খুলনা
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ‘ডাকাতির চেষ্টায়’ ৫ নিরাপত্তাকর্মী আহত
বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডে অস্ত্রধারী ডাকাত দল হামলা চালিয়েছে। হামলায় ২ জন আনসার সদস্যসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫০ থেকে ৬০ জনের দেশীয় অস্ত্রধারী একদল ডাকাত ওই হামলা চালায়। আহতদের মধ্যে ২ জনকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপর ৩ জনকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানান, ৫০ থেকে ৬০ জনের একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডি ব্লকে যেখানে যন্ত্রাংশ থাকে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় গেটে থাকা আনসার সদস্যরা তাদের বাঁধা দিলে তারা তাদের উপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
তিনি আরও জানান, আনসার সদস্যদের ডাকাডাকি ও চিৎকারে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটে আসেন। ডাকাত দল তাদের উপরেও হামলা চালায়। ডাকাতদের হামলায় ২ জন আনসার সদস্যসহ ৫ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হন।
উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, ডাকাত দল বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ ডাকাতি করার জন্য ডি ব্লকে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে রাত থেকে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খুলনা এবং রামপালে আহতদের চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ধরে এনে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: প্রয়োজনে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে যোগ দেবে সেনাবাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খুলনার সালাম জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনার রূপসায় সালাম জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ৭ ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টার পর বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ফায়ার ইউনিটের সমন্বিত ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস খুলনার সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানান তিনি। আগুন লাগার কারণ এবং হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
সালাম জুট মিলের ম্যানেজার বশির আহমেদ জানান, ৩ নম্বর গুদামে অবস্থিত একটি মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শর্ট সার্কিট হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে ২ ও ১ নম্বর গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: খুলনার রুপসায় সালাম জুট মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী এম এম এ সালাম বলেন, ৩টি গুদামে ৭৫০ টন উৎপাদিত পণ্য ছিল। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ১ লাখ টাকা। কাঁচাপাট ছিল ১ হাজার ৩০০ টন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পাটকলের শ্রমিকরা জানান, বিকালে হঠাৎ করে জুট মিলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা মো. আব্দুল কাদির বলেন, বিকাল ৫টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ৮টি ইউনিট পরে ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। রাত ৮টার পর মোট ১৬টি ইউনিট ও নৌবাহিনীর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ওষুধের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
জানা যায়, মিলটিতে প্রায় ৪০০ শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। ঈদের আগে আগুন লাগায় তাদের বেতন-বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
এই বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ করে মিলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের খুলনার বয়রা, রূপসা ও বাগেরহাটের ফকিরহাট থেকে ১৬ টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, আগুনে অনেক পাট পুড়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ডাম্পিং কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে তেলবাহী ট্যাংকার উল্টে আগুন লেগে নিহত ১, আহত ৮
খুলনার রুপসায় সালাম জুট মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
খুলনার রুপসায় বেসরকারি একটি পাটকলে (সালাম জুট মিল) আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জাবুসা এলাকায় অবস্থিত পাটকলটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন লাগার কারণ এবং হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা মো. আব্দুল কাদির বলেন, বিকাল ৫টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে বলেও জানান তিনি।
ঈদে ৫ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে টানা ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা পারাপার অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, আগামী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে দেশের বাড়িতে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার ঈদের ৩ দিন আগে পরে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোনো পণ্য খালাসও হবে না। অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে যাবেন। তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো পণ্যও খালাস নিবেন না।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে আজ বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি
দুই দেশের সিএন্ডএফ এজেন্ট ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে আগামী বুধবার থেকে শুক্রবার (১০, ১১, ১২ এপ্রিল), শনিবার (১৩ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি, রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের ছুটিসহ সব মিলিয়ে ৫ দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল বন্দর। সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের সব কার্যক্রম সচল হবে।
এদিকে টানা ছুটির কারণে সীমান্তের দুপাশের বন্দরে ট্রাকের জট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বেনাপোলের মতোই পেট্রাপোল বন্দরেও ট্রাকের জট রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জান বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।’
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম জানান, আগামী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল থেকে ঈদের ছুটিতে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে ও রাতে বন্দর এলাকায় টহল দেবেন। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানাকে বিষয়টি বলা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থকে যথারীতি এ বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ২ দিন
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
যশোরের বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাবু মিয়া (৩২) ও ডালিম হোসেন (৩২) নামে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতপুর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পের ওপারে ভারতে কালিয়ানী বিএসএফ ক্যাম্পের ওদিক থেকে গুলি আসলে বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রামের বাবু মিয়া ও ডালিম হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে বিজিবি সীমান্ত থেকে তাদের উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খুরশিদ আনোয়ার জানান, বাবু ও ডালিম নামে দুই বাংলাদেশি দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে মাদক আনার জন্য যায়।
এ সময় ভারতের কালিয়ানী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের ১৭/৭ এস এর ১৮২ আর পিলারের নিকটে ২৫ গজ ভারতের অভ্যন্তরে তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। এতে ডালিম ও বাবুর পা ও চোখ ক্ষতবিক্ষত হয়। সীমান্তে টহলে থাকা বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে এনে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে আটক দেখিয়ে তাদের হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
সুস্থ হলে তাদের থানায় সোপর্দ করবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাট সীমান্তে যুবক নিহত
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর
সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম শুরু
দেশে মধু সংগ্রহের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র সুন্দরবনে ২ মাসব্যাপী মধু আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে। যা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।
সোমবার (১ এপ্রিল) সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী প্রাইমারি স্কুল মাঠে মধু আহরণের মধ্যে দিয়ে মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আতাউল। এ সময় বন বিভাগের পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে আজ থেকে মধু আহরণ শুরু
এ বছর সুন্দরবন পশ্চিম ও পূর্ব বিভাগে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কুইন্টাল এবং মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫০ কুইন্টাল।
এছাড়া বিভিন্ন ফরেস্ট স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে মৌয়ালরা গভীর বনে প্রবেশ করেছেন মধু সংগ্রহ করতে।
এদিকে কয়রা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কাটকাটা, মঠবাড়ি, পাথরখালী, গড়িয়াবাড়ি, হরিহরপুর এবং সুন্দরবনের বানিয়াখালি, তেতুল তলা, ফুলতলা, সরদার ঘাট, নুয়ানি, ৪ নম্বর কয়রা, সিংগাসহ নানা স্থান থেকে পেশাদার মৌয়ালরা মধু সংগ্রহ করবেন। এছাড়া বনে এখন গরান, বাইন ও খলিশা ফুলের মধু পাওয়া যাবে।
বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সুন্দরবন থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ কেজি মধু ও মোম সংগ্রহ করা হয়। মধু ও মোম থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৪৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৩ টাকা।
এর মধ্যে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৫ কেজি মধু থেকে ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৩ টাকা এবং এক লাখ ৩৩ হাজার ৯০৫ কেজি মোম থেকে ১৩ লাখ ৩৯০ হাজার ৫০ টাকা রাজস্ব আয় হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মধু আহরণ শুরু
বন বিভাগের সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২২ সালে সুন্দরবনের মধু থেকে রাজস্ব আয় হয় ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং মোম থেকে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা। সে বছর সুন্দরবন থেকে ২ হাজার ৩২০ কুইন্টাল মধু ও ৬৯৬ কুইন্টাল মোম পাওয়া যায়।
২০২৩ সালের ১ হাজার ২২৫ কুইন্টাল মধু ও ৩৬৭ দশমিক পাঁচ কুইন্টাল মোম আহরণ করা হয়। আর এ থেকে ২৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা সরকারের রাজস্ব আসে।
খুলনায় পাঠাগারের গোডাউন থেকে কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
খুলনার হেলাতলা মোড়ে একটি পাঠাগারের গোডাউন থেকে কর্মচারী রফিকুলের গলায় রশি বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোডাউনের লোকজন রফিকুলের লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আদিবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে তামাক খেত থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহে ইটভাটার ট্রাক্টর চাপায় কলেজশিক্ষক নিহত
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ইটভাটার ট্রাক্টরের চাপায় পিষ্ট হয়ে রেজাউল করিম নামে এক কলেজশিক্ষক নিহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার কলাফোলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহত রেজাউল হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের মৃত গণি মোল্লার ছেলে। মল্লিক শহিদুল ইসলাম কারিগরি কলেজের শিক্ষক ছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালে উপজেলার যাদবপুর গ্রাম থেকে কলেজশিক্ষক রেজাউল করিম মোটরসাইকেলে সদর উপজেলার নগর বাথান বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি ট্রাক্টর চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা হয়েছে। গাড়িটি জব্দ করলেও চালক পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ট্রাকচাপায় নিহত ২
কামরাঙ্গীর চরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই
গ্রীষ্মকাল শুরু না হতেই চুয়াডাঙ্গায় সোমবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
সোমবার (১ এপ্রিল) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কাঠফাটা রোদে জনজীবন অতিষ্ঠ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কর্মজীবীরা, বিশেষ করে দিনমজুররা। পাকা রাস্তায় হাঁটার সময় তীব্র গরমে নাক-মুখ জ্বলছে। গতকাল বৃষ্টিপাত হলেও অসহ্য গরম থেকে মুক্তি পায়নি জেলাবাসী। ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়েছে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাতে
সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হলেও, তা রোদ উঠলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি করছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম বাতাস অনুভূত হচ্ছে। রাস্তায় চলাফেরা কমে গেছে মানুষের এবং মাথার উপর কোনো আচ্ছাদন দেওয়া ছাড়া হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না।
চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে রয়েছে দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও কৃষকেরা। তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছেন না কৃষক ও দিনমজুরেরা।
রিকশাচালক রহিম আলী বলেন, গরম পড়ায় রিকশা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এই কারণে সংসার খরচ মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে আবার রোজার মাস। মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় ভাড়া নেই বললেই চলে।
আখের রস বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, বছর জুড়ে আখের রস বিক্রি হলেও রোজা আসার পর তাপমাত্রা বাড়ায় এর চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। এমনিতেই পাড়া মহল্লায় আখের রসের ভালো চাহিদা রয়েছে। তার ওপর রোজা আসায় বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
শরবত বিক্রেতা জাফর মল্লিক বলেন, রোজার মাসে স্বাভাবিকভাবে অন্য সময়ের মতো শরবত বিক্রি হয় না। ইফতারির সময় সারাদিনের বিক্রি একবারে হয়ে যায়। তারপরও তাপমাত্রা বাড়ায় বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, এ সময়ে দেশের সর্বত্র মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু কয়েক দিন থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ কমে গেছে। গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হলেও তা রোদে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এতে করে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি করছে।
রকিবুল হাসান বলেন, সোমবার বিকালে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৫ বিভাগে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
অস্তিত্ব রক্ষায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
দর্শনা বন্দরে পৌঁছাল ১৬৫০ টন পেঁয়াজের প্রথম চালান
ভারত থেকে ৪২ ওয়াগনে আমদানি করা ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রথম চালান দর্শনা বন্দরে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি) এ মালামাল আমদানি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পেঁয়াজের এই চালানটি দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে এসে পৌঁছায়।
দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবির) ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি করেছিল। তার প্রথম চালানটি রবিবার সাড়ে ৫টার দিকে ভারত থেকে রেলপথের মাধ্যমে দর্শনা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
তিনি আরও বলেন, মোট ৪২টি ওয়াগনে প্রায় ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ওয়াগন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর থেকে ওই রাতেই সিরাজগঞ্জ বাজারে নেওয়া হবে।
তারপর ওয়াগন থেকে পেঁয়াজ খালাস করে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
দর্শনা পৌর মেয়র ও রেলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, সরকার বিশেষ করে রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে পেঁয়াজ নিয়ে বরাবরের মতো যেন কেউ গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, কেউ যেন চড়া দাম হাঁকিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে বিপুল অর্থ কামাতে না পারে, সেজন্যই সরকারের একটি সংস্থা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। তবে পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজের আরও চালান আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি, দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী