%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE
ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু যুক্তরাজ্যে
ব্রিটেনে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ৬০ টি দেশে নতুন এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়লেও এই প্রথম এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর জানা গেল।
সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি বরিস।
ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে ১০ জন লোক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে রবিবার দেশটির এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া ঘোষণায়, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রত্যেককে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টিকার তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে। এরপর আজ সারাদিন দেশটির টিকা কেন্দ্রগুলিতে বুস্টার ডোজ নিতে আসা ব্যক্তিদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য ওমিক্রন সংক্রমণের ঢেউয়ের মুখোমুখি: বরিস জনসন
টেলিভিশনে দেয়া বার্তায় বরিস বলেন, আমরা এখন করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের ফলে একটি জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হয়েছি। ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ এখন আমাদের কাছে থাকা সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।
এদিন বরিস আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য করোনভাইরাসের নতুন শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন সংক্রমণের ‘ঢেউ’ এর মুখোমুখি রয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়তে সবার জন্য বুস্টার ভ্যাকসিনেশন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রত্যেককে ওমিক্রনের জন্য ‘জরুরি’ ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে। এর আগে টার্গেট ছিল জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ব্রিটেনে প্রতি দুই থেকে তিন দিনে অত্যন্ত সংক্রামক এই ধরনের বিস্তার দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে খুব শিগগিরই দেশে ‘ওমিক্রনের ঢেউ’ আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশে জিম্বাবুয়েফেরত ২ নারী ক্রিকেটারের ওমিক্রন শনাক্ত
তিনি আরও বলেন, এটি এখন সবাই জানে আমাদের সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ যথেষ্ট নয়, তাই আমি ভয় পাচ্ছি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু সুসংবাদ হল যে আমাদের বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ অর্থাৎ একটি বুস্টার ডোজ আমাদের সুরক্ষা স্তর তৈরি করতে পারবে।
যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির তথ্য মতে, ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বর্তমানে ব্যবহার্য ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা তুলনামূলক কম দেখা যায়। অন্যকে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নেয়ার পরে কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
ব্রিটেনে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ দুই ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ শতাংশ ভ্যাকসিনের তিন ডোজ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১
যুক্তরাজ্য ওমিক্রন সংক্রমণের ঢেউয়ের মুখোমুখি: বরিস জনসন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য করোনভাইরাসের নতুন শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন সংক্রমণের ‘ঢেউ’ এর মুখোমুখি রয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়তে সবার জন্য বুস্টার ভ্যাকসিনেশন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
সোমবার একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে বরিস বলেছেন, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রত্যেককে ওমিক্রনের জন্য ‘জরুরি’ ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে। এর আগে টার্গেট ছিল জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ব্রিটেনে প্রতি দুই থেকে তিন দিনে অত্যন্ত সংক্রামক এই ধরনের বিস্তার দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে খুব শিগগিরই দেশে ‘ওমিক্রনের ঢেউ’ আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এটি এখন সবাই জানে আমাদের সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ যথেষ্ট নয়, তাই আমি ভয় পাচ্ছি।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট: যুক্তরাজ্যে নতুন সতর্কতা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু সুসংবাদ হল যে আমাদের বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ অর্থাৎ একটি বুস্টার ডোজ আমাদের সুরক্ষা স্তর তৈরি করতে পারবে।
যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির তথ্য মতে, ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বর্তমানে ব্যবহার্য ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা তুলনামূলক কম দেখা যায়। অন্যকে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নেয়ার পরে কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
ব্রিটেনে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ দুই ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ৪০ শতাংশ ভ্যাকসিনের তিন ডোজ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হলেন টিউলিপ সিদ্দিক
সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ফেরত দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলা: সামাজিক মাধ্যমে দেয়া বিভিন্ন পোস্ট দেখে শাস্তি দেয়া হচ্ছে
জানুয়ারির ৬ তারিখ যেসব দাঙ্গাকারী যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলা করেছে কিংবা হামলার আগে-পরে বিভিন্ন উসকানিমূলক তথ্য বা ছবি শেয়ার করেছে, এখন তাদের সেসব পোস্ট তাদের সাজা দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ অ্যামি জ্যাকসন রাসেল পিটারসন নামের এক দাঙ্গাকারীর সাজা ঘোষণার আগে রাসেলের দেয়া একটি ফেসবুক পোস্ট পড়ে শোনান। পোস্টে লেখা ছিল, ‘সবমিলিয়ে আমার খুব মজা লেগেছে, লল।’
পোস্টটি পড়ে শোনানোর পরে জজ জ্যাকসন বলেন, এই পোস্ট পড়ার পর রাসেলকে মুক্তি দেয়া খুব কষ্টকর। কেননা ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে যা কিছু হয়েছে,তাতে মজা পাওয়ার কিছু ছিল না। দাঙ্গাকারীদের ভয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ ঘরে আইন প্রণয়নকারীদের আটকে থাকা কিংবা টেবিলের নিচে আত্মগোপনে থাকাটা কোনোভাবেই হাসি-মজার ব্যাপার না।
এভাবেই দাঙ্গাকারীদের সামাজিক মাধ্যম তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে টর্নেডোর তাণ্ডবে শতাধিক মৃত্যুর শঙ্কা
এফবিআই সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে দেয়া কয়েকশ’ পোস্ট থেকে কয়েকশ’ দাঙ্গাকারীকে শনাক্ত করেছে। আইনজীবীরা সেসব পোস্ট মামলার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করছেন।
এমনকি বিচারকেরা ব্যবহারকারীদের ব্যবহৃত শব্দ বা বাক্যের গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে বেশি বা কম সাজা দিচ্ছেন।
সম্প্রতি আদালতের দেয়া রায় পর্যালোচনা করে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) দেখেছে শুক্রবারও ওই দাঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৫০ জন ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে অন্তত ২৮টি মামলায় আইনজীবীরা প্রমাণ হিসাবে দাঙ্গাকারীদের ফেসবুকে দেয়া বিভিন্ন পোস্টকে ব্যবহার করেছেন।
সেসময় অনেক দাঙ্গাকারী সামাজিক মাধ্যমে দাঙ্গা উপলক্ষে আগ্রাসী বিভিন্ন কথা লিখেছে বা বিভিন্ন ঘৃণাসূচক মন্তব্য করেছে। অনেকে আবার এই দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়েছে কিংবা না জেনেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন তত্ত্ব আলোচনা করেছে। তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র
সেসময় দেয়া বিভিন্ন ফেসবুক পোস্ট বা প্রমাণ ডিলিট করার জন্যও আদালত অনেক জনকে সাজা দিয়েছে। এই পর্যন্ত ক্যাপিটল দাঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৭০০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এরমধ্যে অন্তত ১৫০ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে গত ৬ জানুয়ারি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ৩ নভেম্বর হওয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দেয়ার সংসদীয় প্রক্রিয়ার মধ্যেই সেখানে তাণ্ডব চালায় উগ্রবাদীরা। এতে এক পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব ব্যবসার প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণ চায় যুক্তরাষ্ট্র
বাইডেন-শি ভার্চুয়াল বৈঠক সোমবার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’র মধ্যকার বহুল প্রত্যাশিত ভার্চুয়াল বৈঠক সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছরের শুরুতে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মার্কিন-চীন সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারির পর এই দুই নেতার মধ্যে এটি তৃতীয় বৈঠক।
ক্ষমতা গ্রহণের পর দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জটিলতা ও দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানে উভয় পক্ষকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, বৈঠক থেকে দু’দেশের সম্পর্কের কোনও বড় পরিবর্তন হবে, এমন আশা আমি করছি না। দুই নেতা নিজেদের দেশ, বিভিন্ন প্রতিযোগীতার ক্ষেত্র ও বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাধারণ আলোচনা করবেন।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় তাদের সহযোগিতা বাড়াতে এবং জলবায়ু-ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন হ্রাসকরণ পদক্ষেপে গতি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং জ্যেষ্ঠ চীনা পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা ইয়াং জিচি বছরের শেষ নাগাদ বইডেন-শি’র এই ভার্চুয়াল সম্মেলনের বিষয়ে একটি চুক্তি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বাইডেন রাজত্বের ১৫০ দিনে ৩০ কোটি টিকার মাইলফলক
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার বলেছেন, আমরা আশা করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে একত্রে কাজ করবে। দুই নেতার বৈঠক সফল করতে চীন-মার্কিন যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালাবে।
সম্প্রতি বাইডেন উত্তর-পশ্চিম চীনে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনের সমালোচনা করেছেন। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী প্রচেষ্টাকে দমন করা এবং করোনাভাইরাস মহামারিটির উৎস সম্পর্কে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি আরও বলেছেন, সোমবারের বৈঠকে বাইডেন এইসব বিষয়ে তার দেশের উদ্বেগ প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: ফলাফলহীন বাইডেন-পুতিনের ‘কার্যকরী’ বৈঠক
পুতিনের সাথে বৈঠকে প্রস্তুত বাইডেন
তরুণদের জলবায়ু যুদ্ধে শামিল হওয়ার আহ্বান ওবামার
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালে জলবায়ুবিষয়ক প্যারিস সম্মেলনে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গঠনমূলক আলোচনায় যে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন,মার্কিন তরুণদের মধ্যে তা ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
কিন্তু বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গ্লাসগো সম্মেলনে জলবায়ু নিয়ে তার দেশের তরুণ প্রজন্মের আক্ঙ্ক্ষার যথাযথ প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি।
গ্লাসগোতে যখন কপ-২৬ এ বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধানের আলোচনায় ব্যস্ত, ওবামা তখন জলবায়ু নিয়ে সচেতন ২০-৩০ বছর বয়সী বেশকিছু তরুণদের সাথে এক উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় তিনি ভবিষ্যৎ বিশ্বকে রক্ষায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবামা তরুণদের উদ্দেশে বলেন,জলবায়ু যুদ্ধে আমরা কোন দেশকে আমাদের পাশে চাচ্ছি, কার কাছে আমরা প্রত্যাশা করছি? আমি মনে করি,এখন সবটাই আপনাদের ওপর নির্ভর করছে,আপনারাই পারেন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালনের জন্য চাপ দিতে। তাই আপনারা এগিয়ে আসুন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ওবামার ক্ষোভ
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ওবামার অবস্থানের কারণে অনেক তরুণই ওবামার ভক্ত বনে গেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে ওবামা বেশকিছু জলবায়ুবান্ধব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন,যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কার্বন নিঃসরণের হার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসতে পারতো। কিন্তু তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সংস্কারগুলোকে পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।
তবে জলবায়ু সচেতন অনেক তরুণই ওবামার সমালোচনা করেছেন। উগান্ডার জলবায়ুকর্মী ভানেসা নিকিতা সোমবার এক টুইটে বলেন, আমার বয়স যখন ১৩ বছর ছিল,তখন ক্ষমতায় থাকাকালে ওবামাসহ অন্যান্য ধনী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা যখন ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ধনী দেশই তার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এমনকি বারাক ওবামাকেও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
নিকিতা আরও বলে,আমি ওবামাকে আক্রমণ করছি না, তবে এটা ঠিক যে সে কথা দিয়ে কথা রাখেনি।
আরও পড়ুন:মিশেল ওবামার বই: প্রকাশের ১ সপ্তাহেই ১.৪ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ৪ নভোচারী
মহাকাশ থেকে চার নভোচারী পৃথিবীতে ফিরেছেন। সোমবার নাসার নভোচারী শেইন কিমব্রোগ, মেগান ম্যাকআর্থার, জাপানের আকিহিকো হশিডি ও ফ্রান্সের থমাস পেসকুট পৃথিবীতে অবতরণ করেন। তবে উচ্চ বাতাসের কারণে তাদের পৃথিবীতে অবতরণ বিলম্ব হয়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে আলাদা হওয়ার ফলে তাদের পরিবর্তে বুধবার চার জন পাঠানোর পথ প্রশস্ত হয়েছে।
তবে প্রথমে নতুনদের পাঠানোর কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়া ও এক নভোচারীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অপ্রকাশিত তথ্যের জন্য নাসা আদেশে পরিবর্তন আনে।
এক টুইট বার্তায় পেসকুট বলেন, ‘আরও এক রাত এই মোহনীয় দৃশ্যের মাঝে। কে অভিযোগ করতে পারে? আমি আমাদের স্পেসশিপ মিস করবো।’
তবে নভোচারীদের জন্য যাত্রাটি সুখকর ছিল না। তাদের বহন করা নভোযানের শৌচাগার অকেজো থাকায় পৃথিবীতে ফেরত আসার আট ঘণ্টার যাত্রায় তাদের ডায়াপারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
হাউস্টনে অ্যাস্ট্রোওয়ার্ল্ড উৎসবে নিহত ৮
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হাউস্টনে অ্যাস্ট্রোওয়ার্ল্ড উৎসবে মানুষের হুড়োহুড়িতে কমপক্ষে আটজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
হাউস্টনের ফায়ার সার্ভিস বিভাগের প্রধান স্যামুয়েল পেনা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, র্যাপার ট্রাভিস স্কট গান পরিবেশন করলে একদল মানুষ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মঞ্চের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ অচেতন হয়ে নিচে পড়ে যায় এবং এতে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অ্যাস্ট্রোওয়ার্ল্ড উৎসব হলো দু’দিন ব্যাপী সংগীত অনুষ্ঠান যা হাউস্টনে শুক্র ও শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে অনেক মানুষ আহত হলে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
পেনা বলেন, ১৭ জন মানুষকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জন হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এছাড়া অনেক মানুষকে এনআরজি পার্কের ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এ সংগীত উৎসবে অংশ নেয় বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস প্রধান বলেন, কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি। একজন মেডিকেল পরীক্ষক বিষয়টি তদন্ত করবেন। শনিবার সকাল পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন হাসপাতালে
আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
আইএস নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চায় না তালেবান
ফাইজারের পিল করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমায় প্রায় ৯০ শতাংশ
ফাইজারের পরীক্ষামূলক ভাইরাস প্রতিরোধক পিল করোনার কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু ঝুঁকি প্রায় ৯০ শতাংশ হ্রাস করতে সক্ষম বলে দাবি করেছে ওষুধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে করোনার চিকিৎসার জন্য আইভি বা ইনজেকশন প্রয়োজন হয়। এদিকে ওষুধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মের্ক এর করোনা প্রতিরোধক পিল ইতিমধ্যে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) পর্যালোচনার আওতায় আছে। এছাড়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য এ পিলের অনুমোদন দিয়েছে।
ফাইজার জানিয়েছে, এফডিএ ও আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রকদের যত দ্রুত সম্ভব তাদের পিল ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করবে তারা।
ফাইজার একবার আবেদন করলে এফডিএ কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাসের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
আরও পড়ুন: কিছু দিনের মধ্যে শিশুদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো ফাইজারের আরও ২৫ লাখ টিকা
নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে জিতে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি শাহানা হানিফ
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শাহানা হানিফ প্রথম মুসলিম নারী হিসাবে নিউহয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ী হিসাবে তার নাম ঘোষণার পর শাহানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ব্রুকলিনের কেনসিংটনে। আমার বাবা একজন বাংলাদেশি অভিবাসী হিসাবে এই দেশে আসেন।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রথম মুসলিম নারী হিসাবে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে বিজয়ী হতে পেরে আমি সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ।'
শাহানা বলেন, 'সবাই মিলে আমরা বর্ণবাদবিরোধী ও নারীবাদী একটি শহর গড়ে তুলব। আমরা এমন এক শহর চাই, যে শহর সবচেয়ে দুর্বলদের রক্ষা করবে, সবার জন্য সমান শিক্ষার ব্যবস্থা ও জলবায়ু সংকট নিরসনে বিনিয়োগ করবে, যেখানে আমাদের অভিবাসী প্রতিবেশীরা নিজেদের নিরাপদ মনে করবে।’
শাহানা নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ব্রুকলিনের ৩৯ নম্বর ডিস্ট্রিক্ট থেকে প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি ব্রুকলিন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন:নিউইয়র্কের দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র এরিক এডামস
বাংলাদেশি অভিবাসীরা বলেন, শাহানা আমাদের সমস্যাগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে। তিনি পিপিএস ২৩০ পাবলিক স্কুল ও ব্রুকলিন কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন কর্মী, সংগঠক এবং আমাদের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন লড়াইয়ে পাশে থেকেছে।
সম্প্রতি তিনি কাউন্সিল মেম্বার ব্র্যাড ল্যান্ডারের অফিসে অর্গানাইজিং অ্যান্ড কমিউনিটি এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যেখানে তিনি অংশগ্রহণমূলক বাজেটিংয়ের মতো তৃণমূল উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত প্রথম দক্ষিণ এশীয় ব্যক্তি এবং ওই ডিস্ট্রিক্টের প্রথম নারী কাউন্সিল সদস্য।
আরও পড়ুন:সাংবাদিক নির্যাতনের বিচারের আহ্বান গুতেরেসের
কাবুলে সামরিক হাসপাতালে আইএসের হামলায় নিহত ৭
নিউইয়র্কের দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র এরিক এডামস
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এরিক এডামস। মঙ্গলবার সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ডেভিড ডিংকিন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র ছিলেন।
৬১ বছর বয়সী এরিক এডামস রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস সিলওয়াকে পরাজিত করেন।
মঙ্গলবার রাতে তাঁর নিজ শহর ব্রকলিনের এক হোটলে বিজয় উদযাপন উপলক্ষে এক পার্টিতে এরিক এডামস বলেন, ‘আজকে রাতে নিউইয়র্ক আপনাদের মাঝ থেকে একজনকে নির্বাচিত করেছে। আমিই আপনি। বছরের পর বছর প্রার্থনা, প্রত্যাশা, লড়াই ও পরিশ্রমের পর আমরা সিটি হলে নেতৃত্ব দিচ্ছি।’
করোনা মহামারিতে নিউইয়র্ক সিটির ৩৪ হাজার ৫০০ মানুষ মারা যান। অর্থনীতি এখনও করোনা সম্পর্কিত ঝুঁকির মধ্যে। পর্যটন খাতও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। প্রশাসনিক ভবন অংশত খালি। কর্মকর্তারা হোমঅফিস করছেন। এক বছর দূরশিক্ষণের পর বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে ১ জানুয়ারি এডামস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: আবারো কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা: মিনেসোটা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার দায়ে পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
নিজেদের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী পাইলটকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী