খুলনা
মোটরসাইকেলে ট্রাক্টরের ধাক্কায় নিহত ১
খুলনার পাইকগাছায় মোটরসাইকেলে ট্রাক্টরের ধাক্কায় খায়রুল আলম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাইকগাছা-কয়রা প্রধান সড়কের মৌখালী বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যানবাহন চলাচল কমলেও বিশ্বে বায়ুদূষণের তালিকায় ‘চতুর্থ’ ঢাকা
নিহত খায়রুল আলম কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা এবং নওশের আলী সানার ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন মিন্টু বাদী হয়ে ট্রাক্টরচালক জাহিদ গাজীর বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পাইকগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ট্রাক্টরটি জব্দ করেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৭১৫ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে ৫ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ, থানায় অপহরণ মামলা
কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা ভেঙে ও বজ্রপাতে লিকচান সরদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ও ফসলের খেত। এদিকে বিদ্যুতের ৩৪টি খুটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ৪ লাখ গ্রাহক।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে এই কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
এলাকাবাসী জানায়, হঠাৎ করেই শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ ঝড়। সঙ্গে চলে বজ্রসহ বৃষ্টি। এই ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাতে লিকচান সরদার নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। এসময় ঝড়ে গাছপালা ও ঝুলন্ত বিলবোর্ড পড়ে ৮ জন আহত এবং একটি যাত্রীবাহী বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝড়ে বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল, ফকিরহাট, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুৎ ও ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৩৪টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ায় শনিবার সকাল ১০টা থেকে বাগেরহাটের ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুতের এজিএম সুশান্ত রায় বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের কমপক্ষে ২০টি খুটি ভেঙে যায় এবং অসংখ্য স্থানে বিদ্যু্তের তার ছিঁড়ে গেছে। ফলে সকাল ১০ টা থেকে ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ করছে।
বাগেরহাট ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহি প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, ঝড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে এবং অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। সকাল ১০টা থেকে শহরের ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে।
বাগেরহাট বাসাবাটি গির্জার ফাদার ডমিনিক হালদার জানান, কয়েক মিনিটের ঝড়ে মারিয়া পল্লির ২০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পল্লির বাসিন্দাদের ঘরের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই কষ্টে দিন পার করছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের সময় কচুয়ায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কিছু কাঁচাঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশ বিছু গাছপালা উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বজ্রপাতে মাছচাষির মৃত্যু
সিলেটে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
গল্লামারিতে চার্চে আগুনে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই
খুলনা নগরীর গল্লামারি শশীভূষণ চার্চে আগুনে ৫টি ঘর পুড়ে গেছে।
রবিবার সকাল ৮টায় বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: খুলনার সালাম জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৩৬০ জন শিক্ষার্থীর ঈদ উপহারসহ কম্পিউটার ও শিক্ষা সামগ্রী পুড়ে গেছে।
কেসিসির ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু বলেন, চার্চের পাশে পাঁচটি টিন শেডের কক্ষে একটি প্রকল্পের আওতায় শিশুদের লেখাপড়া করানো হতো। সকালে ঝড় ও বজ্রপাতের সময় শর্ট সার্কিটের কারণে একটি কক্ষে আগুন লেগে যায়। পরে তা আশপাশের কক্ষেও ছড়িয়ে পড়ে। এখানে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সামগ্রী ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেছে।
সেড প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিথন হালদার রায় বলেন, ঈদে শিশু ও শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপহার কেনা হয়েছিল। সব পুড়ে গেছে। আগুনে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শাপলা সুপার মার্কেটে আগুনে পুড়েছে ১৫টি দোকান
রাজশাহীতে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন, ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি
রূপসা রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ২
খুলনার রূপসা রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে সারবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এতে জাহাজের দুইজন নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ১টার দিকে রূপসা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
রুপসা নব পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনস্পেক্টর মো. নুরুল ইসলাম শেখ জানান, মোংলা বন্দর থেকে সার ভর্তি করে এম ভি থ্রি লাইট-১ কার্গো নওয়াপাড়ায় যাচ্ছিল। খুলনার রূপসা নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়।
তিনি আরও জানান, এই কার্গোতে জাহাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে কূলে উঠতে সক্ষম হলেও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
খুলনায় বজ্রপাতে মাছচাষির মৃত্যু
খুলনায় বজ্রপাতে এক মাছচাষির মৃত্যু হয়েছে।
আজ রবিবার (০৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়ার কোমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ওবায়দুল্লাহ গাজী (২৯) ওই গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে।
ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গাজী সকাল ৮ টার দিকে মাছ ধরার জন্য কোমলপুর গ্রামে যায়। সে সময় তিনি ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়লে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বজ্রপাতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
যশোরে পুকুরের পানিতে ডুবে বোন-ভাইয়ের মৃত্যু
যশোরের মণিরামপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে বোন ও ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ২ শিশু হলো- বারপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে সামিয়া (৪) ও ছেলে সাবিদ (৩)।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সামিয়া ও সাবিত ভাই-বোন। সকালে তারা বাড়ির পাশে খেলছিল। অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজ শুরু করেন।
আশপাশের বাড়িতে তাদের সন্ধান না পেয়ে এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে তাদের ভাসতে দেখে পান পরিবারের লোকজন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নিলে পল্লী চিকিৎসক আজিজুর রহমান ২ শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৪০.২ ডিগ্রি দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ
চুয়াডাঙ্গায় শনিবার (৬ এপ্রিল) এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া পুরো সপ্তাহজুড়ে এ জেলার উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: ৫ বিভাগে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিকেল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের ও চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম ঝরছে এবং গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন এমন থাকতে পারে এবং জেলায় এ মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা আছে।
আলতাফ হোসেন বলেন, এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এ অঞ্চলে তেমন সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, তীব্র গরমে রোজাদারসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রাণিকূলের অবস্থা আরও খারাপ।
চুয়াডাঙ্গা সদরের আমিরপুর মাঠে গরু চরান জব্বার আলী। তিনি বলেন, যে গরম এতে করে মাঠে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গরুও মাঠে থাকছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হয়।
ভ্যানচালক মিঠুন মিয়া বলেন, এই গরমে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না। সামনে ঈদ অথচ গরমের কারণে যাত্রী নেই। খুব খারাপ অবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮-৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০-৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র বা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, হিট অ্যালার্ট জারি
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই
বাগেরহাটে হাত-পা বেঁধে শিশু হত্যা, অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পৃথক ঘটনায় এক শিশু ও এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার কচুরিয়া গ্রামের একটি বাগান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আহসান বিশ্বাসের (৫) মরদেহ লাশ করা হয়।
আহসান বিশ্বাস নড়াইলের নরাগাথী উপজেলার চর-শুক্তাইল গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে। সে কচুরিয়া গ্রামে নানা মাওলানা ফিরোজ আহম্মেদের বাড়িতে থাকত।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নানা বাড়ি থেকে খেলার জন্য বের হয় আহসান। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। এঘটনায় শিশুটির বাবা কামরুজ্জামান শুক্রবার রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পুলিশ সেই রাত থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক স্থান থেকে শিশুসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কচুরিয়া গ্রামের একটি বাগান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটিকে কে বা কাহারা কী উদ্দেশে হত্যা করেছে তার কারণ উদঘাটন করতে তদন্ত এবং হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে ওসি জানান।
এদিকে এর আগে একইদিন সকালে উপজেলার চরকান্তি গ্রামের একটি মাছের ঘের থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর হবে। তার পরনে লাল রঙের জামা ও নীল রঙের সালোয়ার রয়েছে।
ওসি এস এম আশরাফুল জানান, ওই নারীর মরদেহ কীভাবে ঘেরে এল সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর নারীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অজ্ঞাত নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
হিলি স্থলবন্দরে ৬দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৬ দিনের ছুটি ঘোষণায় আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দরে।
সেই সঙ্গে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সব প্রকার কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ৬ দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৭ দিন
১৫ এপ্রিল সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের সহব্যবস্থাপক এস এম হায়দার বলেন, এই কয়দিন সরকারি ছুটির কারণে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সব কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, তবে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু থাকবে। এ সময় আমদানিকারকরা চাইলে তাদের আমদানি করা পণ্যের চালান বন্দর থেকে খালাস করে নিতে পারবেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, যেকোনো সরকারি ছুটিতে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম সব ধরনের সরকারি ছুটির আওতামুক্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের একজন রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ছুটি ব্যতিত দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন, পণ্যের পরীক্ষায়ণ ও শুল্কায়ণসহ অফিসিয়াল কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিদিন কাস্টমসের পাসপোর্ট ব্যাগেজ শাখায় পাসপোর্ট যাত্রীদের ট্রাভেল ট্যাক্স গ্রহণ কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। ট্রাভেল ট্যাক্স জমা দিয়ে যাত্রীরা প্রতিদিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
হিলি স্থলবন্দরে আজ বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি
কুষ্টিয়ায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পূর্ব শত্রুতার জেরে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা নাইফ আহমেদ তুষারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৫এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগর বাজারে প্রকাশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত নাইফ আহমেদ তুষার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ও গোলাপনগর কদমতলা এলাকার ৪নং ওয়ার্ড জাসদের সভাপতি রবিউল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক নাইফ আহমেদ তুষার গোলাপনগর বাজারে রাত ৮টার দিকে রবিউল নামের এক ব্যক্তির চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে শিশু হত্যার ১৩ বছর পর সৎ পিতার যাবজ্জীবন
এ সময় ১২ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল এসে চায়ের দোকানে সামনে থামে। প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল থেকে নেমে তুষারকে চায়ের দোকানের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এক পর্যায়ে তুষার দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পিছু ধাওয়া করে ধরে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে আবারও কুপাতে থাকে। স্থানীয়রা ছুটে আসলে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা চলে যায়।
ছাত্রলীগ নেতা নাইফ আহমেদ তুষারের পায়ে, হাতে, বুকে ও মাথাসহ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রামদার আঘাতের মারাত্মক জখম করা হয়েছে বলে তার স্বজন ও দলীয় নেতারা জানান।
পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তুষারের মৃত্যু হয় ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে কিশোর ভ্যানচালক হত্যা মামলায় ২ জন আটক
ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ বেনু বলেন, জানতে পেরেছি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান আলীর ফকিরাবাদ বাসভবনে ইফতার মাহফিল থেকে এসে এ হামলা চালিয়ে আবার সেখানেই ফিরে যায়।
তিনি বলেন, ‘আসামিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব। ঘটনার পর থেকে পুলিশ এলাকায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী পলাতক