চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আটক
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সাত বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোহাম্মদ হানিফ নামে (২৭) এক মাদরাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ভূজপুর থানার বাগানবাজার ইউনিয়নের গার্ডপাড়া এলাকার লোকজন তাকে ধরে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করে। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ হানিফ খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, আটক মোহাম্মদ হানিফ ফটিকছড়ির বাগানবাজার ইউনিয়নের গার্ডপাড়া জামিরুল উলুম ইসলামি মাদরাসার শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিশুর বাড়িও একই এলাকায়, গার্ডপাড়ায়। সেখানে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার বিকালে আরবি পড়তে শিশুটি ওই মাদরাসায় যায়। সেখানে তখন মাদরাসার অন্য শিক্ষার্থীরা না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: আশুলিয়া শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ভুক্তভোগী শিশুটি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুজপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন বলেন, শিশুটি মাদরাসায় অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে আরবি পড়তে যান। তখন মাদরাসায় অন্য শিক্ষার্থীরা ছিলেন না। এ সুযোগে শিশুটিকে হানিফ ধর্ষণ করে। শিশুটি বাড়ি ফিরে বিষয়টি অভিভাবকদের জানায়। গ্রামের লোকজন জানতে পেরে রাতে মাদরাসায় গিয়ে হানিফকে আটকে রাখে। পরে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা
চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্ত প্রতিবেদনে মিতু হত্যার জন্য তার স্বামী ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে দায়ী করা হয়েছে।মঙ্গলবার বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় প্রতিবেদন জমা দেন।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে মিতুকে হত্যা করা হয়। ওই বছরের ৬ জুন এ ঘটনায় জঙ্গীরা জড়িত দাবি করে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে ৫ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞামামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মামলার তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়।এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে-আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে গ্রেপ্তার হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়, যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল।গ্রেপ্তার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মুছার।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রামে ৫ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চট্টগ্রামে ৪২ কোটি টাকা ঋণখেলাপির দায়ে পাঁচ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত পাঁচ শিল্পপতি হলেন- চট্টগ্রামভিত্তিক হাবিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, পরিচালক সালমান হাবিব, ইয়াসিন আলী, মাশরুর হাবিব ও তানভীর হাবিব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের করা ৪২ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, পরিচালক সালমান হাবিবসহ পাঁচ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট এক কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক প্রতারণা মামলায় চট্টগ্রামভিত্তিক হাবিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ চার পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ষষ্ঠ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু
চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে নগরীর কোতোয়ালি থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সাইফুল ইসলাম বাবু (৩০), মো. রুবেল (২৮), মো. মনির (৩৮), মো. সোহাগ (২৬) ও মো. বাদশাহ (২৬)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ জলদস্যু গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবীর জানান, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার ওপর ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল আট থেকে ৯ জন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা পাঁচটি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এছাড়া তারা এ রোডে যাতায়াতকারী গাড়ী ও পথচারীদের টার্গেট করে ছিনতাই ও ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
গ্রেপ্তার পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ২৬০টি চোরাই মোবাইল জব্দ, গ্রেপ্তার ৯
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রাম বন্দরের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে নিলামযোগ্য কনটেইনার খুলে পাওয়া গেছে মনোকুলার (এক চোখে দেখার যন্ত্রাংশ) সহ তিনটি এয়ারগান। এ গুলো আমদানির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের গুপ্তখালের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে (অকশন ইয়ার্ড) ইনভেন্ট্রির সময় এয়ারগান গুলো পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া নির্গমনে আতঙ্ক
জানা যায়, দেশের নতুন অধ্যাদেশে এয়ারকুলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, নিলামযোগ্য পণ্যভর্তি কনটেইনারের ইনভেন্ট্রির সময় তিনটি এয়ারগান পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো পাখি শিকারের কাজে ব্যবহৃত এয়ারগান। তবে চালানটি কার নামে এসেছে, কে পাঠিয়েছেন, কবে এসেছে এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে ২ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু!
চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন খালাস না নেয়ার কারণে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুর থেকেস চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে।
প্রথম দিন ধ্বংস করা হয়েছে ৩০টি কন্টেইনার পণ্য। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।
তিনি বলেন, রবিবার থেকে পণ্য ধ্বংস করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩৮২টি কনটেইনার আছে, যেগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও পচনশীল পণ্য রয়েছে। এগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়েছিলো। আমদানিকারকরা বিভিন্ন কারণে বন্দর থেকে এগুলো খালাস করেননি। আমাদের পরিকল্পনা আছে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করার। কাস্টমসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার করে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পণ্য আনন্দ বাজার ডাম্পিং ডিপোতে ধ্বংস করা হবে। তবে কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য সিলেটে ধ্বংস হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
তিনি বলেন, এর আগেও কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর আগে গত ৮ তারিখেও ৬৩টি কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করা কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে ধ্বংসযোগ্য কন্টেইনারের মধ্যে রয়েছে ১৩৬টি রেফার্ড কন্টেইনার, ৩২টি ড্রাই কন্টেইনার। বাকি ২১৪টি বিভিন্ন অফডকে থাকা ড্রাই কন্টেইনার।
মেয়াদোত্তীর্ণ এসব পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। এ কারণে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেসের পাশের পাঁচ একর জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাটিচাপা দেয়া হবে। এ কারণে কোনো দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
কাস্টম কর্মকর্তারা জানান, বিদেশ থেকে আনা এসব কন্টেইনারভর্তি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস নেয়নি আমদানিকারকরা। নিয়ম অনুযায়ী আমদানি পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিস দেয়া হয়। নোটিস দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে সেসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। যেসব পণ্যের মেয়াদ থাকে না এবং পচে যায় সেগুলোর ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক অফিসার ফারুক হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের মোট কনটেইনার ধারণক্ষমতার প্রায় ১৫ শতাংশ ধ্বংসযোগ্য ও নিলামযোগ্য। এগুলো যখন বন্দরে ছিল, তখন এগুলোর পিছনে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যয়ও হয়েছে। এখন এ পণ্যগুলো ধ্বংস করায় নতুন জায়গা খালি হবে। নতুন যে কনটেইনারগুলো সে জায়গা দখল করবে আমরা সেখান থেকে চার্জ পাব। এতে করে আমাদের বন্দরের রাজস্ব বাড়বে। অর্থাৎ সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক পল্ট্রি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে উপজেলার ভূজপুর থানার হাসনাবাদ এলাকা থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মো. ইউসুফ (৩৮) ওই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাত ১১ টার দিকে নিজের মাছের প্রজেক্ট ও মুরগির খামারে উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন ইউসুফ। কিন্তু রাতে ফিরে না আসায় রবিবার সকালে তার স্ত্রী তাকে খুঁজতে গিয়ে মাছের প্রজেক্টের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।
তাদের দাবী দুর্বৃত্তরা ইউসুফকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, সকালে পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ফুটবলারের আত্মহত্যার অভিযোগ
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
মানববন্ধনে যোগ দিতে ঢাকায় আসার পথে সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দা আটক
উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিতে ঢাকায় আসার পথে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা সদরে বাস থামিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, শান্তি পরিবহন ও পাহাড়িকা পরিবহনের দুটি বাস থেকে জঙ্গল সলিমপুরের ৬৩ জনকে আটক করা হয়। আটকদের সীতাকুণ্ড থানায় রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে অপরাধীদের আদালতে পাঠানো হবে। নিরপরাধ কেউ থাকলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কুষ্টিয়ায় ৩ শিক্ষকসহ ৫ জনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ
সীতাকুণ্ড থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা সাম্প্রতিক সময়ে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার উদ্দেশ্যে ঢাকা যাচ্ছিল বলে জানায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জঙ্গল সলিমপুরে আটকে রাখা বাসিন্দাদের নিরাপদে বের করে আনতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সন্ত্রাসীরা। এসময় প্রশাসনের উপর তারা ককটেল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
এ ঘটনায় ৬শ লোককে বিরুদ্ধে ৭/৮টি মামলা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
এর আগে গত ৩০ আগস্ট জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়। একইসঙ্গে নিজ দায়িত্বে মালামাল সরিয়ে জায়গা খালি না করলে আইন অনুযায়ী উচ্ছেদ করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেয় জেলা প্রশাসন।
পৃথিবীর আলো না দেখেই মা-বাবার সঙ্গে না ফেরার দেশে!
পৃথিবীর আলো না দেখেই মা-বাবার সঙ্গে না ফেরার দেশে চলে গেলো এক অনাগত শিশু। চাঁদপুরের কচুয়ায় ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার হাটমুড়া এলাকায় কচুয়া-সাচার-ঢাকা সড়কে এই দুর্ঘটনার পর পুলিশ ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করেছে ।
নিহতরা হলেন- উপজেলার সাচার ইউনিয়নের বারৈয়ারা গ্রামের ওয়াজ উদ্দিন (৩০) এবং তাঁর আটমাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী সাবিকুন নাহার (২৪)।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম খলিল ইউএনবিকে এ ঘটনা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কচুয়ার বারৈয়ারা গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে ওয়াজ উদ্দিন আট মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী সাবিকুন নাহারকে নিয়ে সাচার বাজারে একটি প্রাইভেট মেডিকেল চেকআপ করতে যান। চিকিৎসা শেষে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফেরার পথে হাটমুড়া এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে হঠাৎ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দম্পতি। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
সাচার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আক্কাছ মোল্লা বলেন, ‘খবর পেয়ে সাচার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়াসহ আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাই। কচুয়া-সাচার-ঢাকা সড়কে দিনদিন সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে আর মানুষ মারা যাচ্ছে। এসব দুর্ঘটনা রোধে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।’
ওসি বলেন, ‘ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
আগস্টে ৪৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৯
চট্টগ্রামে ১১ জলদস্যু গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
বঙ্গোপসাগরে ১৬টি জেলে-নৌকায় ডাকাতির ঘটনায় ১১ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গভীর সমুদ্র ও চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও লুণ্ঠিত ৭০টি মোবাইল ফোন উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারশনিবার বিকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গভীর সমুদ্র ও বাঁশখালীতে ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে সাম্প্রতিককালে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ১১ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র, তিন হাজার পিসের বেশি ডাকাতি করা ইলিশ মাছ, বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার জাল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নৌকা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে অক্সিজেনের অভাবে ২ নবজাতকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস