বরিশাল
বরিশাল নগরীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মী
সব বাধা অতিক্রম করে শনিবার বরিশাল নগরীতে পঞ্চম বিভাগীয় সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি।
সমাবেশে যোগ দিতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী আগাম নগরীতে পৌঁছেছেন।
দলের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ৫০ ফুট লম্বা মঞ্চ তৈরি করেছেন যেখানে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বরিশাল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবুল হোসেন লিমন বলেন যে এছাড়া মঞ্চের আশেপাশে ১২০টি লাউডস্পিকার স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে মঞ্চ ভেঙে ২ সাংবাদিক আহত
বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে বরিশাল বিভাগে বাস, লঞ্চ, স্পিডবোট, তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
হঠাৎ করে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাস, তিন চাকার যান, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি।
বিএনপি তার চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয়।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে পাঁচ দলের নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে, যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবারের সমাবেশটি হবে বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে এবং তৃতীয় ও চতুর্থটি যথাক্রমে খুলনা ও রংপুরে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ
বরিশালের বঙ্গবন্ধু পার্কে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
বরিশালে বিএনপির সমাবেশস্থলে মঞ্চ ভেঙে ২ সাংবাদিক আহত
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহের জন্য তৈরি করা সাংবাদিকদের মঞ্চ ভেঙে দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আহতের মধ্যে একজন সুজয় দাস, যিনি সময় টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন।
সুজয় দাস বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের জন্য করা মঞ্চে উঠে লাফালাফি করছিলেন। আমরা সে সময় অনেক সংবাদকর্মী সেখানে কাজ করছিলাম। বিএনপি কর্মীদের প্রথমবার নামিয়ে দেয়া হলেও তারা পুনরায় মঞ্চে উঠে লাফালাফি শুরু করলে সেটি ভেঙে পরে।’
আরও পড়ুন: বরিশালের বঙ্গবন্ধু পার্কে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
তিনি আরও বলেন যে এতে তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
অপর এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং একটি টিভি ক্যামেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে বিএনপির নেতাদের স্বাগত জানাতে মঞ্চ প্রস্তুত।
বরিশাল বিএনপির বিভাগীয় সভার মঞ্চ প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবুল হোসেন লিমন বলেন, নেতাদের জন্য ৫০ ফুট লম্বা ও ২৫ ফুট চওড়া মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ব্যানার টাঙানোর কাজও শেষ।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে ১২০টি লাউডস্পিকার রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই বরিশালে পৌঁছেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দুইদিনের পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে শুক্রবার বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীকে দেখা গেছে।
বিভাগীয় সমাবেশের প্রথমটি চট্টগ্রামে, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহে, তৃতীয়টি খুলনায় ও চতুর্থটি রংপুরে হয়েছে। এটি হবে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ।
আগামী বছরের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য সমর্থন জোগাতে অন্যান্য বিভাগেও সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
বরিশালে বিএনপির সমাবেশ: পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বিরোধী দল বিএনপির ডাকা বিভাগীয় সমাবেশের ঠিক একদিন আগে শুক্রবার বরিশালে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শুক্রবার দুদিনের পরিবহন ধর্মঘটে বরিশাল নগরী কার্যত সারাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাস, লঞ্চ, স্পিডবোট, মাইক্রোবাস এমনকি তিন চাকার অটোরিকশারও দেখা মিলছে না সড়কে।
মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে বাস মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তিন চাকার বাহনের চালকরা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অবাধ চলাচলের অনুমতি চেয়েছে।
বিএনপির সরকার বিরোধী বিভাগীয় সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ইদানিং সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুরের সমাবেশে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সমাবেশে যোগ দিতে দুই দিন আগেই এসেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বিধান পুনরুদ্ধারসহ দলের অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে পরিবহন ধর্মঘটের কোনও যোগসূত্র অস্বীকার করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্ট কারণে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সদস্য মো. ফরিদ।
বুধবার সন্ধ্যায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে লঞ্চ চালানোর সময় বিএনপির অভিযোগের মধ্যে ৫ নভেম্বরের সমাবেশের আগে সরকারের নির্দেশে লঞ্চ মালিকরা আকস্মিক ধর্মঘটে যান।
যাত্রীরা জানান, এমনকি ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কারও চলাচল করতে রাজি হচ্ছে না।
গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে।
এদিকে সবধরনের পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নথুল্লাবাদে বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে উপচে পড়া ভিড় দেখতে পায় ইউএনবি। কারণ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া পরিবহন ধর্মঘটের ভয়ে এক দিন পূর্বেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কয়েকশ’ যাত্রী সেখানে পৌঁছায়।
সুবর্ণ পাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা
ছিল। কিন্তু শুক্রবারের পরিবহন ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে আমি একদিন আগে এখানে এসেছি।’
পটুয়াখালীর যুবদল কর্মী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দুই দিন আগে এখানে এসেছি। আর কোনও জায়গা না পেয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকছি।’
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে সমাবেশের পর বরিশালে হবে বিএনপির ৫ম বিভাগীয় সমাবেশ।
আরও পড়ুন: ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ
বরিশালে এখনও পানিবন্দি হাজারো মানুষ
বরিশালে সমাবেশে যোগ দিতে দুই দিন আগেই এসেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে শনিবার দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নথুল্লাবাদে অবস্থিত বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করে ইউএনবি দেখতে পায় যে স্থানটিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। কারণ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া পরিবহন ধর্মঘটের ভয়ে এক দিন পূর্বেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কয়েকশ’ যাত্রী সেখানে পৌঁছায়।
সুবর্ণ পাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শুক্রবারের পরিবহন ধর্মঘটের কথা মাথায় রেখে আমি একদিন আগে এখানে এসেছি।’
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে বিপুল জনসমাগম মানেই তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়: ফখরুল
পটুয়াখালীর যুবদল কর্মী সাদিকুর রহমান বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দুই দিন আগে এখানে এসেছি। আর কোনো জায়গা না পেয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকছি।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের তিনটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মী।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘আজ হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, আমাদের আহত করে এবং আমাদের ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। তারা আমাদের সমাবেশে বাধা দেয়ার জন্য এটি করছে। যা আমরা করতে দিব না, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন যে পরিবহন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের আগমন ঠেকানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হয়েছেন, যার অর্থ সরকারের পক্ষ থেকে তা বানচাল করার শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের সমাবেশ সফল হতে চলেছে। আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব, যাই ঘটুক না কেন।’
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ শুরু
ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ
ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পূর্বে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের জন্য ভোলা-বরিশাল রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে স্পিডবোট মালিক সমিতি। বুধবার সন্ধ্যায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ভোলা জেলার এক স্পিডবোট মালিক মঞ্জুরুল আলম জানান, তারা তিনদিনের ধর্মঘট পালন করেছেন তবে ধর্মঘটের কারণ বলেননি।
ইউএনবি প্রতিনিধি ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটে স্পিডবোটের জন্য অপেক্ষারত অনেক যাত্রীকে দেখতে পান।বরিশাল স্পিডবোট ঘাটের ইনচার্জ তারেক শাহ জানান, বরিশাল থেকে নয়, ভোলা থেকে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর ধর্মঘট ডেকেছেন বরিশালে তিন চাকার গাড়ি চালকরা।
ধর্মঘটটি বিএনপির আসন্ন সমাবেশের তারিখের সঙ্গে মিলে গেছে এবং একই তারিখে জেলার বাস মালিকরা একইভাবে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের পর বিভাগীয় পর্যায়ে বরিশালে হচ্ছে বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ।
আরও পড়ুন: আকস্মিক বাস ধর্মঘটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ
রাজধানীর উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত যানজট, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় বন্ধ হওয়া ৬ ট্রেন চালু হয়নি, দুর্ভোগে যাত্রীরা
বিএনপির গণসমাবেশে লিফলেট বিতরণকালে হামলা, আহত ৫
বরিশালের উজিরপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরের শানুহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই হামলায় ৫ নেতাকর্মী আহতের দাবি করেছে বিএনপি।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাইয়ুম খান দাবি করেছেন, শ্রমিক লীগ নেতার নেতৃত্বে যুব ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা পুলিশের সহায়তায় হামলা চালিয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র হামলায় তিনি সহ শ্রমিক দলের মিঠু বালী, শাহীন সিকদার, বিএনপি নেতা মো. বুলু ও শ্রমিক দলের উপজেলার সভাপতি মো. হাইয়ুম আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাড়বে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব
তিনি আরও বলেন, বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ উপজেলার বিভিন্নস্থানে লিফলেট বিতরণ করবেন। তাদের আগমন উপলক্ষ্যে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে শানুহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় শ্রমিক লীগের সভাপতি শিপন মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসে। তাদের কোন নেতা আসবে প্রচার করে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়।
কাইয়ুম আরও বলেন, তখন পুলিশ তাদের ঠেলে রাস্তার অপর পাশে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাদের ঘটনাস্থল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। তারা সেখান থেকে না সরলে শ্রমিক লীগ নেতা শিপন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দীনের নেতৃত্বে লাঠি-সোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের পিটিয়ে আহত করেছে।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পলাশ জানিয়েছেন, চারজন হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুল হাসান বলেন, উভয় পক্ষ ঘটনাস্থলে ছিলো। পুলিশ উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করেছে। কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েতউদ্দীন সরদার বলেন, এমন কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে এখনও পানিবন্দি হাজারো মানুষ
বরিশালে পুলিশের ভুয়া কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
সিত্রাং: ভোলায় ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার ভোলার দৌলতখান উপজেলায় ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত বিবি খাদিজা (৮০) ভোলার পৌর এলাকার খাদেম আলীর স্ত্রী।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে। এই গাছের নিচে চাপা পড়ে খাদিজা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
৫-৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসসহ মধ্যরাতে আঘাত হানতে পারে সিত্রাং
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং মধ্যরাত বা মঙ্গলবার ভোরে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সোমবার সর্বশেষ আবহাওয়া কার্যালয়ের বুলেটিনে এ কথা বলা হয়েছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ‘পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অংশ এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নোঙর করে রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ লোকজনকে সরিয়ে নিতে সাত হাজারেরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে।
অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ভূমিধস হতে পারে বলে সতর্ক করেছে চট্টগ্রাম ও অন্যান্য পার্বত্য জেলায় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলার নিচু এলাকা এবং তাদের উপকূলবর্তী দ্বীপ ও চর এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, পাঁচ থেকে আট ফুট উচ্চতায় বাতাসসহ জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হবে।
দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের ইউএনবি সংবাদদাতারা সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং জলোচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ছয় নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে সিত্রাং কেন্দ্রীভূত হয়।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ তিনটি অদূরবর্তী দ্বীপসমূহ সাত নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া এসব জেলার নদীবন্দরকে তিন নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তিনটি উপকূলীয় দ্বীপও ছয় নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ায় ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর কারণে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বরিশালে বাড়বে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে বরিশালে রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ৭১.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বরিশাল আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সিত্রাং এর প্রভাবে বরিশালে বেলা তিনটার পর থেকেই উচ্চ গতিবেগে বাতাস শুরু হবে। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতিবেগের বাতাস বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কর্মকর্তারা জানান, সোমবার(২৪ অক্টোবর) বিকাল পাঁচটার আগেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হবে। তবে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে সমুদ্রের পানির তীব্রতা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলে। ফলে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে শক্তিশালী হওয়া আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। এসময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে নিম্নচাপের কারণে ওই স্থানের পানি সমতল থেকে উঁচু হয়ে যাচ্ছে। ওই স্থান থেকে সমুদ্রের পানি চট্টগ্রাম উপকূলে জমা হচ্ছে ও স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রাম উপকূলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সোমবার থেকেই উপকূলীয় এলাকায় ছোট-ছোট ঢেউগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে যোগ হয়ে ঢেউগুলোর উচ্চতা বাড়াচ্ছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা রয়েছে।
এদিকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী-সকাল থেকেই বৃষ্টি বেড়ে গিয়েছে। ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইছে।
এটি আরও বাড়তে পারে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বরে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: খুলনায় প্রস্তুত ৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্র
সিজেএম’র সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, পিরোজপুরের পিপিকে হাইকোর্টে তলব
পিরোজপুরের পিপি খান মো. আলাউদ্দিনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পিরোজপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিম (সিজেএম) আবু জাফর মো. নোমানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও তাকে হুমকি দেয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ আজ স্বত:প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছেন। পিপিকে আগামী ১৫ নভেম্বর হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে এ বিষয়ে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।এর আগে মূখ্য বিচারিক হাকিম আবু জাফর মো. নোমানকে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিনের হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
আারও পড়ুন: জামিন চেয়ে হাইকোর্টে মিন্নির আবেদন
আদালত বলেছেন, ‘একজন পিপির দায়িত্ব আদালতের পরিবেশ সুন্দর রাখতে বিচারককে সহযোগিতা করা। কিন্তু তিনি বিচারকের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। এটা মেনে নেয়া যায় না।’
রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, পিরোজপুরের পিপি বিচারকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে একদিকে যেমন আইনজীবী হিসেবে অপরাধ করেছেন। আবার পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও অপরাধ করেছেন। তিনি বার কাউন্সিলের যে আইনজীবীর আচরণ বিধি আছে সে আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। এখন তার বিরুদ্ধে যদি কনটেম্পট হয়, তাহলে জেল হবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিম আবু জাফর মো. নোমান পিপির বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দেন।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, গত ২৫ জুলাই এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের উপদেষ্টা আসামি মাওলানা মো. হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকীর জামিন আবেদনের শুনানি চলছিল। শুনানিকালে দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযোগকারী (বাদী) ও আসামি উভয়পক্ষের ২৫/৩০ জন বিজ্ঞ আইনজীবী নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে স্বাভাবিক বিচারকার্য, জামিনের দরখাস্ত শুনানিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে আমি এজলাসের পরিবেশ স্বাভাবিক করে শুনানি গ্রহণের স্বার্থে ১৫ (পনের) মিনিট মুলতবি দিয়ে এজলাস থেকে নেমে যায়। একই ভাবে আবারও দ্বিতীয় দফায় ১০ মিনিটের মূলতবি দিয়ে নেমে যান। এর পরে না হওয়ায় অভিযোগকারী (বাদী) পক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী সাইদুর রহমান টিটো এবং আসামিপক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন ও শ ম হায়দার আলীদের তাদের পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী ব্যতীত অন্যান্য আইনজীবীদের কিছু সময়ের জন্য (উল্লেখিত মামলা সমূহের জামিনের দরখাস্ত শুনানির সময়ের জন্য) এজলাসের বাইরে অবস্থান করার অনুরোধ করলে উভয়পক্ষের প্রয়োজনীয় কিছু সংখ্যক আইনজীবী ব্যতীত অন্যান্য আইনজীবীরা কিছু সময়ের জন্য আমার এজলাস কক্ষ ত্যাগ করে বাইরে অবস্থান করেন।
কিন্তু তখন পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. আলাউদ্দিন ও তার সহযোগী কিছু বিজ্ঞ আইনজীবীকে নিয়ে এজলাসে অবস্থান করলে উল্লেখিত মামলা সমূহের নিযুক্ত আইনজীবীরা তাতে আপত্তি করেন। তখন আমি এজলাসের প্রিজাইডিং বিচারক হিসেবে স্বাভাবিক বিচার কার্য পরিচালনার প্রয়োজনে বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর, পিরোজপুর খান মো. আলাউদ্দিনকে অনুরোধ করে বলি আপনি উল্লেখিত মামলা সমূহের বাদী বা আসামি কোনো পক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী না এবং উল্লেখিত মামলা সমূহ ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলা ও তাতে রাষ্ট্রের কোনো স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতা নাই বিধায় আপনি স্বাভাবিক বিচার কার্য পরিচালনায় সহযোগীতার স্বার্থে কিছু সময়ের জন্য এজলাসের বাইরে অবস্থান করেন।
কিন্তু পাবলিক প্রসিকিউটর আমার অনুরোধ উপেক্ষা করে হঠাৎ আমার এজলাসে উচ্চ স্বরে বিভিন্ন মন্দ ভাষায় (ব্যবহৃত ভাষা লেখার অযোগ্য) হুমকি-ধমকি প্রদান করে তার পিপিশিপের কর্তৃত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে আমার বিচার কার্যে (জামিন শুনানিতে) বাধা দেন। তখন পাবলিক প্রসিকিউটর আমাকে এজলাস হতে নেমে যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করেন এবং এক পর্যায়ে আমাকে গালমন্দ করে জোরপূর্বক আমার বিচার কার্য সাময়িক বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে হট্টগোল করে এজলাসে কর্মরত কর্মচারীদের ও বিচারপ্রার্থী জনসাধারণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে প্রধান বিচারপতি এই অভিযোগপত্রটি হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
আারও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট