বৈদেশিক-সম্পর্ক
ঢাকা আসছেন মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার
পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, ১৫-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সফর করতে পারেন।
সফরকালীন সময় তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা করে যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করেছে: হাস
আফরিন আখতার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভুটান ও মালদ্বীপের জন্য দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর (এসসিএ) পাশাপাশি নিরাপত্তা ও ট্রান্সন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের একজন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি।
তিনি মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
চলতি বছরের মে মাসে তিনি ঢাকা সফর করেন।
কূটনৈতিক সূত্রটি জানিয়েছে, মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং নির্বাচনী বিষয়গুলোও আলোচনার জন্য আসতে পারে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আর কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই: শাহরিয়ার আলম
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ও অন্য ইন্দো প্যাসিফিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার (৯ অক্টোবর) বলেছেন, তারা একটি মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিককে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেখানে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হয় এবং দেশগুলো জবরদস্তি, বিভ্রান্তি ও হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থেকে পছন্দের পথ বেছে নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বহাল রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য। আমরা সেই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ এবং আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্যের লক্ষ্য হলো একটি মুক্ত ও অবাধ ইন্দো প্যাসিফিক; এমন একটি অঞ্চল যা নিরাপদ ও স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক এবং বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় ‘ডিফাইনিং কম্পিটিশন ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’- শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুরও বক্তৃতা করেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ কপ২৬ এর আগে বিশ্বব্যাপী উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়াতে অংশীদারিত্বে কাজ করেছে।
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা চলতি বছরের মার্চ মাসে সই হওয়া যুক্তরাজ্য/বাংলাদেশ জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতিগুলোকে কাজে পরিণত করার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের অভিযোজন, প্রশমন ও জলবায়ু অর্থায়নের পাশাপাশি লস অ্যান্ড ড্যামেজে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়।’
জলবায়ু-সংক্রান্ত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চালানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ভূমিকা স্থিতিশীল, দীর্ঘমেয়াদি ও আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত হবে। যেমন আসিয়ান কেন্দ্রীয়তা।
তিনি বলেন, ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও কার্যকর অংশীদারিত্ব আমাদের লক্ষ্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি। আমরা ইন্দো প্যাসিফিকের আঞ্চলিক অংশীদার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এবং তাদের মাধ্যমে কাজের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
উদাহরণস্বরূপ- ২৫ বছরে আসিয়ানের প্রথম নতুন সংলাপ অংশীদার আমরা এবং সিপিপিপিপি-তে আমাদের সদস্য পদ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘একইভাবে আমরা আইআরএ এবং বিমসটেক-এর মতো অন্যান্য আঞ্চলিক উদ্যোগগুলোকে বঙ্গোপসাগরে বাস্তব পরিবর্তন আনতে সাহায্য করতে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব অনন্য ও মূল্যবান সম্পর্ক। এ সম্পর্ক দুই দেশের প্রবাসী, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে সুসংহত।
সারাহ কুক বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছি। জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য থেকে শুরু করে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, নিয়ম ও কানুনের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা পর্যন্ত।’
তিনি তিনটি মূল ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন; নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার (আরবিআইএস) গুরুত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
১৯৭১ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য এই সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হতে পেরে গর্বিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন একটি আধুনিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে উন্মুখ, যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং অর্থনীতিকে টেকসই করতে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সংস্কার ও রপ্তানি বহুমুখীকরণকে সমর্থন করে।’
যুক্তরাজ্যের নতুন ডেভেলপিং কান্ট্রিস ট্রেডিং স্কিম ২০২৯ সাল পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়া সব কিছুতেই যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেবে এবং তারপরে ৯৮ শতাংশ পণ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের বাজারের প্রবেশাধিকার দেবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ডিসিটিএস হলো সবচেয়ে উদার বৈশ্বিক বাণিজ্য অগ্রাধিকার প্রকল্প এবং বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী।’
কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত না করে এবং এগিয়ে না নিয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও সমৃদ্ধি গড়ে তোলা অসম্ভব হবে।
হাইকমিশনার বলেন, ভারতের সঙ্গে একত্রে যুক্তরাজ্য বঙ্গোপসাগরের জন্য একটি রিজিওনাল মেরিটাইম সেন্টার অব এক্সিলেন্স তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ সমগ্র অঞ্চলের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে অপরাধ মোকাবিলা থেকে শুরু করে ঝড়ের আগাম সতর্কতা প্রদান প্রভৃতির মাধ্যমে কেন্দ্র উপসাগরের স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌ সহযোগিতার দীর্ঘ ঐতিহ্য আমাদের স্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার চর্চা করে যুক্তরাষ্ট্র একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করেছে: হাস
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘প্রতিযোগিতা’ দেশগুলোকে কোনো কিছু বেছে নিতে বাধ্য করার জন্য নয়; বরং এটি সম্মান, সমৃদ্ধি ও অংশীদারিত্বের উপর ভিত্তি করে একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের প্রস্তাব করা।
তিনি বলেন, ‘আমার আশা এই অঞ্চলে আমাদের প্রতিযোগিতার অর্থ হলো আমরা যা করতে চাই স্পষ্টভাবে আমাদের সেসব লক্ষ্য ফুটিয়ে তুলতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।’
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক এবং বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘ডিফাইনিং কম্পিটিশন ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’- শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর; বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও অন্তর্ভুক্তির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তারা ‘একসঙ্গে’ আছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্মুক্ত সংলাপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি অঞ্চলের পথ প্রশস্ত করছে যেটি শুধু টিকে থাকে না, বরং উন্নতি লাভ করে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌম বৈদেশিক নীতির বিশেষাধিকারের স্বীকৃতির মাধ্যমে, আমরা এমন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলি যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আকাঙ্ক্ষা এবং বিশেষ করে এই প্যানেলে থাকা আমাদের বন্ধুদের ক্ষেত্রে, অংশীদারিত্ব ও জোট যা সীমানা অতিক্রম করে এবং একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিকের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অবশ্যই সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির এলাকা হতে হবে। এই অঞ্চলের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চল।’
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আন্তরিকভাবে একমত।
ভবিষ্যতের বিষয়ে হাস বলেছেন, সেই স্বাধীনতা, সেই উন্মুক্ততা রক্ষা করা সবার স্বার্থে। ‘এবং আমি সেই বৈচিত্র্যের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, যা ইন্দো-প্যাসিফিককে শুধুমাত্র এই অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির একটি গতিশীল ইঞ্জিনে পরিণত করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
তিনি বলেন, তারা সম্মিলিতভাবে একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার, শক্তিশালী অর্থনৈতিক একত্রীকরণ এবং মেরিটাইম কমন্সের পবিত্রতা রক্ষার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য একে অপরের সঙ্গে এবং এই অঞ্চলের অন্যদের সঙ্গে আমাদের জোট ও অংশীদারিত্বের উপর নির্ভর করতে সম্মিলিতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি আমাদের পদ্ধতির একেবারে মূল বিষয়।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা ‘মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক’ এর বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে সাধুবাদ জানায়।
হাস বলেন, এ ছাড়াও আমরা জোর দিচ্ছি, আমরা যেমন একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত অঞ্চল খুঁজছি, তেমনি বিশ্বাস করি আমরা এই নীতিগুলো নিজেদের মধ্যে প্রয়োগ করলেই আমরা সত্যিকার অর্থে এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো পূরণ করতে পারি।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল চালিকাশক্তি অভিন্ন নীতি: পিটার হাস
নির্বাচনের আগে আর কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই: শাহরিয়ার আলম
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো দেশের কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উপর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত বিষয়ে সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মোটেই (এমন কিছু হচ্ছে) না।’
অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শাহরিয়ার বলেন, তারা কোথা থেকে এ তথ্য পেয়েছেন তা তারা জানেন না।
পররাষ্ট্র দপ্তরে তার ১০ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়গুলো বিচার করার আহ্বান জানান, কারণ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই ভয়কে পুঁজি করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায় সুইডেন : সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের স্টেট সেক্রেটারি ডায়ানা জানসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান না দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই, এসব (গুজব) ভেবে আপনাদের ঘুম নষ্ট করবেন না।’
কিছু ব্যক্তির উপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত করে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম... একজন ব্যক্তিও আমাদের বলেনি যে একটি টর্নেডো আসছে। আপনারা এই বিষয়ে গল্প বানান। তারা (মার্কিন) শুধুমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এমনকি অংশগ্রহণমূলক বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার শব্দগুলোও উচ্চারিত হয়নি।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব 'শান্তিপূর্ণ অঞ্চল' তৈরি করতে পারে: মোমেন
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায় সুইডেন : সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব
সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডায়ানা জানসে বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অবিরাম সহযোগিতার আশ্বাস জাপানি ভাইস মিনিস্টারের
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিবকে বলেন, তার সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বিশ্বব্যাপী মানবজাতির কল্যাণে অর্থ ব্যয় করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য সামগ্রী পরিবহনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়।’
তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব মুদ্রাস্ফীতির প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে যা পরিবহন খরচও বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো খাদ্য সংকট নেই, কারণ দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা তাদের পক্ষ থেকে অসাধারণ কাজ করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে উন্নত দেশগুলো তাদের ভূমিকা পালন না করার জন্য সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত কাজ করছে না।’
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
বাংলাদেশে আরও সুইডিশ বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা চাইলে সারাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের জন্য জমি বরাদ্দ করা যেতে পারে।
সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশেষ করে দেশে দারিদ্র্য বিমোচন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রবন্দর অর্থনীতির জন্য একটি গেম চেঞ্জার হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সুইডেনের ভালো উন্নয়ন সহযোগী।
তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০টি সুইডিশ কোম্পানি কাজ করছে।
জানসে বলেছেন, তার দেশ পরিবেশগত উদ্দেশ্যে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
তিনি বিভিন্ন জলবায়ু পরিবর্তন ফোরামে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
১০ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব।
আরও পড়ুন: জ্বালানি বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল
জ্বালানি বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল রবিবার(৮ অক্টোবর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফের দলটি বিকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে।
আইএমএফ দলের সঙ্গে বৈঠকে জ্বালানি সচিব নুরুল আলম জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি দল বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা করতে ৪ অক্টোবর ঢাকায় এসেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
দলটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্থ সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের পর এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনার পর ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে। ঋণের প্রথম কিস্তি ইতোমধ্যে ছাড় করেছে সংস্থাটি।
চলতি বছরের নভেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ
সরকারি সূত্র জানায়, আইএমএফ দল জ্বালানি খাতে ভর্তুকি, বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ এবং আমদানিকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সহ এই খাতের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আইএমএফ বেশ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে সরকারের ক্ষতি না হয়।
কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা আইএমএফকে জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজব উপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নতুন পর্যায় সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আল্লার দোহায়, এসব (গুজব) নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে ঘুম নষ্ট করবেন না।’
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনের (পিইএএম) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম... একজন মানুষও আমাদের বলেনি যে ঝড় আসবে। আপনার (গণমাধ্যম) এসব বাবান। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এমনকি অংশগ্রহণমূলক বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার শব্দটিও উচ্চারণ করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
নির্বাচনী প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে এসেছে।
মোমেন বলেন, তারা সফররত এনডিআই-আইআরআই'র যৌথ প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন। আরও বলেছেন, সরকার কোনো সহিংসতা ছাড়াই 'অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ' নির্বাচন করতে চায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি 'সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি' গড়ে তুলেছেন, যা 'অত্যন্ত নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী'।
মোমেন বলেন, 'তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেয়নি, তারা আমাদের কথা শুনেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সহিংসতামুক্ত করতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, তারা গত ১৫ বছরে অর্জিত তুলনামূলক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, কেউ এই সাফল্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
ড. মোমেন বলেন, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মোমেন বলেন, জনগণ যদি অংশগ্রহণ করে এবং অবাধে ভোট দিতে পারে তাহলে তা অংশগ্রহণমূলক।
তিনি বলেন, তারা চায় সবাই নির্বাচনে অংশ নিক, কারণ সরকার পরিবর্তনের একটাই উপায়- তা হলো নির্বাচন।
আরও পড়ুন: কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এর আগে প্রতিনিধি দলের সদস্য দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ রবিবার বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিআই-আইআরআই যৌথ মিশন নির্বাচনী প্রস্তুতির অবস্থা মূল্যায়নের জন্য কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের কথা শুনতে এবং একটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন দেখাতে এসেছি।
ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের সহসভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ এশীয়বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রাক্তন সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ; জামিল জাফর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা; এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ; আইআরআই-এর এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও রয়েছন দলে।
বনি গ্লিক বলেন, 'এই যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও সমর্থনের প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, 'আমরা প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করব। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী বিশ্লেষণ দেব।’
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং ২০০৫ সালে জাতিসংঘে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের মূল্যায়ন পরিচালনা করবে।
কার্যক্রম শেষে প্রতিনিধিদল তাদের মূল অনুসন্ধান, নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ এবং নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারিক সুপারিশের একটি বিবৃতি প্রকাশ করবে।
এনডিআই ও আইআরআই হলো নির্দলীয়, বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চার প্রতি সমর্থন ও শক্তিশালী করে।
প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কেবল সংলাপ ও কূটনীতিই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধান দিতে পারে: বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের নিন্দা জানিয়েছে এবং এর ফলে নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে।
শুধু সংলাপ ও কূটনীতিই ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধান ঘটাতে পারে বলে পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে কোনো পক্ষই লাভবান হবে না বলেও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের ফিলিস্তিন বিরোধী নীতিকে 'টাইম বোমা' আখ্যা দিয়েছে আরব লীগ
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়কেই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং উভয় পক্ষের নিরপরাধ প্রাণহানি এড়ানোর জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।’
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও জোরপূর্বক বসতি স্থাপন এ অঞ্চলে শান্তি বয়ে আনবে না বলেও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে জাতিসংঘের রেজুলেশন নং ২৪২ ও ৩৩৮ অনুসরণ করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাশাপাশি বসবাসের সমর্থন করে, যা এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারে।
সংঘাতে মাত্রাতিরিক্ত ও নির্বিচারে বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩২
হামাসের আকস্মিক হামলায় ২২ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বাংলাদেশি থিংক ট্যাংক প্রতিনিধি দলের চীন সফর
বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের সমন্বিত ধারণা, তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশি থিংক ট্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করেছেন।
শনিবার রাতে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস বলেছে, সফরকালে প্রতিনিধি দলটি চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের স্কলারদের সঙ্গে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের পরিস্থিতি, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক, 'বেল্ট অ্যান্ড রোড' সহযোগিতা বিষয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অবিরাম সহযোগিতার আশ্বাস জাপানি ভাইস মিনিস্টারের
তারা পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাউথ এশিয়া রিসার্চ সেন্টারের উন্নয়ন এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার পাঠদান ও গবেষণা বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) স্কলাররা।
আরও পড়ুন: দেশীয় ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরিতে দ. কোরিয়ার সহযোগিতা চাইলেন শিল্পমন্ত্রী
ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান গ্রহণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ক্লাবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে অবিরাম সহযোগিতার আশ্বাস জাপানি ভাইস মিনিস্টারের
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাপানের ভাইস মিনিস্টারের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।
জাপানের পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স কোরুমা মাসাহিরো বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রচেষ্টায় জাপানের চলমান প্রযুক্তিগত সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়ে তৃতীয় টার্মিনালের মতো সুদৃঢ় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে জাপান: ভাইস মিনিস্টার
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভাইস মিনিস্টার কোরুমা ঢাকায় ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বেসামরিক বিমান চলাচলসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশের যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতাকে বদলে দেবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত