ইউরোপ
ইস্তাম্বুলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া এ হামলার দায় কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
রবিবারের বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত ও কমপক্ষ্যে ৮১ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউটি বেশ জনপ্রিয় একটি সড়ক; যেখানে নানা দোকান ও সারি সারি রেস্তোরাঁ রয়েছে। আর এই সড়কটির মাধ্যমে বিখ্যাত তাকসিম স্কয়ারে যাওয়া যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লুকে উদ্ধৃত করে তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, যে ব্যক্তি বোমাটি রেখেছিল কিছুক্ষণ আগে আমাদের ইস্তাম্বুল পুলিশ বিভাগ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরিচয় জানাননি তবে বলেছেন যে আরও ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ- তুরস্ক পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা
মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাপ্ত প্রমাণ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ও এর সিরিয়ার সমর্থক পিওয়াইডি’র প্রতি ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তিনি বলেন যে এই হামলার প্রতিশোধ নেয়া হবে।
সোয়লু বলেন, ‘ইস্তিকলাল এভিনিউতে যারা এই যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করেছে, তাদের অনেক বেশি কষ্ট দেয়া হবে।’
সোয়লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও দোষারোপ করেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সিরিয়ার কুর্দি গোষ্ঠীকে সমর্থন করার অভিযোগ করেন।
সোয়লু বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৮১ জনের মধ্যে ৫০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে পাঁচজন জরুরি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় নিহত ৬, আহত ৮১
ইউক্রেনের শস্য বহনকারী জাহাজ ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে
যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সহায়তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্থগিত হতে পারে: প্রতিবেদন
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের তথ্যমতে, নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দেশের বৈদেশিক সহায়তা বাজেট আরও দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখার কথা ভাবছেন।
ব্রিটেনের বৈদেশিক সাহায্য ব্যয় দেশটির জাতীয় আয়ের ০.৫ শতাংশের মতো। দুই বছর আগে করোনাভাইরাস মহামারির ফলে ব্রিটেনের সরকারি অর্থব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যে তাদের ব্যয় হ্রাস করেছিল।
করোনাকালে বিটেনের অর্থমন্ত্রী থাকা সুনাক তখন বলেছিলেন, ২০২৪-২০২৫ সালের মধ্যে বৈদেশিক ব্যয় আগের মতো জিডিপির ০.৭ শতাংশে ফিরে আসা উচিত।
আরও পড়ুন: টুইটারের বহিষ্কৃত সিইও পরাগ আগরওয়াল পেতে পারেন ৪২ মিলিয়ন ডলার
যদিও টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিদেশি সাহায্য তহবিল স্থগিত রাখার মেয়াদ আরও দুই বছর অর্থাৎ ২০২৬-২০২৭ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে আরও বড় কাটছাঁটেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাজ্য যখন ব্যয় হ্রাসের পরিকল্পনা করছে এবং আবাসন, খাদ্য, ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে কর মওকুফ করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী
বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন। রবিবার তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এর ফলে কনজারভেটিভ দলের আরেক নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল।
নৈতিকতা কেলেঙ্কারির মধ্যে জুলাইয়ে পদত্যাগ করেন জনসন। এরপর গত সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়া লিজ ট্রাসও দেশটির টালমাটাল পরিস্থিতিতে গত ২০ অক্টোবর পদত্যাগে করেন। ট্রাসের পদত্যাগের পর যে কজন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে বরিস অন্যতম ছিলেন।
রবিবার বরিস জানিয়েছেন, ১০২ জন আইন প্রণেতা তাকে সমর্থন করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ
তবে তিনি সুনাকের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলেন বলে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যম খবর দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সংসদে ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে আপনি কার্যকরভাবে শাসন করতে পারবেন না।’
জনসনের প্রত্যাবর্তন ইতোমধ্যে বিভক্ত কনজারভেটিভ পার্টিকে আরও অশান্তিতে ফেলেছিল।
তিনি দলকে ২০১৯ সালে একটি জমকালো নির্বাচনী বিজয় উপহার দিয়েছিলেন, তবে তার প্রধানমন্ত্রীত্ব অর্থ ও নীতি-নৈতিকতার কারণে কেলেঙ্কারিতে ছেয়ে যায় যা শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ট্রাস পদত্যাগ করার পর কনজারভেটিভ পার্টি তড়িঘড়ি করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পদ থেকে এখন সরে দাঁড়ালেও বরিস ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে চোখ রাখছেন।
রবিবারের বিবৃতিতে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ২০২৪ সালের পরের জাতীয় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে বিজয় এনে দিতে পারব।
আরও পড়ুন: অবশেষে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে রাজি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
‘জয় বাংলা’ বলে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানালেন বরিস জনসন
রুশ কর্তৃপক্ষের খেরসনবাসীদের অবিলম্বে শহর ত্যাগের পরামর্শ
ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ কর্তৃপক্ষ খেরসন শহরের সব বাসিন্দাদের শনিবার অবিলম্বে চলে যেতে বলেছেন। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর প্রথম যে শহর তাদের দখলে নিয়েছিল তা পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে ইউক্রেনীয়রা পালটা আক্রমণ করতে পারে এমন সম্ভাবনায় কর্তপক্ষ সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং সার্ভিসের একটি পোস্টে ক্রেমলিনপন্থী আঞ্চলিক প্রশাসন বেসামরিক নাগরিকদের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ভেতরে যাওয়ার জন্য বড় নদী পার করতে নৌকা ব্যবহারে জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়েছে। যেখানে, আসন্ন এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ও মর্টার নিক্ষেপের হুমকি এবং কিয়েভের সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করলেন মোমেন
ইউক্রেনে প্রায় আট মাসব্যাপী যুদ্ধের প্রায় শুরু থেকেই খেরসন রাশিয়ার দখলে। এই শহরটি গতমাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে চারটি শহর রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেন তার একটি। বৃহস্পতিবার যা রুশ সামরিক আইনের অধীনে আনা হয়।
শুক্রবার ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রদেশ জুড়ে রুশদের অবস্থান লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছে। নিপার নদীজুড়ে ক্রেমলিনপন্থী বাহিনীর পুনঃসরবরাহ সড়কগুলো লক্ষ্য করে এবং শহরটি পুনরুদ্ধার করার জন্য চূড়ান্ত চাপ সৃষ্টির প্রস্তুতি হিসেবেই এই হামলা করা হয়।
আগস্টের শেষের দিকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই অঞ্চলের উত্তরে বিস্তৃত এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। শনিবার নতুন সাফল্যের কথা জানিয়ে বলা হয়, রুশ সৈন্যরা বেরিসলাভ জেলার চারিভনে ও চকলোভ গ্রাম থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
খেরসন শহরকে দখলে নেয়ার বিষয়টি রুশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়। শিল্প ও বন্দরের কারণে শহরটি উভয়পক্ষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। হাজার হাজার বাসিন্দাদের যখন সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন অঞ্চলটি যেন এক দুর্গে পরিণত হয়!
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশবাহী ৪র্থ রুশ জাহাজ মোংলায় ভিড়েছে
পদত্যাগ করার ঘোষণায় যা বললেন ট্রাস
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস পদত্যাগের ঘোষণা দিতে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে বক্তব্য দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ৪৫ দিন পর লিজ ট্রাস ঘোষণা করেছেন যে তিনি আগামী সপ্তাহের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করছেন।
এখানে তার সম্পূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি একটি বড় অর্থনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক অস্থিরতার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছি। যেসময় পরিবার এবং ব্যবসাগুলো কীভাবে তাদের বিল পরিশোধ করবে তা নিয়ে চিন্তিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ যুদ্ধ আমাদের সমগ্র মহাদেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে আমাদের দেশকে অনেক দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস
লিজ ট্রাস বলেন ‘আমি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে এটি পরিবর্তন করার ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। আমরা জ্বালানি বিল দিতে জাতীয় বীমা কেটেছি এবং আমরা একটি স্বল্প কর নির্ভর উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করেছি যা ব্রেক্সিটের স্বাধীনতার সদ্ব্যবহার করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করি, যদিও পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমি যে ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছি তা আমি পূরণ করতে পারব না। আমি তাই মহামান্য রাজার সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে জানিয়েছি যে আমি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে পদত্যাগ করছি।’
পদত্যাগী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সকালে আমি ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা একমত হয়েছি যে আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি নেতৃত্ব নির্বাচন সম্পন্ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি নিশ্চিত করবে যে আমরা আমাদের আর্থিক পরিকল্পনাগুলো সরবরাহ করার এবং আমাদের দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখার পথে রয়েছি।’
লিজ ট্রাস আরও বলেন, ‘উত্তরসূরি নির্বাচন না করা পর্যন্ত আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকব। ধন্যবাদ। ‘
আরও পড়ুন: কনজারভেটিভ পার্টির নবনির্বাচিত নেতা লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন
পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন। ক্ষমতা গ্রহনের পর টালমাটাল অবস্থায় মাত্র ছয় সপ্তাহ পার করার পরই তিনি পদত্যাগ করলেন। তার আর্থিক নীতিগুলোর জন্য নিজ দলে বিরোধীতার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে তার কর্তৃত্ব বিলুপ্ত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি যে ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি তা আমি দিতে পূরণ করতে পারব না।’
মাত্র একদিন আগে ট্রাস ক্ষমতায় থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি ‘একজন যোদ্ধা এবং পদত্যাগকারী নন।’ কিন্তু ট্রাস তার দৃঢ়তা আর ধরে রাখতে পারলেন না।
সমালোচনার বন্ধ করে তার সরকার ছেড়ে যাওয়া একজন সিনিয়র মন্ত্রীকে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে হাউস অব কমন্সে একটি ভোট বিশৃঙ্খলা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার কয়েকদিন পরেই তাকে তার অনেক অর্থনৈতিক নীতি পরিত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করার ঘোষণায় যা বললেন ট্রাস
তার প্রস্থান একটি বিভক্ত কনজারভেটিভ পার্টিকে এমন একজন নেতা খুঁজছে যে তার দলের বিভক্তিকে একত্রিত করতে পারে।
এর আগে রক্ষণশীল আইন প্রণেতা সাইমন হোয়ারে বলেছিলেন যে সরকার বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।
তিনি বৃহস্পতিবার বিবিসিকে বলেছেন, ‘কারও রুট প্ল্যান নেই। এটি প্রতিদিনের ভিত্তিতে হাতে হাতে লড়াইয়ের মতো।’
তিনি বলেন, পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য ট্রাসের হাতে ‘প্রায় ১২ ঘন্টা’ সময় ছিল।
ট্রাস তার ১০ ডাউনিং স্ট্রিট অফিসে গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে তড়িঘড়ি করে একটি বৈঠক করেছিলেন। যিনি একজন সিনিয়র কনজারভেটিভ আইন প্রণেতা ও নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জগুলো তদারকি করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এখনও সংসদের টোরি সদস্যদের সমর্থন আছে কিনা তা মূল্যায়ন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ব্র্যাডিকে। দৃশ্যত মনে হয় তিনি তা করেননি।
বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের বেশিরভাগ কনজারভেটিভ সদস্য তাকে পদত্যাগ করে বিশৃঙ্খলার অবসানের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
দলটি কয়েক মাস আগে সাবেক ট্রেজারি প্রধান ঋষি সুনাককে ট্রাসের পরাজিত করার রেসের মতো আরেকটি বিভক্ত নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা এড়াতে আগ্রহী।
আগামী ২০২৪ সালের আগে কোনও জাতীয় নির্বাচন হবে না।
ব্র্যাভারম্যানকে স্বরাষ্ট্র সচিব হিসাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। অভিবাসন এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য দায়ী মন্ত্রী, সাবেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী গ্রান্ট শাপস, তার পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী সুনাকের একজন উচ্চ-পর্যায়ের সমর্থক।
২৩ সেপ্টেম্বর অর্থনৈতিক প্যাকেজ উন্মোচনের পর শুক্রবার ট্রাস তার ট্রেজারি প্রধান কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করার কয়েকদিন পরে নাটকীয় ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: কনজারভেটিভ পার্টির নবনির্বাচিত নেতা লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অনুশোচনা নেই পুতিনের
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য পাঠানো সেনাদের একত্রিকরণের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, এর ফলে অজনপ্রিয় ও বিশৃঙ্খল অবস্থার অবসান হবে।
ক্রমবর্ধমান উন্নত পশ্চিমা অস্ত্রে সজ্জিত প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় পুতিন রাশিয়ার অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও সামরিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। তারপরও শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সংঘাত শুরু করার জন্য অনুশোচনা করেন না এবং প্রায় আট মাস আগে যখন তিনি রুশ সৈন্যদের আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তখন তিনি ইউক্রেনকে ধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।
কাজাখস্তানের রাজধানীতে কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটসের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার পর তিনি বলেন, ‘আজ যা ঘটছে তা অপ্রীতিকর, বাস্তবতা আরও খারাপ। কিন্তু আমাদের জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতিতে এই সবকিছু একটু পরেই হত, এইতো।’
আরও পড়ুন: ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
গত মাসে পুতিন যে চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে অবৈধভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ড বলে দাবি করেছিলেন তার মধ্যে একটিতে রাশিয়ার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে এর অসুবিধাগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রগতির আশঙ্কায় খেরসন অঞ্চলে মস্কো নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বাসিন্দাদের পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এমনকি পুতিনের নিজস্ব সমর্থকদের মধ্যে কেউ কেউ ক্রেমলিনের যুদ্ধ পরিচালনা ও সৈন্য একত্রিকরণের সমালোচনা করেছেন। রাশিয়ার পক্ষে মোড় ঘুরিয়ে দিতে আরও কিছু করার জন্য তার ওপর চাপ বাড়ছে।
সৈন্য একত্রিকরণ সম্পর্কে পুতিন বলেন যে গত মাসে তিনি যে পদক্ষেপের আদেশ দিয়েছিলেন তাতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে তিন লাখের মধ্যে দুই লাখ ২২ হাজার সৈন্য নিবন্ধিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে মোট ৩৩ হাজার জন সামরিক ইউনিটে যোগ দেয় এবং ১৬ হাজার জনকে যুদ্ধের জন্য মোতায়েন করা হয়।
পুতিন এক হাজার ১০০ কিলোমিটার ফ্রন্ট লাইনে লড়াইকে জোরদার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে ইউক্রেনীয় পাল্টা আক্রমণ মস্কোর সামরিক প্রতিপত্তিতে ব্যাহত করছে। একটি দেশে ৬৫ বছরের কম বয়সী প্রায় সকল পুরুষই সংরক্ষিত হিসেবে নিবন্ধিত। যেখানে কে খসড়া তালিকার জন্য যোগ্য তা নিয়ে বিভ্রান্তির সঙ্গে সৈন্য একত্রিকরণ শুরু থেকেই সমস্যায় পড়ে।
আদেশটির বিরোধিতা বেশ শক্তিশালী ছিল। এতে হাজার হাজার পুরুষ রাশিয়া ছেড়ে চলে যায় এবং অন্যরা রাস্তায় প্রতিবাদ করে। সমালোচকরা সন্দেহ করেন যে খসড়া তালিকাটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।
১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী পুরুষদের জন্য রাশিয়ার বছরের শেষ অংশে খসড়া চলাকালীন তালিকাভুক্ত অফিসগুলোকে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া করার অনুমতি দেয়ার জন্য তারা শুধুমাত্র একটি বিরতির পূর্বাভাস দিয়েছে। যা ১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
অধিগ্রহণ করা অঞ্চলগুলোকে রক্ষায় সব উপায় ব্যবহার করবে রাশিয়া: পুতিন
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বরখাস্ত
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউকে প্রধানমন্ত্রী ট্রাস শুক্রবার মিনি-বাজেটের কিছু অংশে ইউ-টার্ন ঘোষণা করবেন এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে খবরটি আসে।
এর মানে হলো যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর পদে সবচেয়ে কম সময়ের রেকর্ডে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসলো কোয়ার্টেং এর নাম।
১৯৭০ সালে চাকরি নেয়ার ৩০ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সবচেয়ে কম সময়ের চ্যান্সেলর বা অর্থমন্ত্রী ইয়ান ম্যাক্লিওড।
২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের চারজন চ্যান্সেলর হয়েছেন। যার মধ্যে নাদিম জাহাভি যিনি বরিস জনসনের অধীনে একটি স্বল্পস্থায়ী রদবদলের সময় ৬৩ দিনের জন্য তৃতীয় সংক্ষিপ্ততম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং সাজিদ জাভিদ যিনি ২০৪ দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চতুর্থ সংক্ষিপ্ততম মেয়াদ ছিল।
কোয়াসি কোয়ার্টেং- যিনি যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর হিসাবে তার চাকরির বাইরে রয়েছেন – কেবলমাত্র তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তিনি ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস তাকে বরখাস্ত করেছেন।
তিনি খবরটি নিশ্চিত করে একটি চিঠি টুইট করেছেন, বলেছেন যে তাকে ‘একপাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে’।
অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের এ পরিকল্পনার জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে সহকর্মী এবং বন্ধু ছিলাম।’
তিনি নেপথ্যে থেকে ট্রাসের প্রতি তার সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর তার মিনি-বাজেটের পরে বাজারের অস্থিরতা স্বীকার করেছেন কোয়ার্টেং।
তিনি লিখেছেন যে তার পরিকল্পনা প্রকাশের পর ‘অর্থনৈতিক পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে’ যার মধ্যে রয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ইউরো ট্যাক্স কর্তন করে সরকারি ঋণে অর্থায়ন করা।
কোয়ার্টেং বলেছেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি তা অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন জেনেই কাজটি নিয়েছিলাম।’
তিনি যে পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করেছিলেন সেগুলোর পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং বিদ্যুতের দামের মতো সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য ‘স্থিতাবস্থা অনুসরণ’ করার আর কোনও ‘বিকল্প ছিল না’।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
