ঢাকা
ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সৌদি প্রবাসী আটক
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৫ হাজার ৪০০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক সৌদি প্রবাসীকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালের এক নম্বর হেবি লাগেজ গেট থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরে ২ কেজি স্বর্ণসহ প্রবাসী আটক
আটক ব্যক্তির নাম মো. রুবেল হোসেন। তিনি চাঁদপুরের বাসিন্দা।
বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিমানবন্দরে সৌদি প্রবাসী রুবেলের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর তাকে অফিসে এনে তার লাগেজ থেকে ১৫ হাজার ৪০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
তার বিরুদ্ধে প্রথাগত আইনে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ১১০ কার্টন বিদেশি সিগারেট জব্দ, প্রবাসী আটক
শাহ আমানতে প্রবাসী আটক, স্বর্ণ ও সিসা জব্দ
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১১ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে শনিবার রাত থেকে ১১ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে উভয় ঘাটে আটকা পড়ে তিন শতাধিক যানবাহন। রবিবার সকালে আবারও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, রাত সাড়ে দশটার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরির মার্কিং লাইটের আলো অস্পষ্ট হয়ে যায়। এতে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়। ফলে যাত্রী ও যানবাহনের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এসময় মাঝ নদীতে চারটি ফেরিকে নোঙর করে রাখা হয়।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাত সাড়ে নয়টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয় দুইটি ফেরি। সকাল সাড়ে নয়টায় কুয়াশা তীব্রতা কেটে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো পারাপার করার পর পর্যায়ক্রমে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পারাপার করা হবে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভ্যানচালক খুন
মাদারীপুরের সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে এক ভ্যানচালক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও চারজন।
শনিবার সকালে উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামাল মাদবর (৫৫) একই এলাকার সলেমান মাদবরের ছেলে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পেয়ারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজলেম আকন ও বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের মধ্য বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে মোজলেম আকনের সমর্থক সোহবার বেপারী ও লাভলু তালুকদারের সমর্থক সৈয়দ শাইখের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এ সময় ভ্যানে যাত্রী নিয়ে যাবার পথে ভ্যানচালক কামাল মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় চারজন আহত হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানায়।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ২
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাময়িকভাবে এই দুই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, রাত সাড়ে দশটার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরির মার্কিং লাইটের আলো অস্পষ্ট হয়ে যায়। এতে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখে দেয়। ফলে যাত্রী ও যানবাহনের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এসময় মাঝ নদীতে চারটি ফেরিকে নোঙর করে রাখা হয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে চলাচল শুরু হবে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাত সাড়ে নয়টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথেও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে দুইটি ফেরি। কুয়াশা তীব্রতা কেটে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
রাজধানীর ধামরাইয়ে একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুমরাল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন-গার্মেন্টস শ্রমিক মো. মঞ্জুরুল (৩২), তার স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫), তাদের দুই বছরের মেয়ে মরিয়ম, জোসনার বড় বোন হোসনা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৮)। সবার স্থায়ী ঠিকানা নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩জন দগ্ধ
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, মঞ্জুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ, জোসনার ৪০ শতাংশ, মরিয়মের ১৫ শতাংশ, হোসনার ২৫ শতাংশ ও সাদিয়ার ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এক প্রতিবেশি সুফিয়ান বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুমরাল গ্রামের বাসিন্দা জোসনা তাদের ভাড়া বাড়ির দ্বিতীয় তলায় গ্যাসের চুলা জ্বালানোর চেষ্টা করলে বিস্ফোরণটি ঘটে।
রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে সবাই সন্দেহ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কম্বোডিয়ায় হোটেল-ক্যাসিনোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৯
আশুলিয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
সাভারের আশুলিয়ায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের কবিরপুর গোলাম নবী হাফিজিয়া মাদরাসার পাশে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আবাসিক হোটেল থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, রাস্তা দিয়ে অফিসে যাওয়ার সময় মানুষজন লাশটি দেখে চিৎকার করলে আশেপাশে লোকজন জড়ো হয়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক রাজু মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুর শহরে দম্পতির লাশ উদ্ধার
নড়াইলের নবগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হওয়ায় ইজতেমা মাঠে আগত বিদেশিসহ মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা মাঠে প্রস্তুতিমূলক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত হিসেবে বিবেচিত ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি অতিথিরা আগের বছরের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু
মন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমা আয়োজক কমিটির দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে বিগত বছরের মতো আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না।’
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, হাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম ও ইজতেমার আয়োজকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে আখেরি মোনাজাতে শেষ হল ইজতেমা
বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস, আন্দোলন, হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ করে বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী ১১ তারিখ না, আগামী ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যেও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ তারিখ বিএনপি আন্দোলনের নামে যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ তৎপর থাকবে। দলের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও সরকারকে সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিদেশি বা রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা অনেক কমে এসেছে। এক সময় হ্যারিকে, টমাসের মতো অনেক রাষ্ট্রদূতেরা এদেশে নিজেদের কিং বা রাজা মনে করতো, এখন এই পরিস্থিতি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন ও আর্থিক অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ অনেক মর্যাদাশীল জাতি।
মন্ত্রী বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের কাছে বিএনপির হাত পাতা জাতির জন্য মর্যাদার নয় এবং এটিকে সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না।
এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে দু’দেশের কৃষি, কৃষিযন্ত্রপাতি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জলবায়ুসহনশীল কৃষি, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার কৃষিযন্ত্রে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। আগামীতে বাংলাদেশে প্রচুর কৃষিযন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা জানান, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অন্যান্য কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ।
এছাড়া, তিনি দু’দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সমঝোতা স্মারকের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও পাটবীজের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, এবছর ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ এনে দেশে চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া গেছে।
এছাড়াও, কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, কাজুবাদাম, কফিসহ উন্নত জাত ও চারা সরবরাহ, এগ্রো প্রসেসিং, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা, মাদক ও মানব পাচার রোধ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন বলেও কৃষিমন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদনের কারণেই দেশ অনেকটা স্বস্তিতে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির চাওয়ায় নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না: কৃষিমন্ত্রী
দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বর্তমান সংসদের ২১তম অধিবেশনে ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সকল আশার কেন্দ্র হলো মহান জাতীয় সংসদ।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জনপ্রতিনিধি, তাই জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী চক্রান্ত রোধ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের উন্নয়নকে গতিশীল করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে গ্রহণ করতে হবে।
তিনি পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও গর্বের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন। কারণ, এটি নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এবং ২০২২ সালের ২৫ জুন, উদ্বোধন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৩ কোটিরও বেশি মানুষ এতে সরাসরি উপকৃত হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাল্টি-লেন টানেলের দক্ষিণাঞ্চলীয় টিউব নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।’
শিগগিরই টানেলটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে বলেও তিনি আশাবাদী।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম মেট্রো ট্রেন চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
২০২২ সালকে চ্যালেঞ্জের বছর হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, জাতি ও সমগ্র বিশ্ব এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি, কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ আমাদের অগ্রগতির গতি কমিয়ে দিয়েছে।’
হামিদ বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ১৬ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন, যা সন্তোষজনক।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিকের জন্য পেনশন চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দেশের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তাদের দলের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ শাসনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত দেশকে অন্যায়, অপশাসন ও অপকর্ম থেকে মুক্ত করা যাবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ তার সকল নাগরিকের। কিন্তু এক চতুর্থাংশ আওয়ামী লীগ জনগণের বাংলাদেশ দখল করে লুণ্ঠনে লিপ্ত হয়েছে। তাই এখন আমাদের সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ হলো দেশের মালিকানা যে জনগণের তা পুনরুদ্ধার করা।’
আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে দল-মত, ধর্ম-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দেশকে উদ্ধার করতে হবে এবং জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এ কারণেই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশকে উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ এ মন্তব্য করেন।
বিগত বছরের মতো এবারও বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র, অর্থনীতি, বিচার বিভাগ ও সামাজিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ায় বাংলাদেশ একটি সংকটময় মোড় অতিক্রম করছে।
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা এই সমস্ত জিনিসগুলো ধ্বংস করেছে তারা আবার এগুলো মেরামত করতে সক্ষম হবে না। সেজন্য আমরা রাষ্ট্রকে মেরামত করতে ২৭ দফা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, তাদের ২৭ দফা ইতোমধ্যেই দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল সব ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সব ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। ‘আমাদের ২৭ দফার ১৩ ধারা অনুযায়ী, সকল ধর্মের বিশ্বাসীরা তাদের নিজ নিজ ধর্মের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সমস্ত সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তাদের উপাসনালয় হামলার শিকার হয়েছে এবং তারা তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সকল সম্প্রদায় ও ধর্মের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে মুক্তি চাই। গণতন্ত্র ছাড়া কোনো বিভাগই সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে সেটাই প্রমাণ করেছে। স্বাধীনতার পর বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে তারা তা করেছিল এবং এখন আবারও করেছে।’
বাইবেলের আয়াত পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রয়াত, বিএনপি নেতারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে কেক কাটেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন: মোশাররফ
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