খুলনা
লকডাউনের তৃতীয় দিন পার করছে সাতক্ষীরা
করোনা সংক্রমণরোধে জেলা প্রশাসন ঘোষিত সাতদিনের লকডাউনের সোমবার তৃতীয় দিন চলছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বর্তমানে সাতক্ষীরায় ৩৭৭ জন করোনা পজেটিভ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২২ জন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে, তিন জন সাতক্ষীরা সিভি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাকি ৩২৬ জন রোগী বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালা লকডাউন, করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
এদিকে, লকডাউনের বাধা নিষেধের কারণে জেলা শহরে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। সব গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাবেচার সুযোগ রয়েছে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। লকডাউনের মধ্যে ফার্মেসি, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, ক্লিনিক, বিদ্যুৎ জ্বালানি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে খুলনা ও যশোরের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোমরা স্থলবন্দরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
বিজিবির সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল মাহমুদ জানান, অবৈধ যাতায়াত রোধে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে ফিরে আসা তিনজনকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাগুরা-ফরিদপুর সড়কে বাসের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত
মাগুরা-ফরিদপুর সড়কে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নসিমনের যাত্রী এক পল্লী বিদ্যুৎ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
রামনগর এলাকায় রবিবার এই দুর্ঘটনায় আরও পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
নিহত জামাল সর্দার (২৫) যশোরের কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটি গ্রামের এনায়েত সদ্দারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় সংসদ সদস্যসহ আহত ২
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন জানান, একটি নসিমন যোগে মাগুরা থেকে কিছু বিদ্যুৎ শ্রমিক দৈনন্দিন কাজে শ্রীপুরের ঘসিয়াল গ্রামে যাচ্ছিল। নসিমনটি মাগুরা-ফরিদপুর সড়কের রামনগর এলাকায় পৌঁছলে মাগুরা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে এটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় শ্রমিক জামাল সর্দার নসিমন থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হয় নসিমনে থাকা আরও পাঁচ শ্রমিক। তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ওসি জানান, এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মাগুরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তদন্ত চলছে।
খুলনার করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি
খুলনা করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
মহেশপুর সীমান্তে ভারতেফেরত নারীসহ আটক ৫
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় নারীসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
রবিবার সকাল ও শনিবার রাতে মহেশপুরের শ্যামকুড় ও বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ভারতীয় নাগরিক আটক
আটককৃতরা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শীতলপাটি গ্রামের খাজা শেখের ছেলে প্রিন্স শেখ (২১), একই গ্রামের জুয়ায়েদ মোল্লার ছেলে মুন্না মোল্লা (১৮), কামাল শেখের ছেলে রাকিব শেখ, (১৬), নোয়াগ্রামের মস্ত গাজীর স্ত্রী আসমা বেগম (৪০) ও লোহাগড়া উপজেলার বন্ধবাড়িয়া গ্রামের সুর্যকান্ত বিশ্বাসের মেয়ে মুক্তি রানী বিশ্বাস (৩০)।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে চার ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
৫৮ বিজিবির সহাকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম খান জানান, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশের খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে শনিবার রাতে বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত থকে মুক্তি রানী বিশ্বাস ও রবিবার সকালে শ্যামকুড় সীমান্ত থেকে আরও চার জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে মহেশপুর থানায় মামলা দায়ের করে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালা লকডাউন, করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
সাতক্ষীরায় করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের আজ দ্বিতীয় দিন চলছে। তবে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিলেও তাদের তেমন কোন কঠোরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। গ্রামের মানুষ স্থানীয় হাটবাজারে মুখে মাস্ক ছাড়াই চলাফেরা করছে । কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
এদিকে, সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত আরও একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এনিয়ে জেলায় ৪৮ জন করোনায় মারা গেছেন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে ২৫০ জন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলায় বর্তমানে ৩৩৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭ জন এবং সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ২৬ জন করোনা পজেটিভ রোগী ভর্তি রয়েছে। বাকি ২৮৬ জন করোনা পজেটিভ রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত করোনা পজেটিভে ৪৮ জন মারা গেছেন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ২৫০ জন।
আরও পড়ুন: করোনার সংক্রমণ রোধে সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। সীমান্ত জুড়ে বিজিবি রেড এলাকার্ট জারি করছে। অভিযোগ রয়েছে রাতে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে লোক প্রবেশ করছে। ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানির সময়সীমা কমিয়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, সাতদিনব্যাপী যে লকডাউন দেয়া হয়েছে সেটিতে সবাই মিলে এক সাথে কাজ করছি। তবে সাধারণ জনগণের মধ্যে কিছুটা সচেতনার অভাব রয়েছে। আমরা দরিদ্র শ্রেণিদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করছি। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালতি হচ্ছে। বাজারগুলোতে তদারকি চলছে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে নোয়াখালী সদরে কঠোর লকডাউন
কালীগঞ্জে লেদ মিস্ত্রিকে শ্বাসরোধে ‘হত্যা’
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক লেদ মিস্ত্রিকে গলায় ফাঁস দিয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার সকাল ৮টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা পালপাড়া এলাকায় একটি কলা বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শাহিন (২৮) একই এলাকার বটতলা পাড়ার চাঁন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত শাহিন হোসেন সম্প্রতি বালিয়াডাঙ্গা বাজার এলাকায় একটি লেদ মেশিন বসিয়ে কাজ করতো। সকালে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না এমন সংবাদ পাওয়ার পর সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপর তাদের বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর তার ব্যবহৃত একটি জুতা পাওয়া যায়। এরপর রনজিৎ কুমার নামে এক ব্যক্তির কলা বাগানে তার মরহেদ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর মিয়া জানান, তাকে শ্বাসরোধ করে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কি কারণে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ৮ দিনের শিশুকে হত্যার অভিযোগ মা আটক
করোনার সংক্রমণ রোধে সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সাতক্ষীরা জেলায় সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে জেলায় পূর্বঘোষিত লকাডউন শুরু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সপ্তাহব্যাপী এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়।
জেলার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্তের হার ৫৩ দশমিক ১৯ ভাগ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দিনের লকডাউন শুরু
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা জানান, শনিবার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গে নিয়ে দুজন মারা গেছেন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১০৫ জন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ৩৩ জন।
সূত্র জানায়, সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও কালিগঞ্জে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও করোনা সংক্রমণ দিন-দিন বেড়েই চলছে।
এদিকে চলমান লকডাউনে জরুরি পরিসেবা বাদে জেলায় দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। রিকশা, ভ্যান, নছিমন, করিমন, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হলেও সকাল থেকে জেলা শহরে স্বল্পপরিসরে যান চলাচল করছে।
আরও পড়ুন:এবার ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন
কাঁচা বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
আপরদিকে, ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি রপ্তানির সময়সীমা কমিয়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে বন্দরের দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রী নিহত
খুলনার লবনচরা এলাকার রূপসা সেতু সংলগ্ন মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মেহেরুন্নেছা শার্লী (২১) নামে এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঢাকার তিতুমীর কলেজের ছাত্রী শার্লীর মৃত্যু হয়।
নিহত ওই ছাত্রী বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া ইউনিয়নের আট্টাকা গ্রামের মৃত মহিউজ্জামানের কন্যা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় দম্পতিসহ নিহত ৬
কলেজ ছাত্রী শার্লী সাতক্ষীরা থেকে চাচার সাথে মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফেরার পথে খুলনার লবনচরা পৌঁছালে পার্শ্ব রাস্তা থেকে একটি সাইকেল হঠাৎ তাদের সামনে চলে আসে। উক্ত সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারালে পিছনে বসা শার্লী ছিটকে রাস্তার পাশের রেলিং এর উপর পড়ে যায়। এতে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগলে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
তাকে প্রথমে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেরুন্নেছা শার্লীর মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
খুলনার ৪ থানা এলাকায় কঠোর লকডাউন শুরু
করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার ৪ থানা এলাকায় সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিন্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এ লকডাউন চলবে ১০ জুন পর্যন্ত।
করোনা সংক্রমণের আধিক্য বিবেচনায় রূপসা উপজেলা, খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা এবং খালিশপুর থানায় জরুরী সেবা ব্যতিত সকল দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭ দিনের লকডাউন
কঠোর এ বিধি নিষেধের প্রথম দিন সকাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে প্রশাসন।
শহরের বিভিন্ন বাজারে (মুদি, কাঁচাবাজার, মাছ, মাংসের দোকান) গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। কেউ মানছেন না শারীরিক দূরত্ব। তবে শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় শহরে লোক সমাগম কম রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট: সীমান্তবর্তী হওয়ায় ঝুঁকিতে খুলনা বিভাগ
বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান ও নূন্যতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে।
ঔষধের দোকান সার্বক্ষনিক খোলা রাখা যাবে। হোটেল, রেস্তোরাগুলো পার্সেলকৃত অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোন রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না।
রূপসা উপজেলার রূপসা খেয়াঘাট, আইচগাতি খেয়াঘাট এবং উপজেলার বাজার ও দোকানপাটসমূহে জনসমাগম করা যাবে না। উপজেলা সদরের ঔষধ, কাঁচাবাজার ও খাদ্যসামগ্রীর দোকান ব্যতিত অন্য সকল দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
এ সকল শর্তাবলী খুলনা মহানগর ও খুলনা জেলা সংশ্লিষ্ট উপজেলার সকলকে কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা জেলা প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান এবং মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, রূপসা উপজেলাতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৪ দশমিক ১৮। কিন্তু অন্যান্য উপজেলাতে এই হার শতকরা প্রায় এক ভাগ। এছাড়া খুলনা মহানগরীর সদরে সংক্রমণ হার শতকরা ৩৫, খালিশপুরে ২৫ এবং সোনাডাঙ্গাতে এই হার ১৭ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য স্থানে সংক্রমণের হার নিম্নগামী।
খুলনায় ২ লাখ ৯২ হাজার ২৪১ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠেয় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার নয়টি উপজেলার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৯২ হাজার ২৪১ শিশুকে একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ক্যাম্পেইন চলাকালে ৬-১১ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ক্যাম্পেইনে অভিভাবকদের শিশুর জন্য মায়ের দুধের গুরুত্ব ও শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পরিমান মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতন করা হবে।
আরও পড়ুন: মহামারির মাঝেও দেশে টিকাদানের অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল ইউনিসেফ
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকালে খুলনা নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে জেলার সাংবাদিকদের জন্য সিভিল সার্জন দপ্তরের আয়োজনে এক ওরিয়েন্টশন কর্মশালায় এসকল তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: প্রায় ২০০ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে ইউনিসেফ
সভাপতির বক্তৃতায় সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল রাতকানাসহ শিশুর অনেক রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এটি শিশুর শরীরে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্যাম্পেইন চলাকালে জেলার ৯ টি উপজেলার ১ হাজার ৬৪১ টি টিকাদান কেন্দ্রে ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকায় এ ক্যাম্পেইনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সর্তকতা অনুসরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ১৩ লাখ শিশু বন্যার ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ভরাপেটে খাওয়ানো ভালো। এই ক্যাপসুল শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এটি খাওয়ালে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার তেমন কোন ঝুঁকি নেই। ভ্রমণে থাকাকালীন রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। তবে ৬ মাসের কম অথবা ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু, ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে এমন শিশু এবং মারাত্মক অসুস্থ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।