%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE
কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচি চালু
সোমালিয়ায় কোভিড-১৯-এর ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়া রোধে বৃহস্পতিবার নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমালিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মামুনুর রহমান মালিক বলেন, প্রকল্পটি চলমান সমন্বয়হীনতার শূন্যতা পূরণ, পর্যবেক্ষণ, টিকাদান, কোভিড-১৯ এর কার্যক্রমে সহযোগিতা এবং দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মহামারী থেকে উদ্ধারে আরো অধিক পরিমাণ ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা।
মোগাদিসুতে এক বিবৃতিতে মালিক বলেন, সোমালিয়ার রাজধানীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে দেশটির সরকার ঊর্ধ্বগতির কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ করতে পদক্ষেপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভাইরাসটির পুনরুত্থান রোধ করবে। এটি অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে মহামারীর বিরূপ প্রভাবও কমিয়ে দেবে। এরমধ্যে শিশুদের নিয়মিত টিকাদান, যা ইতোমধ্যে গত দু’বছর ধরে উল্লেখযোগ্যহারে করা হয়েছে।’
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়াল
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত সোমালিয়ায় ১ হাজার ৩৫১ জনের মৃত্যু ও ২৭ হাজার ১৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটির রোগ পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি এখনও দুর্বল ও ভঙ্গুর, সুসংগঠিত নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বর্তমানে সোমালিয়ার মাত্র ৬২ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা সতর্কতার মাধ্যমে দেয়া হয়। দেশটির মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ পূর্ণ টিকার আওতায় এসেছে, টিকার আওতায় না আসা আরও অনেক মানুষ উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
মালিক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ –এর ধরণ বিস্তার রোধ, মৃত্যু হ্রাস এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অসুস্থতা কমাতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, এটি সরকার ও ফেডারেল রাজ্যের সদস্যদের সহযোগিতা ও তদারকিতে আবিষ্কার ও গবেষণাসহ সমস্যা চিহ্নিতকরণ, পরীক্ষাগারের নিশ্চয়তা এবং পারস্পরিক যোগাযোগ শনাক্ত, তথ্যের অগ্রগতি ও আদান প্রদান করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি কার্যকর ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ কোভিড-১৯ দ্বারা ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ মৃত্যু থেকে জীবন বাঁচানো, রোগের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে।
সোমালিয়ার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাত দুর্বল মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে ও প্রশমনে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে সেসকল দুর্গম এলাকায় যেখানে ৪৭ শতাংশ মানুষ বসবাস করে, যেখানে রোগ শনাক্ত করা দুর্বল ও অপূর্ণ।
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, যেভাবে প্রতিবেদন করা হচ্ছে তাতে দেশের কোভিড-১৯ মহামারী ও রোগ বিস্তারের সত্যিকার সংখ্যা ও পরিধি হয়তো তুলে ধরে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬০ কোটি ৪১ লাখ ছাড়াল
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে জাতিসংঘবিরোধী দুই দিনের বিক্ষোভে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিক্ষোভে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত মরক্কোর একজন, ভারতের দুই পুলিশ সদস্য এবং উত্তর কিভু প্রদেশের বুটেম্বোতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে মিশরের একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলাকারীরা কঙ্গোলিজ পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর গুলি চালায়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের একাধিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বলে জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
হক বলেন, মঙ্গলবার ‘শতশত হামলাকারী’গোমা এবং উত্তর কিভুর অন্যান্য অংশে জাতিসংঘ বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তারা পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, ঘাঁটি ভাঙছে, লুটপাট ও ভাঙচুর করছে এবং স্থাপনাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
ব্লু নীল প্রদেশে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত: সুদানীয় কর্তৃপক্ষ
সুদানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্লু নীল প্রদেশে উপজাতি দুই গোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩১জন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে একজন কৃষককে হত্যার পর ব্লু নীল প্রদেশে হাউসা ও বির্তা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই বেড়েছে।
সংঘর্ষে অন্তত ৩৯ জন আহত হয়েছে এবং রোজাইরেস শহরে ১৬টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে সামরিক ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) মোতায়েন করেছে।
যে এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে কর্তৃপক্ষ রাতের বেলা কারফিউ জারি করেছে এবং জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
এর আগে এপ্রিলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দারফুরে উপজাতীয় সংঘর্ষে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় ১০ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানায় ধূলিঝড়ে গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ৬
দক্ষিণ আফ্রিকায় নাইটক্লাবে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলীয় শহর ইস্ট লন্ডনের একটি নাইটক্লাবে রবিবার ভোরে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে এ যুবকদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। তারা শীতকালীন স্কুল পরীক্ষার সমাপ্তি উদযাপন করতে পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি ডিসপ্যাচ জানিয়েছে, আঘাতের কোনো দৃশ্যমান চিহ্ন ছাড়াই মৃতদেহগুলো টেবিল ও চেয়ারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সিয়ান্দা মানানা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: স্পেনের ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশ; নিহত বেড়ে ২৩
তিনি বলেন, ‘আমরা মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ জানতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ময়নাতদন্ত করতে যাচ্ছি। নিহতদের রাষ্ট্রীয় মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
পুলিশ মিনিস্টার ভেকি সেল রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নরওয়েতে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ জন নিহত, আহত এক ডজনের বেশি
ক্লাবের মালিক সিয়াখাঙ্গেলা এনদেভু স্থানীয় ব্রডকাস্টার ইএনসিএকে বলেছেন, রবিবার সকালে তাকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়।
তিনি বলেন, ‘আসলে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে আমি এখনো অনিশ্চিত। তবে সকালে যখন আমাকে ডাকা হয়েছিল তখন আমাকে জানানো হয় জায়গাটি অতিরিক্ত পূর্ণ ছিল এবং কিছু লোক জোর করে টাভেরনে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে।’
স্পেনের ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশ; নিহত বেড়ে ২৩
স্পেনের উত্তর আফ্রিকান ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশকালে ১৮ জন অভিবাসী নিহত হয়েছিলেন। শনিবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্পেন এবং মরক্কোর মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
মরক্কোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে শুক্রবার মেলিলা এবং মরক্কো সীমান্তের লোহার বেড়াতে পার হতে গিয়ে তারা মারা যান।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ঘটনায় ৭৬ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ১৪০ জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্পেনের ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশের চেষ্টাকালে নিহত ১৮
মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। মরক্কোর সরকারি টেলিভিশন টুএম স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদ্বৃত্তি দিয়ে শনিবার ১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেছে এবং এরপর মৃতের সংখ্যা ২৩ জনের পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে।
মরক্কোর হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন ২৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে সংখ্যাটি নিশ্চিত করেনি।
এমএপি জানিয়েছে, মরক্কোর নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য এবং ৩৩ জন অভিবাসীকে মরক্কোর নাদোর ও ওজদা শহরের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ইথিওপিয়ার আফারে খরা ও সংঘাতে ৩৫ শিশুর মৃত্যু
ইথিওপিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আফারে খরা ও সংঘাতের কারণে সাম্প্রতিক সপ্তাহে অন্তত ৩৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির স্থানীয় একটি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের জনহিতকর সংস্থা ডক্টরস উইদআউট বর্ডার জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডক্টরস উইদআউট বর্ডার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শুধু গত আট সপ্তাহে ৩৫ জন শিশু মারা গেছে এবং তাদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে।’
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় গ্রুপের জরুরি সমন্বয়কারী রাফেল ভিচট বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো আমরা শুধু মূল সমস্যার শুরুটা দেখতে শুরু করেছি এবং এটি ইতোমধ্যেই অপ্রতিরোধ্য।’
গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার সম্মুখীন হচ্ছে ইথিওপিয়া। এছাড়া ২০২০ সালের নভেম্বরে ইথিওপিয়ার প্রতিবেশী তাইগ্রে অঞ্চলে শুরু হওয়া যুদ্ধের কিছু মারাত্মক লড়াই দেখেছে আফার অঞ্চল।
আফারের দুবতি হাসপাতাল এই অঞ্চলের বৃহত্তম হাসপাতাল এবং ১০ লাখের বেশি মানুষকে সেবা দিয়ে থাকে। এ হাসপাতালের পরিচালক হুসেইন আদেম দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, তাইগ্রের সীমান্তবর্তী সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লোকেরা আসছে।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক রাজধানী মেকেলে 'সম্পূর্ণ দখলে' নেয়ার দাবি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে অপুষ্টিতে আক্রান্ত ও অসুস্থ শিশুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর হারও বাড়ছে।’
তার দলের সদস্যরা কয়েকজনকে অন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠানোর চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের ওয়ার্ড পূর্ণ। তাই তাঁবু ব্যবহার করছি। এমনকি এটিও পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা করিডোরে তাদের কয়েকজনের চিকিৎসা করছি।’
জাতিসংঘ ও ইথিওপিয়ান সরকার উভয়ের পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করছে, দেশটির অন্যান্য অংশেও লাখো ইথিওপিয়ান খাদ্য সংকটের মুখোমুখি।
ইথিওপিয়ার পরিকল্পনা ও উন্নয়নমন্ত্রী ফিটসুম আসসেফা সোমবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেছেন, দক্ষিণ, ওরোমিয়া ও সোমালি অঞ্চলে সাত দশমিক চার মিলিয়ন মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। তাইগ্রেতে আরও পাঁচ দশমিক দুই মিলিয়ন, আফারে প্রায় ছয় লাখ ও আমহারা অঞ্চলে আট দশমিক সাত মিলিয়নের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। এসব মানুষ সরকার ও দাতাদের মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছে।
তবে এ প্রচেষ্টাকে ‘বড় সাফল্য’ উল্লেখ করে তিনি প্রাণহানিকে অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ায় কলেরায় আক্রান্ত ৬৭৮৯: জাতিসংঘ
২৫ ফেব্রুয়ারি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ এক টুইটবার্তায় সতর্ক করে বলেন, পূর্ব আফ্রিকার দেশটির সোমালি ও বোরানা অঞ্চলে খরাজনিত ক্ষুধা ‘শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে প্রাণহানি ঘটাচ্ছে’।
তিনি বলেন, ‘যদি বর্ষা শুরুর জন্য অপেক্ষা করি তাহলে আমরা আমাদের অনেক নাগরিক হারাবো।’
মঙ্গলবার জাতিসংঘ ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, ইরিত্রিয়া ও জিবুতিতে চার দশমিক দুই মিলিয়ন মানুষকে সাহায্য করার জন্য ৮৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন করেছে। এসব মানুষের অর্ধেক শিশু।
সংস্থাটি বলছে, ‘এ অঞ্চলের পুষ্টি পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক কেননা অপুষ্টির হার বাড়ছে, বিশেষ করে ইথিওপিয়ায় এবং কেনিয়া ও সোমালিয়ার শুষ্ক ও আধা-শুষ্ক ভূমিতে।’
নাইজেরিয়ায় গির্জায় হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহতের আশঙ্কা
দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজেরিয়ার একটি ক্যাথলিক গির্জায় রবিবার প্রার্থনাকারীদের ওপর বন্দুকধারীদের গুলি ও বিস্ফোরণে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দেশটির রাজ্য আইনপ্রণেতারা।
আইনপ্রণেতা ওগুনমোলাসুয়ি ওলুওলে বলেছেন, রবিবার প্রার্থনাকারীরা পেন্টেকস্টে জড়ো হলে ওন্ডো রাজ্যের সেন্ট ফ্রান্সিস ক্যাথলিক গির্জাকে লক্ষ্য করে হামলাকারীরা। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।
নাইজেরিয়ার নিম্ন আইনসভা চেম্বারের ওও এলাকার প্রতিনিধি অ্যাডেলেগবে তিমিলেইন বলেছেন, গির্জার প্রধান পুরোহিতকেও অপহরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে হামলাকারীর গুলিতে ২ হিন্দু নাগরিকের মৃত্যু
রবিবার এক টুইটবার্তায় ওন্ডোর গভর্নর রোটিমি আকেরদোলু বলেছেন, ‘আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত। আমাদের শান্তি ও প্রশান্তি জনগণের শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।’
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। তিমিলেইন বলেছেন, অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে, যদিও অন্যরা সংখ্যাটা আরও বেশি বলছেন।
তবে এ হামলার জন্য কারা দায়ী তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। নাইজেরিয়ার অধিকাংশ এলাকা নিরাপত্তা সমস্যা নিয়ে লড়াই করলেও ওন্ডো দেশটির সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্যগুলোর একটি হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
আরও পড়ুন: মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বহরে হামলায় নিহত ১, আহত ৩
নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে হামলাটি কীভাবে হলো বা সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে কোনো তথ্য রয়েছে কি না সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
ওও লাগোস থেকে প্রায় ৩৪৫ কিলোমিটার (২১৫ মাইল) পূর্বে অবস্থিত।
আইনপ্রণেতা ওলুওল বলেন, ‘ওওর ইতিহাসে আমরা এমন ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হইনি। এটা অনেক বেশি।’
নাইজেরিয়ায় পদদলিত হয়ে শিশুসহ নিহত ৩১
দক্ষিণ নাইজেরিয়ায় শনিবার একটি গির্জার দাতব্য অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে শিশুসহ ৩১ জন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছে। পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও অনেক শিশু রয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র গ্রেস ইরিঞ্জ-কোকোর ভাষ্য মতে, রিভার রাজ্যের পোর্ট হারকোর্ট শহরের পেন্টেকোস্টাল গির্জায় বার্ষিক ‘বিনা মূল্যে কেনাকাটা’ শীর্ষক একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে এই পদদলিত ঘটনা ঘটে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ নাইজেরিয়াতে এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক, যেখানে ৮০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে।
ইরিঞ্জ-কোকো বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে দাতব্য অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোর ৫টার দিকে কয়েকশ’ মানুষ সেখানে পৌঁছে লাইনে দাঁড়িয়েছিল। এরপর তারা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং তালাবদ্ধ ফটক ভেঙে ফেলে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৫
নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির গডউইন টেপিকোর বলেছেন, প্রাথমিকভাবে লাশগুলো উদ্ধার করে মর্গে নেয়া হয়েছে।
বেশ কয়েকজন বাসিন্দা পরে ঘটনাস্থলে ভিড় করেছিলেন, মৃতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছিলেন এবং জরুরি কর্মীদের যে কোনও সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ঘটনাস্থলে নিহতের জন্য শোক প্রকাশ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও জরুরি কর্মীরা আহতদের খোলা মাঠেই চিকিৎসা দিয়েছেন। ভিডিওগুলোতে ঘটনাস্থলে হতাহতদের পোশাক, জুতা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে ড্যানিয়েল নামে একজন জানান, মৃতদের মধ্যে ‘অনেক শিশু ছিল’। এদের মধ্যে এক মায়ের পাঁচ শিশু সন্তান রয়েছে।
তিনি এপিকে বলেন, একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে প্রবল বর্ষণে ৩৭ মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শী ক্রিস্টোফার ইজের ভাষ্য মতে, পদদলিত হয়ে হতাহতদের আত্মীয়রা গির্জার কিছু সদস্যের ওপর হামলা করে। তবে তিনি চার্চ কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, আহত সাতজন চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন।
‘বিনা মূল্যে কেনাকাটা’ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পদদলিতের ঘটনা বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে।
নাইজেরিয়া অতীতেও একই রকম পদদলিতের ঘটনা ঘটেছে।
হাইতিতে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫
হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে বুধবার একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত পাঁচজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ওই অঞ্চলের পুলিশ কমিশনার পিয়েরে বেলামি সামেদি জানান, বিমানটি দক্ষিণ উপকূলীয় শহর জ্যাকমেলের দিকে যাচ্ছিল। এসময় যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে সোডার বোতলবহনকারী একটি ট্রাকের ওপর বিধ্বস্ত হয়।
তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ট্রাকচালকও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাশ্মিরে পাকিস্তানের সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিহত
সামেদি বলেন, পাইলটকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার অবস্থার সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। বিমানটিতে মোট পাঁচ জন আরোহী ছিলেন।
হাইতির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানটিকে সেসনা ২০৭ বলে শনাক্ত করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলিয়ান গায়িকা মারিলিয়া মেনডোসা নিহত
প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি এক টুইটে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ঘানায় নৌকাডুবিতে অন্তত ৭ জন নিহত
পূর্ব ঘানার ভোল্টা হ্রদে একটি যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
ঘানা পুলিশ সার্ভিসের পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ডের মুখপাত্র ইবেনেজার তেতেহ বলেছেন, শুক্রবার ভোররাতে ২০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: কিয়েভ অঞ্চলে ৯ শতাধিক মানুষের লাশ উদ্ধার: পুলিশ
তেতেহ বলেন, এতে সাতজন নিহত হন এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া বাকিদের উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে দ্বীপের একটি বেসরকারি মর্গে রাখা হয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।