চট্টগ্রাম
টেকনাফে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজার টেকনাফ হাইওয়ে সড়কে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ইজিবাইকে থাকা দুই যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। সোমবার (২০ জুন) সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ হাইওয়ে সড়ক হোয়াইক্যং তেচ্ছিব্রিজ এলাকার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উনচিপ্রাং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আমির হামজা (৫০) ও একই ক্যাম্পের মো. ইদ্রিসের মেয়ে ইসমত আরা বেগম (১০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানান, কাভার্ড ভ্যান এবং ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পড়ুন: নবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নানা-নাতনীসহ নিহত ৩
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারের মহেশখালীতে রবিবার রাত ৯টার দিকে অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রবিউল হোসেন (৫) উপজেলার কালারমারছড়ার গোরা পুছুনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে বৃষ্টির সময় খেলতে গিয়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজার পর রাত ৯টার দিকে স্থানীয় এক শিশুর দেখিয়ে দেয়া স্থানে পাহাড় ধসের মাটি সরিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই জানান, ধসে পড়া পাহাড়ের মাটির নিচ থেকে একটি শিশু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পড়ুন: কক্সবাজার পাহাড়ে ১২ হাজার পরিবারের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
টানা বর্ষণ: কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেড়েছে উৎপাদন
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে পানির ওপর নির্ভরশীল দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রাঙ্গামাটির কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের সঙ্গে রবিবার সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, রবিবার ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে তিনটি ইউনিটে মোট ৯৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। তৎমধ্যে ২নং ইউনিটে ৩৯ মেগাওয়াট, ৩নং ইউনিটে ২৯ মেগাওয়াট এবং ৫নং ইউনিটে ৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে।
এছাড়া পুর্নবাসনের জন্য ১নং ইউনিট বন্ধ থাকলেও হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজনে ৪নং ইউনিটটি চালু করা হবে বলে তিনি জানান।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ৮৯.৭৬ এমএসএল পানি থাকার কথা থাকলেও রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭৭.০৪ এমএসএল পানি রয়েছে।
কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আরও জানান, এখন বর্ষা মৌসুম প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার ফলে ধীরে ধীরে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি, কিশোরগঞ্জের ১৫ গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
সিলেট নগরীর আংশিক এলাকায় সচল বিদ্যুৎ সরবরাহ
কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতে নিহত ২
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে বজ্রপাতে মো. করিম ও মো. ইয়াছিন নামের দুই জেলে নিহত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের চুল্লার পাড়া গ্রামে এ সময় আরও দুই জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ইমতিয়াজ (২৫) ও মো. করিম (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে ওই গ্রামের জাকের উল্লাহ’র তিন ছেলে রমিজ উদ্দিন(৩৬), ইমতিয়াজ, আক্কাস (২২) এবং দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের ধুরুং কাঁচার ছাবের আহমদের ছেলে মো. করিম মাছ ধরার নৌকায় কাজ করারত অবস্থায় বজ্রপাতের আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রতিবেশীরা খবর পেয়ে আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসক নেছার আহমদ আহতদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মো. ইমতিয়াজ ও মো. করিমকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে আহত সহোদর দুই ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হালিম নিশ্চিত করেন।
নিহত মো. করিম রবিবার সকালে উত্তর ধুরুং চুল্লার পাড়া এলাকায় ভগ্নিপতির মাছ ধরার নৌকায় জালের কাজ করতে যায়। সেখানে বজ্রপাতের আঘাতে নিহত হয়েছে বলে দক্ষিণ ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আল আজাদ জানিয়েছেন।
কুতুবদিয়ায় বজ্রপাতের আঘাতে দুই জেলে শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ইউএনও দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে সর্বোচ্চ
ময়মনসিংহে পৃথক বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু
মিয়ানমারে ফেরার দাবিতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ
নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ২৫টি ক্যাম্পে গো হোম ক্যাম্পেইন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা।
রবিবার উখিয়ার ২৩টি ও টেকনাফের দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে সকাল ৮টা থেকে মানববন্ধন ও মিছিল শেষে সমাবেশ শুরু হয়। এতে ক্যাম্পের প্রতিটি ব্লকের রোহিঙ্গারা অংশ নেন। মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানান রোহিঙ্গারা। ‘ব্যাক টু হোম’ স্লোগানে এই বিক্ষোভ সমাবেশে নানা বয়সের রোহিঙ্গারা অংশগ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তের গুলি নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ একই দাবিতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন।
তবে, এবারের সমাবেশের একক কোনো আয়োজক কিংবা নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ সামনে না এলেও প্রচারপত্রে আয়োজক হিসেবে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী লেখা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে আরাকানের গ্রামে গ্রামে প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, বার্মার ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হয় এই বিক্ষোভে।
আরও পড়ুন: ১৯ দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ
উখিয়ার ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই এবং আমাদের আশা এবারের সমাবেশটির মাধ্যমে উত্থাপিত রোহিঙ্গাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাবে।
রোহিঙ্গা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিন মং বলেন, সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আমাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চাই আমরা, সমাবেশে আমরা এই মূল দাবিটাই জানাচ্ছি বিশ্ববাসীর কাছে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, আমরা কৃতজ্ঞ।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি।
ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসাইন জানান, ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। ক্যাম্প এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ৮ এপিবিএনের তৎপরতা সবসময় অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জঘন্য নৃশংসতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকেরা নির্যাতিত হয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে বিতাড়িত হয়েছিল, যা ইতিহাসে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে ভয়াবহ দেশত্যাগ হিসেবে বিবেচিত। নির্যাতিত রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাতদফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে ২ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু!
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে কাজ করার সময় দুই ভারতীয় মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন-জাহাজের টেকনিশিয়ান কেরালার বাসিন্দা জিষ্ণু রাজ (২৯) ও অখিল শেখর (২৬)।
রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, তারা এমটি নরড ম্যাজিক নামে জাহাজে কর্মরত ছিলেন।
এই বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ডেনমার্কের পতাকাবাহী এমটি নর্ড ম্যাজিক জাহাজটি ১৫ জুন চট্টগ্রাম বন্দরের আসে। জাহাজটি আনোয়ারার পারকি চরের কাছাকাছি এলাকায় নোঙর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট
ওসি জানান, সেখান থেকে জাহাজে আনা সয়াবিন তেল খালাস করা হয়। ওই দুই ভারতীয় টেকনিশিয়ান জাহাজে নেমে ট্যাঙ্কারের থিকনেস পরীক্ষা করতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। জাহাজে থাকা কর্মকর্তারা তাদেরকে কোস্টগার্ড এবং লোকাল শিপিং এজেন্টের সহায়তায়্বেএকটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিষ্ণু রাজকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অখিল শেখরকে আইসিইউতে ভর্তি করে, পরে তিনিও মারা যান। এবিষয়ে জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট এমটিসিএল পতেঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে নিহত ৪
বন্দর সূত্র জানায়, জাহাজটিতে মোট ২৫ জন নাবিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ২১ জন ভারতীয়, ডেনিস ও লুথিয়ানরার একজন করে, দুইজন ফিলিপিনো নাগরিক রয়েছে। বাকি ২৩ জন নাবিক সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন মর্মে জাহাজটির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মাহেন্দ্রা এম্বার নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে প্রাণহানী ঠেকাতে খোলা হল ১৯ আশ্রয়কেন্দ্র
চট্টগ্রামে লাগাতার বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যুর পর প্রাণহানির ঠেকাতে খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বা পাহাড়ের ওপর বসবাসকারীরা যাতে সরে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে সে জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলী ও চান্দগাঁও সার্কেলে এসব আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার প্লাবণ কুমার বিশ্বাস।এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও রাত ৩টার দিকে ফয়েস লেকের বিজয় নগর এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নারী-পুরুষ নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার্তদের জন্য ১৯৯ আশ্রয়কেন্দ্র
মীরসরাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে নিহত ১, আহত ১
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট এলাকায় ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও একজন। তাদের কারো নাম পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বারৈয়ারহাট মাছ বাজারের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের আনুমানিক ৩২ বছর বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সেলফি তুলতে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
রেল পুলিশের ধারণা দুইজন ট্রেনের দুই বগির মাঝে আটকে পড়েছিল। আহত কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের এসআই মো. খোরশেদ জানান, দুপুরে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এবং ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস একসঙ্গে অতিক্রম করছিল। এ সময় কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এক যুবক ও এক কিশোর পড়ে যায়। হয়তো তারা ট্রেনের দুই বগির মাঝখানে ছিল। ঘটনাস্থলের যুবকের মৃত্যু হয়।
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে একজন মারা গেছেন। এসময় আরও অজ্ঞাত এক কিশোর আহত হয়েছেন। তাকে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। সিআইডির মাধ্যমে ডিএনএ টেন্টের মাধ্যমে নিহত যুবকের পরিচয় উদঘাটনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলছাত্র নিহত
গাজীপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৩
চাকরি না পেয়ে হতাশায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’, গ্রেপ্তার ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে চাকরি দেয়ার নাম করে এক ব্যক্তি টাকা আত্মসাৎ করায় হতাশায় এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সুমন আলী (২৬) নিমতলা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
গ্রেপ্তার সানাউল্লাহ (৪৫) একই এলাকার মৃত মহসিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় কীটনাশক পান করে ২ কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, উপজেলার কলাদিয়ার এলাকায় একটি আম বাগানে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে; এমন খবর পেয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যুবক সুমন লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে সানাউল্লাহ একটি বিশেষ বাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে সুমন আলীর কাছ থেকে আট লাখ ৭০ হাজার টাকা নেয়। এরপর চাকরি না হওয়ায় সেই টাকা ফেরত চায় সুমন। কিন্তু সানাউল্লাহ টাকা ফেরত না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকায় হতাশায় সুমন আলী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিষপানে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা
এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চাঁদপুরে বাস-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে শ্রমিক নিহত, আহত ৩
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে সাড়ে ৭টার দিকে সদরের চাঁদখাঁর বাজার সংলগ্ন নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক বাবু রাড়ী (২০) হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের লুৎফুর রহমানের ছেলে।
আহতরা হলেন-একই এলাকার পিকআপ চালক ইয়াসিন, শ্রমিক দেলোয়ার ও সেফায়েত উল্যাহ।
আরও পড়ুন: নাটোরে বাস-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী একটি বাস চাঁদখাঁর বাজার সংলগ্ন আঞ্চলিক সড়কে পৌঁছালে বিপরীত থেকে আসা শ্রমিকবাহী একটি পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপে থাকা শ্রমিক বাবু রাড়ীর ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এই ঘটনায় আরও তিনজন আহত হন। তাদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান থানায় নিয়ে যান।