রংপুর
পঞ্চগড়ে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী শাহীন ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের গাজকাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১২ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি আটক
নিহত তাসমিরা আক্তার (২২) নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জের মুছার আলীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহীন ও তাসমিরার বিয়ে হয়েছে প্রায় ৭ বছর আগে। তাদের সংসারে দুইটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য লেগে থাকতো।
তাসমিরাকে বিভিন্ন সময় মারধর করা হতো বলেও জানা গেছে। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে সালিশ হলেও নির্যাতনের মাত্রা কমেনি।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তাসমিরার স্বামী মারধর করে। পরে আবারও তাকে মারধর করা হয়েছে বলে জানান তাসমিরার বাবা জয়নাল ও মা রুমি আক্তার।
এদিকে তাসমিরার বাবা জয়নাল ও মা রুমি আক্তার দাবি করেন তাসমিরাকে নির্যাতন করে হত্যার পর দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এছাড়া তার শরীরে একাধিক জায়গায় মারধরের চিহ্নও রয়েছে।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) রঞ্জু আহম্মেদ ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তার স্বামী শাহীন ইসলামকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
টঙ্গীতে ট্রেনে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৯ যুবককে আটক
পঞ্চগড়ে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
পঞ্চগড়েরর দেবীগঞ্জে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ আগস্ট) উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের গাজকাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসমিরা আক্তার (২২) ওই এলাকার শাহীন ইসলামের স্ত্রী।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী শাহীন ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তাসমিরার সঙ্গে সাত বছর আগে শাহীনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দু’টি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়ে আসছিল। ছোটখাট ঘটনায় তাসমিরার স্বামী শাহিন তাকে মারপিটও করেছে। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। শাহিন তাকে মারধর করে।
তাসমিরার বাবা জয়নাল ও মা রুমি আক্তার অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে শাহীন।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রঞ্জু আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় তার স্বামী শাহীন ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ববি ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, স্বামী-স্ত্রী নিহত
দিনাজপুরে অটোরিকশায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় স্বামী ও স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় অটোরিকশাচালকসহ দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- পার্বতীপুর উপজেলা চন্ডিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সালান্দার আদিবাসী পাড়ার মঙ্গল মুর্মু (৫৫) ও তার স্ত্রী মালতি মার্ডী (৪৫ )।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় লেগুনা চালক নিহত
স্থানীয়রা জানায়, বাস টার্মিনাল এলাকায় অটোরিকশাকে একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার চালক ও তিন যাত্রী আহত হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মঙ্গল মুর্মু ও মালতি মার্ডিকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের দুইজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি আটক করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক নিহত
গাইবান্ধায় ২১ পয়েন্টে নদীভাঙন
গাইবান্ধার চার উপজেলার অন্তত ২১টি পয়েন্টে নদীর পাড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), গাইবান্ধার তথ্যনুযায়ী জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কমলেও পাড় ভাঙে, বাড়লেও ভাঙে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, মিয়ার বাজার, পোড়ার চর এলাকায় দেখা দিয়েছে তিস্তার ভাঙন। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনে গাইবান্ধা সদর সিদাই, হাসধরা, মোল্লারচর, কামারজানিতে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া, রতনপুর, চরগুপ্তমনি, কোচখালি, কুন্দেরপাড়াসহ বেশ কিছু পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ জানান, ভয়াবহ ভাঙনে উড়িয়া ও রতনপুরসহ কয়েকটি গ্রামের অর্ধেক বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। এসব এলাকা থেকে অনেক মানুষ বসতবাড়ি হারিয়ে এখন পথে বসেছে। কিছু পরিবার পাশের এলাকার জমিতে ঘরবাড়ির অংশ ও চালা ফেলে রেখেছেন। নিজের জায়গা-জমি হারিয়ে অনেকেই অন্যের জমিতে ঘর তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আবার কেউ কেউ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
আরও পড়ুন: সরকারের পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
একই এলাকার নুরুন্নবী মিয়া জানান, তার বাড়ি ছিল নদী থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে। কিন্তু গেল বছর ভাঙনের কারণে রতনপুরে এসে ঠাঁই গড়ে তোলেন। এবার পানি বাড়ার সময় ও কমার সময় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়।
তিনি আরও বলেন, এলাকার বাসিন্দারা নদীভাঙন প্রতিরোধে মানববন্ধন করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। সে কারণে এই এলাকা থেকে অনেক পরিবার চলে গিয়ে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া একাডেমি এলাকায় থাকার জায়গা করে নিয়েছে। তারা অর্থ ও খাবার সংকটে ভুগছেন।
সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে সাঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাট, ভুষির ভিটা, দাড়িয়ার ভিটা এলাকার চার শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, জমিজমা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত তিন দিনে তিন শতাধিক পরিবার ঘরের চালা খুলে নিয়ে কোথায় চলে গেছে কেউ জানে না। আর যারা কোথাও আশ্রয় নিতে পারেনি তারা পরিবার নিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই বাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। খোলা জায়গায় রান্না করতেও দেখা গেছে অনেককে।
ময়না নামে এক গৃহবধূ জানান, ভাঙন ঠেকানোর কাজ হচ্ছে, বর্ষার সময় বস্তা ফেলা হচ্ছে, কিন্তু কোথায় যাচ্ছে বস্তা তা কেউ বলতে পারে না। ঠিক মতো কাজ না করলে ভাঙন ঠেকানো মুশকিল হবে, আমাদের মতো অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে স্কুলে আশ্রয় নিতে হবে।
‘ভাঙন ঠেকানোর নামে কাজ করলেও পুরো টাকা যাচ্ছে পানিতে। শুষ্ক মৌসুমে কাজ করলে হয়তো আমাদের পথে বসতে হতো না’- এমন অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা মুন্না মিয়া।
এ ব্যাপারে পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মজিবুর রহমান বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে কয়েকটি পয়েন্টে বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। জরুরিভাবে এই প্রতিরোধ কাজ করা হচ্ছে। আশা করি শিগগিরই ভাঙন প্রতিরোধ হবে।
আরও পড়ুন: বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় ১৮০৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন একনেকে
দিনাজপুরে ধানখেতে পড়েছিল কাপড় ব্যবসায়ীর লাশ
দিনাজপুরে বোচাগঞ্জের একটি ধানখেত থেকে গনেশ ভট্টাচার্য্য (২৫) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে ইটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের মানিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্মাণ শ্রমিকের চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার
গনেশ ভট্টাচার্য্য (২৫) বোচাগঞ্জের মানিকপুর গ্রামের দিনেশ ভট্টাচার্য্যের একমাত্র ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গনেশ ভট্টাচার্য্য কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল জানান, এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া জড়িতদের চিহ্নিত করতে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নিখোঁজের ৩২ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় পিকআপচালক নিহত
দিনাজপুরের গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় পিকআপের চালক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘোড়াঘাট এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত পিকআপচালক আনোয়ার হোসেন (৩১) দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার চক মহাদেবপুর গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘোড়াঘাটের বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় চলন্ত অবস্থায় একটি ট্রাকের পেছন অংশে ধাক্কা দেয় একটি পিকআপ। এতে পিকআপের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক আনোয়ার হোসেন নিহত হন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী নিহত
তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি ট্রাকটি হঠাৎ ব্রেক করায় বুঝে উঠার আগেই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয় পিকআপ।
ওসি জানান, চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দুর্ঘটনার পর ট্রাক নিয়ে পালিয়ে গেছেন চালক।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রেনের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত
কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ২ ভাই নিহত
দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় বাইসাইকেল চালক নিহত
দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় একজন বাইসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন৷ বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার গোপালগঞ্জের শেখহাটি এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত বাইসাইকেল চালক ফ্রান্সিস সরেন (৫৫) জেলা সদরের চেহেলগাজী ইউনিয়নের পশ্চিম শিবরামপুর খ্রিস্টান পাড়ার বাসিন্দা এবং সোনা সরেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মালবাহী ট্রাকচাপায় নিহত ১
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম তানভীর জানান, দিনাজপুর রংপুর মহাসড়কের জেলা সদরের গোপালগঞ্জ বাজারের পাশে শেখহাটিতে একটি হাস্কিং মিলের সামনে ট্রাকচাপায় বাইসাইকেল চালক ফ্রান্সিস সরেন নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ওই ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। তবে ঘাতক ট্রাকটি আটক করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাগলবাহী ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকচাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত
গাইবান্ধায় নদীতে গোসলে নেমে কলেজছাত্র নিখোঁজ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নদীতে গোসল করতে নেমে এক কলেজছাত্র নিখোঁজ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) উপজেলার পানিতলা গ্রামে গাংনাই নদীতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নদীতে গোসল করতে নেমে কলেজছাত্রের মৃত্যু
নিখোঁজ কলেজছাত্র শিহাব সরকার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের সিহিপুর গ্রামের বাসিন্দা খাজা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বাড়ির পাশের গাংনাই নদীতে গোসল করতে যায় শিহাব। কিছু বুঝে ওঠার আগেই নদীর শ্রোতে পানিতে তলিয়ে যায় সে। দীর্ঘ সময় পরেও বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা নদীতে খোঁজাখুঁজি শুরু করে ব্যর্থ হয়।
এদিকে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ও রংপুরের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আরিফ আনোয়ার জানান, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নদীর গভীরতা ও শ্রোতের কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ২ মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
রংপুরে পুকুরের ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশু মারা গেছে। রবিবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আলমবিদিতর ইউপির মবফারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুই শিশু হলো- ওই এলাকার ওবায়দুল হকের দেড় বছর বয়সী মেয়ে রহিমা বেগম এবং আবু তালেবের দুই বছর বয়সী ছেলে সাইদ মিয়া।
আরও পড়ুন: হিলিতে পুকুরের ডুবে শিশুর মৃত্যু
তারা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
জানা যায়, বাড়ির বাইরে ওই দুই শিশু খেলছিল। একপর্যায়ে সবার অগোচরে পুকুরে পড়ে যায় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুরে পুকুর থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুকুরে ডুবে কিশোরগঞ্জে ২ শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী রায়হান মিয়া (১৩) ওই ইউনিয়নের ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে। সে স্থানীয় ফকিরহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিক্ষকের
স্থানীয়রা জানায়, রাতে রায়হান তার বাবার সঙ্গে চৌরাস্তা বাজারে পান-সিগারেটের দোকানে ছিল। সন্ধ্যার পর থেকেই এলাকায় টানা বৃষ্টি পড়ায় বাবা-ছেলে বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করেছিলেন।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি থামলে দোকান বন্ধ করার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটকে যায় রায়হান।
পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্র নিহত
কুড়িগ্রামে সেচ পাম্প চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু