ঢাকা
এ বছর খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মেয়াদী ঋণে কিস্তি সুবিধা কম হওয়া সত্ত্বেও দেশের ব্যাংকগুলো ২০২২ সালের প্রথম ছয়মাসে (জানুয়ারি-জুন) পাঁচ হাজার ৯৬০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে এবং এ সময়ে দুই হাজার ৮১৬ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করা হয়েছে।
বিবির তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো চার হাজার ১৫০ কোটি টাকা ঋণ পুনঃতফসিল করেছে। বাকি ৭৭৯ কোটি টাকা বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো পুনঃতফসিল করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারির বিরূপ প্রভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিবি কোভিড মহামারি চলাকালীন ঋণ স্থগিত ও কিস্তির সুবিধা কমিয়েছে।
আরও পড়ুন: আগের অবস্থায় ফিরে গেছে প্রয়াত মেয়র আনিসুলের স্বপ্নের সড়ক!
এই পদক্ষেপ সত্ত্বেও, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত পুঞ্জীভূত খেলাপি ঋণ বেড়ে এক দশমিক ২৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ব্যাংকগুলো প্রায় পাঁচ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা পুনঃতফসিল করার অনুমোদন দিয়েছে, যা এই খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
ব্যাংকাররা জানান, মহামারির কারণে অনেক ছোট-বড় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই মহামারির কথা বলে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ বন্ধ করে দিয়েছে। আবার অনিয়ম দুর্নীতি করে দেয়া ঋণও আদায় করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
ফলস্বরূপ, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে এবং বর্তমানে দেশের মোট ঋণের প্রায় ৯ শতাংশ খেলাপি ঋণ।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে অক্টোবরে উই-এর শীর্ষ সম্মেলন
বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
আগের অবস্থায় ফিরে গেছে প্রয়াত মেয়র আনিসুলের স্বপ্নের সড়ক!
প্রায় সাত বছর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক রাজধানীর সাত রাস্তা মোড় থেকে তেজগাঁও রেলক্রসিং পর্যন্ত অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন। কিন্তু এই স্থানটি আবারও ট্রাকচালক ও কাভার্ড ভ্যানের মালিকদের দখলে চলে গেছে।
যার ফলে পথচারী ও স্থানীয়দের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে এবং ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ২০১৫ সালে ট্রাক মালিকদের সহিংস প্রতিবাদ সত্ত্বেও শিল্প এলাকার রাস্তাটি দখলের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। কিন্তু এখনও অবৈধভাবে পার্ক করা কয়েকশ’ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন দিয়ে সড়কজুড়ে লাইন ধরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাচেলেট কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আনিসুল হক
নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে অক্টোবরে উই-এর শীর্ষ সম্মেলন
নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ‘উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স’ প্ল্যাটফর্ম (উই) অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নারী উদ্যোক্তাদের বিজনেস সম্মেলনের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১৪ ও ১৫ অক্টোবরের এই সম্মেলনটি দেশের বৃহত্তম সম্মেলন হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স’ উদ্যোক্তারা ই-কমার্স ব্যবসার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদিন ৩০জন অতিথি আলোচনায় অংশ নিবেন।
এছাড়াও, উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ এবং নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট অ্যাক্সেস, লজিস্টিক ইকোসিস্টেমের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেয়া এবং ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য অর্থায়ন, ফেসবুক মার্কেটিং এবং ফটোগ্রাফিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেশি-বিদেশি অতিথি বক্তাদের সমন্বয়ে কর্মশালার আয়োজন থাকবে। এছাড়া অনলাইনে এসব বিষয়ে আটটি সেশন পরিচালনা করা হবে।
দ্বিতীয় দিনে উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য ও সেবা নিয়ে 'ফ্যাশন শো' করা হবে। আবার, এই উদ্যোক্তারা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন।
সমাপনী অধিবেশনে সেরা ২০ জন নারী উদ্যোক্তাকে জয়ী (বিজয়ী) পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। তাদের মধ্যে, ১০জন উই সদস্য হবেন এবং বাকি ১০ জন অন্যান্য খাত থেকে হবে।
উই সভাপতি এবং ই-ক্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছি। একই সঙ্গে, আমরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্ল্যাটফর্মে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: জগন্নাথ হল থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রকল্পে দ্রুত অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসারের সঙ্গে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
সভায় উল্লেখ করা হয় যে গ্যাস মিটার স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংক দুটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে– যার বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিদ্যুৎ খাতে ছয়টি প্রকল্প রয়েছে।
বৈঠকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জগন্নাথ হল থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অর্জন, প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও হাইড্রোজেন ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
নসরুল হামিদ উল্লেখ করেন, ‘হাইড্রোজেন এনার্জি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন খাতে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করতে বিশ্বব্যাংক একটি নীতিমালা প্রণয়নে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।’
তিনি বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বায়ু শক্তি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা মোকাবিলায় বিদ্যুৎ খাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
নবায়নযোগ্য শক্তি, ক্যাপটিভ পাওয়ার, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক শক্তি সংকট, সৌর সেচ পাম্প, লিথিয়াম ব্যাটারি, জলবিদ্যুৎ, আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য, নেট মিটারিং ও ছাদে সৌর, সবুজ বিল্ডিং, বিদ্যুৎ ও শক্তির দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার, জ্বালানি, তেল শোধনাগার ও ভূমিভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নিয়েও আলোচনা হয়।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগ খুবই আশাব্যঞ্জক।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের শীর্ষে এই নির্বাহী দক্ষতার উন্নতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং ক্রস বর্ডার পাওয়ার ট্রেড সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক (অবকাঠামো) গুয়াংজে চেন এবং ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দন্দন চেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
অর্থ আত্মসাত: অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জালালের ১২ বছর কারাদণ্ড
জগন্নাথ হল থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল থেকে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জগন্নাথ হল তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত অমিত সরকার (২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি যশোরের বালিয়াঘাট গ্রামের চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
জানা যায়, অমিতকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রাবাসে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অমিতের রুমমেট সজিব মিত্র বলেন, ‘আমরা জগন্নাথ হলের ৪০১১ নম্বর রুমে থাকি। গতকাল রাত দেড়টার দিকে অমিত ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমরা তাকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করলে সে কোনো সাড়া দেয়না। পরে অন্য রুমমেটদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ওই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। বর্তমানে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাত: অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জালালের ১২ বছর কারাদণ্ড
১৫০ আসনে ইভিএম: ইসির ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নববধূ হত্যার মামলায় নিহতের স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামীম (২৫) রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের পাচাইখা গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে, পেশায় এমব্রয়ডারি মেশিন অপারেটর।
আরও পড়ুন: খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
নিহত শিউলি আক্তার একই ইউনিয়নের মনির হোসেনের মেয়ে এবং আসামি শামীমের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামীমের সঙ্গে শিউলি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের দু’দিন পরই নববধূ শিউলি ও তার স্বামী শামীমের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বিয়ের মাত্র সাতদিনের মাথায় ৩০ আগস্ট রাতে শামীম শিউলিকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন ৩১ আগস্ট নিহত শিউলির মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে শামীমসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
পরে পুলিশ আসামি শামীমকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি শামীমকে একমাত্র দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসামির বয়স কম হওয়ায় এবং চার বছর কারাবাস ভোগ করায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
অর্থ আত্মসাত: অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জালালের ১২ বছর কারাদণ্ড
অর্থ আত্মসাতের মামলায় ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল জালাল উদ্দিন আহমেদকে ১২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার রাজধানীর বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভুঞার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে অন্য আসামি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সনাতনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসুর রহমানের ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ছয় কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রায় সম্পর্কে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, মামলায় দুদকের পক্ষে আমরা ৩৭ জনের সাক্ষ্য দিয়েছিলাম। আসামিরা শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। সোমবার তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যসহ মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী ও সোসাইটির সহসভাপতি আলেয়া ফাতেমা, ছেলে ও সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তালহা আহমেদ এবং মেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাদিয়া আহমেদকে আসামি করা হয়েছিল।
কিন্তু তদন্তে জালাল উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
আর তদন্তের মাধ্যমে শেখ সামসুর রহমানকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে আদালত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানদের অব্যাহতি দিয়ে মামলার বিচার শুরু করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সেনাবাহিনী থেকে ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন জালাল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তী সময়ে তিনি ও তার স্ত্রী আলেয়া ফাতেমা ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যবসা শুরু করেন।
এ সময় তিনি গ্রাহকদের আশ্বাস দেন, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুকূলে এফডিআরের মাধ্যমে টাকা রাখলে কেউ কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে কোনো অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ের কাছে ওই অর্থপাচার করেন।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
১৫০ আসনে ইভিএম: ইসির ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহে আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।
সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছে যে প্রকল্পের বিবরণ শিগগিরই অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
এর আগে কমিশনের বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সম্প্রতি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ সরকার: জিএম কাদের
ইসি আলমগীর বলেন, কমিশন এর আগে আগামী সাধারণ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেও বর্তমানে আমাদের কাছে দেড় লাখ মেশিন আছে যা সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ব্যবহার করা যাবে।
তাই, নতুন ইভিএম সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আগামী সাধারণ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে ২৩ আগস্ট ইসি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে প্রচলিত ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাধারণ নির্বাচনটি আগামী বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অন্যদিকে ইসির জুলাই মাসের ধারাবাহিক সংলাপে বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো যোগ দেয়নি এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের তীব্র বিরোধীতা করছে তারা।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
এর আগে, কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনার জন্য নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল; এর মধ্যে ২৮টি রাজনৈতিক দল কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে এবং বিএনপিসহ ১১টি দল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে থাকবে না: জিএম কাদের
আকবর আলী খানের মৃত্যুতে জিএম কাদেরের শোক প্রকাশ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দেন।
এসময় ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে-তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও ছিলেন শত শত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে। এখানেই ১৯৮৭ সালে রানির বিয়ে হয়েছিল এবং ১৯৫৩ সালে রানি হিসেবে তার অভিষেক হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘একজন অভিভাবকের বিদায়’: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
পতাকায় মোড়া রানির কফিনের ওপর ইম্পেরিয়াল স্টেট ক্রাউন রেখে রয়্যাল নেভির নাবিকেরা একটি কামানবাহী গাড়িতে করে চার্চে নিয়ে আসে।
এর আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে শেখ হাসিনা তার রাষ্ট্রীয় সফরে ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন পৌঁছান।
যখন রানির কফিনটি নিয়ে যাওয়া হয় তা দেখার জন্য শোকার্তরা বাকিংহাম প্যালেসের চারপাশের রাস্তায় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
শেষ যাত্রায় কফিনটি লন্ডনের মধ্য দিয়ে যাবে এবং দ্বিতীয় আনুষ্ঠিকতার জন্য উইন্ডসর ক্যাসেলে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নিরাপত্তায় খরচ হবে ৭ মিলিয়ন ডলার!
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকছেন
‘ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস’ পুরস্কার অর্জন শেয়ারট্রিপের
টানা চতুর্থবারের মতো ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস’- পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ও শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) শেয়ারট্রিপ।
বিভিন্ন শ্রেণিতে এ পুরস্কার জিতেছে শেয়ারট্রিপ; এর মধ্যে রয়েছে- ‘বাংলদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ২০২২’ ও ‘বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সি ২০২২।’
১৯৯৩ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস’ চালু হয়। এ পুরস্কারটিকে ট্রাভেল ভ্রমণ খাতের অস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিবছর এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে চমৎকার সেবা প্রদানের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
চলতি বছর এ পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থাটির বোর্ডের কাছে সারা বিশ্ব থেকে ২৩ লাখ ভোট জমা পড়ে, যা বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প যে বিকশিত হচ্ছে তারই বহিঃপ্রকাশ; পাশাপাশি, ভ্রমণকারীরা স্বাচ্ছ্যন্দদায়ক ভ্রমণসহ এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য চাহিদা পূরণে যে উন্নত সেবার খোঁজ করে থাকেন এটিই তারই প্রমাণ।
এ নিয়ে শেয়ারট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সাদিয়া হক বলেন, “চতুর্থবারের মতো ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ড’- লাভ করা, নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য এক উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ স্বীকৃতি দেশের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা সহ, তাদের জন্য ভ্রমণ-সম্পর্কিত অন্যান্য সেবাদানের ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। উদ্ভাবন ও উন্নত গ্রাহকসেবার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে এ পুরস্কার নিশ্চিতভাবেই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।”
বাংলাদেশের শুরুর দিককার অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি হিসেবে তিন বছর আগে যাত্রা শুরু করে শেয়ারট্রিপ। যাত্রা শুরুর পর অল্প সময়েই প্রতিষ্ঠানটির অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি ঘটে। শেয়ারট্রিপের মাধ্যমে দেশজুড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ সেবা গ্রহণ করছেন, পাশাপাশি সহস্রাধিক হোটেল ও শতাধিক এয়ারলাইনসের সেবা পাওয়া যাচ্ছে শেয়ারট্রিপের প্ল্যাটফর্মে। এর মাধ্যমে, দেশে স্থানীয় হোটেল ও রিসোর্টের সবচেয়ে বড় ইনভেন্টরি তৈরি করছে শেয়ারট্রিপ। বর্তমানে ৮০০০ হাজার এজেন্ট কাজ করে যাচ্ছে শেয়ারট্রিপ ব্র্যান্ডের জন্য। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ভ্রমণকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে এটুআই ডিজিটাল কেন্দ্রের সাথে কাজ করছে শেয়ারট্রিপ।
বাংলাদেশ সরকারের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার পরপরই শেয়ারট্রিপ ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস এর সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করলো। দেশের ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরাণ্বিত করতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ এ বিনিয়োগ করে।
নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের জন্য ধীরে ধীরে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বমানসম্পন্ন সেবাসহ বাংলাদেশকে শীর্ষ পর্যায়ের পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনে শেয়ারট্রিপের সাম্প্রতিক এ সাফল্য ও স্বীকৃতি এ ইকোসিস্টেম সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে আরও নিবেদিতভাবে কাজ করতে এবং উন্নত পর্যটন সেবা নিশ্চিতে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেলেন বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার