খুলনা
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে ৬ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিন জন ও উপসর্গ নিয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৭ মৃত্যু
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পাশাপাশি রোগী ভর্তির চাপও আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৫৩ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ৩২ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ২১ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: কুষ্টিয়ায় ১ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৩
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৭৬ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
নওগাঁয় বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার, পুত্রবধূ আটক
জেলার মান্দা উপজেলার পারনুরুল্যাবাদ গ্রামে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নের পারনুল্লাবাদ গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকলিমা বেগম (৭০) ওই গ্রামের মৃত নুর উদ্দিনের স্ত্রী। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তবে পুত্রবধূ লাইলি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী আজিজুল ইসলাম ঢাকায় মাইক্রোবাস চালান। বাড়িতে আমি একাই থাকি। আর আমার শাশুড়ি থাকেন অন্য এক ছেলের বাড়িতে। গত বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি জয়পুরহাটে বেড়াতে যাওয়ার সময় বাড়ি পাহারা দেয়ার জন্য শাশুড়ি আকলিমা বেগমকে আমাদের বাড়িতে রেখে যাই। এরপর সোমবার দুপুরের দিকে বাড়ি ফিরে দরজায় তালাবদ্ধ দেখে আশপাশের বাড়িতে শাশুড়ির খোঁজ করি। না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শাশুড়িকে খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিনুর রহমান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার পুত্রবধূ লাইলি বেগমকে আটক করা হয়েছে।
ওসি জানান, মঙ্গলবার সকালে নিহত আকলিমা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে মান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩দিন পর শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
খুলনায় চিকিৎসকসহ করোনায় ৭ মৃত্যু
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসকসহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৩৮ জন।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাট ফকিরহাটের ডা.আমিয় কুমার বিশ্বাস (৫৯) মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনায় ১ মৃত্যু, শনাক্ত ৭
এর আগে রবিবার বিভাগে করোনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে যশোরে তিনজন, খুলনায় একজন, কুষ্টিয়ায় দুইজন ও নড়াইলে একজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: ফরিদপুরে আরও ২ মৃত্যু
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট এক লাখ ১০ হাজার ৮৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিন হাজার ৮৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬ জন।
করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৭৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু কুষ্টিয়ায় ৭৫১ জনের। এ ছাড়া যশোরে ৪৮৩ জন, ঝিনাইদহে ২৬৪, চুয়াডাঙ্গায় ১৮৯, মেহেরপুরে ১৮০, বাগেরহাটে ১৪২, নড়াইলে ১১৭, মাগুরায় ৯০ ও সাতক্ষীরায় ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২২ কোটি ৪৬ লাখ ছাড়াল
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিভাগে নতুন করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী কুষ্টিয়ায় ৩৭ জন। এ ছাড়া খুলনায় ২৫ জন, বাগেরহাটে সাত জন, সাতক্ষীরায় ১০ জন, যশোরে ১৪ জন, নড়াইলে আট জন, মাগুরায় দুই জন, ঝিনাইদহে ২০ জন, চুয়াডাঙ্গায় এক জন ও মেহেরপুরে ছয় জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় করোনায় ২ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম জানান, হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পাশাপাশি রোগী ভর্তির চাপও আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬৩ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ৩৪ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ২৯ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনায় ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ২৯
এদিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৫০ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। এপর্যন্ত কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১২০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৯৫২ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা ও উপসর্গে ৭৪৯ জন মারা গেছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪১৯ জন। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৭৪ জন। আর হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৫ জন।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৯
বাস খাদে: মাগুরায় নিহত ৪, আহত ৩০
মাগুরায় বাস উল্টে রাস্তার পাশে খাদে ডুবে নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শিশুসহ ৩০ জন। রবিবার বিকাল ৪টার দিকে মাগুরা-যশোর মহাসড়কের রামকান্তপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, জেলার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাদ গ্রামের মামুন মিয়া (২০), শালিখা উপজেলার দিঘলগ্রামের বারি মিয়ার স্ত্রী সহিরন নেছা (৫০), শতখালী গ্রামের হারুন মিয়ার স্ত্রী নাজমা খাতুন (৩২)। মামুন মিয়া ওই বাসের হেলপার। অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তিনি বাস ড্রাইভার কিনা তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
আহতদের মাগুরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বাসের মধ্যে আটকে থাকা দুই নারী ও দুই পুরুষের লাশ উদ্ধার করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মাহাবুব জানান, যশোর থেকে মাগুরাগামী বিসমিল্লাহ নামের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এঘটনায় শালিখা থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাসটি জব্দ করেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মাগুরা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরায় ২ লাখ টাকার কারেন্ট জাল উদ্ধার
খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১
খুলনা, ১১ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- খুলনা নগরীতে ট্রেনের ধাক্কায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী নিহত হয়েছেন।
নগরীর ফুলবাড়ি গেট সংলগ্ন রেলক্রসিং এলাকায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন ভোলা মহেশ্বরপাশা বনিকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ জানান, দুপুর ১টার দিকে আনোয়ার হোসেন ভোলা ফুলবাড়িগেট বাজারের ভেতরে একটি গলি হয়ে রেলক্রসিংয়ের উত্তর পাশে একটি গ্যারেজের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় যশোর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী একটি ট্রেন তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
পরবর্তীতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতের পরিবারকে মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান এসআই আসাদ।
আরও পড়ুন: ছাগল বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের
টিকার অর্থ আত্মসাত: অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রতন কুমার সাহার বিরুদ্ধে করোনার টিকা প্রদানের ব্যয় সংক্রান্ত ১৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা প্রদান শুরু না হতেই গত জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা টিকা প্রদানের জন্য টিকা পরিবহন,আপ্যায়নসহ খাত ওয়ারি খরচ দেখিয়ে টাকাগুলো উত্তোলন করেন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা। এর মধ্যে শুধু আপ্যায়ন ব্যয়ই দেখানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই নাটোর সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আরশেদ আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: একদিনে ২ বার টিকা নিয়ে হাসপাতালে নারী!
গত ৫ আগস্ট প্রতিবেদন প্রদান করে তদন্ত কমিটি। তাতে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার অনিয়ম ধরা পড়ে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, বাগাতিপাড়ার টিকার টাকা নিয়ে যে অনিয়মের অভিযোগে এসেছে সে বিষয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে বাগাতিপাড়ায় পাঠানো হয়। তারা সেখানে গিয়ে তদন্ত সম্পন্ন করেন এবং তদন্ত কাজ শেষ করে তারা আমাদের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। আমাদের নিয়ম হচ্ছে প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের কাছে পাঠানোর। সেই অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন তারা কী পদক্ষেপ নিবেন এটা তাদের বিষয়। তারা কোনো পদক্ষেপ নিলে পরবর্তীতে আমরা আপনাদের জানাতে পারবো।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামীর মৃত্যু
মাগুরার মোহম্মদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার দীঘা গ্রামে শুক্রবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে।
মৃত ইয়াসিন শেখ (৪০) ওই এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, দীঘা গ্রামের ইয়াসিন শেখের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৩০) নিজ বাড়িতে ফ্যানের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। তাকে বাঁচানোর জন্য তার স্বামী ইয়াসিন শেখ চেষ্টা করলে তিনি নিজেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মোহম্মদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইয়াসিন শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত স্ত্রী জুলেখা বেগম চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে মোহম্মদপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৩
মহেশপুর সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় আটক ৪
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নারীসহ চার জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মাটিলা গ্রামের মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভারতীয় রুপার গহনাসহ চোরাচালানি আটক: বিজিবি
আটকরা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জামরিলডাঙ্গা গ্রামের কিসমত মোল্লার ছেলে রাজু কিসমত মোল্লা (৩০), রাজু মোল্লা স্ত্রী রাজু ফাতেমা মোল্লা (২৭), ওমর মোল্লার স্ত্রী নাজমা মোল্লা (৩৫) ও তার মেয়ে আছিয়া (৮)।
খালিশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো.নজরুল ইসলাম খান জানান, মাটিলা সীমান্ত দিয়ে কিছু বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার খবরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাটিলা গ্রামের মাঠ থেকে নারী ও শিশুসহ ওই চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ি সীমান্তে আটক ৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর
খুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ আরোহী নিহত
খুলনায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্পিড ব্রেকারের সাথে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার আলীর ক্লাব মোড়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মহানগরীর সিমেন্ট্রি রোডের মুরিপট্টি এলাকার গৌতম হাজরার ছেলে সৌরভ হাজরা (২৯) ও শুভ সাহা (২৬), তার বাড়ি চট্টগ্রাম। তিনি তার বড় চাচার মিল্টন সাহার কাছে থেকে অনিমা জুয়েলার্সে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২
শুক্রবার সকালে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মো. মমতাজুল হক জানান, সৌরভ ও শুভ দুইজন গল্লামারী থেকে সোনাডাঙ্গার দিকে এম এ বারি সড়ক হয়ে উল্টো পথে আসছিলেন। মোটরসাইকেলের গতি বেশি থাকায় আলী ক্লাব সংলগ্ন রাস্তার মাঝের স্পিড ব্রেকারে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায় এবং তারা গুরুতর আহত হন।
পরে টহল পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তারা মারা যান। নিহতদের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু