সিলেট
জন্ম মৌলভীবাজারে পরিচয়পত্রে ‘ভেনিজুয়েলা ’
মৌলভীবাজার জেলার অন্তত ১২ জন স্থায়ী বাসিন্দাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) তাদের জন্মস্থান দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রবাসে ও দেশের বসবাসরত অনেকেই তাদের পুরনো জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো না কোনো ধরনের ভুল সংশোধন করতে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেয়ার পর নতুন করে হাস্যকর এই ভুলটি তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর গ্রামের রোমানা বেগম রবিবার ইউএনবি বলেন, জন্ম হল মৌলভীবাজার কিন্তু নাগরিক হয়ে গেলাম আমেরিকা নাকি ভেনেজুয়েলার। ভেনেজুয়েলা যে একটা দেশ সেটা তিনি জানতেন না।
রোমানা বলেন, তার নামের দ্বিতীয় অংশ 'বেগম' হলেও আগে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে 'আক্তার' লেখা হয়েছে। সেটি সংশোধন করতে মে মাসে এনআইডি কার্ড জমা দিয়েছিলেন, তার পরিবর্তে এখন তিনি আরও গুরুতর ভুলসহ কার্ডটি হাতে পেয়েছেন।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম সাদিকুর রহহমান জানান, নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় সার্ভারে ত্রুটির কারণে এ ভুল হয়েছে। এ ব্যাপারে ইসিকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাস্তবে জীবিত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা মৃত!
ইসির সার্ভারে কারিগরি ত্রুটির কারণে সম্প্রতি সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার এনআইডিতে একই ধরনের ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস। ইসি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।
সিলেটে বাসের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর পরিবহন বাসের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাসের চালককে আটক করেছে। বর্তমানে নিহতদের লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুর বারোটার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের বহরঘাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম খান।পুলিশ জানায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খাইতগ্রামের রইছ মিয়ার স্ত্রী দুলভী বেগম (৪০) ও তার সন্তান সিদ্দিকুর রহমান (১২) সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন মেঘেরগাঁও-এ যাচ্ছিলেন। রাস্তা পারাপারের সময় সাদাপাথর পরিবহনের একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তারা গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। তবে হাসপাতালে পৌঁছার পর চিকিৎসক মা-ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তাদের লাশ ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসক নিহত
বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১৫
শাবিপ্রবিতে নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে নিহত হওয়া শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের সঙ্গে থাকা নারী বন্ধুকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে দুর্ঘটনাস্থল গাজী কালুর টিলা জায়গায় ওই নারীকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার আনুমানিক বিকাল সাড়ে চারটায় নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল থেকে ওই ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পুলিশ বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিলোরোডের যাত্রী ছাউনী থেকে উদ্ধার করে তাকে।
বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের বরাতে নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের সূত্রে জানা গেছে, বিকাল চারটার দিকে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালে তিনি তার রুম থেকে বের হন। দীর্ঘ সময় রুমে ফিরে না আসায় তার রুমে থাকা সহপাঠীরা আশেপাশে খুঁজে না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানালে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখা যায় তিনি এক ছেলের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেছেন ও খতিয়ে দেখতে পুলিশকে অবগত করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম এবং সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের 'নিউজিল্যান্ড' নামক টিলায় ঘুরতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মারা যান লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তবে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আটক ৩
ঈদে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের প্রীতিভোজ আয়োজন
সিলেটে বাড়ি থেকে ৫ প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, ২ জনের মৃত্যু
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তাজপুর বাজারের মঙ্গলচন্ডি রোডের একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত দুজন হলেন- রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে মাহিকুল ইসলাম (১৬)। আর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), তার ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) ও মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই ওই পাঁচজনের পরিবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন। ছয় দিন ঢাকায় অবস্থানের পর ১৮ জুলাই তারা তাজপুরের ওই বাসা ভাড়া নেন। মঙ্গলবার সকালে
অচেতন অবস্থায় ওই বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে বাবা ও ছেলে মারা যান। মা, মেয়ে ও আরেক ছেলে আইসিইউতে আছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সিলেটে নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সিলেটে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবি: স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী নিখোঁজ
সিলেটের গোয়াইনঘাটে নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের চেঙেরখাল নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় খেয়া নৌকা ডুবে স্ত্রী মৃত্যু স্বামী নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া তাদের শিশুসন্তান রুহুল আমিনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটার পর চার জনকে আটক করে পুলিশ। তবে তাদের নাম পরিচয় জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মৃত হায়ারুন বেগম (৪৫) গোয়াইনঘাট উপজেলার হাতিরকান্দি গ্রামের ৬৫ বছরের আনফর আলী বাদু স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নৌকাডুবি: ছেলে-ভাতিজা উদ্ধার করে নিখোঁজ হলেন হযরত আলী
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকাল ৪টার দিকে আনফর আলী বাদু ও হায়ারুন বেগম তাদের শিশুসন্তান রুহুল আমিনকে নিয়ে চেঙ্গের খাল নদীর খেয়া পার হচ্ছিলেন। এ সময় গোয়াইনঘাটগামী একটি বালুবাহী বাল্কহেড নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে গিয়ে ওই তিনযাত্রী নদীতে পরে যান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর হায়ারুন বেগমের লাশ ও শিশু রুহুল আমিনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে নিখোঁজ আনফর আলীকে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে সাম্পান উল্টে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে। অপর নিখোঁজ বৃদ্ধের সন্ধানে মঙ্গলবার ভোর থেকে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
এই ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
সিলেট নগরীর বিভিন্ন অংশে প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ রবিবার লোডশেডিংয়ের একটি নতুন সময়সূচী প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যায়, সিলেট নগরীর কিছু এলাকায় দিনে ১৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে না।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকার গত ১৯ জুলাই থেকে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং কার্যকর করেছে।
সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট পিডিবি সিলেট নগরী এলাকায় প্রতিদিন চার ঘণ্টা (সকালে দুই ঘণ্টা, সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টা) লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু, সিলেট নগরবাসী প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছে।
চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ অর্ধেকেরও কম থাকায় সিডিউল বহাল রাখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিলেটের গ্রাম এলাকাগুলোতে দিনে মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সিলেট পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, সিলেট নগরীর পাঁচটি বিদ্যুৎ বিভাগে রবিবার বিকালে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২০০ মেগাওয়াট। কিন্তু, তারা মাত্র ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছে।
কাদির বলেন, ‘বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং হচ্ছে।’
আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন কাদির।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লোডশেডিং অধিকাংশ বিতরণ সংস্থার
দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু
সুনামগঞ্জে কবরস্থান থেকে নবজাতক উদ্ধার
সুনামগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে ইব্রাহিমপুরের একটি কবরস্থান থেকে একটি নবজাতক শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নবজাতকের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওই এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমরা কান্নার শব্দ শুনে কবরস্থানে নবজাতককে দেখতে পাই। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে উদ্ধার করি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন জানান, শিশুটিকে বড় করতে পারলে তিনি বেশি খুশি হবেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা করা হচ্ছে।’
সুনামগঞ্জ সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল আহম্মদ জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের টয়লেটের পাইপ ভেঙে নবজাতক উদ্ধার!
চলন্ত ট্রেনে নবজাতকের জন্ম
ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, যুবক গ্রেপ্তার
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ধর্ষণের শিকার এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রীর বোন বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আল আমিন (২৫) দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শৈষ্যউরা গ্রামের মৃত আয়না মিয়ার ছেলে।
দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা হয়। মামলার পর রাতেই অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নাটোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ছাত্রীরা পাঁচ ভাই-বোন। মা-বাবা ও ধষর্ণের শিকার স্কুলছাত্রীসহ পরিবারের ছয় জন প্রতিবন্ধী। তার এক বোনের (মামলার বাদী) আয়ে তাদের সংসার চলে। ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ওই বিদ্যালয়ের অস্থায়ী দপ্তরির দায়িত্বে আছেন। প্রায় সাত মাস আগে বিদ্যালয় ছুটির পর ওই যুবক একদিন বিকালে ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এরপর এভাবে আরও আট দিন ধর্ষণ করেন এবং কাউকে না বলার জন্য মেয়েটিকে হুমকি ও ভয় দেখান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
এজাহারে আরও বলা হয়, গত ৬ জুলাই চলাফেরা ও শারীরিক অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এরপর তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে গত ১৫ জুলাই মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন স্বজনরা।
বিদেশে যাওয়া হলো না তার, ছেলের সঙ্গে গেলেন না ফেরার দেশে!
আগামী রবিবার বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল ইউসুফ আলীর (৫৫)। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে নবীগঞ্জ উপজেলার কান্দিগাঁওয়ে পিকআপের চাপায় ইউসুফ আলী ও তার ছেলে মোহাম্মদ আলীর (৫) মৃত্যুতে সবকিছুই উলট পালট হয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে কান্দিগাঁও গ্রামের ইউসুফ আলী তাঁর একমাত্র সন্তান মোহাম্মদ আলীকে মহাসড়কের পাশে একটি দোকান থেকে বিস্কুট কিনে দেন। শিশু মোহাম্মদ আলী দৌঁড়ে মহাসড়ক পারাপারের চেষ্টা করলে ছেলেকে বাঁচাতে দৌঁড়ে যান বাবা ইউসুফ আলী। এ সময় সিলেটগামী একটি দ্রুতগতির পিকআপের চাপায় মাথা থেঁতলে ঘটনাস্থলেই শিশু মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত ইউসুফ আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তিনি মারা যান।
দুর্ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় লোকজন। এতে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
গজনাইপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়াডের্র মেম্বার জাহেদ আহমেদ চৌধুরী জানান- আগামী রবিবার (২৪ জুলাই) ইউসুফ আলীর ব্রুনাইয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চন্দ্র দেব দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পিকআপটি পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সিলেটের একটি মেস থেকে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার রাত ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমার বড়ইকান্দি এলাকার মেসের কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সজিব হোসেন (১৯) পাবনা জেলার খাগরবাড়ি এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদী থেকে সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান জানান, বড়ইকান্দি এলাকার হাজী সিকান্দার ছাত্রাবাসের রুম নং ১২ কক্ষে থাকতেন সজিব। রাত ৯টার দিকে সহপাঠীরা তাকে কক্ষে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিখোঁজের ৭ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।