ইউএস-ও-কানাডা
আফগানিস্তানে ছাড়তে পারেনি শতাধিক মার্কিন নাগরিক!
মার্কিন সৈন্যদের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া এবং তালেবানদের আফগান দখলের ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল কম-বেশি দুই শ’ মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তানে আটকে পড়েছেন। কিন্তু মার্কিন পুনর্বাসন এবং উদ্ধারকারী সংগঠনগুলো বলছে, বাইডেন প্রশাসনের এমন দাবি ভিত্তিহীন।
তাদের মতে, প্রশাসন শুধুমাত্র কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার জন্য তালিকাভুক্তদের কথা উল্লেখ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার জন্য দূতাবাসে রেজিস্ট্রেশন না করতে পারা, আমেরিকার গ্রিন কার্ড বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি প্রাপ্ত এবং মার্কিন নাগরিকদের পরিবারের সদস্যদের কথা তাদের হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগোর কাজন ভ্যালি স্কুলের মুখপাত্র হাওয়ার্ড শ্যান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হলেও, গ্রিন কার্ড প্রাপ্ত মানুষেরা বহু বছর ধরে আমেরিকায়া বসবাস করছে, তারা কর দিচ্ছে, আমাদের কমিউনিটির অংশ উঠেছে। তাদের অনেকের সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাদের ব্যাপারে কেউ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কাবুল ছাড়ল শেষ মার্কিন বিমান, দীর্ঘতম যুদ্ধের সমাপ্তি
আমেরিকার বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী তাদের পরিবারসহ আফগানিস্তানে আটকে পড়েছে। তারা আফগানিস্তান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, আটকে পড়া এক শ’ থেকে দুই শ’ মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে উদ্ধার কাজ অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে যারা দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে আফগানিস্তানের অবস্থান করছে এবং তালেবানদের হাত থেকে মুক্ত হতে চায়। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী আফগান নাগরিক এবং বিগত ২০ বছরে যেসকল আফগান কর্মকর্তারা মার্কিন প্রশাসনকে সমর্থন দিয়েছেন তাদেরকে’ও উদ্ধার কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
কিন্তু এই আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনী উপস্থিতি ছাড়া এই উদ্ধার কাজ কিভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বর্তমানে আফগানিস্তন থেকে বের হবার একমাত্র পথ কাবুল বিমান বন্দর তালেবানদের দখলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএসকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা
আফগানিস্তানে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য দরিস মাতসুই। তিনি কয়েকটি পরিবারকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করলেও, তালেবানদের বাঁধার কারণে এবং ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় তারা ফিরে আসতে পারেনি।
ডিজিটাল ডানক্রিকসহ উদ্ধারকারী সংগঠনগুলো বলছে, আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া শুধু মার্কিন নাগরিকের সংখ্যাই পাঁচ শতাধিক। আর মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তিদের আফগান পরিবারের সদস্যদের যুক্ত করলে, এই এক হাজারে কাছাকাছি চলে যাবে।
ফ্লোরিডায় ভবন ধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে বহুতল ভবন ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে ঘূর্ণিঝড় এলসা ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মিয়ামি অগ্নিনির্বাপক দলের সহকারী ফায়ার চিফ রেইড জাদাল্লাহ জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যাবেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরও ১১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফ্লোরিডায় ১২ তলা ভবন ধসে বহু হতাহতের আশঙ্কা
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবন ধসের ১২ দিন পরও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে ভবনটির নিখোঁজ বাসিন্দাদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে বরে তারা জানিয়েছেন।
মিয়ামির অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সদস্য ম্যাগি কাস্ত্রো বলেন, ‘আমরা জানি দিন যত যাচ্ছে মানুষগুলোর বাঁচার সম্ভাবনা কমে আসছে।’
আরও পড়ুন: কানাডার আরেকটি আদিবাসী স্কুলে গণকবরের সন্ধান
২৪ জুন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামিতে ১২ তলা বিশিষ্ট ভবনটি ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল।
ওই সময় ভবনটির বেশিরভাগ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভবনটি ধসে পড়ায় ওই কমপ্লেক্সের ১৩০টি ইউনিটের অর্ধেক তছনছ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কারাগারে ‘আত্মহত্যা’ করলেন অ্যান্টিভাইরাস গুরু জন ম্যাকাফি
ফ্লয়েড হত্যায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার ২২ বছরের সাজা
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেপোলিস শহরের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনকে সাড়ে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। গত বছরের মে মাসে এই চৌভিনের হাটুর নিচেই শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের।
শুক্রবার (২৫ জুন) ৪৫ বছর বয়সী চৌভিনকে কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। তার ৩০ বছররের শাস্তি চাওয়া হলেও, আদলাত সাড়ে ২২ বছরের সাজা ঘোষণা করে। ফলে ভাল ব্যবহারের মাধ্যমে চৌভিন ১৫ বছর বা মোট সাজার দুই/তৃতীয়াংশ ভোগ করার পর ই মুক্তি পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: আবারো কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা: মিনেসোটা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
এসময় ফ্লয়েডের পরিবারের উদ্দেশে চৌভিন বলেন, ‘আমি আপনাদের প্রতি শোক জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও কিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে। আমি আশা করি, এতে আপনারা মানসিকভাবে শান্তি পাবেন।’
তবে জর্জ ফ্লয়েডেরে পরিবার ভারাক্রান্তভাবে আদালতে চৌভিনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে। জর্জ ফ্লয়েডের ভাই টেরেন্স ফ্লয়েড বলেন, ‘আমরা আর সান্তনা চাই না, ইতোমধ্যেই অনেক সান্তনা পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: নিজেদের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী পাইলটকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী
গত বছরের ২৫ মে মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক ব্যক্তিকে জাল নোট রাখার অভিযোগে হাটু দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিন। বর্ণবিদ্বেষ থেকেই ফ্লয়েডকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
কানাডার আরেকটি আদিবাসী স্কুলে গণকবরের সন্ধান
কানাডার দক্ষিণ সাসকাচোয়ানে একটি পরিত্যক্ত আবাসিক স্কুল এলাকায় শত শত গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আাদিবাসীদের সংগঠন ‘দ্য ফেডারেশন অব সভরেইন ইন্ডিজেনাস নেশনস’ এক বিবৃতিতে গণকবরের ঘটনাকে কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আরও পড়ুন: কানাডায় মুসলিম পরিবারের ৪ জনকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা
গতমাসে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের কামলুপ্স শহরে আদিবাসী শিশুদের পরিত্যক্ত একটি আবাসিক স্কুলে ২১৫ শিশুর দেহাবশেষ পাওয়া যায়। যাদের কারও বয়স ৩ বছরেরও কম ছিল।
সংগঠনটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাসকাচোয়ানে অবস্থিত ম্যারিভাল ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে থাকা গণকবরের বিষয় নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কানাডার আবাসিক স্কুলে ২ শতাধিক শিশুর লাশ উদ্ধার!
১৮৯৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আবাসিক স্কুল হিসেবে এটিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
১৯ শতক থেকে ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত কানাডা সরকারের অর্থায়নে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আদিবাসী শিশুদের ধরে আনা হতো এসকল বোর্ডিং স্কুলে, যাতে তারা কানাডার মূল সমাজের শিক্ষা ও সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারে। তাদের জোরপূর্বকভাবে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হতো এবং নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম করতে দেয়া হতো না।
অভিযোগ আছে, অধিকাংশেরও ওপর শারীরিক নির্যাতন এবং গালাগালি করা হতো। ধারণা করা হয়, প্রায় ৬ হাজার শিশু এসকল স্কুলে মারা যায়।
এর আগে ২০০৮ সালে কানাডা সরকার সংসদে এ সকল স্কুলে শারীরিক ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: বুরকিনা ফাসোতে ১০০ বেসামরিক মানুষকে হত্যা
প্রায় ৫ বছর আগে ট্রুথ কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সকল স্কুলগুলোতে নির্যাতন এবং অবহেলার কারণে অন্তত ৩ হাজার ২০০ শিশু মারা যায়। এছাড়া ১৯১৫ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৮ শিশুসহ নিহত ১৩
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় ৮ শিশুসহ ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড় ক্লদেত্তের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যার ফলে ভেজা রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আগামী ১০ বছরে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে বাঁচার শেষ সুযোগ: জাতিসংঘ মহাসচিব
বাটলার কাউন্টির করোনের ওয়েন গারলক জানান, শনিবার প্রদেশটিতে চলমান ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সংঘর্ষ ঘটে। এসময় একটি ভ্যানে থাকা সেইফ হোমের আট শিশুসহ গাড়িটি কে ধাক্কা দেয় অপর একটি গাড়ি। ওই গাড়ির চালক ও গাড়িতে থাকা তার শিশু সন্তানও ওই দুর্ঘটনায় মারা যায়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যকে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর পাশে চায় ঢাকা
দুর্ঘটনার শিকার ওই গাড়িটিতে নিহতদের মধ্যে ৪ বছর থেকে ১৭ বছরের শিশু রয়েছে। এরা সকলেই তালাপোসা কাউন্টি গার্লস র্যাঞ্চে থাকতো। এই র্যাঞ্চটি পরিত্যক্ত ও নিপীড়নের শিকার মেয়েদের পুনর্বাসনের কাজ করে থাকে।
ওই দুর্ঘটনায় শুধুমাত্র ক্যান্ডিস গুলে নামে এক নারী বেঁচে গেলেও, তার দুই ১৬ ও ৪ বছর বয়সী দুই সন্তান মারা যায়।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে ২৫ লাখ টিকা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
এছাড়া আটলান্টার বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙে পড়াসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় বাকিরা মারা যান।
বাইডেন রাজত্বের ১৫০ দিনে ৩০ কোটি টিকার মাইলফলক
বৈশ্বিক মহামরি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ক্ষমতা গ্রহণের ১৫০ দিনের মধ্যে ৩০ কোটি ডোজ করোনার টিকা প্রদানের মাইলফলক ছুতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।শুক্রবার হোয়াইট হাউজে এই মাইলফলক পূরণের কথা জানান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এসময় তিনি গবেষক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, মার্কিন নাগরিক এবং তার পুরো প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, এই সাফল্যের কৃতিত্ত্ব সম্পূর্ণ তাদের।
আরও পড়ুন: ফলাফলহীন বাইডেন-পুতিনের ‘কার্যকরী’ বৈঠক
এবছর মানুষ স্বাভাবিক গ্রীষ্মকাল পার করবে আশা করে জো বাইডেন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় আমরা ভিন্ন এক গ্রীষ্মকাল উপভোগ করতে চলেছি। আশা করি, এই গ্রীষ্মকাল আমেরিকানদের জন্য আনন্দপূর্ণ হতে চলেছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাইডেন প্রশাসনকে নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান ঢাকার
কিন্তু একটি মাইলফলক ছুতে পারলেও, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দেশটির ৭০ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্কদের অন্তত করোনা টিকার একটি ডোজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে চলেছেন বাইডেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন বাণিজ্যে স্বচ্ছতার আহ্বান বাংলাদেশের
এখন পর্যন্ত দেশটির ৬৫.১ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্কদের অন্তত প্রথম ডোজের টিকা প্রদান সম্পন্ন করতে পেরেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কানাডার আবাসিক স্কুলে ২ শতাধিক শিশুর লাশ উদ্ধার!
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের কামলুপ্স শহরে আদিবাসী শিশুদের পরিত্যক্ত একটি আবাসিক স্কুলে ২১৫ শিশুর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
কানাডার এক সময়কার সর্ববৃহৎ বোর্ডিং স্কুল হিসেবে পরিচিত কামলুপ্স ইন্ডিয়ান আবাসিক স্কুলে এই শিশুদের লাশ পাওয়া যায়। বহু বছর পূর্বে এই স্কুলেই কানাডার আদিবাসী শিশুদের ধরে এনে ভর্তি করা হতো।
কানাডার ফাস্ট নেশন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষের দিকে গ্রাউন্ড রাডার যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে এইসব লাশে হদিস পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে ৩ বছরের শিশুর লাশও রয়েছে।
শুক্রবার ফাস্ট নেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে আরও অসংখ্য লাশ পাওয়া যেতে পারে। কারণ এখনও অনেক জায়গায় অনুসন্ধান চালানো বাকি আছে।
আরও পড়ুন: নারদা কেলেঙ্কারি: জামিন পেলেন পশ্চিমবঙ্গের ২ মন্ত্রী
১৯ শতক থেকে ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত কানাডা সরকারের অর্থায়নে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আদিবাসী শিশুদের ধরে আনা হতো এসকল বোর্ডিং স্কুলে, যাতে তারা কানাডার মূল সমাজের শিক্ষা ও সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারে। তাদের জোরপূর্বকভাবে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হতো এবং নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম করতে দেয়া হতো না।
অভিযোগ আছে, অধিকাংশেরও ওপর শারীরিক নির্যাতন এবং গালাগালি করা হতো। ধারণা করা হয়, প্রায় ৬ হাজার শিশু এসকল স্কুলে মারা যায়।
এর আগে ২০০৮ সালে কানাডা সরকার সংসদে এসকল স্কুলে শারীরিক ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে। প্রায় ৫ বছর আগে ট্রুথ কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এসকল স্কুলগুলোতে অন্তত ৩২’শ শিশু মারা যায় নির্যাতন এবং অবহেলার কারণে। এছাড়া ১৯১৫ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন: ভারতে ১১ করোনা রোগীর মৃত্যু
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রধান জন হরগান বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। বোর্ডিং স্কুলগুলোর ভয়াবহতাকে পুনরায় সকলের সামনে নিয়ে এসেছে এই ঘটনা।’
কামলুপ্স ইন্ডিয়ান আবাসিক স্কুল ১৮৯০ সালে শুরু হয়ে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত চার্চের অধীনে বোর্ডিং স্কুল হিসেবে পরিচালিত হয়। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার এর দায়িত্ব নিয়ে ১৯৭৮ সালে এটি বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত সাধারণ স্কুলের মতোই পরিচালনা করে।
ফেডেক্স শুটারকে গত বছর জেরা করেছিল এফবিআই
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপলিস শহরে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এক বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ৮ জন নিহত হবার ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে চারজনই স্থানীয় শিখ কমিউনিটির সদস্য বলে জানায় পুলিশ। যদিও আততায়ী ওই ঘটনায় নিজেই নিজেকে গুলি করে।
এদিকে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) আততায়ী ব্র্যানডন স্কট হোলের (১৯) পরিচয় নিশ্চিত করে জানায়, তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালে হোলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এফবিআই। তার মায়ের ধারণা ছিল হোল পুলিশের সাথে সহিংসতার মাধ্যমে আত্মহত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন: হৃদরোগই ফ্লয়েডের মৃত্যুর কারণ: দাবি বিশেষজ্ঞের
যুক্তরাষ্ট্রে ঝড় তোলা এই হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। নিহতরা হলেন- ম্যাথিও আর অ্যালেক্সান্ডার (৩২), সামারিয়া ব্ল্যাকওয়েল (১৯), আমারজিত জোহাল (৬৬), জাসউইনদার কউর (৬৪), জাসউইনদার সিং (৬৮), আমারজিত সেখন (৪৮), কারলি স্মিথ (১৯) এবং জন ওয়েসার্ট (৭৪)।
নিহতদের মধ্যে ৪ জন স্থানীয় শিখ কমিনউনিটির সদস্য হওয়ায় আবারো নতুন করে এশিয়ান আমেরিকানদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। মার্চ মাসেই আটলান্টতে এমনই এক ঘটনায় ছয়জন এশিয়ান আমেরিকানের মৃত্যু হয়।
ইন্ডিয়ানাপলিস শহরের সহকারী পুলিশ প্রধান ক্রেইগ ম্যাককার্ট মিডিয়াকে জানান, আততায়ী হোলের ঘর সার্চ করে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদী সংগ্রহ করেছে পুলিশ। হোলের ব্যবহৃত ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসও জব্দ করে পুলিশ।
