিশেষ করে পরে ডেলিভারি, দেরিতে মূল্য পরিশোধ, ডিসকাউন্ট ইত্যাদি সুবিধা দেয়া হয়েছে। যেকারণে ক্রেতাদের সঙ্গে রপ্তানিকারকদের একটি সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ফলে এখন ক্রেতারা তাদের বাড়তি চাহিদার পণ্য বাংলাদেশ থেকেই নিচ্ছেন। এছাড়া করোনার কারণে মানুষের ভ্রমণসহ অন্যান্য ব্যয় কমেছে। ফলে পশ্চিমারা তাদের অন্য খাতের অর্থ পোশাক কেনায় ব্যয় করছে।
পোশাকের সামগ্রিকভাবে মূল্য সামান্য বাড়লেও কাটিং ও মেকিং চার্জ বাড়েনি। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রকৃত পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকের সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। সাব কন্ট্যাক্টের বিষয়ে বিজিএমইএ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আগামীতেও থাকবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধা নিন: বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য তার সরকারের দেয়া সবধরনের সুযোগের সর্বোচ্চ সুবিধা লুফে নিতে সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বিনিয়োগকারীরা এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিনিয়োগ খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য নতুন বাজার তৈরি হবে এবং বাংলাদেশ কাঙ্খিত বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।’
রবিবার রেডিসন ব্লু হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগের জন্য আমরা সম্ভাবনাময় ১১টি খাত চিহ্নিত করেছি। এগুলো হচ্ছে অবকাঠামো, পুঁজিবাজার, আর্থিক সেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিকস উৎপাদন, চামড়া, স্বয়ংক্রিয় ও হালকা প্রকৌশল, কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ, পাট-বস্ত্র এবং ব্লু-ইকোনমি।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ জনগণের রায় পেয়ে সরকার গঠন করেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আকর্ষণীয় প্রণোদনার মাধ্যমে উদার বিনিয়োগ নীতি এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশাল বাজারের মধ্যে ভৌগলিক অবস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতি আস্থার ফলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ৬০ শতাংশেরও বেশি পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে আসছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতীয় শিল্প নীতির পাশাপাশি সেক্টরভিত্তিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ পাশ করেছে, প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষা, রপ্তানিমুখী শিল্পের বৃদ্ধির জন্য বন্ড ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়করণের কথা বিবেচনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৩৯টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করেছে এবং পর্যায়ক্রমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ২৭ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
দারাজের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে রেকর্ড
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ এবারের ১১.১১ ক্যাম্পেইনে সেবা প্রদানে নতুন রেকর্ড করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই শপিং ডে’তে অংশগ্রহণ করতে পাঁচটি দেশে দারাজের প্ল্যাটফর্মে ভিজিট করেছে এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ক্রেতা।
দেশ পাঁচটি হলো: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমার।
ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের বিক্রির তুলনায় ১৫০ শতাংশ বেশি।
দারাজের সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা বিয়ার্কে মিকেলসেন এ বিষয়ে বলেন,‘আজকের সফলতায় আমরা খুবই আনন্দিত। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে,ক্রেতারা দারাজ থেকে কেনা পণ্যের গুণগত মানের ওপর আস্থা রাখেন এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। একইসাথে,এর মাধ্যমে এসএমই ব্যবসায়ীরা কীভাবে অনলাইনে তাদের ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করতে পারবেন,সে বিষয়টিও উঠে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন,‘এ পাঁচটি বাজারের ছোট-বড় সকল শহরের আরও বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করছেন,যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। এর মাধ্যমে এটিও বোঝা যায় যে,এ অঞ্চলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে ই-কমার্স পৌঁছে গেছে।’
আরও পড়ুন: দারাজের বৃহত্তম ওয়ান-ডে সেল ১১.১১ ক্যাম্পেইন চলছে
ক্যাম্পেইনের প্রথম অর্ডার ডেলিভারি হয়েছে সকাল ৬টা ৫ মিনিটে এবং আড়াই লাখ অর্ডারের পণ্য ইতোমধ্যে অর্ডারকৃত ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ক্রেতাদের সেবা প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরে মিকেলসেন বলেন,‘এবারের ১১.১১ সেলে আমরা আরও উদ্ভাবনী ও পার্সোনালাইজড ক্রেতা অভিজ্ঞতা প্রদানের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। বিক্রির সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ক্রেতাদের অভিজ্ঞতার বিষয়ে ইতিবাচক ফিডব্যাক পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
এ সম্পর্কে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন,‘এমন অভাবনীয় সাড়া পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। সারাদেশ থেকে মানুষ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছেন। ১১.১১ ক্যাম্পেইনে আস্থা রাখার জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। দারাজ সবসময় ক্রেতা-কেন্দ্রিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং ক্রেতাদের মানোন্নয়নকে আমরা প্রাধান্য দেই। এজন্য ক্রেতাদের অর্ডার করা পণ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি আমি দারাজের সকল কর্মী,বিক্রেতা,ডেলিভারি কর্মী এবং এ ক্যাম্পেইনের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে তাদের সহায়তায় জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে সেল ক্যাম্পেইন ‘ইলেভেন ইলেভেন’ এর জন্য প্রস্তুত দারাজ
দারাজসহ ২৩ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব
দুর্গাপূজা: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ ১১ অক্টোবর (সোমবার) থেকে ১৬ অক্টোরব (শনিবার) পর্যন্ত একটানা ৬ দিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, আজ সোমবার থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। বিষয়টি ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ধিরাজ অধিকারী আমাদের জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, আজ সোমবার থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই ৬ দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই এই কয়দিন বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেয়া হবে না। ১৭ অক্টাবর থেকে যথারীতি বন্দর দিয়ে বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে।
বন্দরের কাস্টমসের উপকমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা ৬ দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও শুধুমাত্র পুজার দশমীর দিন (সরকারি ছুটি) কাস্টমস কার্যালয় বন্ধ থাকবে। তার আগে-পরে অফিসের কাজকর্ম চালু থাকবে। ব্যবসায়ীরা চাইলে সরকারি শুল্ক পরিশোধ করে তাদের পণ্য খালাস করে নিতে পারবে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, হিলি চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে পাসপোর্টে যাত্রী আসা স্বাভাবিক থাকবে। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রী যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে ভারতে ২২৯ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বাণিজ্য কার্যক্রম
দ
কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
কানাডার মতো সম্ভাবনাময় বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিশেষ করে হাই-এন্ড এবং বৈচিত্র্যময় পোশাক পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
সম্প্রতি তিনি কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সাথে অটোয়ায় সাক্ষাৎ করে এ সহযোগিতা চান। সংস্থাটির পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিবও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি হাইকমিশনারকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিবাচক গল্পগুলো বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সামাজিক ও পরিবেশগত খাতে উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কল্যাণ তুলে ধরার আহ্বান জানান।
পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
তিনি ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর ১২ বছরের জন্য বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে কানাডায় হাইকমিশনের প্রচেষ্টা এবং ভূমিকার ওপর জোর দেন।
ফারুক আহমেদ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কানাডায় বসবাসরত অনাবাসিক বাংলাদেশিদের (এনআরবি) সম্পৃক্ত করার উপায় খুঁজতে খলিলুর রহমানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর কারণে নজীরবিহীন সংকটের পর কীভাবে শিল্পটি ঘুরে দাড়াচ্ছে তা হাইকমশিনারকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৭১ কৃষকের মুখে হাসি ‘ফোটাল’ ইউসিবি
বেনাপোলে আটকে আছে পণ্যবোঝাই ৭০০ ট্রাক
ভারতের পেট্রোপোল বন্দরে জায়গার অভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানিতে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে দেখা যায়, রপ্তানি পণ্যবোঝাই প্রায় ৭০০-৮০০ ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
বন্দরের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অবকাঠামোগত তেমন একটা উন্নয়ন হয়নি। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে জায়গা সংকট প্রতিদিনের। বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রতিদিন ভারত রপ্তানি বাণিজ্যের বাংলাদেশি পণ্যের মাত্র ১৫০ ট্রাক পণ্য গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি করে ভারত।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে সয়াবিন স্ট্রাকশন, চাউলের ভূষি ও রেডিমেট গার্মেন্টস সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানির জন্য অপেক্ষা করছে বেনাপোল বন্দরে। কিন্তু ভারতে রপ্তানি হচ্ছে মাত্র ২০০ ট্রাক পণ্য। ফলে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দর এলাকায় প্রধান সড়কে পড়ে থাকছে। এতে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, ‘রপ্তানি সমস্যা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেলপথে আরও ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। গতরাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বিশেষ অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে পণ্যচালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কাস্টমস হাউসে পাঠিয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট সারথী এন্টারপ্রাইজ।
লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০ মেট্রিক টনের তরল অক্সিজেন আমদানি করে। ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান লিনডে ইন্ডিয়া লিমিটেড
১৩টি চালানে এ পর্যন্ত রেলপথে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন।
বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অক্সিজেন এক্সপ্রেসটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছাবে। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এসব অক্সিজেন ট্যাংকারে করে সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের হয়রানি: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, গত ২৪ জুলাই থেকে রেলযোগে অক্সিজেন আমদানি শুরু হয়। সর্বশেষ ২৭ আগস্ট রাতে ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি হয়েছে। ১৩টি চালানে এ পর্যন্ত লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড নামে আমদানিকারক ২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন অক্সিজেন আমদানি করেছেন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নিয়ামুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে গতরাতে ২০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি হয়ে খালাসের অপেক্ষায় বেনাপোল রেল স্টেশনে আছে। সরকারি ডিউটি পরিশোধ করেই তরল অক্সিজেনের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। বিকালে পণ্যচালানটি তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে আরও ১৯৮ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন আমদানি
ঈদে ১২ দিনের ছুটিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ১২ দিন বন্ধ থাকবে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। সোমবার থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত এ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপ।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা: হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলন স্থলবন্দর বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় একদিনে নতুন মৃত্যুর রেকর্ড ২৩১
আমদানি-রপ্তানি গ্রুপ জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহা ও সরকারি ছুটি সমন্বয় করে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র আঁকা কার্টুনিস্ট ওয়েস্টারগার্ডের মৃত্যু
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ থেকে ৩০ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত মোট ১২ দিন এ স্থলবন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। আগামী ৩১ জুলাই (শনিবার) থেকে এ বন্দর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চতুর্দেশীয় আমদানি রপ্তানির কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
ঈদে ৩ দিন বেনাপোলে আমাদনি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে সোমবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমাদনি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৩ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। বুধবার পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতররের ছুটিতে বন্ধ হয়ে যাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম। এরপর ১৬ মে থেকে আবারও বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে এ বন্দর দিয়ে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (অপারেশন) আজিজুল হক বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোন ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে ও রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয়েছে।
দেশে চলমান ১২টি স্থলবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব আদায়কারী বন্দর হলো বেনাপোল স্থলবন্দর। স্থল পথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৬০ শতাংশ হয়ে থাকে এই বন্দর দিয়ে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন আরও ১০৫ জন
প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে ভারত থেকে বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসে সরকারের কাছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে এ পথে নতুন করে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা আটকা পড়েছিল তারা দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে যাওয়া আসা করছেন। তাদের ফেরার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তবে যারা ফেরত আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিন নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের দাবি
পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস আগামী ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের দাবি জানিয়েছে ২০টি শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (জিএসকেওপি) নেতারা।
শুক্রবার জিএসকেওপি’র যুগ্ম সমন্বকারী আব্দুল ওয়াহেদ ও কামরুল আহসান এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেন, ঈদের যেখানে মাত্র ৫-৬ দিন বাকি সেখানে এখনো ৩০ শতাংশ কারখানা তাদের ঈদ বোনাস প্রদান করে নি এবং ৭৫ শতাংশেরও বেশি কারখানা এখনো এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করে নি।
তারা বলেন, করোনা মহামারির সময়ে পোশাক শ্রমিকরা তাদের জীবন ঝুঁকিতে রেখে কারখানায় কাজ করে গেছেন। একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অনেক কারখানাতেই ঈদের আগে বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তারা আগামী সোমবারের মধ্যে এপ্রিল এবং এক মাসের মূল বেতনসহ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানান।
নেতারা করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের জন্য কমপক্ষে সাত দিনের বিকল্প ছুটি দেয়ারও দাবি জানান।
তার বলেন, যেখানে গত মাসে এ খাত থেকে ৩.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়ছে সেখানে বেশিরভাগ শ্রমিক এখনো জানে না ঈদ উদযাপনের জন্য তারা বেতন এবং বোনাস পাবে কিনা।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিসিক শিল্পনগরীসমূহে উৎপাদন অব্যাহত
জিএসকেওপি’র এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০ রাজস্ব বছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৭.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চলতি রাজস্ব বছর ২০২০-২১ এর প্রথম সাত মাসে আয় হয়েছে ১৮.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জিএসকেওপি নেতারা দাবি করেন, শ্রমিকদের বেতন এবং বোনাস দেয়ার জন্য কারখানা মালিকেরা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে আংশিক সুদে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লোন নিয়েছেন। এছাড়াও শ্রমিদের বেতন এবং ঈদ বোনাস দেয়ার জন্য আরও ১০ হাজার কোটি টাকা লোন চেয়েছে তারা।
তারা বলেন, ৪০ বছর ধরে সরকারের পক্ষ থেকে সকল সুবিধা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার পরও কারখানাগুলোর শ্রমিকদের কয়েক মাসের বেতন কিংবা ঈদ ভাতা দেয়ার মতো সামর্থ্য নেই এটা সত্য নয়।