বৈদেশিক-সম্পর্ক
ঢাকায় চীনা বিশেষ দূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত
এশীয় বিষয়ক চীনের বিশেষ দূত দেং সিজুন ঢাকায় দুটি পৃথক বৈঠক করেছেন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি তার দ্বিতীয় সফর এবং তিনি সোমবার (৩১ জুলাই) ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন।
এবার বাংলাদেশে আসার আগে চীনের বিশেষ দূত মিয়ানমার সফর করেছেন। মঙ্গলবার তার ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে।
তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা বা স্বয়ং পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এখন পর্যন্ত জিজুনের সফর সম্পর্কে কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন: ঝিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবির নেই, বিদেশি গণমাধ্যমসহ সবার জন্য উন্মুক্ত: চীন
এপ্রিলের শুরুতে চীনের বিশেষ দূতের সঙ্গে বৈঠকের পর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে শুরু করবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তার আশা পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে অনেকেই কাজ করছেন। ‘আমার বলা উচিত তারা (চীন) একটি খুব ভাল উদ্যোগ নিয়েছে এবং তারা সেই অনুযায়ী কাজ করছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য অতীতে দুবার চেষ্টা করা হলেও দুটিই ব্যর্থ হয়েছে।
মোমেন বলেন, চীনা পক্ষ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার সুযোগ দেয় এবং আশা প্রকাশ করে যে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন: চীনের ঝিনজিয়াংয়ে 'বন্দিশিবিরের' দাবি ভিত্তিহীন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলকে অঞ্চলটির বৃহত্তম মসজিদের ইমাম
ঢাকা-বেইজিং কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই, পালকি পাঠিয়ে কাউকে আনতে পারব না: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে, চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ উভয়ই নিয়ে আসছে।
সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সঙ্গে নতুন নতুন সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলো সমানভাবে পরিশ্রম করে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলোও সুযোগ নিয়ে আসে।’
কংগ্রেসের ১৪ সদস্যের জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে সাম্প্রতিক চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেও এ ধরনের ‘উদ্দেশ্যমূলক’ চিঠি আসতেই থাকবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশের গঠনমূলক সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং তাদের যেসব ক্ষেত্রে উদ্বেগ রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন।
যারা এই ধরনের চিঠি লিখছে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলো তাদেরকে খুঁজে বের করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘আপনি যেতে পারেন এবং একজন রাজনীতিবিদকেও লিখতে পারেন যে আপনার পদোন্নতি আটকে গেছে।’
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন অবমাননা নিয়ে বাংলাদেশ ও সুইডেনের আলোচনা
আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু পালকি পাঠিয়ে কাউকে আনতে পারব না।
সাম্প্রতিক ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একদল লোক হামলা চালিয়েছে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগকে আমলে না নিয়ে গণমাধ্যমে যৌথ বিবৃতি দেওয়া কূটনৈতিক নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমান নেতৃত্ব অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও দৃঢ়।
আরও পড়ুন: দেশীয় কোম্পানির জন্য আন্তর্জাতিক মানের অ্যাওয়ার্ড চালু
দেশীয় কোম্পানির জন্য আন্তর্জাতিক মানের অ্যাওয়ার্ড চালু
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্তরের কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড চালু করল বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম)।
রবিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা কনফারেন্স হলে এই অ্যাওয়ার্ড লঞ্চিং অনুষ্ঠিত হয়। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত কোয়ালিটিগুরু, ভোক্তা তুষ্টি মডেলের (কানো মডেল) প্রবক্তা অধ্যাপক ড. নরিয়াকি কানো। সভাপতিত্ব করেন বিএসটিকিউএমের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আর কবির।
ড. কানোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে চালু হওয়া এই পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে- কানো-বিএসটিকিউএম কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড (কেবিকিউএ)।
পুরস্কারের প্রচার, পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠার জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এহসানুল হককে চেয়ারম্যান করে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান, বিজয়ী জিম্বাবুয়ের প্রতিষ্ঠানকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিবাদন
কেবিকিউএ জাপানের ডেমিং অ্যাওয়ার্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যালকম বালড্রিজ অ্যাওয়ার্ডের মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
ড. নরিয়াকি কানো বলেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই 'ফলাফল' এবং 'প্রভাব' বুঝতে হবে। ফলাফল যেকোনো ক্ষেত্রে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয়। টিকিউএম প্রভাব অর্জনের মাধ্যমে ফলাফল উপলব্ধি করতে চায়। জাপানে ডেমিং প্রাইজ টিকিউএমের মাধ্যমে ফলাফলের মূল্যায়ন করে, শুধু ফলাফল বিবেচনা করে না। টিকিউএম চর্চা না করে কেউ যদি ভালো ফলাফলও পায়, তারপরও সে ডেমিং প্রাইজ পাবে না।’’
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'যেকোনো ব্যবসার জন্য টিকিউএম চর্চা ও প্রচার করা উচিত। পুরস্কারপ্রাপ্তি টিকিউএম চর্চা ও প্রচারের জন্য একটি অনুঘটক মাত্র।'
কেবিকিউএ-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরে, কেবিকিউএ জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য প্রকৌশলী এএমএম খায়রুল বাশার বলেন ‘কানো-বিএসটিকিউএম কোয়ালিটি অ্যাওয়ার্ড দেশের শিল্প ও সেবা খাতে কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: হামদ-নাত প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ জনের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান
দেশে প্রথমবারের মতো ৮ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে দেওয়া হবে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’: বাণিজ্যমন্ত্রী
পবিত্র কোরআন অবমাননা নিয়ে বাংলাদেশ ও সুইডেনের আলোচনা
সাম্প্রতিক সময়ে সুইডেনে পবিত্র কোরআনের কপি পুড়িয়ে ফেলার পুনরাবৃত্তির ঘটনায় বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার সুইডেনের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের সময় এ উদ্বেগের কথা জানান। তিনি এই বিষয়ে সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রোমের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন।
যেকোনো পরিস্থিতিতে পবিত্র কুরআনের অবমাননা ও পুড়িয়ে ফেলার মতো ঘটনায় বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা করে বলে জানান মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের অযৌক্তিক উস্কানি বন্ধ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
সুইডেনকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ করে মোমেন আশা প্রকাশ করেন, সুইডেনে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ আর হবে না।
সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যেকোনো ইসলামবিরোধী কাজের নিন্দা জানায় সুইডিশ সরকার।
তিনি বলেন, পবিত্র কোরআন বা অন্য কোনো ধর্মগ্রন্থের অবমাননা একটি আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কাজ।
তিনি বলেন, যে সুইডেনের সরকারি সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী, সুইডিশ পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের অনুমতি দেয়। তবে এটি পবিত্র কুরআন বা অন্য কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেয় না।
সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে এবং বলেন, ধর্মের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং বিক্ষোভের স্বাধীনতার সুইডিশদের সাংবিধানিক অধিকার। ধর্মের পবিত্র মূল্যবোধের অবমাননা করা স্বাধীনতার অপব্যবহার।
তিনি আরও বলেন, সুইডিশ বিচারমন্ত্রী সাম্প্রতিক ঘটনার আলোকে পাবলিক অর্ডার অ্যাক্টের একটি বিশ্লেষণ শুরু করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন ও পালন করে।
সুইডিশ কর্তৃপক্ষ সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সুইডিশ মন্ত্রী বাংলাদেশি সমাজকে সহনশীল বলে অভিহিত করেন এবং বাংলাদেশে বিরাজমান ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রশংসা করেন।
দেশের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করবে।
তিনি সুইডেনকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ করেন। সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুইডেনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানানোর আশ্বাস দেন।
৪ দিনের শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে ইতালির নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে ইতালির নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইটিএস মোরোসিনি।
রবিবার (৩০ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছালে চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন ফয়েজ জাহাজটিকে স্বাগত জানান।
এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদক দল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করে।
জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা।
এর আগে সফরকারী জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘প্রত্যাশা’ অভ্যর্থনা জানায়।
আইএসপিআর আরও জানায়, সফররত জাহাজটিতে ১৩০ জন কর্মকর্তা ও নাবিক রয়েছেন। ১৪৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ইতালিয়ান এই জাহাজটির অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন কমান্ডার জিওভান্নি মন্নো।
আরও পড়ুন: ‘মাইলেজ’ জটিলতায় চট্টগ্রাম থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ
বাংলাদেশে অবস্থানকালীন জাহাজটির অধিনায়ক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চলের কমান্ডার, বিএন ফ্লিটের কমান্ডার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা এবং নাবিকরা বানৌজা ঈসা খান, বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমি, নৌবাহিনীর সমর কৌশল-বিষয়ক প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিস’ (এসএমডব্লিউটি), বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘বিএন আশার আলো’ স্কুল, বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন।
ইতালিয়ান নৌবাহিনীর এ জাহাজের সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে
শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি আগামী ২ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
আরও পড়ুন: ১৮ দিন উৎপাদন বন্ধের পর অবশেষে জ্বালানি নিয়ে পায়রা বন্দরে জাহাজ ভিড়েছে
রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
জ্বালানি দক্ষতার উন্নতি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক
জ্বালানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এর মধ্যে রয়েছে আবাসিক ও শিল্প গ্রাহকদের জন্য প্রি-পেইড মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ, চূড়ান্ত ব্যবহারে দক্ষতা উন্নত করতে এবং মিথেনের নির্গমন কমানো।
গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে প্রাকৃতিক গ্যাস লিকেজ ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করবে ‘দ্য গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড কার্বন অ্যাবেটমেন্ট প্রজেক্ট’। পাশাপাশি এ প্রকল্প আবাসিক ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহারকারীদের ব্যবহারে অপচয় হ্রাস করবে এবং পুরো নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা জোরদার করবে।
শুক্রবার বিশ্বব্যাপী ঋণ প্রদানকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে ১২ লাখের বেশি প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ৮৫৮ মিলিয়ন ডলার তহবিল পাচ্ছে
এর মধ্যে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৫৪ শতাংশ আবাসিক গ্রাহকের জন্য বৃহত্তর ঢাকায় ১১ লাখ প্রিপেইড মিটার এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) সমগ্র আবাসিক গ্রাহক যারা রাজশাহী বিভাগে রয়েছে তাদের ১ লাখ ২৮ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে।
এটি শিল্প খাতে গ্যাসের ব্যবহার আরও ভালোভাবে নিরীক্ষণ ও পরিচালনা করার জন্য স্মার্ট মিটারের কার্যকারিতা প্রদর্শনের লক্ষ্যে বৃহত্তর শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের কাছে প্রায় ৫০টি স্মার্ট মিটার চালু করবে।
প্রকল্পটি গ্যাস প্রবাহ পর্যবেক্ষণ উন্নত করতে ও মিথেনের নির্গমন কমাতে সহায়তা করার জন্য পিজিসিএল নেটওয়ার্কে একটি সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন (এসসিএডিএ) এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম চালু করবে।
তারা মিথেন লিক শনাক্ত করতে ও মেরামতের জন্য গ্যাস নেটওয়ার্কে আরও ভালো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাইরের চাপের মুখে বাংলাদেশের সতর্ক সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন: বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসে ২০২১ সালের ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স (এনডিসি) অর্জনে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি দক্ষতা উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি পরিবার ও শিল্পক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় হ্রাস ও গ্যাস পাইপলাইনগুলোতে মিথেন নির্গমন হ্রাস করতে সহায়তা করবে, যা প্রায়ই গ্যাস উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সঞ্চালন ও বিতরণ থেকে লিকের কারণে ঘটে।’
২০২১ সালে দেশের প্রাথমিক জ্বালানি ব্যবহারের ৬৮ শতাংশ ছিল প্রাকৃতিক গ্যাস।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনার্জি স্পেশালিস্ট ও প্রকল্পের টিম লিডার সামেহ আই মোবারেক বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের সবচেয়ে বড় উৎস তেল ও গ্যাস খাত থেকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার এবং উন্নত মনিটরিং সিস্টেমগুলো প্রাকৃতিক গ্যাসের চূড়ান্ত ব্যবহারকে কমাতে, মিথেন লিকেজ হ্রাস করতে এবং পরিবার এবং শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের জন্য কম গ্যাস বিলের দিকে পরিচালিত করতে সহায়তা করবে।’
প্রকল্পটি প্রাকৃতিক গ্যাসের ভেল্যু চেইনে কার্বন ডাই অক্সাইড ও মিথেন নির্গমন উৎসগুলো শনাক্ত করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে এবং বিদ্যমান সুবিধা ও অবকাঠামোতে নির্গমন হ্রাস করার সুযোগ শনাক্তে অগ্রাধিকার দেবে।
এটি জ্বালানি ভেল্যু চেইনে টেকসই কার্বন হ্রাসের জন্য নির্গমন পর্যবেক্ষণ, রিপোর্টিং ও যাচাইকরণ (এমআরভি) প্রোটোকল এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো বিকাশে সহায়তা করবে যা এরপরে সরকারি ও বেসরকারি জলবায়ু অর্থায়নের সঙ্গে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান, সুদমুক্ত ও রেয়াতি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্তমানে ৫৩টি চলমান প্রকল্পে ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) প্রোগ্রাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৫ বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে ৫ গুণ: বিশ্বব্যাংক
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারি বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইয়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য স্থায়ী শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ফিলিস্তিন প্রশ্নসহ মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্কে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওআইসি।
রাষ্ট্রদূত মুহিত জেনিন শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি আগ্রাসন বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আগ্রাসনের নিন্দা জানান। তিনি আরও বলেন, এই আগ্রাসন বৃদ্ধির ফলে নারী ও শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক হতাহতের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচার ব্যবস্থার আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ইসরায়েলিরা
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের আগ্রাসন শুধু ফিলিস্তিনিদের মৌলিক মানবাধিকারই লঙ্ঘন করে না, বরং অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। একই সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা কেড়ে নেয় এবং তাদের মানবিক মর্যাদার মারাত্মক অবমাননা করে।
মুহিত এসব কর্মকাণ্ডের জন্য জরুরি জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন। জবাবদিহির অভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ ধরনের কাজ করতে উৎসাহ পাচ্ছে ইসরায়েল।
ওআইসি'র পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সব ধরনের বসতি স্থাপন কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপরাধের পূর্ণ, স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের দাবিও জানান মুহিত।
আরও পড়ুন: আল-আকসায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৫০ ফিলিস্তিনি আহত
তিনি নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালা ৯০৪ (১৯৯৪) এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের সুরক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিবের ২০১৮ সালের রিপোর্টে দেওয়া সুপারিশসহ আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষায় ওআইসির জরুরি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
ওআইসি'র অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি মুহিত ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অটল ও অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি একটি স্বাধীন, টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষার ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধান অর্জনে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত ইসরায়েলি নজরদারি প্রযুক্তি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের ভয়ঙ্কর হাতিয়ার: টিআইবি
কাঁটাতার ছিঁড়তে পারেনি নাড়ির বন্ধন: কলকাতায় তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কাঁটাতার বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে বিভক্ত করলেও, আমাদের হৃদয় ও নাড়ির বন্ধন ছিন্ন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, একই মাটির গন্ধ, একই নদীর জল, একই পাখির কলতান, একই মেঘমালার বৃষ্টি, একই সংস্কৃতিতে আমাদের জীবন।
দক্ষিণ কলকাতার নন্দন-১ প্রেক্ষাগৃহে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় পঞ্চম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় দুই বাংলার চলচ্চিত্রকারেরা একসঙ্গে কাজ করলে বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্ব অঙ্গন দখল করবে, এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের সুচনা।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র এমন একটা মাধ্যম যা দেখে শত শত বছরের আগের অবস্থা জানা যায়, আবার ভবিষ্যতের ছবিও আঁকা যায়।
সবার সহযোগিতায় বিগত বছরগুলোতে কলকাতায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব যেমন সফলতা পেয়েছে, এ বছরও তেমনি পাবে, আশাপ্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিদ্যালয় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাত্য বসু বলেন, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি আলাদা নয়। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি এটা দুই বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব। পঞ্চম বর্ষেও নিশ্চয়ই উৎসবের সিনেমা পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আকৃষ্ট করবে। আমরাও চাই কলকাতার ছবি নিয়ে বাংলাদেশে উৎসব হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে কথাবার্তা চলছে।
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, অভিনেত্রী পূর্ণিমা, অরুণা বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, গায়ক রূপঙ্কর বাগচী, প্রিয়াঙ্কা গোপ প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের আয়োজনে সেখানকার ঐতিহাসিক নন্দন-১ ও ২ প্রেক্ষাগৃহে ২৯ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত উৎসবে হাসিনা -আ ডটার'স টেল, জেকে-১৯৭১, বীরকন্যা প্রীতিলতা, লালশাড়ি, গেরিলা, দামাল, পরাণ, গুণিনসহ মোট ২৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিক অপরাধ থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করুন: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকায় আজকের সমাবেশ: গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই, পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকায় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক সমাবেশের আগে যুক্তরাষ্ট্র পুনর্ব্যক্ত করেছে যে গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।
বৃহস্পতিবার(২৭ জুলাই) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমি পুনর্ব্যক্ত করব যে গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনও স্থান নেই। আমাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে নেই।’
তিনি বলেন, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকারের উন্নয়নে ঢাকার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ইইউ,বলছে সরকারি সূত্র
প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে এই প্রচেষ্টায় রাজনৈতিক সহিংসতার কোন স্থান বা স্থান নেই।’
আরও পড়ুন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
ঝিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবির নেই, বিদেশি গণমাধ্যমসহ সবার জন্য উন্মুক্ত: চীন
পশ্চিমা গণমাধ্যমসহ সবার জন্য ঝিনজিয়াং উন্মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা। সেখানকার পরিস্থিতি দেখতে আগ্রহী এমন যে কাউকে সাদরে গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ঝিনজিয়াং পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমহাপরিচালক ঝ্যাং হুয়াঝং সাম্প্রতিক সফরের সময় এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনবিকে বলেন, ‘ঝিনজিয়াংয়ের দরজা পশ্চিমা গণমাধ্যমসহ সবার জন্য উন্মুক্ত।’
তিনি বলেন, তারা চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঝিনজিয়াং সম্পর্কে ‘আরও বিস্তৃত ও বস্তুনিষ্ঠ’ প্রতিবেদন দেখতে চান।
তাদের একটি ‘মুক্ত ও সম্যক’ মনোভাব রয়েছে উল্লেখ করে ঝ্যাং বলেন, ‘এখানে কোনো বন্দিশিবির নেই। এখানে সবাই সশরীরে এসে দেখতে পারেন। আপনারা (বাংলাদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধি দল) আমাদের দৈনন্দিন জীবন দেখেছেন। ‘বন্দিশিবির’ এর মতো শব্দের ব্যবহার করা একেবারেই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নয়।’
তিনি বলেন, ঝিনজিয়াংয়ের মানুষ সুখী জীবনযাপন করছে এবং এই অঞ্চল সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণে ২ দেশের ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক উন্নয়নে মনোনিবেশ অব্যাহত রাখা উচিত।
চীনা সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উভয় দেশ একই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বেঁচে থাকার অধিকার, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা হলো মূল মানবাধিকার।’
আরও পড়ুন: চীনের ঝিনজিয়াংয়ে 'বন্দিশিবিরের' দাবি ভিত্তিহীন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলকে অঞ্চলটির বৃহত্তম মসজিদের ইমাম
তিনি বলেন, তারা উন্নয়ন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চান এবং জাতীয় স্থিতিশীলতা ও জনগণের কল্যাণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঝিনজিয়াং প্রদেশের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কর্মকর্তারা ১০ সদস্যের বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলের কাছে এসব কথা বলেন। এই প্রতিনিধি দলের সপ্তাহব্যাপী সফরের ইতি টানার আগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চীনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপ করেন- ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের উপমহাপরিচালক ইয়ান নাইমিন, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সাহিত্য ফেডারেশনের সহসভাপতি উইলিজান ইয়াকুব, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নারী ফেডারেশনের সভাপতি আয়নুর মাহসেত, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জাতিগতবিষয়ক উপমহাপরিচালক (ধর্মবিষয়ক ব্যুরো) লি জিয়াং, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কমিশনের উপমহাপরিচালক ইউ মিপিং, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সিপিসির ইউনাইটেড ফ্রন্ট ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টের ধর্মবিষয়ক বিভাগের পরিচালক চু জিয়ান, ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন ব্যুরোর প্রধান অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপক মা ঝিবিন, ঝিনজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক লি জিয়াওডং, শিক্ষার পররাষ্ট্র বিভাগের উপপরিচালক কিন শান এবং ঝিনজিয়াং পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক গু মেই।
কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী উভয়ের অধিকার রক্ষায় পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চীন সরকার। একই সঙ্গে ঝিনজিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জনগণের ধর্মীয় স্বাধীনতা পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তারা বলেন, সরকার প্রণীত আইন ও প্রবিধান জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি সব ধর্মের অনুসারীদের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়।
আরও পড়ুন: খরচ ও শ্রম কমাতে চীনা বর্ষজীবী ধান চাষ করতে পারে বাংলাদেশ
ঝিনজিয়াং প্রদেশের জনগণের একটি বড় অংশ মুসলিম এবং মিডিয়ার একটি অংশে অভিযোগ রয়েছে যে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশের সঙ্গে সীমান্তসংলগ্ন এই অঞ্চলে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঝ্যাং বলেন, ‘যা সম্পূর্ণ মনগড়া… চীনবিরোধী শক্তিগুলো চীনের অর্জিত বিস্তৃত গণমুখী সমৃদ্ধিকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য এসব অপপ্রচার করছে।’
লি জিয়াং বলেন, এ অঞ্চলের জনগণ পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করে থাকে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, তারা নাগরিকদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুরোপুরি সম্মান করেন এবং রক্ষাও করেন। ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য আইন ও বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।
চু জিয়ান বলেন, নীতি নির্ধারণী ফোরামে জাতিগত সংখ্যালঘুদেরও যথেষ্ট প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
ইয়ান নাইমিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও সংগীতের প্রচার করে আসছি। বিদেশি পর্যটকদের জন্য ঝিনজিয়াং ভ্রমণ করা খুব সুবিধাজনক।’
এলিজান ইয়াকুব বলেন, সিপিসি সাহিত্য ও লোককাহিনির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে এবং প্রতি বছর এই উদ্দেশ্যে ১০ মিলিয়ন আরএমবি (ইউয়ান) বরাদ্দ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘জাতিগত ঐক্য জোরদার করতে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের জন্য সংস্কৃতি ও সাহিত্যের উন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
আইনুর মাহসেত বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ নারী ও শিশুদের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়।
তিনি বলেন, উইঘুরের স্থানীয় সরকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য কল্যাণে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।সরকারের আইন ও প্রবিধান নারী ও শিশুদের অধিকার সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয়।
তিনি আরও বলেন, দল ও সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্র ও ফোরামে বিপুল সংখ্যক নারী অবদান রাখছেন।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলটিতে ছিলেন- দৈনিক যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের উপসম্পাদক টিটু দাস গুপ্ত, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিবেদক মীর মোস্তাফিজুর রহমান, দ্য ডেইলি স্টারের কূটনৈতিক প্রতিবেদক পরিমল পালমা, ইউএনবির বিশেষ প্রতিবেদক একেএম মঈনুদ্দিন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিশেষ প্রতিবেদক নাফিজা দৌলা, এটিএন নিউজের প্রধান প্রতিবেদক আশিকুর রহমান অপু, দৈনিক সমকালের কূটনৈতিক প্রতিবেদক তাসনিম মহসিন মিশু, যমুনা টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আহমেদ রেজা এবং সময় টিভির কূটনৈতিক প্রতিবেদক তাজওয়ার মাহমিদ।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে: চীনা কর্মকর্তা