ম্যাককার্ট বলেন, বৃহস্পতিবার ফেডেক্সের অফিসে ঢুকে হোল কোনও উস্কানি বা কথা বলা ছাড়াই এলোপাতাড়িভাবে চারজনকে গুলি করে এবং পরে ফেডেক্স বিল্ডিং এর ভেতরে প্রবেশ করে আরও চার জনের ওপর গুলি চালাই। এর পরপরই হোল নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই ঘটানাটি ঘটে যায়।
আরও পড়ুন: সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাইডেনের নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) এফবিআই এর ইনিয়ানাপলিস ফিল্ড অফিসের প্রধান এজেন্ট পল কেনান জানান, হোলের মায়ের অভিযোগ পাওয়ার পর গতবছরই তাকে জেরা করে এফবিআই। তার ঘরে কিছু সন্দেহজনক জিনিস পাওয়া যাওয়ায়, তাকে নানারকম প্রশ্ন করা হলেও কোনো সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি সেসময়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ক্লিন সার্টিফিকেট দেয় এফবিআই।
এদিকে আমেরিকায় দিন দিন আততায়ীর গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে চলাকে মহামারির সাথে তুলনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হৃদরোগই ফ্লয়েডের মৃত্যুর কারণ: দাবি বিশেষজ্ঞের
এবার যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় পুলিশের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দাবি করলেন, হৃদরোগের কারণেই ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিবাদী পক্ষের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. ডেভিড ফওলার এমন দাবি করেন।
শরীরের অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে মৃত্যু ঘটার কথা ময়নাতদন্তে বেরিয়ে এলেও, তিনি জানান, ঘটনার সময় অনিয়মিত হৃদকম্পনের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।
ফ্লয়েডের শরীরে ফেনটানিল এবং মেথামফেটামিন এর আধিক্য এবং গাড়ির ধোয়ার সাথে কার্বন মনোক্সাইডের শরীরে প্রবেশ করে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন ড. ডেভিড।
বিবাদী পক্ষের এই বিশেষজ্ঞ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনাকে খুনের স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তার মতে ফ্লয়েডের মৃত্যুতে এমন অনেক দিক আছে, যা থেকে এই ঘটনাকে একদিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যায়, আবার অন্যকিছু কারণে একে হত্যাও বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: আবারো কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা: মিনেসোটা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিন এর আইনজীবী চেষ্টা করছেন, তার চৌভিন নির্দোষ এবং তার ১৯ বছরের কর্মজীবনের শিক্ষা অনুযায়ী তিনি কাজ করেছেন। তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন, মাদক গ্রহণ এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণেই ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, প্রায় সাড়ে ৯ মিনিট ধরে জর্জ ফ্লয়েডকে উপুর করে মাটিতে ফেলে, তার ঘাড়ে চাপ প্রয়োগ করে বসেছিলেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা চৌভিন। ভিডিওতে দেখা যায় মৃত্যুর আগের মুহূর্তে ফ্লয়েড বলছেন, ‘‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’’
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উপেক্ষা করলেও, প্রসিকিউটর ব্ল্যাকওয়ের তার প্রশ্ন ও যুক্তির মাধ্যমে ড. ডেভিডের বেশকিছু যুক্তি খণ্ডন করেন এবং তার গবেষণার ভুল তুলে ধরেন।
আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসা অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই জানান, ঘাড়ে অতিরিক্ত চাপের ফলে অক্সিজেন স্বল্পতায় ভুগে মারা যান ফ্লয়েড। অপরদিকে, আদালতে সাক্ষ্য দেয়া একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ফ্লয়েডের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য বলে মত দেন। তিনি বলেন, ফ্লয়েড অস্বাভাবিক শক্তিশালী হৃদযন্ত্রে অধিকারী ছিলেন।
গত বছরের মে মাসে মিনেপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে ডেরেক চৌভিন এখন জেলে আছেন। গত মার্চে তার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়।
জরুরি ব্যবহারে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন
অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এটি এমন এক পদক্ষেপ যা সংস্থাটিকে মহামারি হ্রাস করার জন্য জাতিসংঘের প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকার লাখ লাখ ডোজ পাঠানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।