যুক্তরাজ্যে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, টিকটককে গুনতে হতে পারে বড় জরিমানা
কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
গুরুত্বপূর্ণ এক সেতুতে হামলার প্রতিশোধ নিতে গত কয়েক মাসের মধ্যে সোমবার রাশিয়া ইউক্রেনে বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে। প্রাণঘাতী এ হামলায় বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু গুড়িয়ে যায়, বিদ্যুৎ ও পানি বিচ্ছিন্ন হয়, ভবন ভেঙে যায় এবং অন্তত ১৪ জন নিহত হয়।
ইউক্রেনের ইমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, পশ্চিমে লভিভ থেকে পূর্বে খারকিভ পর্যন্ত বিস্তৃত অন্তত ১৪ অঞ্চলে রাশিয়া আকাশ, সমুদ্র ও স্থলপথে হামলা করে। সকালের ব্যস্তময় সময়ে এ ঘটনায় অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে। এ হামলার বেশ কয়েকটি যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইনের বেশ দূরে থেকে করা হয়।
যদিও রাশিয়া বলেছে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সামরিক ও জ্বালানি সুবিধাকে লক্ষ্য করা হয়, তবে কিছু বেসামরিক এলাকায় এলাকাবাসীরা কাজে ও স্কুলে যাওয়ার সময় এর শিকার হন। এর একটি কিয়েভ শহরের কেন্দ্রস্থলে এক খেলার মাঠে এবং অন্যটি এক বিশ্ববিদ্যালয়ে আঘাত হানে।
এ ঘটনায় দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ব্ল্যাকআউট দেখা দেয়। এতে সোমবার হাজারও মানুষ বিদ্যুৎ বঞ্চিত হয়ে পড়ে। এ সময় ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জনগণকে সংরক্ষণ করতে বলে এবং জানিয়ে দেয় যে মঙ্গলবার থেকে তারা ইউরোপে বিদ্যুৎ রপ্তানি বন্ধ করে দেবে। পাম্প ও অন্যান্য সরঞ্জাম চালানোর জন্য সিস্টেম বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে প্রায়ই বাসিন্দাদের পানি থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় স্কুলে হামলা: ১১ শিশুসহ নিহত ১৭
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, ‘হামলার কোনো ‘বাস্তব সামরিক অর্থ’ ছিল না এবং রাশিয়ার উদ্দেশ্যই ছিল একটি মানবিক বিপর্যয় ঘটানো।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, তার বাহিনী কিয়েভের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড বলে দাবি করার জন্য প্রতিশোধ হিসেবে ‘নিখুঁত অস্ত্র’ দিয়ে মূল শক্তি অবকাঠামো ও সামরিক কমান্ড সুবিধাগুলোকে লক্ষ্য করে। মস্কোর আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেন শনিবার রাশিয়া ও ক্রিমিয়ান পেনিনসুলাকে যুক্ত করা এক গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে হামলা চালায়। পুতিন অভিযোগ করেন যে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী সেতুটিতে হামলার পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী এ কাজ ঘটিয়েছে উল্লেখ করে একে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন।
রুশ বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট হিসেবে পরিচিত ক্রিমিয়া সেতু বা কের্চ সেতুতে শনিবার একটি ট্রাক বিস্ফোরণে এর কিছু অংশ নদীতে ধসে পড়ে। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সেতুতে সড়ক ও রেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।
সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়ার তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় রবিবার পুতিন বলেছেন, ‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে এটি রাশিয়ান ফেডারেশনের সমালোচনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি সন্ত্রাসী কাজ ছিল। এবং যারা এটির আদেশ দিয়েছেন তারা ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর সদস্য।’
ব্যাস্ট্রিকিন বলেছেন, ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী এবং রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা এই হামলায় অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন
ব্যাস্ট্রিকিন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ট্রাকের রুট স্থাপন করেছি, এটি বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, উত্তর ওসেটিয়া এবং দক্ষিণ রাশিয়ার একটি অঞ্চল ক্রাসনোদর পর্যন্ত ছিল।’
এদিকে কিয়েভে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক পুতিনের অভিযোগকে ‘রাশিয়ার জন্যও খুব নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পুতিন ইউক্রেনকে সন্ত্রাসবাদের জন্য অভিযুক্ত করেছেন? এখনও ২৪ ঘণ্টা হয়নি যেখানে রাশিয়ার বিমানগুলো জাপোরিঝিয়ায় একটি আবাসিক এলাকায় ১২টি রকেট নিক্ষেপ করেছে, এতে ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এটি একমাত্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী এবং সারা বিশ্ব জানে সে কে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
ইউক্রেনের ৪টি অঞ্চলে গণভোটের বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো