শিল্প-সংস্কৃতি
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: ছায়ানটে সুফিয়া কামাল স্মরণে বর্ষা উৎসব স্থগিত
দেশে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুফিয়া কামালকে স্মরণ করে বর্ষা উৎসব স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে অনুষ্ঠানটি এবং ছায়ানটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার হওয়ার কথা ছিল।
কিংবদন্তি কবির ১১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সুফিয়া কামাল স্মারক বর্ষা অনুষ্ঠান’(সুফিয়া কামাল স্মৃতি বর্ষা উদযাপন) শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘বই পড়ি জীবন গড়ি’
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লায়সা আহমেদ লিসা বলেন, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ১০ আষাঢ় ১৪২৯ শুক্রবার সুফিয়া কামাল স্মৃতি বর্ষা উদযাপন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন,পরিস্থিতির উন্নতি হলে শ্রাবণ মাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
সুফিয়া কামাল ১৯৬১ সালের শেষ দিকে ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করেন।
শনিবার ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ আয়োজন করবে গ্যালারি কসমস
রাজধানী ঢাকার বারিধারার গার্ডেন গ্যালারিতে শনিবার একটি বিশেষ আর্ট ইভেন্ট ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ এর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস।
গ্যালারি কসমসের নির্বাহী আর্টিস্টিক ম্যানেজার সৌরভ চৌধুরীর মতে, চিত্রাঙ্কনের সর্বজনীন ও আনন্দময় শৈল্পিক আনন্দ উদযাপনের উদ্দেশে এই অনুষ্ঠান।
সারাবিশ্বে মানুষের পরিচিতিমূলক কার্যক্রমের একটি হিসেবে চিত্রাঙ্কন চিরকাল শিল্পীর সঙ্গে থাকে।
আরও পড়ুন: 'ইনসাইড আউট’: শিশুদের জন্য গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী পেইন্টিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপ
এই মনোমুগ্ধকর বর্ষায় চিত্রাঙ্কনের সার উদযাপন করতে ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ শীর্ষক আর্ট ইভেন্টের দ্বিতীয় সংস্করণের আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস।
এবারের আসরে দেশের ছয়জন শীর্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী অংশ নেবেন। তারা হলেন-বীরেন সোম, ফরিদা জামান, আবদুস শাকুর শাহ, কনক চাঁপা চাকমা, অনুকুল মজুমদার ও আবদুল্লাহ আল বশীর।
আরও পড়ুন: কালিদাস কর্মকারের স্মরণে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আয়োজন
এই বিশিষ্ট শিল্পীরা চিত্রাঙ্কন সেশনে অংশ নেবেন এবং তাদের নিজ নিজ চিত্রকর্ম নিয়ে দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
একইসঙ্গে চিত্রকর্মগুলো দর্শকদের জন্য প্রদর্শন করা হবে।
কক্সবাজারে শুরু হয়েছে মানবিক নীতি প্রদর্শনী
কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি),বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং সুইজারল্যান্ডের লুসানের ফটো এলিসি মিউজিয়ামের সহযোগিতায় যৌথভাবে ‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’ শীর্ষক প্রদর্শনীটি (আর্ট ক্লাব) আয়োজিত হয়।
বৃহস্পতিবার প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স মিস সুজান মুলার, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জনাব মো. শামসুদ দৌজা এবং কক্সবাজারে আইসিআরসির অফিস প্রধান জনাব মানিশ দাস।
মানবিক সংকটে মানুষ কীভাবে দুর্দশাগ্রস্তদের ব্যক্তিগত বা সামষ্টিকভাবে সহায়তা করতে পারে? ‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’ শীর্ষক সমকালীন এই শিল্প উপস্থাপনা ও প্রদর্শনীটি সেইসকল মানবিক ও ব্যক্তিগত আবেগ এবং অনুসন্ধানের উত্তর খুঁজতে সাহায্য করে।
সযত্নে নির্বাচিত ভিডিও ও আলোকচিত্রের সমন্বয়ে এই প্রদর্শনীটি দৈনন্দিন জীবনে মানবিক নীতির গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও তাৎপর্য এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটে এর প্রভাব সম্পর্কে দর্শকদের অনুপ্রাণিত করবে। তাছাড়া প্রদর্শনীটি মানবতা, পক্ষপাতহীনতা, নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতা- এই চারটি মানবিক নীতিবিষয়ক আলোচনা এবং মতামত প্রকাশের একটি স্থান ও সুযোগ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বইমেলা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রদর্শনী শুরু
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স মিস সুজান মুলার বলেন, ‘মানবিক নীতিগুলো সুইজারল্যান্ডের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের পাঁচ দশকব্যাপী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। সুইজারল্যান্ড ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও (কক্সবাজারের) স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা প্রদান করেছে। মানবিক সহায়তা প্রদান, উন্নয়ন সহযোগিতা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং এই সংকটের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন,‘দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকালীন সময়ে এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের শক্তিশালী এবং বহুমাত্রিক সম্পর্কের একটি প্রধান ক্ষেত্রকে তুলে ধরেছে।’
কক্সবাজারে আইসিআরসির অফিস প্রধান জনাব মানিশ দাস বলেন, ‘আইসিআরসির কার্যক্রমের মূলে রয়েছে মানবিক নীতি। এগুলোই হলো ভিত্তি স্তম্ভ যা আইসিআরসিকে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর আস্থাভাজন হয়ে, তাদের মানবিক চাহিদাগুলিকে সর্বোত্তম উপায়ে বোঝার এবং সমাধান করার চেষ্টা করার জন্য পরিচালিত করে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি এই প্রদর্শনী মানবিক নীতির গুরুত্ব তুলে ধরে সেগুলোর সঙ্গে মানুষের একাত্মতা তৈরি করতে সহায়তা করবে’।
‘মানবিক নীতি: এখানে এবং এখন’- প্রদর্শনীতে আলোকচিত্র এবং প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে শিল্পীরা তাদের নূতন, স্থানিক এবং সমসাময়িক দৃষ্টিকোণ থেকে মানবিক নীতিগুলোর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন। প্রদর্শিত ছবিগুলোতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে আইসিআরসি এবং সুইজারল্যান্ডের ভূমিকা ও কার্যক্রমের প্রতিফলন ঘটেছে। অধিকন্তু, ১০ জন সুইস আলোকচিত্রির লেন্সের মধ্য দিয়ে দেখা দৈনন্দিন জীবনে মানবিক নীতিগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে তাদের নির্মিত ১০টি মৌলিক শর্ট ফিল্মের মাধ্যমে। এছাড়াও পুরস্কারপ্রাপ্ত ৬টি আলোকচিত্রও রয়েছে প্রদর্শনীতে।
মানবিক নীতি ও এর তাৎপর্য বোধে উদ্দীপ্ত হতে এই প্রদর্শনীটি দর্শকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আর্ট ক্লাব) প্রদর্শনীটি ইংরেজি এবং বাংলা দুই ভাষাতে উপস্থাপন করা হবে। যা উপভোগ করার জন্য সকল দর্শনার্থীদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। প্রদর্শনীটি ৯ জুন থেকে ১৮ জুন ২০২২, প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
বাগেরহাটে খানজাহানের বসতবাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাঁচ দিনব্যাপী প্রদর্শনী
ইমাম খোমেইনী ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা
ইমাম খোমেইনী (রহ.) ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের জন্য আশার আলো যুগিয়েছেন। তিনি চিন্তা ও সৃষ্টিশীলতার জগতে এতো বেশি বিষয়ের সমন্বয় ঘটিয়েছেন যা সত্যিই বিস্ময়কর। তিনি শুধু ইরানকে নয়, বরং গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিপ্লব আজ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের জন্য উন্নয়নের এক রোল মডেল।
শনিবার (০৫ জিুন) বিকালে ইসলামি বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেইনীর (রহ.) ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ ন ম মেশকাত উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের হেড অব মিশন জনাব আলী পিরি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইমাম খোমেইনী (রহ.) ছিলেন একাধারে একজন দার্শনিক, ফকীহ, রাজনৈতিক নেতা এবং আধ্যাত্মিক সাধক। তার ইরফানী ব্যক্তিত্ব অন্য সব গুণের চাইতে বেশি সমাজকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
ইমাম খোমেইনী এমন একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, যিনি রাজনীতিকে ধর্মের জন্য, ক্ষমতাকে জনগণের জন্য আর সমস্ত কিছুকে আল্লাহর জন্য চাইতেন। আল্লাহকে অন্বেষণ, খোদাভীতি আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, এই তিনটি বৈশিষ্ট্য ছিল ইমাম খোমেইনীর সাফল্যের রহস্যকথা এবং জনগণের মাঝে তার উচ্চ মর্যাদার কারণ। তিনি জনগণের হৃদয়ে শাসন করতেন।
ইমাম খোমেইনীর আদর্শ ও চিন্তাধারা ছিল তাওহীদি চিন্তাধারা ও হোসাইনী আন্দোলন থেকে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মি। যে চিন্তাধারার উৎস ছিল অনন্ত অসীম মহান আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত। ঠিক সেই সূর্যের ন্যায় যার কোনো অস্ত নেই। আর এই কারণেই ইরানের ইসলামী বিপ্লব ও ইমামের আন্দোলনের জ্যোতি বিশ্বের সকল দেশ ও জাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। আর তার সত্যকামী ও গৌরবময় চিন্তাধারা পৃথিবীর দূরবর্তীতম প্রান্তেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী আজ বুধবার।
রাজনৈতিক ও সামাজিক ন্যায় বিচারের জন্য সংগ্রাম করে বিদ্রোহী কবির খেতাব পাওয়া কাজী নজরুল ১৮৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
নজরুল তার জ্বালাময়ী কবিতার মাধ্যমে মানুষকে ঔপনিবেশিক শাসনের অন্যায় ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে নজরুল ইন্সটিটিউট ও শিল্পকলা একাডেমি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
নজরুল ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, কাজী নজরুল বাকশক্তি হারানোর আগে ২১ বছরের কর্মজীবনে দুই হাজার ৬০০টি গান, ৬০০টি কবিতা, তিনটি উপন্যাস ও ৪৩টি প্রবন্ধ লেখেন।
পিতার মৃত্যুর পর পরিবারকে সহযোগিতা করতে কাজী নজরুল তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে চাকরি নেন এবং মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবেও কাজ করেন। ৯ বছর বয়সে চুরুলিয়াভিত্তিক একটি পেশাদার ‘লেটো’ দলে যোগ দেয়ার জন্য তাকে স্কুল ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
দলের কাজ করার সময় তিনি বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হন। এক বছর পরে তিনি স্কুলে ফিরে আসেন এবং মাথারুন ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে আবারও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া ছেড়ে দেন।
কিছুদিন পর পুলিশ কর্মকর্তা কাজী রফিজুল্লাহ তাকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে তার বাড়িতে নিয়ে যান এবং দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করেন।
১৯১৭ সালে সৈনিক হিসাবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন কাজী নজরুল। এর কয়েক বছরের মধ্যে তিনি সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন। ১৯২১ সালে তাঁর কবিতা ‘বিদ্রোহী’ প্রকাশিত হয়। এক বছর পরে তিনি ‘ধূমকেতু’ নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা শুরু করেন।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের হাতে কারাবন্দি হন। কারাগারে থাকাকালীন কাজী নজরুল ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ রচনা করেন এবং তার সৃষ্টি পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে উৎসাহিত করে।
পড়ুন: কবি নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার
তিনি ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখেছেন। তবে তাঁর গান ও কবিতা সবচেয়ে প্রশংসিত সাহিত্য সৃষ্টি। তিনি বাংলা গজল সুরকে জনপ্রিয় করেছিলেন এবং লেখায় আরবি ও ফারসি শব্দের উদার ব্যবহারের জন্য বিখ্যাত তিনি।
কাজী নজরুল ‘নজরুল গীতি’ নামে সংগীতে একটি নতুন ধারা তৈরি করেছেন। এটি চার হাজার গানের সংকলন যা তিনি লেখেন এবং সঙ্গীত তৈরি করেন।
১৯৪২ সালে কাজী নজরুল দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে তার কণ্ঠস্বর ও স্মৃতিশক্তি হারাতে শুরু করেন। পরে ভিয়েনার একটি মেডিকেল টিম তার অসুস্থতাকে পিকস ডিজিজ হিসেবে চিহ্নিত করে।
তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে কবির পরিবার বাংলাদেশে ভ্রমণ করেন এবং ১৯৭২ সালে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশিষ্ট অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ১৯৭৪ সালে সম্মানসূচক পোস্ট-ডক্টরাল ডিগ্রি প্রদান করে। তিনি ১৯৭৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
৭৭ বছর বয়সে বাংলা ১৩৮৩ সালের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে দাফন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবির বর্ণাঢ্য জীবন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর অবদান তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পড়ুন: ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
কবি নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার উদযাপন করা হবে।
রাজনৈতিক ও সামাজিক ন্যায় বিচারের জন্য সংগ্রাম করে বিদ্রোহী কবির খেতাব পাওয়া কাজী নজরুল ১৮৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
নজরুল তার জ্বালাময়ী কবিতার মাধ্যমে মানুষকে ঔপনিবেশিক শাসনের অন্যায় ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে নজরুল ইন্সটিটিউট ও শিল্পকলা একাডেমি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
নজরুল ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, কাজী নজরুল বাকশক্তি হারানোর আগে ২১ বছরের কর্মজীবনে দুই হাজার ৬০০টি গান, ৬০০টি কবিতা, তিনটি উপন্যাস ও ৪৩টি প্রবন্ধ লেখেন।
পিতার মৃত্যুর পর পরিবারকে সহযোগিতা করতে কাজী নজরুল তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে চাকরি নেন এবং মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবেও কাজ করেন। ৯ বছর বয়সে চুরুলিয়াভিত্তিক একটি পেশাদার ‘লেটো’ দলে যোগ দেয়ার জন্য তাকে স্কুল ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
দলের কাজ করার সময় তিনি বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হন। এক বছর পরে তিনি স্কুলে ফিরে আসেন এবং মাথারুন ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে আবারও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া ছেড়ে দেন।
কিছুদিন পর পুলিশ কর্মকর্তা কাজী রফিজুল্লাহ তাকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে তার বাড়িতে নিয়ে যান এবং দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করেন।
১৯১৭ সালে সৈনিক হিসাবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন কাজী নজরুল। এর কয়েক বছরের মধ্যে তিনি সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন। ১৯২১ সালে তাঁর কবিতা ‘বিদ্রোহী’ প্রকাশিত হয়। এক বছর পরে তিনি ‘ধূমকেতু’ নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা শুরু করেন।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের হাতে কারাবন্দি হন। কারাগারে থাকাকালীন কাজী নজরুল ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ রচনা করেন এবং তার সৃষ্টি পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে উৎসাহিত করে।
তিনি ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখেছেন। তবে তাঁর গান ও কবিতা সবচেয়ে প্রশংসিত সাহিত্য সৃষ্টি। তিনি বাংলা গজল সুরকে জনপ্রিয় করেছিলেন এবং লেখায় আরবি ও ফারসি শব্দের উদার ব্যবহারের জন্য বিখ্যাত তিনি।
কাজী নজরুল ‘নজরুল গীতি’ নামে সংগীতে একটি নতুন ধারা তৈরি করেছেন। এটি চার হাজার গানের সংকলন যা তিনি লেখেন এবং সঙ্গীত তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: শতকণ্ঠে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা
১৯৪২ সালে কাজী নজরুল দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে তার কণ্ঠস্বর ও স্মৃতিশক্তি হারাতে শুরু করেন। পরে ভিয়েনার একটি মেডিকেল টিম তার অসুস্থতাকে পিকস ডিজিজ হিসেবে চিহ্নিত করে।
তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে কবির পরিবার বাংলাদেশে ভ্রমণ করেন এবং ১৯৭২ সালে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশিষ্ট অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ১৯৭৪ সালে সম্মানসূচক পোস্ট-ডক্টরাল ডিগ্রি প্রদান করে। তিনি ১৯৭৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
৭৭ বছর বয়সে বাংলা ১৩৮৩ সালের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে দাফন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবির বর্ণাঢ্য জীবন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর অবদান তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পল্লি কবির লেবাস দেয়ায় আক্ষেপ ছিল জসীম উদ্দীনের: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, পল্লি কবির লেবাস দেয়ায় আক্ষেপ ছিল জসীমউদ্দীনের।
তিনি বলেন, কবি জসীম উদ্দীন ছিলেন সমকালীন এক আধুনিক কবি। তার সময়কালে বাংলার সাধারণ মানুষের জীবন থেকে চিন্তা ভাবনা রসবোধ নিয়ে তার রচনা সমৃদ্ধ করেছেন ঠিক রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ইসলামের মতই একটি স্বকীয় পথ তৈরি করে গেছেন। কিন্তু তাকে সাধারণভাবে উপস্থাপন করা হয়, ‘পল্লি কবি’র লেবাস জড়িয়ে দেয়া হয়। এজন্য কবির মনে আক্ষেপ ছিল। তিনি সমকালীন মানুষের ধ্যান ধারণা বিশ্বাস মূল্যবোধ, রসবোধ নিয়ে রচনা করেছে তিনি ছিলেন আধুনিক লেখক ও কবি।
রবিবার বিকালে শহরের অম্বিকাপুরে পল্লী কবির বাড়ির পাশে কুমার নদের তীরে ১৫ দিনব্যাপী ‘জসীম পল্লী মেলা’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পল্লীকবির ১১৯তম জন্মবার্ষিকী পালন
তৌফিক ই ইলাহী বলেন, তার রচনা আমাদের অতি মূল্যবান ঐহিত্য। তিনি এই ফরিদপুরের সন্তান একজন বড় কবি হওয়ায় তার সঙ্গে আমার একটা আত্মার সম্পর্ক আছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কবির অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে ‘বড় ভাই’ হিসেবে সম্বোধন করতেন। এ জেলার মানুষ ভাগ্যবান তার মতো একজন কবি পেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহিত্যের একজন সমজদার এবং বাংলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তিনি কবি জসীম উদ্দীন স্মৃতি সংগ্রহশালা করেছেন, আর আপনারা নিজ উদ্যোগে জসীম মেলা করছেন। একজন্য আমি কৃতজ্ঞ।
প্রকাশ হলো আসিফ আকবরের জীবনীগ্রন্থ
প্রকাশ হলো কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জীবনী গ্রন্থ। ‘আকবর ফিফটি নট আউট’-শিরোনামে বইটি লিখেছেন সোহেল অটল। শনিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক প্রকাশনা উৎসবের মাধ্যমে বইয়ের মোড়ক উন্মচন করা হয়।সেখানে আসিফ আকবর ও লেখক সোহেল অটল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী, গীতিকবি গোলাম মোর্শেদ, ক্রিকেট কোচ এমদাদুল হক এমদু, ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লু, প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন, আসিফ আকবরের বড় ভাই আনিস আকবর, কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী, আতিক বাবু, সোহেল মেহেদীসহ সঙ্গীত ও সাহিত্যাঙ্গনের অনেকেই।সূচনা বক্তব্যে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘জীবনীগ্রন্থ লেখা কঠিন কাজ। কারণ, জীবনীগ্রন্থে সত্যি কথা বলতে হয়। সে সত্যি কখনো কখনো অন্যের কিংবা নিজের বিরুদ্ধেও চলে যায়। সত্য গ্রহণের জন্য মানসিক প্রস্তুতিও থাকতে হয়।’
আরও পড়ুন: আসিফের বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে স্থগিতলেখক সোহেল অটল বলেন, ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ লিখতে গিয়ে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। অবশেষে বইটি প্রকাশ পেল। বইতে অনেক ঘটনা ও তথ্য অনেকের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। আশা করব, সত্যকে সহজভাবে গ্রহণ করার মতো সাবালকত্বের প্রমাণ রাখবেন সংশ্লিষ্টরা।’আসিফ আকবর বলেন, ‘সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাইনি কখনো। আমি জানতাম জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ হলে অনেক কঠিন সত্য প্রকাশ করতে হবে। সেসব সত্য কখনো কখনো আমার নিজের বিরুদ্ধেও চলে যাবে। তবুও আমি চেয়েছি আমার জীবনের, ক্যারিয়ারের সত্য কথাগুলোই প্রকাশ পাক।’‘আকবর ফিফটি নট আউট‘ বইটি প্রকাশ করেছে সাহস পাবলিকেশন্স। চব্বিশ ফর্মার বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। অনুষ্ঠানে প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন জানান, রকমারিসহ সব অনলাইন প্লাটফর্মেই বইটি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বইটির ইংরেজি সংস্করণ শিগগিরই প্রকাশ হবে।
আরও পড়ুন: আইসিটি আইনে মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফের বিচার শুরু
আসিফের ‘গহীনের গান’ ১৩ হলে
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সব সময় মানবতার জয়গান গেয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সব সময় মানবতার জয়গান গেয়েছেন। তিনি ছিলেন একটি ইন্সটিটিউশন এবং বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গলই তাঁর চিন্তার খোরাক ছিল।
শনিবার (১৪ মে) বিকালে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চন্দ্রাবতী প্রকাশনী আয়োজিত অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্মরণসভা ও আলোকচিত্র গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আমাদের সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে কাজ করেছেন এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তিনি পরিপূর্ণভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রয়াণ আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি বেঁচে থাকলে আমরা তাঁর কাছে মানবকল্যাণের আরও অনেক কিছু আমরা শিখতে পারতাম।
পড়ুন: অধ্যাপক আনিসুজ্জামান: একজন আদর্শবান মানুষের বিদায়
নিউইয়র্কে ‘মুজিব আমার পিতা’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক দেশের প্রথম অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নিউইয়র্কে প্রদর্শিত হয়েছে।
রবিবার নিউইয়র্কের কুইন্সের বোম্বে থিয়েটার হলে এই চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে দুই দিনব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনী
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ওপর আরেকটি চলচ্চিত্র তৈরি করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি গেম তৈরি করছি। ফলে গেমিং এবং অ্যানিমেশন মার্কেটে বাংলাদেশের যে স্বক্ষমতা সেটাও তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে।
আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে নির্মিত এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে যে নিউইয়র্কের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে।
নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় ‘মুজিব আমার পিতা’ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মো. নুরুল আমিন, অপরাজিতা হক, নাহিদ ইজাহার খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব
দেশ ও বিদেশের নতুন প্রজন্মের শিশু ও কিশোরসহ সকলের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গল্প পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ এনিমেশন মুভিটি তৈরি করে।
চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে টুঙ্গিপাড়ার প্রতিবাদী এক কিশোর একদিনে হয়ে উঠলেন দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, ইতিহাসের মহানায়ক। চলচ্চিত্রটিতে মহাসংগ্রামের পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার একটি পর্যায়; ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত তুলে ধরা হয়েছে।