এশিয়া
বাবা পুরোপুরি সুস্থ আছেন: অমর্ত্য সেনের মৃত্যুর গুজবের ব্যাপারে মেয়ে নন্দনা সেন
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মেয়ে নন্দনা সেন জানিয়েছেন, তার বাবা পুরোপুরি সুস্থ আছেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অমর্ত্য সেনের মৃত্যুর গুজবে ইন্টারনেটে ঝড় উঠেছিল। সারা বিশ্বের একাধিক মিডিয়া তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছিল।
চলতি বছরের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন-এর একটি ‘জাল অ্যাকাউন্ট’ থেকে দেওয়া এক টুইটের সূত্র ধরে টাইমস নাও, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডেকান হেরাল্ডসহ আরও কয়েকটি গণমাধ্যম তার মৃত্যুর খবর প্রচার করে।
অমর্ত্য সেনের মেয়ে নন্দনা সেন পরে তার বাবার মৃত্যুর খবর খণ্ডন করে একসঙ্গে তাদের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
তিনি এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, আপনাদের উদ্বেগের জন্য ধন্যবাদ; কিন্তু এটা ভুয়া খবর। বাবা সম্পূর্ণ ভালো আছেন। আমরা সবেমাত্র কেমব্রিজে পরিবারের সঙ্গে একটি দুর্দান্ত সপ্তাহ কাটিয়েছি, গতরাতে যখন আমরা ট্রেন স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেই, তখন তার আলিঙ্গন বরাবরের মতোই শক্তিশালী ছিল! তিনি হার্ভার্ডে সপ্তাহে দুটি কোর্সের ক্লাস নিচ্ছেন, জেন্ডার বিষয়ক তার বই নিয়ে কাজ করছেন- আগের মতোই ব্যস্ত!’
রাশিয়ার ওত্রাদার এনএনইতে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
রাশিয়ার ওত্রাদা থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এনএনইতে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৯মিনিটে এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ১৭৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। প্রাথমিকভাবে ৪৪ দশমিক ৬৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ১৪৬ দশমিক ২১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার: তালেবান মুখপাত্র
আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
ভারতের সিকিমে বন্যায় নিহত বেড়ে ৪৭
ভারতের সিকিমে বরফ গলা পানিতে সৃষ্ট বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে পৌঁছেছে। রবিবার (৮ অক্টোবর) দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা শনিবার আরও ছয়টি লাশ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭ জনে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
হিমালয়ের উত্তর-পূর্ব অংশের সিকিমে একটি বাঁধ ভেঙে হিমবাহী হ্রদের পানি উপচে উপত্যকায় পড়ে। বুধবার মধ্যরাতের পর বরফগলা পানির বন্যায় উপত্যকার মানুষের ঘরবাড়ি ও সেতু ভেসে যায় এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়।
পুলিশ বলেছে, বরফগলা পানি নিচের উপত্যকার শহরগুলোতে আছড়ে পড়ে এবং বহু মানুষ নিহত হয়। কিছু লাশ ভেসে প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর বর্ষা মৌসুমে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যার কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে এ অঞ্চলের হিমবাহ গলে আরও ঘন ঘন এ ধরনের দুর্যোগ আঘাত হানছে।
পুলিশ জানায়, রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের লাচুং ও লাচেন নামক দুটি স্থানে প্রায় চার হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে। যেখানে বন্যার কারণে রাস্তাগুলো ভেসে যাওয়ায় তাদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আটকে পড়াদের সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করতে পারেনি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং শনিবার বলেছেন, রাজ্যের স্থাপিত ২৬টি ত্রাণ শিবিরে বর্তমানে প্রায় ৩৯০০ জন মানুষ রয়েছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, নিখোঁজ ২৩ জন ভারতীয় সেনার মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আটজন মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান অভিযান চলছে। পার্বত্য সিকিম রাজ্যে কী কারণে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়, অস্বাভাবিকভাবে ভারী বর্ষার কারণে গত এক বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতে বেশ কয়েকটি বন্যা হয়েছে।
নিকটবর্তী হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে গত আগস্টে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত জুলাই মাসে রেকর্ড বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে দুই সপ্তাহে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বুধবারের বন্যার সম্ভাব্য কারণে হিসেবে মঙ্গলবার বিকালে পাশ্ববর্তী নেপালে হওয়া তীব্র বৃষ্টি ও আঘাত হানা একটি ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
কিন্তু এই বন্যা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের করা প্রতিবাদের আগুনে ঘি ঢেলেছে।
স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের দাবি, হিমালয়ের চারপাশের বাঁধগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক।
অন্যদিকে, কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত একটি জাতীয় সবুজ জ্বালানি নীতি অনুসরণ করছে।
ছয় বছর আগে নির্মিত সিকিম রাজ্যের বৃহত্তম তিস্তা ৩ বাঁধের নকশা ও স্থাপনা নির্মাণের সময় থেকেই বিতর্কিত ছিল।
২০১৯ সালে সিকিম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির সংকলিত একটি রিপোর্টে, লোনাক হ্রদকে বন্যার জন্য ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যা বাঁধ ভেঙে জীবন ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।
চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে ঘন ঘন বিপর্যয়ের কারণে বাঁধে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, ভারতীয় ফেডারেল সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন দ্বিগুণ করার অর্থাৎ, ৭০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
শুক্রবার কর্মকর্তারা বলেছেন, লাচেন উপত্যকার ১১টি সেতু বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। যা পাইপলাইনেও আঘাত হেনেছে এবং চারটি জেলার ২৭০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করেছে।
রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তিস্তা অববাহিকায় ডিকচু ও রংপোসহ বেশ কয়েকটি শহর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং চারটি জেলার স্কুল রবিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত ছবি অনুসারে, বন্যা বেশ কয়েকটি সেনা ক্যাম্পেও আঘাত হেনেছে।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণ করা না হলে হিমালয়ের হিমবাহগুলোর আয়তন ৮০ শতাংশ কমতে পারে।
গত মাসে ঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে বাঁধ ভেঙে লিবিয়ার দেরনা শহরে বিধ্বংসী বন্যা হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ২০০ মানুষ মারা যায় এবং ঘরবাড়ি ভেসে যায়।
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার: তালেবান মুখপাত্র
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার জনে।
তালেবান মুখপাত্র তথ্যটি জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ প্রাথমিকভাবে ৩২০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিলেও পরে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখনও যাচাই করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দপ্তরের একই হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ১০০ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
হালনাগাদ তথ্যে আরও বলা হয়েছে, ৪৬৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১৩৫টি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
জাতিসংঘ বলেছে, ‘অংশীদার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে। কারণ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু লোক ধসে পড়া ভবনের নীচে আটকা পড়তে পারে এমন খবর পাওয়া গেছে।’
দুর্যোগ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জান জানিয়েছেন, হেরাত প্রদেশের জেন্দা জান জেলার চারটি গ্রাম ভূমিকম্প ও পরবর্তী আরও কম্পনের (আফটারশক) কবলে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্পটি ঘটার পর তিনটি খুব শক্তিশালী আফটারশক হয়েছিল, যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩, ৫ দশমিক ৯ এবং ৫ দশমিক ৫। এর পাশাপাশি মৃদু কম্পনও হয়েছিল।
হেরাত শহরের বাসিন্দা আবদুল শাকর সামাদি বলেন, দুপুরের দিকে শহরে অন্তত পাঁচটি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ
নেপালে জোড়া ভূমিকম্পের আঘাত, দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত
হামাসের আকস্মিক হামলায় ২২ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ফিলিস্তিনের ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলনের (হামাস) করা আকস্মিক হামলায় কমপক্ষে ২২ ইসরায়েলি নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন সকাল থেকে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে এবং একইসঙ্গে তাদের কয়েক ডজন সদস্য ইসরায়েলের সীমান্ত শহরে ঢুকে হামলা চালায়।
মিডিয়া আউটলেটগুলো জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে হামাস বন্দি করেছে।
যদিও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই তথ্যগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেননি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার অফিস থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ঘোষণা করেছেন, ‘আমরা যুদ্ধে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমনভাবে এই আঘাত ফিরিয়ে দেব, শত্রুরা যা কল্পনাও করতে পারবে না। শত্রুদের অভূতপূর্ব মূল্য দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলায় আরেক সশস্ত্র কমান্ডার নিহত হয়েছে: ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দেশটির সামরিক রিজার্ভ বাহিনীর একটি গণ খসড়া ঘোষণা করেছেন।
এই ঘটনার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ডাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জবাবে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজা উপত্যকার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি এলাকা হামাস জঙ্গিদের দখলে রয়েছে। এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মুখোশধারী সশস্ত্র যোদ্ধারা বন্দুক ও হাতে থাকা রকেট নিয়ে ইসরায়েলের শহরগুলোতে গাড়ি চালাচ্ছে এবং ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে রবিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: পাসওভারেও থেমে নেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ
গাজায় হামাসের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা
আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, শনিবার আফগানিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
ভূমিকেন্দ্রটির কেন্দ্র ১০ কিলোমিটার গভীরে এবং এর অবস্থান ৩৪ দশমিক ৬২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৬২ দশমিক ০৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপালে জোড়া ভূমিকম্পের আঘাত, দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত
দেশে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প
মুম্বাইয়ের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬, আহত ৩৮
ভারতের মুম্বাইয়ে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) একটি ছয়তলা আবাসিক ভবনে আগুন লেগে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ অগ্নিকাণ্ডে ৩৮ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা অশোক তারাপদে জানিয়েছেন, গোরেগাঁও পশ্চিম জেলার ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আহতদের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগুনের সূত্রপাত নিচতলায় কয়েকটি দোকানে এবং মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়া কয়েকটি ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের হিমালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যু
চিফ ফায়ার অফিসার রবীন্দ্র আম্বুলগেকারকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভবনটি ২০০৬ সালে মুম্বাইয়ের একটি বস্তি থেকে স্থানান্তরিত লোকদের থাকার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এতে সঠিক অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ছিল না।
তিনি বলেন, লিফটের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ধোঁয়া ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কারণ দেশটির ডেভেলপার ও বাসিন্দারা ভবন নির্মাণ আইন ও নিরাপত্তার নিয়মগুলো লঙ্ঘন করে নির্মাণকাজ করে।
২০২২ সালে নয়াদিল্লিতে একটি চারতলা বাণিজ্যিক ভবনে একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০১৯ সালে নয়াদিল্লির একটি ভবনে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে লাগা অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
ভারতের হিমালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যু
ভারতের হিমালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি শহরগুলোতে বরফ-ঠাণ্ডা বন্যার পানিতে ডুবে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভেসে গেছে ঘরবাড়ি ও সেতু। হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বুধবার মধ্যরাতের হিমবাহ হ্রদের পানি উপচে পড়ার পর পরই বন্যা শুরু হয়। এতে সিকিম রাজ্যের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধটি ভেঙে যায় এবং তারপরে উপত্যকার নীচের শহরগুলোতে ঢুকে পড়া পানিতে তলিয়ে যায়।
অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের এক বছরের মধ্যে এটি উত্তর-পূর্ব ভারতে আঘাত হানা সর্বশেষ প্রাণঘাতী বন্যা ছিল। গত আগস্টে হিমাচল প্রদেশে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জুলাইয়ে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর ভারতে দুই সপ্তাহে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবারের বন্যার পর দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য ২৬টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে।
উদ্ধারকর্মীরা বৃহস্পতিবারও ২২ জন সৈন্যসহ প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজছেন বলে জানিয়েছে সিকিম রাজ্য সরকার।
রাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ পাঠক জানিয়েছেন, ২৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং প্রায় ৩ হাজার পর্যটক এবং ৭০০ ট্যাক্সি চালক বন্যাকবলিত এলাকায় আটকা পড়েছেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারের সহায়তায় আমরা তাদের সরিয়ে নিচ্ছি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ লোনাক হ্রদের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ উষ্ণ জলবায়ু হিমবাহগুলোকে গলিয়ে ফেলছে। ফলে এটি ধারণকারী বাঁধের উপর চাপ সৃষ্টি করে। তবে বুধবার কী কারণে ভাঙনের সূত্রপাত হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিবেদনে ওই এলাকায় আকস্মিক, তীব্র বৃষ্টিপাত এবং মঙ্গলবার বিকালে নেপালের নিকটবর্তী এলাকায় ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পকে কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার পানিতে লাচান উপত্যকার ১১টি সেতু ভেসে গেছে, যার ফলে পাইপলাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং চারটি জেলায় ২৭০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
তিস্তা অববাহিকার ডিক্চু ও রংপোসহ বেশ কয়েকটি শহর প্লাবিত হয়েছে এবং চারটি জেলার স্কুল রোববার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ।
রাজ্যের রাজধানী সিকিমকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্তকারী একটি মহাসড়কের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বন্যায় বেশ কয়েকটি সেনা ছাউনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে বেনাপোলে এল ৫০ হাজার ২৮০ ব্যাগ স্যালাইন
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) প্রতিবেশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চার জন সৈন্যের লাশ পাওয়া গেছে। তবে তারা নিখোঁজ ২২ সৈন্যের মধ্যে ছিলেন নাকি আলাদাভাবে মারা গেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
বুধবার নিখোঁজ হওয়া এক সৈন্যকে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
সেনা বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী উত্তর সিকিমের চুংথাং, লাচুং এবং লাচেন এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা সহায়তা এবং ফোন সংযোগ স্থাপন করছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্যার পরে রাজ্য কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সিকিমের বেশ কয়েকটি শহরে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবারের বন্যার পরে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য ২৬টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে।
বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, ১০২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, বন্যায় ১৪ জন মারা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজদের মধ্যে ২২ জন সেনা সদস্য রয়েছে। বন্যার কারণে কিছু সেনা ক্যাম্প ও যানবাহন কাদায় তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার নিখোঁজ হওয়া এক সেনা সদস্যকে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ১১টি সেতু বন্যার পানিতে ভেসে গেছে এবং চারটি জেলার ২৭০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
সিকিম রাজ্যের লাচেন উপত্যকায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং একটি বাঁধের কিছু অংশ ভেসে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়েছে।
রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তিস্তার পাড়ের ডিকচু ও রংপোসহ বেশ কয়েকটি শহর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং রবিবার পর্যন্ত চারটি জেলার স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের রাজধানী সিকিমের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগকারী একটি মহাসড়কের কিছু অংশ ভেসে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্যার পরে সরকার রাজ্য কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে।
আকস্মিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে, যা হাজার হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। রাজ্যের ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
নিকটবর্তী হিমাচল প্রদেশে গত আগস্টে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
জুলাই মাসে রেকর্ড বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে জলাবদ্ধ ও বাড়িঘর ধসে পড়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।
জুন-সেপ্টেম্বরে বর্ষা মৌসুমে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যায় প্রায়ই প্রাণহানি ঘটে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে এ অঞ্চলে আরও ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে।
বুধবারের আকস্মিক বন্যার বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের জলবায়ু বিজ্ঞানী জ্যাকব স্টেইনার বলেছেন, ‘এটি দুঃখজনকভাবে সত্যি যে অনিবার্যভাবে এ ধরনের দুর্যোগ বাড়তেই থাকবে।’
এই বছরের শুরুতে স্টেইনারের সংস্থা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যদি বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে হিমালয়ের হিমবাহগুলোর আয়তন ৮০ শতাংশ কমতে পারে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ২০০ মানুষ মারা যায় এবং বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত ক্রেন ধসে ১৬ শ্রমিক নিহত
২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে, ২০২৩ সালে দেশটির অর্থনীতি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংক তার ষান্মাষিক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, ঋণ পুনর্গঠন এবং জটিল কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের অগ্রগতির উপর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্ভর করে।
বিশ্বব্যাংক মঙ্গলবার তার সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য উন্নত রাজস্ব সংহতি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২০২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্বব্যাংক
দেশটিতে একটি সরকার-নেতৃত্বাধীন কর সংস্কার প্যাকেজ ২০২২ সালের মে থেকে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- নতুন করের প্রবর্তন, বিস্তৃত পরিসরে করের হার ও ভিত্তিগুলো সমন্বয়, কর সংগ্রহের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রভৃতি।
মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারিস এইচ হাদাদ-জারভোস বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। পুনরুদ্ধারের জন্য আর্থিক ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করার সময় সংস্কারমূলক একটি টেকসই প্রবৃদ্ধির পথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, জনগণের আস্থা তৈরি করতে এবং উন্নততর জনসেবা প্রদানের সঙ্গে ব্যয়ের স্বচ্ছতা এবং ক্রমাগত সংস্কারের মাধ্যমে কর রাজস্ব সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই