আওয়ামী-লীগ
ইউপি নির্বাচন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতকানিয়ায় ১৮ জনকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ১৮ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি।
পরে রাতে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ চার শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
বহিষ্কার হওয়া বিদ্রোহীরা হলেন-চরতীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাঈনুদ্দিন চৌধুরী, নলুয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তসলিমা আবছার, উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, কাঞ্চনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ ছালাম, আমিলাইশে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ এম হানিফ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এস এম হারুন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ঢেমশায় সাতকানিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, পশ্চিম ঢেমশায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য আব্দুল মাবুদ সেন্টু ও মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিদোয়ানুল ইসলাম সুমন, কালিয়াইশে যুবলীগ নেতা ফেরদৌস চৌধুরী সোহেল ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য এডভোকেট আতাউর রহমান, ধর্মপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, বাজালিয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, ছদাহায় কক্সবাজার পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক মাহমুদ, সোনাকানিয়ায় উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সেলিম উদ্দিন চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাষ্টার আবু তাহের।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাদের দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হবে। এছাড়াও যারা বিদ্রোহীদের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেবে তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য-সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পড়ুন: ঢাবি ছাত্রকে নির্যাতনের দায়ে সিফাতকে হল থেকে বহিষ্কার
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও জ্যৈষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার পালিত হবে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালনের উদ্দ্যেশ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন।
এছাড়া বেলা ১১টার দিকে কিবরিয়ার পরিবার পক্ষ থেকে বনানী কবরস্থানের তার কবর প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
কিবরিয়া হত্যা মামলায় ন্যায় বিচারের দাবিতে সেখানে একটি মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করবেন তার পরিবার।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন শাহ এ এস এম কিবরিয়াসহ পাঁচজন এবং আহত হন অন্তত ৪৫ জন।
এ ঘটনায় ওই দিনই রাতে দুটি মামলা করা হয়।
হামলার ১০ বছর পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু হয়।
২০১৫ সালে হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়।
বর্বর এ হামলার ঘটনার ১৭ বছর পার হলেও দুই মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার ১৬ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ
কিবরিয়া হত্যা: পাঁচ বছরে সাক্ষ্য দিল মাত্র এক-চতুর্থাংশ সাক্ষী
প্রশ্নপত্র ফাঁসে ঢাকায় গ্রেপ্তার জনপ্রতিনিধিকে বগুড়া জেলা আ’লীগ থেকে বহিস্কার
বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় গ্রেপ্তার জনপ্রতিনিধি মাহবুবা নাসরীন রূপাকে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
রবিবার বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
আল রাজি জুয়েল জানান, গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদে ঢাকায় সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুবা নাসরীন রূপার বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তার এমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতা: কুমিল্লায় আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত ১২
ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ এডিটেড: দাবি কুমিল্লার আ.লীগ নেতার
নির্বাচনী সহিংসতা: কুমিল্লায় আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত ১২
কুমিল্লায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিরোধী দলীয় প্রার্থীর অন্তত ১২ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। শুক্রবার জেলার দামোতি ইউনিয়নের খোসকান্দি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় আহতরা হলেন- আইয়ুব আলী, শরীফ, শফিকুল ইসলাম, শান্ত, জিল্লুর রহমান, বিল্লাল, ইমরান, মেহেদী, রহমান, তোফাজ্জল, রাকিব মুন্সী ও খোকন।
গুরুতর আহত আইয়ুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকিরা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠুর সমর্থকরা নির্বাচনী সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়ার সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের ভাই শাহ পরান ও তার সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা: চট্টগ্রাম, বগুড়া ও চাঁদপুরে নিহত ৮
জসিম উদ্দিন অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, হামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠু ইউএনবিকে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জসিম উদ্দিনের সমর্থকরা তার সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি তারা যদি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে আমাকে ভোট দেয়, তবে তারা আমার সমর্থকদের খুন করার হুমকিও দিয়েছে।’
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান সহিংসতার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগে নৌকা প্রার্থীর ভোট বর্জন
ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা: শৈলকুপায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ইসি আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি’র মন্তব্য ‘না বলা বাতিকের' প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্য তাদের রাজনীতির অন্তঃসারশূণ্যতা এবং সবকিছুতে না বলার বাতিকেরই প্রমাণ।’বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আইন প্রস্তুত করার জন্য খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে। মন্ত্রিসভা সেই আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে। আমাদের সংবিধানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা বলা আছে। কিন্তু ৫০ বছরেও সেই আইন হয়নি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি গত কিছু দিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যে সংলাপ করেছেন, সেখানে বেশির ভাগ দলই একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। সে প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যাতে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়। কিন্তু সরকারের এই ভালো উদ্যোগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে এবং সেখানে তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে নজরুল ইসলাম খান সাহেব আইনের খসড়াটি পড়েন নাই এবং তাদের দলের যে নেতারা সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যটি তৈরি করে দিয়েছেন, তারাও পড়েন নাই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, ‘না পড়েই নজরুল ইসলাম খান সাহেব নানা মন্তব্য করেছেন যে, এখানে কোনো বেসরকারি লোক বা কোনো আইনজ্ঞকে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয় নাই। অথচ আইনের খসড়ায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ব্যক্তি যিনি ২০ বছর ধরে সরকারি কিংবা বিচার বিভাগীয় পদে বা আধা-সরকারি কিংবা বেসরকারি পদে কাজ করেছেন তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে। বেসরকারি যখন বলা হয় সেখানে আইনজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ সবাই অন্তর্ভুক্ত।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একই সংবাদ সম্মেলনে আবার নজরুল ইসলাম খান সাহেব বলেছেন- এই সরকারের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না। অর্থাৎ নির্বাচন যেভাবেই হোক তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। কেউ যখন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকে তখন যে কোনো ভালো উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে যেটি দেশের মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছে এমনকি কিছুদিন আগে আইনজ্ঞ এবং সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটি আইন করার তাগাদা এবং প্রস্তাবনাও দিয়েছিলেন এবং তারা অনেকেই আইন করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির সবকিছুতেই যে না বলার বাতিক, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
লবিস্ট ফার্ম নিয়ে একটি দৈনিকে প্রকাশিত কলামের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি’র পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য নাই। কিন্তু একটি শীর্যস্থানীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় সংবাদ বিশ্লেষণ নামে বিএনপিকে রক্ষা করার জন্য এটি ছাপানো হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। দেশের রপ্তানি, ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন সরকার পিআর ফার্মের মাধ্যমে লবি করে থাকে, বাংলাদেশ সরকারও করে। কিন্তু বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করা এবং আজকে যে দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে উজ্জ্বল হয়েছে সেটিকে ম্লান করার হীন উদ্দেশ্যে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাহেব ঠিকই বলেছেন যে, নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে যে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে বিএনপি চুক্তি করেছিল, সেই লবিস্ট ফার্মকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা তারা প্রদান করেছে। শাহরিয়ার আলম আরও একটি কথা বলেছেন যে বিএনপির মোট অর্থ ব্যয় প্রায় পৌনে চার মিলিয়ন। এবং বিএনপি আরও ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দিয়েও লবিস্ট নিয়োগ করেছে, এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানে যেটুকু পাওয়া গেছে, তারা পৌনে চার মিলিয়ন ডলার এই ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে। এই টাকা তারা কোথা থেকে পেলো, এর হিসাব কি তারা নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে, এই টাকা বিদেশে পাঠানোর জন্য তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়েছে- কোনটাই তো নয়। তাহলে এই অপকর্মকে ঢাকার অপচেষ্টা সেটি সত্যিই দুঃখজনক। সুতরাং এখানে সংবাদ বিশ্লেষণের নামে বিএনপির এই অপকর্মকে ঢাকার অপচেষ্টা করা হয়েছে। একটি শীর্যস্থানীয় পত্রিকার জন্য সেটি কতটুকু যৌক্তিক সে প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়।’এসময় নারায়ণগঞ্জে মেয়র পদে পরাজিত প্রার্থী তৈমূর আলমকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘যদিওবা সেটি বিএনপির আভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে বিএনপি কম্বল বাছতে গিয়ে কম্বলটাই না জানি উজাড় হওয়ার পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। তৈমূর আলম খন্দকার যে ভোট পেয়েছে তাতে আমার মনে হচ্ছে তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার ভূমিকা প্রশংসনীয় এবং নারায়ণগঞ্জে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আসলে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে যে কেন এতো সুন্দর নির্বাচন হলো এবং তা সারাদেশে প্রশংসিত হলো। সেটার দায় তৈমূর আলম খন্দকারের ওপর দিতে চাচ্ছে। সে কারণে তাকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে বিএনপি কুমিল্লার মেয়রসহ আরও বিভিন্ন জায়গায় নানাজনকে নানা পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে, বহিস্কার করেছে।’
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি অবৈধ অর্থ ব্যয় করে দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাই এদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকে কি না-এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট বিশেষ করে বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত -এই কথাটা আমরা বহুদিন ধরে বলে আসছি। তারপরও হয়তো অনেকের মনে নানা প্রশ্ন ছিল। প্রকৃতপক্ষে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি রুখে দেয়ার জন্য, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি রীতিমতো অর্থ ব্যয় করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্য দাখিল করে। সেখানে বিএনপি এই ফার্মের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়, যেটি শাহরিয়ার আলম গতকাল পার্লামেন্টে জানিয়েছেন। বিএনপি তাদের নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে এই ফার্মের সঙ্গে চুক্তিটা করেছে। এই ফার্মকে তারা প্রতি মাসে পঞ্চাশ হাজার ডলার করে এবং শুরুতে দেড় লাখ ডলার এডভান্স দিয়েছে। অর্থাৎ প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার তারা তিন বছরে ‘পে’ করেছে। নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে করা চুক্তি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নাই। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ঠিকানা দিয়ে বিভিন্ন নামে তারা ১২টিরও বেশি লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার তারা এই ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে। অর্থাৎ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্য, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি রুখে দেয়ার জন্য, দেশে রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠান হিসেবে লবিস্ট নিয়োগ করে এই কাজগুলো করছে।’
আরও পড়ুন: শীতকালীন সংসদে গণমাধ্যমকর্মী আইন উত্থাপনের আশাবাদ তথ্যমন্ত্রীর
ড. হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, ‘আপনারা জানেন যে, ওয়াশিংটন টাইমসে বেগম খালেদা জিয়ার নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছিল, কয়েক বছর আগে। সেই নিবন্ধে তিনি বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে যাতে আমদানি বন্ধ করে সেজন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রী কিভাবে দেশের বিরুদ্ধে বিদেশি একটি পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে বলে যে বাংলাদেশ থেকে যাতে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি না করে!’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দেশে তাদের অফিসের ঠিকানা দিয়ে চুক্তি করে বিদেশি লবিস্ট ফার্মকে লাখ লাখ ডলার ‘পে’ করছে, নির্বাচন কমিশনে তারা যে ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে, সেখানে তো এই হিসাব দেয়নি, নির্বাচন কমিশনের উচিত তাদেরকে তলব করা। দ্বিতীয়ত, এই লাখ লাখ ডলার তারা কোথা থেকে পায়, কোথা থেকে আসে, সেটিও তো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমি মনে করি এখানে দুদকেরও ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি আয়কর বিভাগ থেকেও এ বিষয়ে তদন্ত ও তাদের তলব করা প্রয়োজন। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেটার দালিলিক প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। যে রাজনৈতিক দল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সে দলের কি দেশে রাজনীতি করার অধিকার আছে!’
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত: তথ্যমন্ত্রী
এ বিষয়ে সরকারের মনোভাব প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের ওপর, জনগণের রায়ের ওপর বিশ্বাস করে না। তারা মনে করছে এ ধরণের প্রোপাগান্ডা চালালে তাদেরকে কেউ কোলে করে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তরসহ নানা মেকানিজম এ বিষয়ে কাজ করছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার একটি রাজনৈতিক সরকার। আমরা বিশ্বাস করি, এদেশের ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণ যাদেরকে মনে করবে তাদেরকেই ক্ষমতায় বসাবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের রায় ও জনগণের শক্তির ওপর ভর করেই দেশ পরিচালনা করেছে। আর বিএনপি বিশ্বাস করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের ওপর এবং সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের ওপর।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘সরকারের সিংহাসন টলোমলো’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সিংহাসন মধ্যযুগীয় শব্দ। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন হয়তো তারা সিংহাসন মনে করতেন। সরকার কিন্তু দেশ পরিচালনা করছে জনগণের রায়ে, সিংহাসনে নাই। আর সরকারের অবস্থান টলোমলো -এটি আমরা বারো বছর ধরে শুনে আসছি। তাদের কর্মীরা যে হতাশ হয়ে গেছে সেই হতাশা থেকে মুক্ত রাখার জন্য রিজভী সাহেবদের এই কথাগুলো বলতে হয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
আইভীর হ্যাটট্রিক জয়
টানা তৃতীয় বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে জিতে ইতিহাস গড়লেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। নির্বাচনে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকারকে ৬৯ হাজার ১০২ ভোটে হারিয়েছেন।
ভোট গণনা শেষে নাসিকের রির্টানিং অফিসার মাহফুজা আক্তার ভোটের ফল ঘোষণায় জানান, ১৯২টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
তিনি আরও জানান, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে।
কোনো প্রকার সহিংসতার ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে এবারের নাসিক নির্বাচন। নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও বন্দরের কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত না থাকায় নির্ধারিত সময়ের পরও ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার সকাল সাড়ে ৮টায় মাসদাইর ইসলামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী তার বাবার কবর জিয়ারত করে সকাল পৌনে ১১টায় দেওভোগ শিশুবাগ কেন্দ্রে ভোট দেন।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচন: ভোট শেষে চলছে গণনা
নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়াকে একটি বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
রবিবার বিকাল ৩টার দিকে ভোট দেয়ার পর শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এমনকি প্রার্থীরা বলেছেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। তাই তারা সন্তুষ্ট।
নির্বাচনী বিধিমালা অনুসরণ করে রিকশায় করে আদর্শ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
এই সাংসদ বলেন, ‘নির্বাচনকে সংঘাতময় বলা গণমাধ্যমের ফ্যাশন হয়ে পড়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, ‘সারা জীবন আমি আওয়ামী লীগের প্রতীকের জন্য কাজ করেছি; প্রার্থীর জন্য নয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার যোদ্ধা এবং তিনি আমার আদর্শ। আমি তার মতো সব দুঃখ সহ্য করতে পারব। তবে এটা আমি প্রতিবার করতে পারব না। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হবে।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ভোট শুরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না: কুষ্টিয়ায় হানিফ
দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে আর কোনদিন অসাংবিধানিক সরকার আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনদিন আসবে না, তাই এ নিয়ে আন্দোলন করে কোন লাভ নেই।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে জনবিচ্ছিন্ন বলার জবাবে হানিফ বলেন, বিএনপিই পরগাছা দল, ক্যান্টনমেন্ট থেকে সৃষ্টি, তাদের আওয়ামী লীগ নিয়ে না ভাবলেও চলবে।
এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সমাবেশ বন্ধ করতে নয়, করোনা থেকে বাচঁতেই বিধিনিষেধ: হানিফ
বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
সমাবেশ বন্ধ করতে নয়, করোনা থেকে বাচঁতেই বিধিনিষেধ: হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ‘বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নয়, করোনা থেকে বাচঁতে বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।’
বিএনপি নেতারা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধের জন্য সরকার কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছেন। সেটি নিয়ে বিএনপি বলছে, তাদের সমাবেশ বন্ধ করতে সরকারের এই বিধি-নিষেধ দিয়েছে। বিএনপি এসব কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য অরুচিকর: হানিফ
হানিফ আরও বলেন, আমরা পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে দেশে করোনার ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যে করোনা শনাক্তের হার ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এই মহামারি থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য বিধি-নিষেধ দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হানিফ বলেন, জনগণের আস্থার প্রতীক নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভি। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে উল্লেখ করে হানিফ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদেশে যেহেতু নির্বাচন কমিশন আইন নেই। কিন্তু চলতি ২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এত দ্রুত সময়ে নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই বর্তমানে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে সে অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেক্ষেত্রে সব রাজনীতি দলের নৈতিক দায়িত্ব হলো- মহামান্য রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে কমিশন গঠনে সহায়তা করা। কোন রাজনৈতিক দল চাইলে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া নাই দিতে পারেন তাই বলে নির্বাচন কমিশন গঠন থেমে থাকতে পারে না। এ সময় কলেজের শিক্ষক কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও আওয়ামীলীগ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে প্রমাণ করেছি বিএনপি মিথ্যাচারে লিপ্ত: হানিফ
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার চেয়ে নেতা-কর্মীরা রাজনীতি নিয়ে বেশি ব্যস্ত: হানিফ