বরিশাল
ঝালকাঠিতে এসির বিষাক্ত গ্যাসে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
ঝালকাঠির রাজাপুরে এসি থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের ছেলেসহ আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শনিবার সকালে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. ফোরকান হাওলাদার (৫৫) ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৪৫)।
দুর্ঘটনায় আহত ফোরকানের ছেলে মাঈনুল, নিহতের ভাইয়ের বউ মাহফুজা আক্তার ও ভাইজি সারা মনিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাতুরিয়ার আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী ফোরকান হাওলাদার জেনারেটর চালিয়ে বাড়ির একটি কক্ষে এসি চালু করেন। এরপর স্ত্রী মাহিনুর বেগম, ছেলে মাইনুল ইসলাম, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাহফুজা বেগম ও ভাইয়ের মেয়ে সারামণি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে এসিতে বিকট শব্দ হয়। এরপরই ওই কক্ষে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা পাঁচজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বড়ভাই সেলিম হাওলাদার বেলা ১১টার দিকে অন্য লোকজনের সহযোগিতায় গেটের তালা ভেঙে বিষাক্ত কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ফোরকান হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী মাহিনুর বেগমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহতদের অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, জেনারেটর দিয়ে এসি চালানোর কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০
অভিনেত্রী শাওনের বাসায় এসি বিস্ফোরণ থেকে আগুন
গাজীপুরে এসি বিস্ফোরণে আহত ৪
ঝড়ের কবলে লঞ্চ, ৭০ যাত্রী উদ্ধার
বৈরি আবহাওয়ার কবলে আটকে পড়া ঢাকাগামী এম ভি আল-ওয়ালিদ-৯ লঞ্চের ৭০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কে এম শাফিউল কিঞ্জল।
কোস্টগার্ড জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে এম ভি আল-ওয়ালিদ-৯ লঞ্চটি ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। রাতে সোয়া ১২ টার দিকে লঞ্চটি মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ উলানিয়া লঞ্চঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে। এসময় লঞ্চটি কালিগঞ্জ উলানিয়া লঞ্চঘাটের পল্টুন সংলগ্ন ব্লকের ওপর উঠে যায়।
বিষয়টি কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অধীনস্থ কালীগঞ্জ স্টেশনের সদস্যরা অবগত হয় এবং দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় লঞ্চের ৬০-৭০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
আরও খবর: বরিশালে পানিতে ডুবে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
বরিশাল লঞ্চঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অন্তত ১৬০ জেলেসহ ১১টি মাছধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও ৩৪ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-এফবি রফিক মিঝি ট্রলার মালিক রফিক মিঝি (৬০) এবং মোহাম্মদ (৩) ট্রলারের জেলে বাবুল (৩৫)।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো মধ্যে এমবি মা-মনি (৩), এফবি সাইফুল, এফবি আল মামুন, এফবি কুলসুম, এফবি রফিক মিঝি, এফবি নুরবানু ও এফবি মায়ের দোয়া রয়েছে। এছাড়া নামবিহীন ভোলার চরফ্যাশনের একটি, গলাচিপার পানপট্রির একটি, কলাপাড়ার লালুয়ার একটি ও বরগুনার নাপিতা এলাকার একটি রয়েছে।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর উত্তাল: নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা
মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা জানান, নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন ও আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, সাগরের অস্বাভাবিক ঢেউ এবং ঝড়ের কবলে পরে তাদের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্য ট্রলারের মাধ্যমে অন্তত ১২৬ জেলে উদ্ধার হলেও ৩৪ জেলে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে নিখোঁজ ১৪ জেলে এফবি কুলসুম ট্রলারে ছিল। আর ১৮ জেলে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের এবং এফবি রফিক মিঝি ট্রলার ও মোহাম্মদ (৩) ট্রলারের একজন করে রয়েছে।
উদ্ধারকৃত জেলেরা কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাপাতাল ও মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার সেলিম মন্ডল জানান, সাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের টহল টিম সাগরে রয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
‘টবগী-১’ খনন শুরু, গ্যাস সংকট কাটাতে সহায়তার আশা
দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়ন কূপ ‘টবগী-১’ খনন শুরু করেছে পেট্রোবাংলা।
নুতন এ কূপ খননের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্যাস সংকট কাটাতে সহায়তার আশা পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স)।
রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গ্যাস জায়ান্ট গ্যাজপ্রমকে ‘টবগী-০১’ কূপ খননের জন্য ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বাপেক্স অস্থির বৈশ্বিক তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বাজারে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের উদ্যোগের একটি অংশ হিসেবে গ্যাজপ্রমকে নিয়োগ করেছে।
শুক্রবার সকালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নে নতুন এ কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুবর হোসেন। এসময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
খনন কাজ উদ্বোধনের পর পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জানান, দেশীয় গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ কূপটি তিন হাজার ৫০০ মিটার পর্যন্ত গভীরে খনন করা হবে। আজকে যে খনন কাজ শুরু হলো তা থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করেন তিনি। যা গ্যাস সংকট পূরণে সহায়তা করবে।
বাপেক্সের ব্যববস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এ কূপ খনন তার মধ্যে অন্যতম। খনন কাজের মধ্যদিয়ে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর প্রক্রিয়া আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
আরও পড়ুন: কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র: ১০ মে থেকে আসবে ১৭-১৯ এমএমসিএফডি গ্যাস
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, বাপেক্সে নকশা ও লোকেশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গ্যাজপ্রম কূপ খনন কাজ পরিচালনা করছে। শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে এর আগে চারটি কূপ ও শাজবাজপুর ইস্ট নামের আরও একটি কূপ খননের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ‘টবগী-০১’ ষষ্ঠ কূপ।
এছাড়াও এর আগে ভোলা সদর উপজেলায় ভোলা নর্থ নামের আরেকটি কূপ খনন করা হয়েছে। এরপর সদর উপজেলার ইলিশা এলাকাসহ আরও দুটি কূপ খনন করা হবে বলে বাপেক্স এমডি জানিয়েছেন। এর মধ্যে শাহবাজপুরের চারটি কূপ থেকে ভোলার বিদ্যুৎ প্লান্ট ও তিন হাজার গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ কূপে দেড় টিসিএফ গ্যাস মজুদ আছে যা আরও বাড়বে বলে আশা বাপেক্সের।
আরও পড়ুন: বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে পুনরায় পূর্ণ উৎপাদন শুরু
বরগুনায় ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী প্রত্যাহার
বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ করা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে ও তদন্তের স্বার্থে মহরম আলীকে বরিশালে আমার কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, বরগুনার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কি কি হয়েছে সব কিছুই তদন্ত করা হবে। ছাত্রলীগের দুটি ধারার এক পক্ষ পুলিশের প্রশংসা করেছে, আরেক পক্ষ সমালোচনা করছে। তবে পুলিশ তার নিরপেক্ষ অবস্থান থেকেই সবকিছুর তদন্ত করবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ নিয়ে বরগুনা সদর আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্রদেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর কথা কাটাকাটি হয়। সাংসদের সামনেই মারধর ও লাঠিপেটা করা হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
আরও পড়ুন: শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
সাংবাদিক হেনস্তা: চট্টগ্রামে হাইওয়ে পুলিশের এএসআইসহ ৫ পুলিশ প্রত্যাহার
বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাস চালকের সহকারীর মৃত্যু
বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল মসজিদের সামনে রবিবার বিকালে এক বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২৫ বছর বয়সী চালকের সহকারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সজল ফকির মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইঝপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
বরিশাল বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে পানি জমে সাকুরা পরিবহনের একটি বাস আটকে যায়। তখন হাইড্রোলিক জ্যাক দিয়ে বাস উঠানোর চেষ্টা করে বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে সজল অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
ওসি জানান, লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।
মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপরে, ভোলায় ৮ গ্রাম প্লাবিত
সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে আবারও উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শনিবার মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর ফলে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সকাল বিকাল দুই বেলা ভাসছে ওই এলাকার মানুষ। গত চারদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ১৯ ছাগল মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানান, গত কয়েক দিনের অতি জোয়ারের পানিতে তাদের ইউনিয়নের ৩ নং সামপুর, দাইয়া, মেদুয়া, কন্দকপুর, ৪নং ওয়ার্ড, চর মনোশা একাংশ ও মধ্য সামপুর গ্রাম সকাল ও বিকালে দুই বেলা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। বাঁধের ভিতরে ও বাইয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। মানুষের দুর্ভোগ এখন চরম আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বহু মানুষের আমন ধানের জালা খেত নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গবাদি পশু মারা যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, রাজাপুর ইউনিয়নে রনি মাতাব্বরের ছয়টি, করিমের আটটি, বাহাউদ্দিননে তিনটি, রেজাউলের দুটি ছাগাল মারা গেছে। এছাড়াও বহু ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মাঝের চর, মদপুরসহ চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ভোলায় মেঘনার পানি শনিবার বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। তবে বেড়ি বাঁধ ভেঙে বা উপচে কোথাও পানি প্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোসাগরে নিম্নচাপ: ভোলার ১০ গ্রাম প্লাবিত
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: বিপাকে ভোলার লক্ষাধিক জেলে
বঙ্গোসাগরে নিম্নচাপ: ভোলার ১০ গ্রাম প্লাবিত
বঙ্গোসাগরে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়ন ও মনপুরা ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে প্রায় ২২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৮ ঘন্টা জোয়ারের পানিতে ভাসতে হচ্ছে ঢালচরের মানুষকে। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে গত তিন দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ পানি উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, জোয়ারের ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে মানুষের ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যায়। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বহু ঘর-বাড়ি ও রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়েছে। গবাদি পশুর কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার কাউয়ারটেকে ঢাকাগামী লঞ্চ ঘাট এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
আরও বলুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: কক্সবাজারে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা
কলাতলী চরের ইউপি সদস্য মো. রহমান জানান, বেড়ি বাঁধহীন সদ্য ঘোষিত নতুন চর কলাতলী ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চরনিজাম, বদনারচর, ঢালচর ও চর শামসুদ্দিনে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সব চরে বসবাসরত ২০ হাজারের ওপরে মানুষ বুধবার ও বৃহস্পতিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক এলাকার বাসিন্দারা জানান, জোয়ারের পানিতে ঘর-বাড়ি সব ডুবে গেছে। প্রতিদিন জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই তারা জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর ডিভিশন-২ এর উপসহকারি প্রকৌশলী আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, মেঘনার পানি বুধবার বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ও বৃহস্পতিবার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে চরাঞ্চলসহ বেড়ি বাঁধের বাইরের এলাকা চার ফুট জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: বাগেরহাটের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি
লঞ্চ-বাল্কহেড সংঘর্ষে নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে বাল্কহেড ডুবিতে নিখোঁজ দুইজনের মধ্যে কালাম নামে এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলাধীন সন্ধ্যা নদীর খেজুরবাড়ি পয়েন্ট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাল্কহেডের মালিক হাবুল কাজী।
তিনি জানান, মৃত কালাম (৫৫) পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার নান্দুহার এলাকার বাসিন্দা। এদিকে এখনও নিখোঁজ অপর শ্রমিক মিলনের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাল্কহেড মালিক।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় সিমেন্টবোঝাই বাল্কহেড ডুবি
প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ঢাকা যাওয়ায় পথে উজিরপুর উপজেলাধীন মীরের হাট সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে এমভি মর্নিং সান-৯ লঞ্চের সঙ্গে একটি বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গিয়ে এর দুই শ্রমিক নিখোঁজ হন এবং লঞ্চের তলা ফেটে ভেতরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। পরে লঞ্চটি উজিরপুরের বড়াকোঠা ইউনিয়নের চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে নোঙর করে।
এ সময় আতঙ্কিত হয়ে বেশিরভাগ যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে গেলেও কিছু যাত্রী লঞ্চে থেকে যান। পরে লঞ্চটির ফেটে যাওয়া অংশ মেরামত করা হলে সেটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রাতেই তিনিসহ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা যান। লঞ্চের যে অংশ ফেটে যায়, সেখানে ঝালাই করে মেরামত করা হয়। পরে রাত সোয়া ৩ টার দিকে লঞ্চটি নিরাপদে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। তখন লঞ্চে ১শ’র ওপরে যাত্রী ছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় এখনও কোন পক্ষ কোন ধরনের মামলা দায়ের করেনি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবি: স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী নিখোঁজ
ভোলায় মেঘনা নদীতে বালু বোঝাই বাল্কহেড ডুবি
‘বান্ধবী’র সঙ্গে দেখা করতে বরিশালে ভারতীয় নৃত্যশিল্পী, হতাশ হয়ে দেশে ফিরলেন
প্রেমকান্তো নামে এক ভারতীয় যুবক তার তথাকথিত বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বরিশালে এসেছেন, কিন্তু প্রেমিকা তাকে প্রত্যাখ্যাত করেন।
প্রেমকান্ত ও মেয়েটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়, তারা একে অপরকে ভালোবাসতেন।
ইতোমধ্যেই তার বান্ধবী তাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার বান্ধবীর অন্য প্রেমিক হাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন বলে সম্প্রতি ঘটনাটি আলোচনায় উঠে আসে।
প্রতারিত ও নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রেমকান্তো স্থানীয় পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী
গত ২৪ জুলাই ভারতের তামিলনাড়ু থেকে ওই যুবক প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে আসেন। পরের দিন বরিশাল সরকারি কলেজে তাদের দেখা হয়। পরে তারা বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার দেখা করেন। একপর্যায়ে প্রেমকান্তোকে মেয়েটির দ্বিতীয় প্রেমিকের কথা জানানো হয়।
এদিকে,প্রেমকান্তের খবর শুনে গত ২৭ জুলাই ওই ভারতীয় যুবককে মারধর করে তরুণীর আরেক প্রেমিক।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে ধরা কিশোরী!
প্রেমকান্তোর অভিযোগ, তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু পুলিশ এখনো এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
পরে, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন ওই যুবককে ঢাকা এনে ভারতে পাঠিয়ে দেয়।