রাজশাহী
গোয়ালন্দে টিকা কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়
দেশব্যাপী করোনার গণ টিকাদান কার্যক্রম শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়েও এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলার সবকটি (চারটি) ইউনিয়নে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে টিকাদান।
আরও পড়ুনঃ সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু
সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় মানুষের ভিড়। প্রথম দিকে শৃঙ্খলা ছাড়াই নারী-পুরুষের জটলা তৈরি হয়। পরে স্থানীয়দের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তদারকিতে নারী, পুরুষ পৃথকভাবে লাইন ধরে দাঁড়ান। একটি লাইনে শুধু নারীরা ছিলেন। পুরুষ সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুটি লাইন করা হয়। তবে নিবন্ধন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। সার্ভার জটিলতার কারণে অনেকেই নিবন্ধন করতে পারছিলেন না। তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। তবে টিকা নেয়ার পর বিশ্রামের জন্য ছিল না কোন বিশেষ ব্যবস্থা।
টিকার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সহযোগিতা করছেন গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় গণ টিকাদান শুরু
বকারটিলা থেকে আসা প্রবীন নাগরিক আলমাছ সরদার বলেন, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন পর্যন্ত টিকার কার্ড সংগ্রহ করতে পারিনি। কিন্তু কতক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকা যায়। আমার মতো এরকম অনেকে লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছেন।
টিকা নিতে সাহেব আলী এসেছেন স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনকে নিয়ে। কিন্তু নিবন্ধন করতে না পারায় টিকা নিতে পারছিলেন না। সাহেব আলী বলেন, তিন দিন ধরে এস ঘুরে যাচ্ছি। বার বার বলছে সার্ভার জটিলতার কারণে নিবন্ধন করা যাচ্ছে না।
ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সুলতান উদ্দিন বলেন, সার্ভার সমস্যার কারণে আমরা অনেকের নিবন্ধন করতে পারছি না। আজ শনিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৫-৬ জনের মতো নিবন্ধন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে ৭ আগস্ট থেকে গণটিকাদান শুরু
উজানচরের নলিয়া পাড়া থেকে টিকা নিতে আসা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী মো. সৌরভ বলেন, বর্তমানে ছুটিতে বাড়ি আছি। যেহেতু বয়স ২৫ বছর পার হয়ে গেছে, তাই বাবাকে সাথে করে টিকা নিতে এসেছি। অহেতুক টিকা না নিয়ে এক ধরনের ঝুঁকির মধ্যে থাকা।
টিকা প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারী মো. রুবেল শেখ জানান, আমরা ৩০০ ভায়াল ডোজ হাতে পেয়েছি। আমরা ৬০০ জনকে টিকা প্রদান করতে পারব। এক্ষেত্রে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকা দেয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টার পর থেকে শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩২০ জনের মতো টিকা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। তবে ৬০০ জনকে দিকে যতক্ষণ পর্যন্ত সময় লাগে ততক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন বলে তিনি জানান।
গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের পাঁচ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করছেন। দলের সমন্বয়কারী এনামুল হক রাহাত বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে যারা নিবন্ধন করতে পারেননি তাদের জাতীয় ভোটার আইডি কার্ডের ভিত্তিতে হাতে কলমে নিবন্ধ করে টিকা গ্রহণে সহযোগিতা করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ বলেন, উপজেলার সবকটি (চারটি) ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে ৩০০ ভায়ালের মাধ্যমে ৬০০ জনকে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সার্ভার জটিলতার কারনে নিবন্ধন কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা ভোটার আইডি কার্ডের ভিত্তিতে হাতে লিখেই নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
করোনায় রামেক হাসপাতালে আরও ১২ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চার জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা গেছেন আরও তিনজন।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় আরও ৯ মৃত্যু
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৩ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৯ জন। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৪০৭ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ২০ জন।
আরও পড়ুন: স্বামীর মৃত্যু শোকে ডাক্তার, নার্সদের ছুরিঘাতের চেষ্টা
করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ২০৩ জন করোনা রোগী রয়েছেন। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ১৩৩ জন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলাতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭১ জন।
আক্রান্ত ও উপসর্গে রামেকে ১৫ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় পাঁচজন ও উপসর্গ নিয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা গেছেন আরও দুইজন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় ৩৬ মৃত্যু
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর আটজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও কুষ্টিয়ায় একজন করে এবং নাটোর ও পাবনার দুই জন করে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৭ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৪ জন। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৪০৩ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৯ জন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিভাগে একদিনে ২৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৬২৪
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে ১৮২ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১৪২ জন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসাধীন ৭৯ জন।
রামেক হাসপাতালে আরও ১৭ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে আরও আট জন মারা গেছেন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা গেছেন আরও তিন জন।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ৩৪ প্রাণহানি
বৃহস্পতিবার সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এক প্রতিবেদনে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচ জন, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন জন করে, নাটোরের চার এবং নওগাঁ ও কুষ্টিয়ার একজন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে নয় জন পুরুষ ও আটজন নারী। নয় জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে চার জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুই জন ও ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে দুজন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৩৯ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৬ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৩৯১ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ২০ জন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩২
করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ১৮৮ জনের করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১২৬ জন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলাতায় চিকিৎসাধীন ৭৭ জন।
করোনায় রামেকে আরও ১৪ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আটজন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা গেছেন আরও দুইজন।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে এই ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ১৯ কোটি ৯৫ লাখের অধিক
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, এক দিনে মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে রাজশাহীর চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের চারজন, নওগাঁর তিনজন, কুষ্টিয়ার একজন ও চুয়াডাঙ্গার একজন। এদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও আটজন নারী।
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে করোনা উপসর্গে দুপুরে মা, সন্ধ্যায় ছেলের মৃত্যু
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৮ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩০ জন। বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছে ৪০২ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৯ জন।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ৭ মৃত্যু
করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ১৮৮ জনের করোনা পজেটিভ রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৩৫ জন,যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলাতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৯ জন।
রামেকের করোনা ইউনিটে ১৯ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় সাতজন ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১১ জন মারা গেছেন। সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে এই ১৯ জনের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর সাতজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন, নাটোরের পাঁচজন, নওগাঁর দুজন ও পাবনার একজন। এদের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৭ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩০ জন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছে ৩৯২ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৯ জন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনা: বেশি ঝুঁকিতে বয়স্করা
বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়াল
ফরিদপুর মেডিকেলের আইসিইউতে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ১৭৩ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১৪৭ জন, যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলাতায় চিকিৎসাধীন ৭২ জন।
রামেক হাসপাতালে ১৮ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় ছয় জন এবং উপসর্গ নিয়ে সাত জন মারা গেছেন। এছাড়া করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা গেছে আরও পাঁচজন।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টার মধ্যে হাসাপাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়
আরও পড়ুন: আক্রান্ত ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় ১৮ মৃত্যু
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর ছয় জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়ার এক জন করে, নাটোরের চার এবং নওগাঁর ও পাবনার তিন জন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও সাত জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৫৩ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৬ জন।
রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছে ৪১৮ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৮ জন।
ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে ১৯৫ জনের করোনা পজেটিভ ও ১৬০ জনের উপসর্গ রয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলাতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৩ জন।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনা ও উপসর্গে ১৩ মৃত্যু
হাসপাতাল পরিচালক আরও জানান, শনিবার দু’টি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত
পাবনায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। পাবনা-কাশিনাথপুর মহাসড়কের দাড়িয়াপুর নামক এলাকায় শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পাবনা থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা কাশিনাথপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথে দ্বারিয়াপুর নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নছিমনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
আহত দুইজনের মধ্যে একজনকে কাশিনাথপুর ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপরজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। হতাহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রাকচাপায় বাবা-মেয়ে নিহত
পাবনা ও বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
রামেকে করোনা ও উপসর্গে ১৩ মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এক দিনে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে সাত জন করোনা উপসর্গ নিয়ে এবং পাঁচ জন করোনায় মারা যায়। এছাড়া করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় আরও একজন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে রামেকের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: কুষ্টিয়ায় আরও ৮ মৃত্যু
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর ছয়জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক, নাটোর ও নওগাঁয় তিন জন করে রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি জুলাই মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৫৩ জনে।
এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ১৭৯ জন। আর শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩৬ জন। বাকি ৩৮ জন মারা যান করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায়।
আরও পড়ুন: করোনা : শাবির ল্যাবে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৬৫ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫০ জন। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছে ৪২৫ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ২০ জন।
জয়পুরহাটে স্ত্রীকে ‘হত্যার’ পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
পারিবারিক কলহের জেরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা চেষ্টা করে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জেলার আক্কেলপুর উপজেলার পৌর শহরের শাহমখদুম সাজিপাড়া এলাকায় শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হালিমা খাতুন তিন সন্তানের জননী। তার স্বামী আলী আকবর পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার ভোরে শাহমখদুম সাজিপাড়া-আলেকের মোড় এলাকায় আলী আকবর তার স্ত্রী হালিমা খাতুনকে নিজ বাড়ির শোবার ঘরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে পাশের ঘরে গিয়ে সে (আলী) বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের তিন সন্তান আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল।
ওসি জানান, সকালে প্রতিবেশিরা ঘটনাটি টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে আলী আকবরকে সঙ্গাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আলী আকবরকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ময়নাতদন্তের জন্য হালিমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।