বৈদেশিক-সম্পর্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র হস্তান্তর
তুরস্কে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রেসিডেন্ট প্যালেসে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
এসময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার সহধর্মিনী রুনা মাহজাবিন আহমেদ এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশেদ ইকবাল এবং দ্বিতীয় সচিব ও দূতাবাসের প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) ওউজহান এরতুরাল ও রাষ্ট্রচার প্রধান রাষ্ট্রদূত আহমতে জমেলি মরিওলু।
এসময়ে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে শুভেচ্ছা জানান এবং এরদোয়ান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং সৃষ্ট মানবিক এ সংকট সমাধানে তুরস্কের সরকার ও নেতৃত্ব সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে এমন প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রদূত।
এ ছাড়াও তিনি তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল ও উচ্চপর্যায়ে উন্নীতকরণে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
তিনি বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, পর্যটন ও সামরিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পর্ককে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে তুরস্কের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে এরদোয়ানকে জানান।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তুরস্কের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক-কে তুরস্কে স্বাগত জানান।
এরদোয়ান জানান, ভবিষ্যতে ভ্রাতৃপ্রতীম বাংলাদেশের সরকারের ও জনগণের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়াও বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক আঙ্কারস্থ আনিতকবির-এ প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কামাল আতার্তুক-এর সমাধীস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তুরস্কে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
সংসদ সদস্যদের গোলটেবিল বৈঠক: কপ-২৮ এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের ককাস গঠনের প্রস্তাব
২০২৩ সালের নভেম্বরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় কপ-২৮ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংসদীয় ককাস কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত 'বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু চুক্তি: কপ-২৮ এর অগ্রাধিকার' শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের সংসদীয় গোলটেবিল বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডস ও হাউস অব কমন্সের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। চলতি বছরের মার্চে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু চুক্তির আলোকে কপ-২৮ এর জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করা হয় বৈঠকে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এটিই ছিল এ ধরনের প্রথম গোলটেবিল বৈঠক।
বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার পৃষ্ঠপোষক এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারোনেস ভার্মা।
বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বর্তমান সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জলবায়ু সংসদ বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক, সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় এবং আয়েন উদ্দিন গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের গৃহায়ণ ও গৃহহীনবিষয়ক (Housing and Homelessness) মন্ত্রী ফেলিসিটি বুচান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী কেরি ম্যাকার্থি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা, ভোক্তা ও শ্রম বাজারবিষয়ক ছায়া মন্ত্রী সীমা মালহোত্রাসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সঙ্গে গ্লাসগোতে কপ-২৬ অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জন্য যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতি, জলবায়ু অর্থায়ন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় বিনিয়োগ এবং কম কার্বণ অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উত্তরণসহ চার দফা প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা, নবায়নযোগ্য এবং সবুজায়নে কৌশলগত বিনিয়োগের বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘কপ-২৭ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে অনেকেই আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে’
সফর শেষ করেছেন আজরা জেয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল
সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দল তাদের নির্ধারিত ১১ থেকে ১৪ জুলাইয়ের সফর শেষ করেছেন।
তাদের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু-সহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা ও কক্সবাজারে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের সদস্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূত ইমরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার 'ফলপ্রসূ' বৈঠক
বাংলাদেশ সফরকালে আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়াও তিনি শ্রমিক আন্দোলনকর্মী, নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং মানবাধিকার রক্ষাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এসব বৈঠকে আজরা জেয়া বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি নাগরিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, মানবাধিকার রক্ষাকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রমিক আন্দোলন কর্মীদের নিরাপত্তার গুরুত্ব; মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা থাকা; এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন ও সেখানকার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
সেসময়ে তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উদ্যোগগুলোর সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও ৭৪ মিলিয়ন ডলার অনুদানের ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ৬১ মিলিয়ন ডলার মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠী এবং অন্যান্যদের সহায়তার জন্য দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সাল থেকে এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা ও তাদেরকে আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীর জন্য আমেরিকার সহায়তার পরিমাণ ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
এছাড়াও আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া ফ্রিডম ফান্ড এবং এর অংশীদারদের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান ঘোষণা করেন। এই অর্থ মানবপাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ৫০০ এরও বেশি শিশুকে সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচারের অভিশাপ মোকাবিলায় সরকার এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নিবেদিতভাবে কাজ করছে।
আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কেউ আলোচনা করলে হস্তক্ষেপ মনে করে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
সালমান এফ রহমানের নৈশভোজে মার্কিন প্রতিনিধি দল
সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আয়োজনে নৈশভোজে অংশ নেন।
আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দল রাত ৮টায় সালমান এফ রহমানের বাসভবনে নৈশভোজে অংশ নেন।
রহমান মার্কিন প্রতিনিধি দলকে নৈশভোজে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
যুক্তরাষ্ট্র অংশে আরও যারা ছিলেন- দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিকবিষয়ক পরিচালক ব্রায়ান লুটি, আন্ডার সেক্রেটারির বিশেষ সহকারী ব্রায়ান ওয়াকলি, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার সোফিয়া মিউলেনবার্গ, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল/ইকোনমিক কাউন্সেলর আর্তুরো হাইনস।
বাংলাদেশ অংশে আরও যারা ছিলেন- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা উইং) খন্দকার মাসুদুল আলম।
চার দিনের সফরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসে মার্কিন প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ‘দৃঢ় অঙ্গীকার’ করেছে: আজরা জেয়া
শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
সার্কের পরবর্তী মহাসচিব গোলাম সারওয়ার
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারওয়ারকে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) পরবর্তী মহাসচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে আঞ্চলিক সংস্থাটির এই পদে তৃতীয় বাংলাদেশি মহাসচিব হলেন তিনি।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ফরেন অ্যাফেয়ার্স) -এর ১০তম ব্যাচের একজন কূটনীতিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন সারওয়ার। ১৯৯১ সালে চাকরিতে যোগদানের পর তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: সার্ক লেখক ও সাহিত্যিকদের ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধুকে প্রদান করল সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩
মালয়েশিয়ায় নিয়োগের আগে তিনি ওমান ও সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জেদ্দায় কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইয়াঙ্গুন, কুয়ালালামপুর, কাঠমান্ডু এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ মিশনে বর্ণাঢ্য কূটনৈতিক কর্মজীবন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা সূচকে সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে
নোয়াখালীর বাসিন্দা রাষ্ট্রদূত সারওয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন।
এছাড়াও তিনি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)-এর অধীনে একটি শীর্ষ স্থানীয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এবং ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট ফার্মের সঙ্গে একটি আর্টিকেল স্টুডেন্টশিপ সম্পন্ন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত সারওয়ার মিসেস তাসলিমাকে বিয়ে করেছেন এবং দুই ছেলের জনক।
আরও পড়ুন: সার্ক চেম্বারের সভাপতি হচ্ছেন এফবিসিসিআই সভাপতি
আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংক অবশেষে রিজার্ভ গণনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রণীত পদ্ধতি মেনে নিয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গণনা পদ্ধতি অনুযায়ী, বুধবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশকে আইএমএফ’র ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জুন মাসের মধ্যে বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) মডেল অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি সংস্কারে ভূমিকা রাখবে আইএমএফের ঋণ
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ
বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার ‘দৃঢ় অঙ্গীকার’ করেছে: আজরা জেয়া
বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেছেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য মন্ত্রীদের কাছ থেকে ‘দৃঢ় প্রতিশ্রুতি’ পেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আজরা জেয়া বলেন, ‘একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্ভর করে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং নির্বাচনে বাংলাদেশিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং তাদের দেশের শাসনব্যবস্থার উপর।’
আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, যেখানে সব নাগরিক উন্নতি করতে পারে- এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাবে জরুরি সেবার আহ্বান জানিয়েছে এমএসএফ
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় বাংলাদেশের।
আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৈশ্বিক মানবাধিকার নীতির অংশ হিসেবে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনকে সমর্থন করে। তারা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে সেটি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে তাদের ভূমিকা পালন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গঠনমূলক, ফলপ্রসূ ও কার্যকর আলোচনা হয়েছে। আমি বলব গতকাল আমরা বড় বড় রাজনৈতিক সমাবেশ দেখেছি। সেগুলো সহিংসতামুক্ত ছিল।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা, প্রতিশোধ বা ভয়ভীতি ছাড়াই সাংবাদিকদের রিপোর্ট করার ক্ষমতা, মানব পাচার প্রতিরোধে সহযোগিতা, মত প্রকাশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান বৃদ্ধিতে সুশীল সমাজ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সিনিয়র এই মার্কিন কূটনীতিক আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্বের গুরুত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে এই অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার জন্য তিনি এসেছেন। এটি আরও সহনশীল, সংযুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ।
মিয়ানমারের উপর চাপ বজায় রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চলমান সংকটের সমাধানের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উপর চাপ অব্যাহত রেখেছে তারা। একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি করতে বলা হয়েছে।আর সেটিই হবে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, সুসংগঠিত ও টেকসই পদ্ধতি।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা মানবিক সহায়তা থেকে জেন্ডার সমতা ইস্যুতে সমন্বয়সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্মিত একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার কথা বলেছেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস মনে করে, সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শ্রম অধিকারসহ মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রসারে সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের পর আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া টুইটে লেখেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করি এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করি।’
আন্ডার সেক্রেটারি এবং প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশের উদার আতিথেয়তা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থনের অব্যাহত প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও আলোচনা করেন।
তিনি আরও লেখেন, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশের ওই অঞ্চলের জনগণকে সহায়তা করতে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি দিতে পেরে গর্বিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্ডার সেক্রেটারি আরও লিখেছেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে চলমান সংকট মোকাবিলায় ৭৪ মিলিয়নেরও বেশি সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং স্থানীয়দের সহায়তার জন্য ৬১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। একই সঙ্গে অন্য দাতা ও সম্ভাব্য দাতাদের অব্যাহত সমর্থনের আহ্বান জানান তিনি।
দাতাদের সহায়তা হ্রাস এবং শিবিরের নিরাপত্তাহীনতার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জীবিকার সুযোগ সম্প্রসারণের জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করেছে।
পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, গাজীপুরের শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিনিধি দলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, 'তারা শহিদুল ইসলামের (গাজীপুরের শ্রমিক নেতা) মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। আমি এ কথাটাই বলেছি। এই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণত যেটি আলাপ করার সেই আলাপই করেছি।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা হয়নি। তারাও জিজ্ঞাসা করেনি, আমারও বলার প্রয়োজন হয়নি।'
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ আইন নিয়ে আমি আগে যে কথা বলেছি, ঠিক সেই কথাগুলো উনাদের আজকে বলেছি। আগের মতোই বলেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধন করা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'তারা পরিষ্কারভাবেই বলেছেন, ওনারা সব দেশেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। গতকাল আমার সচিব ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) টিমকে যেভাবে বলেছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে আইনি কাঠামো সেটা বাংলাদেশে আছে। যে আইনগুলো এ ব্যাপারে সহায়ক আমি সেই আইনগুলোর কথা উল্লেখ করেছি।'
আনিসুল হক আরও বলেন, আমরা সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইনটি করেছি, সেটা সম্বন্ধে কথা বলেছি। এটাও বলেছি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে এ আইন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই আইন করেছে। এ ছাড়া এই উপমহাদেশের অন্য কোনো দেশে এই আইন নেই, সেটাও আমি বলেছি।'
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কিছু কিছু বিষয়ে কথা বলেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেসব বিষয়ে তারা শুধু এটুকু বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে সেটা ভালো। আমি তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি, বাংলাদেশে আগের সাংস্কৃতি নেই যে, বিচার হবে না। বাংলাদেশে এখন যেকোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয় এবং তাই হবে।’
মানবাধিকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ঈদের আগে গত ২৫ জুলাই শ্রমিকদের বেতন–ভাতা আদায়ে আরও দুই শ্রমিকনেতাকে নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডে গিয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। কারখানা থেকে বেরিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরেই তাদের উপর হামলা করা হয়। এ হামলায় প্রাণ হারান শহিদুল।
আরও পড়ুন: বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রতিনিধি দলকে বলেছি যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রস্তুত এবং নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিনিধি দলটি বলেছে তারা এখানে কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে আসেনি। বরং, তারা শুধু দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া মিয়ানমারে গণহত্যার কারণে পালিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় শীর্ষস্থানীয় দাতা হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তার আহ্বান জানাচ্ছে।’
বুধবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে 'গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন' হয়েছে।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি আরআরআরসি'র সমর্থন এবং রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থার জন্য মার্কিন মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।’
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জেয়া বাংলাদেশের স্বাগতিকদের উদারতা এবং বৈশ্বিক দাতা সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন