%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণে বছরজুড়ে এটুআইয়ের নানা উদ্যোগ
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বছর জুড়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)প্রকল্প। এর মধ্যে দিয়েই সুগম হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ। তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তি, লেনদেন ও সরকার ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয় এ প্রকল্পের অধীনে। প্রযুক্তিনির্ভর সেবা উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ এটুআই এবং এর উদ্যোগসমূহ বছরজুড়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৭টিরও বেশি পুরস্কার পেয়েছে।
সরকারি প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও মানোন্নয়ন করতে ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এটুআই। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের দক্ষতা বাড়াতেও এটুআইয়ের ভূমিকা রয়েছে। এই প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের জন্য এবছর আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সনদ পায় এটুআই।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সেবাও দিচ্ছে প্রকল্পটি। এ লক্ষ্যে এটুআইয়ের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফল হিসেবে সরকার এক্সেসিবিলিটি গাইডলাইনও প্রণয়ন করেছে।
এ ছাড়া দেশের জনবান্ধব সেবাব্যবস্থা ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় এটুআই-কে প্রকল্প থেকে এজেন্সি গঠন করতে একাদশ জাতীয় সংসদে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ বিল পাস করা হয়েছে।
ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন চালু করা হয়েছে এ প্রকল্পের অধীনে। নিউইয়র্কে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্যোগের সূচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড (#ZeroDigitalDivide) গ্লোবাল ক্যাম্পেইন।
শাবিপ্রবিতে দেশে সর্বপ্রথম তারবিহীন চার্জিং বৈদ্যুতিক যান উদ্ভাবন
দেশে প্রথম তারবিহীন চার্জিং পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স' নামে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৯ শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) উদ্ভাবনকারী দলটির পরিদর্শক ও পরামর্শক সহযোগী অধ্যাপক ড. ইফতে খাইরুল আমিন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
উদ্ভাবিত যানটির বিশেষত্ব সম্পর্কে ড. ইফতে খাইরুল আমিন বলেন, যানটিতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি সম্বলিত ইনভার্টার টেকনোলজি, ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা, কিলো হার্জ রেঞ্জ রেজন্যান্ট কাপলিং, সিরিজ সিরিজ কম্পেন্সেটিং নেটওয়ার্ক, ভুল সংযোগ প্রতিরোধী টেকনিক, প্রোটেকশনের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির বিশেষত্ব রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৪০ শতাংশেরও বেশি কার্যদক্ষতা রয়েছে এই যানটিতে। তৈরির পরে আমাদের শিক্ষার্থীরা এই যান চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন। এটি তারা সফলভাবে চালাতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, এই উদ্ভাবন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেমন একটি বড় অর্জন। তেমনি বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বড় একটি মাইলফলকও বটে।
উদ্ভাবিত প্রজেক্টের দলের সদস্যরা হলেন — ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলাম, মো. কবির হাসান ও আজম জামান, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান জাকারিয়া, মো. রিফাত হোসেন, আবির মাহমুদ, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, মো. ইরফান উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ও মো. তাওসিফুল আলম।
এছাড়াও এই প্রজেক্টের পরিদর্শক ও পরামর্শক ছিলেন বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক নাফিস ইমতিয়াজ রহমান।
আরও পড়ুন: সবুজ অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য অর্থায়ন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন প্রয়োজন: শাহরিয়ার আলম
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ নেতাদের আবেগ ও উদ্ভাবন অমূল্য সম্পদ: রাষ্ট্রদূত হাস
সবচেয়ে দূরবর্তী ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেল জোতির্বিজ্ঞানীরা
নাসার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এক্স-রেতে শনাক্ত করা সবচেয়ে দূরবর্তী ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
ব্ল্যাক হোলটি বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি, যেখানে এর বিস্তৃতি তার ধারণকারী গ্যালাক্সির মতোই।
নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এবং নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য একত্রিত করে গবেষকদের একটি দল মহাবিস্ফোরণের মাত্র ৪৭০ মিলিয়ন বছর পরে ক্রমবর্ধমান ব্ল্যাক হোলের টেলিটেল স্বাক্ষর খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
নাসা জানিয়েছে, মহাবিশ্বের প্রথম সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের সৃষ্টি কীভাবে হয়েছিল তা এই ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারে।
গবেষকদল পৃথিবী থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত গ্যালাক্সি ক্লাস্টার অ্যাবেল ২ হাজার ৭৪৪ এর দিকে ইউএইচজেড ১ নামের একটি গ্যালাক্সিতে ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পান।
নাসার মতে, ওয়েবের তথ্য থেকে জানা গেছে যে পৃথিবী থেকে ১৩ দশমিক ২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই গ্যালাক্সিটি ক্লাস্টারের চেয়ে অনেক বেশি দূরে, যখন মহাবিশ্ব তার বর্তমান বয়সের মাত্র ৩ শতাংশ ছিল।
আরও পড়ুন: উইংস উইমেন অব ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী আলিফা বিনতে হক
উইংস উইমেন অব ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী আলিফা বিনতে হক
উইংস উইমেন অব ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ পেয়েছেন বাংলাদেশের ড. আলিফা আলিফা বিনতে হক।
পুরস্কারের অংশ হিসেবে তিনি তার গঠনমূলক কাজকে আরও এগিয়ে নিতে সীমাহীন অনুদান পাচ্ছেন।
গত ১২ অক্টোবর নিউইয়র্ক সিটিতে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর নতুন ভিসি রুবানা হক
আলিফা ওয়াইল্ডটিমের বোর্ড সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
তিনি বলেন, ‘১০০তম পতাকাবাহী সংস্থা- উইমেন অব ডিসকভারি পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। আমি খুব ভাগ্যবান যে ইএসআরআইয়ের প্রধান বিজ্ঞানী ডন রাইট এবং প্রথম হটস্পট কাগজের লেখক ক্রিস্টিনা মিটারমিয়ারের সঙ্গে দলে নাম রেখাতে পেরেছি। এটা খুবই সম্মানের বিষয়!’
আলিফার কাজ গ্লোবাল সাউথ প্রেক্ষাপটে হাঙর এবং রশ্মি সংরক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করে। তিনি অক্সফোর্ডের জীববিজ্ঞান বিভাগের নেচার বেজড সলিউশন ইনিশিয়েটিভ থেকে বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপের সহায়তায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
‘বঙ্গোপসাগরে হাঙর ও রশ্মি সংরক্ষণের জন্য সামাজিকভাবে ন্যায়সঙ্গত টেকসই মৎস্য চাষ’ শীর্ষক তার গবেষণার লক্ষ্য হলো- বিপন্ন প্রজাতির হাঙর ও রশ্মির জন্য একটি টেকসই মডেল প্রস্তুত করা।
আলিফা ও তার দল বৈচিত্র্য, মৎস্য ও বাণিজ্যের উপর বৃহত্তম আঞ্চলিক ডেটাসেট প্রতিষ্ঠা করেছে, ১৫টি নতুন রেকর্ডসহ হাঙর ও রশ্মির অত্যন্ত বিপন্ন প্রজাতি আবিষ্কার করেছে।
এডিনবার্গ ওশান লিডার্স প্রোগ্রামের ২০২৩ সালের দলটির জন্য আলিফা নির্বাচিত হন এবং শার্কস ইন্টারন্যাশনাল ২০২২-এ সেরা শিক্ষার্থী উপস্থাপনার জন্য পুরস্কৃত হন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি চেয়ারম্যানের অসদাচরণ, বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের প্রতিবাদ
উইমেন লিডার অব দ্য ইয়ার-২০২৩ হলেন শেয়ারট্রিপের সাদিয়া হক
বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার স্পেসে কোনো সীমানা নেই। কোনো ব্যক্তি, সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া কেউ তাদের সাইবার স্পেস সুরক্ষিত করতে পারে না।
তিনি বলেন, নীতি, কাঠামো, আইন এবং একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া কোনো দেশ সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে পারে না। তাই এ লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির উদ্যোগে এবং ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার ২০২৩’- প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় পলক বলেন, সবাই জিমেইল ব্যবহার করলেও নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত। কারণ জিমেইল ভালনারেবল। যেকোনো সময় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে এখনও যারা হ্যাকিংয়ের শিকার হননি, তারাও কেউ বলতে পারবেন না যে তিনি হ্যাকড হননি। তাই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। কেননা, কেউ না কেউ ইন্টারনেটে আপনাকে নজরদারিতে রেখেছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে সচেতনতা, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল ও নীতি অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আন্তঃসীমানা সহযোগিতায় এ চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।
তাই আন্তর্জাতিক আন্তঃসীমানা সহযোগিতায় একক প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে। এখন থেকে প্রতি বছরই এ পদক দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার -২০২৩ পেয়েছে ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে প্লেন্টি প্রজেক্ট নিয়ে স্মার্ট স্টুডেন্ট হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে সেন্ট জোসেভ স্কুলের শিক্ষার্থী তামজিদ রহমান।
পাশাপশি এন্ট্রাপ্রেনিউর্স ক্যাটাগরিতে ভারতের ‘এন্ড নাও ফাউন্ডেশন’, স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে ‘বাইট ক্যাপসুল’, সরকারি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়র্ক এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে ‘পথচলা ফাউন্ডেশন’।
পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার ২০২৩’ চালু করেছে।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতার উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে।
টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে (টেশিস) গুণগত মানের ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর মিলনায়তনে আয়োজিত ‘টেশিসের ভৌত অবকাঠামো আধুনিকায়ন, নতুন ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও সংযোজন প্লান্ট স্থাপন এবং বিদ্যমান প্লান্টসমূহের উৎপাদন–সংযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণের সমন্বিত সম্ভাব্যতা’ সমীক্ষার খসড়া প্রতিবেদন সংক্রান্ত কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
তিনি বলেন, বিদ্যমান অবকাঠামো এবং ডিভাইস উৎপাদনের প্লান্টসমূহের আধুনিকায়নের পাশাপাশি স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিমকার্ড, ব্যাটারি সেল (লিথিয়াম-আয়ন) চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক, রাউটার ও আইওটি, রোবটিক্স ডিভাইস উৎপাদনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
মন্ত্রী টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী দিনে বইয়ের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব কিংবা ল্যাপটপ দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের হাতে ল্যাপটপ পৌঁছে দিতে ২০১৫ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স বৈঠকে টেশিসকে শক্তিশালী করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে টেশিসকে পুরোপুরি প্রস্তুত করার কাজ আমরা শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন টেশিসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাই একমাত্র লক্ষ্য নয়, এর সাথে আবেগ জড়িয়ে আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। টেশিসকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমাকেই বলা হয়েছিল। এটা আমার আবেগের জায়গা।
আরও পড়ুন: আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দক্ষ জনবল ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে লাগসই ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন ও সংযোগের জন্য নির্ভরযোগ্য করে গড়ে তোলা যাবে না তা হতে দিতে পারি না।
সমীক্ষার খসড়া প্রতিবেদনের ওপর তার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি টেশিসকে লাভজনক ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা ও তার প্রতিকারের উপায়সহ বিভিন্ন কারিগরি বিষয় চূড়ান্ত সমীক্ষা প্রতিবেদনে স্পষ্ট করার পরামর্শ ব্যক্ত করেন। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামতসহ কারিগরি বিভিন্ন বিষয় সন্নিবেশিত করে সম্ভাব্য স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ, কে, এম, আমিরুল ইসলাম, জিনাত আরা ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
শুধুমাত্র কায়িক শ্রমে গড়া অবকাঠামোতে নয়; নারীদের মস্তিষ্ক প্রসূত সভ্যতা বিকাশেরও সাক্ষী হয়ে আছে চির পরিবর্তনশীল মহাকাল। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তাদের অবদান যেমন ভেদ করেছে সুগভীর পাতাল, তেমনি ছাড়িয়ে গেছে আকাশের মেঘের স্তর। মহাকাশের শূন্যতাকে প্রথম নারীর অস্তিত্বে সমৃদ্ধ করেছিলেন ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা। তার পথ ধরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় নারীদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে দ্রুতগতিতে। এমনকি এই সাফল্যের আলোর মশাল জ্বলে উঠেছে ভারতীয় উপমহাদেশেও। গত ২৩ আগস্ট ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য যেন তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চলুন, জেনে নেই সেই যুগান্তকারী অভিযানের ঘটনা। সেইসঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের নেপথ্যে থাকা নারী মহাকাশ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে।
চন্দ্রযান-৩ উপাখ্যান
নাসার ভারতীয় সংস্করণ ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন; সংক্ষেপে আইএসআরও বা ইসরো। চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানকার প্রকৃতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্য নিয়ে এরা শুরু করেছিলো চন্দ্রযান নামের প্রজেক্টটি। পর পর দুটি অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ গত ২৩ আগস্ট নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয় চন্দ্রপৃষ্ঠে।
যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৪ জুলাই; সর্বজনীন সমন্বিত সময় বা কোঅর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম (ইউটিসি) অনুযায়ী সময় ৯ টা ৫ মিনিট। রকেটের উৎক্ষেপণ হয় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে।টানা কয়েকবার চেষ্টার পর ৫ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে ঢুকতে সক্ষম হয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩।
পুরো মহাকাশযানটি মূলত ল্যান্ডার, রোভার ও প্রোপালশান মডিউল- এই তিন ভাগে বিভক্ত। ল্যান্ডারের কাজ হলো যানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানো। এর নাম দেওয়া হয়েছে বিক্রম। অবতরণের জন্য এর নিবেদিত চারটি পায়ে রয়েছে চারটি শক্তিশালী ইঞ্জিন। অন্যদিকে, রোভার হচ্ছে ছয় চাকার একটি গাড়ি, যার উদ্দেশ্য পুরো যানটিকে নিয়ে নির্বিঘ্নে চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘুরে বেড়ানো। এই অংশের নাম হচ্ছে প্রজ্ঞা।আর এই বিক্রম ও প্রজ্ঞাকে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে প্রোপালশান মডিউলের। ১৭ আগস্ট এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে বিক্রম ও প্রজ্ঞা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় প্রোপালশান মডিউল।
২৩ আগস্ট কক্ষপথের একদম শেষ বিন্দুর কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে একসাথে গর্জে উঠে বিক্রমের চারটি ইঞ্জিন। এরপর ঠিক সাড়ে ১১ মিনিট পর বিক্রম নেমে আসে চাঁদের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭.২ কিলোমিটার উচ্চতায়। এ অবস্থায় প্রায় ১০ সেকেন্ড ভেসে থেকে এটি ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে উল্লম্ব দিকে ঘুরে যায়। কিছুক্ষণ পর নেমে যায় আরও প্রায় ১৫০ মিটার। এই উচ্চতায় থেকেই বিশ্ববাসীর স্তম্ভিত দৃষ্টির সামনে প্রায় ৩০ সেকেন্ড ঘুরে বেড়ায় বিক্রম ও প্রজ্ঞা। অতঃপর ইউটিসি সময় ঠিক ১২ টা ৩২ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩।
আরও পড়ুন: চাঁদে ভারতের চন্দ্রযানের সফল অবতরণ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদিকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
চন্দ্রযান-৩-এর অভিযানের নেপথ্যে থাকা নারী বিজ্ঞানীরা
ইসরো চন্দ্রযান-৩ কে পরিচালনায় সরাসরি কাজ করেছেন প্রায় ৫৪ জন নারী প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী। তাদের মধ্যে থেকে যাদের নাম ওতপ্রোতভাবে এই চন্দ্রাভিযানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তারা হলেন:
ঋতু কাড়িধাল শ্রীভাস্তাভ
৪৮ বছর বয়সী ঋতু কাড়িধাল ভারতবাসীর কাছে পরিচিত ‘রকেট উইমেন’ হিসেবে। ইসরোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ১৯৯৭ সাল থেকে। সেই থেকে তিনি মার্স অরবিটার মিশন (এমওএম) বা মম ও চন্দ্রযান প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন। তিনি মম মিশনের ডেপুটি অপারেশন্স ডিরেক্টরও ছিলেন।
মুথাইয়া বনিতা
এই ৫৯ বছর বয়সী ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম প্রকৌশলী নেতৃত্ব দিয়েছেন ইসরোর বিভিন্ন উপগ্রহের প্রকল্পগুলোতে। তিনি ইসরোর চন্দ্রযান-২-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন।
ইসরোর সঙ্গে তার শুরুটা ছিল শুধুমাত্র হার্ডওয়্যার নিরীক্ষণ কাজের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে তিনি ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিজিটাল সিস্টেম গ্রুপে টেলিমেট্রি এবং টেলিকমান্ড বিভাগের পরিচালক পদে অধীষ্ঠিত হন। ২০১৩-এর সফল মঙ্গলযান মিশনেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
তিনিই ছিলেন ইসরোতে আন্তঃগ্রহ মিশনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম নারী। চন্দ্রযান-২ মিশনের সহযোগী পরিচালক থেকে তাকে প্রকল্প পরিচালক পদে উন্নীত করা হয়েছিলো। এর মাধ্যমে তিনি ইসরোর প্রথম নারী প্রকল্প পরিচালক হওয়ার সম্মান অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তির ‘ভিশন প্রো’ হেডসেট নিয়ে এলো অ্যাপল
বনিতা ২০০৬ সালে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সেরা নারী বিজ্ঞানীর পুরস্কার পেয়েছিলেন।
মিশন মঙ্গল ছিল ইসরোর অন্যতম সেরা সাফল্য। এর মাধ্যমে ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে মঙ্গল গ্রহে অবতরণের মর্যাদা লাভ করে।
সেই ধারাবাহিকতায় ঋতু কাড়িধাল মিশন ডিরেক্টর হিসেবে চন্দ্রযান-২-এর মিশনের তত্ত্বাবধান করেন।
কাড়িধাল ২০০৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি এ.পি.জে. আব্দুল কালামের কাছ থেকে ইসরোর তরুণ বিজ্ঞানীর পুরস্কার পান।
কল্পনা কালাহাস্তি
ইসরোর সঙ্গে ৪৩ বছর বয়সী এই মহাকাশ প্রকৌশলীর যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে। তার দায়িত্ব ছিল স্যাটেলাইটের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করার জন্য প্রপালশান সিস্টেম তৈরি করা। এছাড়াও তার বিশেষত্ব ছিল পৃথিবীর পরিষ্কার ছবি তোলার জন্য উন্নত ইমেজিং সরঞ্জামের নকশা প্রণয়নে। তিনি ধীরে ধীরে মম এবং চন্দ্রযান-২-এর মত যুগান্তকারী প্রকল্পগুলোর অংশ হয়ে ওঠেন।
২০১৯ সালে তাকে চন্দ্রযান-৩ মিশনের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি বিক্রমের সিস্টেমের নকশা তৈরি ও এর কর্মকাণ্ড সুস্পষ্ট করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
জলজ খাদ্য, সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণে শাবিপ্রবির গবেষণা বিশ্বে মডেল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গবেষণায় বাংলাদেশে জলজ খাদ্য ব্যবস্থা, জলজ সম্পদ ও সম্প্রদায়ের কোভিড-১৯ এর প্রভাব নিরূপণ বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণাটি শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘মেরিন পলিসি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়। প্রকাশনার মাত্র এক বছরেরও কম সময়ে গবেষণাটি ১০০ এর অধিক গবেষণা প্রবন্ধে উদ্বৃত (সাইট) করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান ও ড. মো. আশরাফুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন।
গবেষণাপত্র সূত্রে জানা যায়, কোভিড-১৯ একটি বড় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। যদিও বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য প্রভাবকে বিভিন্ন সেক্টরে কিভাবে সমাধান করা যায় তা আলোচনা করেছে, তবে এখানে জলজ সম্পদ ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা এবং খাদ্য সংকট অনুপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এ রকম এক বাস্তবতাকে মাথায় রেখে, এই গবেষণায় জলজ খাদ্য খাত এবং নির্ভরশীল জনসংখ্যার সঙ্গে ছোট আকারের মৎস্য চাষের ওপর এর প্রভাবকে সংযুক্ত করে বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জগুলো নিরূপণ করে তা সমাধানের ব্যবধান পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী জানান, কোভিড-১৯ ওভারভিউ; একইসঙ্গে জলজ ইকোসিস্টেম, ক্ষুদ্র আকারের মৎস্য চাষ, জলজ খাদ্য উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের সঙ্গে এর সংযোগ বিশ্লেষণ করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর প্রভাব কিভাবে অনুভূত হয়েছিল এবং কিভাবে তারা জলজ খাদ্য ব্যবস্থা এবং ছোট আকারের মৎস্য চাষকে প্রভাবিত করেছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জলজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়গুলোর মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিধ্বংসী প্রভাবের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে গবেষণাটিতে।
তিনি জানান, আকস্মিক অসুস্থতা, আয় কমে যাওয়া, উৎপাদন ও ইনপুট সংগ্রহ শুরু করতে জটিলতা, শ্রম সংকট, পরিবহন বিমূর্ততা, খাদ্য সরবরাহে জটিলতা, দুর্বল মূল্য শৃঙ্খল, নিম্ন ভোক্তা চাহিদা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পাওনাদারের চাপকে প্রাথমিকভাবে প্রভাবিতকারী চালক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান বলেন, জলজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরা মনে করেন যে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা উভয় সুরক্ষার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। বিকল্প আয় সৃষ্টির সুযোগ, রেশনিং ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও প্রেরণামূলক কর্মসূচি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে। তাই, গবেষণাটিতে জলজ খাদ্য খাত এবং ছোট আকারের মৎস্য চাষের ওপর মহামারির প্রভাব প্রশমিত করার জন্য নীতি নির্ধারকদের দ্বারা গৃহীত নীতিগুলোরও অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন
চীন ২০৩০ সালের আগে চাঁদে মহাকাশচারী স্থাপনে স্পেস স্টেশনের নতুন ক্রু চালু করেছে
চীন মঙ্গলবার তার প্রদক্ষিণকারী মহাকাশ স্টেশনের জন্য দশকের শেষের আগে চাঁদে নভোচারীদের রাখার লক্ষ্যে তিন জন পরিবহনে সক্ষম নতুন একটি ক্রু চালু করেছে।
শেনজু-১৬ নামের মহাকাশযানটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার পর একটি লং মার্চ ২-এফ রকেটের সাহায্যে উত্তর-পশ্চিম চীনের গোবি মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত জিউকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে যাত্রা করে।
চীনের প্রথম বেসামরিক মহাকাশচারী সহ ক্রুরা, এখন তিনজনের সঙ্গে টিয়ানগং স্টেশনে সংক্ষিপ্তভাবে ওভারল্যাপ করবে, যারা তাদের ছয় মাসের মিশন শেষ করার পরে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ৪ নভোচারী
নভেম্বরে স্টেশনে একটি তৃতীয় মডিউল যুক্ত করা হয়েছিল, এবং সোমবার মহাকাশ কর্মসূচির কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে তাদের ২০৩০ সালের আগে চাঁদে একটি ক্রু মিশন চালু করার পাশাপাশি এটিকে প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শাখা পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে চীনা মহাকাশ কর্মসূচির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে মার্কিন উদ্বেগের কারণে চীন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বাদ দেওয়ার পরে তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করেছিল।
২০০৩ সালে চীনের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশ মিশন এটিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মহাকাশে পাঠায়।
এই সর্বশেষ মিশনে, বেইজিংয়ের শীর্ষ মহাকাশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক পেলোড বিশেষজ্ঞ গুই হাইচাও, মহাকাশে চারবার ভ্রমণকারী মিশন কমান্ডার মেজর জেনারেল জিং হাইপেং, এবং মহাকাশযান প্রকৌশলী ঝু ইয়াংঝু যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: মহাকাশ স্টেশনে ৬ মাস অবস্থানের পর ফিরলেন ৩ চীনা নভোচারী
নিউরালিংক: ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ কোম্পানির মানবদেহে পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন
ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ ফার্ম জানিয়েছে, তারা মানুষের ওপর প্রথম পরীক্ষা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।
নিউরালিংক ইমপ্লান্ট কোম্পানি কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে মানুষের দৃষ্টি ও গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে চায়।
এতে বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের নিয়োগ শুরু করার তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। পরীক্ষা শুরু করার জন্য ইলন মাস্কের পূর্বের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যর্থ হয়েছিল।
এফডিএ জানিয়েছে, তারা নিউরালিংকের ঘোষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটির বিকল্প 'ট্রুথজিপিটি' তৈরির পরিকল্পনা ইলন মাস্কের
গত মার্চে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এফডিএ'র অনুমোদন পাওয়ার জন্য নিউরালিংকের একটি প্রস্তাব নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নিউরালিংক পক্ষাঘাত ও অন্ধত্বের মতো অবস্থার চিকিৎসার জন্য এবং কিছু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রো চিপগুলো ব্যবহার করার আশা করে।
বানরের ওপর পরীক্ষা করা চিপগুলো মস্তিষ্কে উৎপাদিত সংকেত ব্যাখ্যা করতে এবং ব্লুটুথের মাধ্যমে ডিভাইসে তথ্য পাঠাতে ডিজাইন করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে নিউরালিংকের মস্তিষ্কের ইমপ্লান্ট ব্যাপকভাবে উপলব্ধ হতে হলে প্রযুক্তিগত ও নৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক