আওয়ামী-লীগ
সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হতে পারে। আর সেই সরকার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। কারণ এদেশের জনগণ ষড়যন্ত্রকারীদের চিহিৃত করে ফেলেছে। তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মার দুর্গম চরে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এনআইডি’র তথ্য ফাঁস নিয়ে কাজ করছে সাইবার দল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। বিদেশিরাও দুই-এক দিনের মধ্যে টের পেয়ে যাবেন (বিএনপি) জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি এই নির্বাচন কমিশন আমাদের একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতি আলোকিত। আজকে বাংলাদেশ কোথা থেকে কোথায় গেছে তা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে।
তিনি বলেন, আমি সারা বাংলাদেশের খবর জানি, তারা আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। তাদের একটাই কথা যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ আলোকিত থাকবে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, টু্রিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা প্রসাশক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি সালাম চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলা সাড়ে ৩টায় হরিরামপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের হরিনা ক্যাম্প (হরিরামপুর সিও অফিস) ও সুতালড়ি লঞ্চ আক্রমণের ওপর নির্মিত ম্যুরাল উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো শুভংকরের ফাঁকি। এর ফাঁক দিয়ে অজগর সাপ ঢুকে সব খেয়ে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে এটি বাতিল করা হয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করে। সারা পৃথিবীতে কেউ এতে সম্মতি দেয় না।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শনিবার (২২ জুলাই) সকালে কুমিল্লার টাউন হল মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থানীয় সরকার শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা (বিএনপি) চান যে, একটা দুর্যোগপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ। আপনারা ক্ষমতা চান, দেশের উন্নয়নের জন্য?
কিন্তু দুই দফায় ক্ষমতায় থেকে কী কী করেছেন আর আওয়ামী লীগ কী কী করেছে তা দেখেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ শান্তিপূর্ণ দেশ। এ দেশটাকে নষ্ট করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি অশান্তি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে শিকার করতে চায়। বাংলাদেশ রক্ষা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির নৈরাজ্য ও অরাজকতা প্রতিরোধে লাকসামের প্রতিটি ওয়ার্ডে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে লাকসামে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। যার ফলে লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অনিককে নির্মমভাবে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে।
তাই শান্তিপ্রিয় লাকসামের জনগণের জীবনে যাতে কোনো প্রকার সন্ত্রাসের কালো ছায়া না পড়ে সেজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম
শুক্রবার (২১ জুলাই) লাকসাম পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে লাকসাম আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি প্রথমে সকালে লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের সঙ্গে ও বিকালে লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় মিলিত হন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বর্তমান সরকারের আমলে লাকসাম উপজেলার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বিএনপি আমলের কর্মকাণ্ড ও বর্তমান সরকারের সময় লাকসামের উন্নয়নের ফলে যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা মানুষের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে বিএনপি-জামায়াত মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করার সুযোগ পাবে।
এ সময় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সরকারের কারণে হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের সব জায়গায় মূল্যস্ফীতির ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সব অঞ্চলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাধারণ মানুষের কাছে এ বাস্তবতা তুলে ধরতে হবে।
লাকসাম উপজেলায় বিভিন্ন অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ অতি দ্রুতই সমাপ্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্মাণসামগ্রীর (রড, সিমেন্ট, ইটা ও বালু) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেনি। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কাজের রেট রিশিডিউল করার ফলে এখন ঠিকাদাররা উন্নয়ন কাজ শেষ করতে পারবেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে বহিরাগতরা অনুপ্রবেশ করে যাতে কোনো প্রকার অনাসৃষ্টি বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করতে না পারে সেজন্য লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এবারও জাতীয় সংসদের এ আসনটি আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব।
আরও পড়ুন: কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ নৈরাজ্যের দেশে পরিণত হবে। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের ভালো চায় না।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস বলে, তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে এবং সে হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য আইন করেছে। শুধু তাই নয়, হত্যাকারীদের চাকরি দেওয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সুবিধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন তাদের সঙ্গে রাজনীতি করতে হলে শক্ত হাতে রাজনীতি করতে হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে। তারা নির্বাচন করতে চায় না, তারা চায় পেছনের দরজা দিয়ে আবার কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাক।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আমাদের দেশে নির্বাচন হবে আমাদের সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের একচুল ব্যত্যয় হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।'
শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আগে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানিসহ সব গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালে সরকারই দায়িত্ব পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করে না।
আর বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি দিচ্ছে, তা শুধু পাকিস্তানে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'আমার প্রশ্ন- তারা শুধু পাকিস্তানকে কেন অনুসরণ-অনুকরণ করে! মির্জা ফখরুল সাহেব ক'দিন আগেও বলেছেন- পাকিস্তানই ভালো ছিল। তারা পাকিস্তানকে অনুকরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।'
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
এ সময় বিএনপির আন্দোলন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'এখন বিএনপি হচ্ছে পা ভাঙা বাঘ আর খাঁচায় বন্দী সিংহ। তাদের তর্জন-গর্জনই সার। অন্য কিছু করার সামর্থ্য তাদের নেই। আর তারা যদি দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে, সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে। আওয়ামী লীগও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করবে।'
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল এসেছে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে। অন্য কারো আমন্ত্রণে নয়। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে এসেছে, তারা কমিশনের সঙ্গে, সরকারি দল, বিরোধী দল -সবার সঙ্গেই বৈঠক করেছে। তাদের এই আসা অত্যন্ত ইতিবাচক কারণ, নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ইইউ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ইইউ তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। এটি খুবই ইতিবাচক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারিসহ উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের সফর সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চমৎকার বহুমাত্রিক সম্পর্ক। তারা আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রার সহযোগী এবং কিছুদিন আগে আমরা দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। সেই আলোকে এই চমৎকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যেই তাদের এই সফর।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল সেই আশ্রয় ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। যাওয়ার আগে তারা বলেছেন, আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে। অর্থাৎ তাদের সফরও আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ়তর করেছে।
এ দিন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ হলে আয়োজিত বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাফর আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সঞ্চালনায় সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য সফুরা বেগম রুমি, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
ডিস লাইন ডিজিটালাইজড করার সময় বাড়ানো হবে: তথ্যমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপির দাবি একটাই শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনার পদত্যাগ মানে সংবিধানের চরম লঙ্ঘন। আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না। আমাদের বিপরীতে যারা অবস্থান করছে তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, পাকিস্তান আফগানিস্তানের বন্ধু, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এই ষড়যন্ত্রকারী, তৎপরতার কাছে আত্মসমর্পণ করব? আত্মসমর্পণ করে এদেশের মাটি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, স্বাধীনতা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, রাজনৈতিক বিজয়, উন্নয়ন অভিযাত্রা কি বিসর্জন দেব?
কাদের বলেন, বিএনপি সারাদেশে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। হত্যার শিকার হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আর নির্জলা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিএনপি চিরাচরিতভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির শর্ত অসাংবিধানিক: কাদের
তিনি আরও বলেন, মফস্বলে সহিংসতা যা ঘটানো হচ্ছে তা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। রাজনৈতিক অপশক্তির হোতা বিএনপি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে। নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে।
গুলশানে হিরো আলমের উপর হামলা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থী যেই হোক তাকে প্রার্থী হিসেবেই দেখছে সরকার। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বড় বড় নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর মাথাব্যথা বাংলাদেশ নিয়ে। দফায় দফায় বিদেশিরা আসছে, বিএনপিও দফা দিচ্ছে।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন মায়া, কাজী জাফরুল্লাহ, ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বিদেশিরা আসে-যায় বিএনপির আশা পূরণ হয় না: কাদের
রাজধানীতে যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ সোমবার
ঢাকা বিভাগীয় ‘তারণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ আগামী সোমবার (২৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর সাবেক বাণিজ্য মেলার মাঠে (বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন) এই সমাবেশ আয়োজন করবে যুবলীগ।
যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে দেশব্যাপী ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশের ধারাবাহিকতায় আগামী সোমবার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কোনো শক্তিই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার (ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলা) সমন্বয়ে সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান মাসুদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সাতরাস্তা মোড়ে আ.লীগের শান্তি মিছিলের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ৷ আর সঞ্চালনায় থাকবেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এছাড়া উপরিউক্ত জেলা ও মহানগরসমূহ ব্যতীত ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় জেলা ভিত্তিক পূর্ব ঘোষিত তারিখে (২২ জুলাই) ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
দলের চেয়ারম্যান ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশে জেলা ও মহানগরকে আহ্বান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা ও মহানগরকে আগামী ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ সফল করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনা বিভাগের নড়াইলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের এক কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালিয়া উপজেলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত আজাদ শেখ (৩০) পেরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাজত শেখের বড় ভাই ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ইইউ, যা আ. লীগেরও অঙ্গীকার: কাদের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনায় যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’সমাবেশে নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির নেতৃত্বে মিছিলে অংশ নেন নেতাকর্মীরা।
সন্ধ্যায় তিনি ও আরেক যুবলীগ কর্মী জনি সরদার বাড়ি ফেরার সময় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই আজাদ নিহত হয়। তবে জনি সামান্য আহত হন।
আরও পড়ুন: আ. লীগের 'শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা' শুরু আজ বিকালে
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে তাসমিম আলম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার কারণ শনাক্ত ও দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি,খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন খুলনা হাসপাতালে দেখতে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সাতরাস্তা মোড়ে আ.লীগের শান্তি মিছিলের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু
নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির শর্ত অসাংবিধানিক: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি যে শর্ত দিয়েছে তা সংবিধানবিরোধী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা দলটির এক দফা নিয়ে বিদেশিদের কোনো বক্তব্য নেই।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতুভবনে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য স্পষ্ট হয়েছে যে বিএনপি অশান্তির পথে হাটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। তারা সন্ত্রাস ও নির্বাচন বানচালের লক্ষ্য নিয়ে তারা এগোচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদেশিরা আসে-যায় বিএনপির আশা পূরণ হয় না: কাদের
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা, আওয়ামী লীগের দফা একটাই- সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। বিএনপির দাবি অদ্ভুত, উদ্ভট ও অযৌক্তিক। বিএনপিকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দেবে এমন নিশ্চয়তা না পেলে তারা নির্বাচনে আসবে না। এটা তাদের প্রতিজ্ঞা, পণ।
এর আগে সেতুভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। সাক্ষাৎকালে দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে, নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব, বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক করার কথা বলেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিজয় মিছিল নয়, পরাজয়ের মিছিল: কাদের
বিদেশিরা আসে-যায় বিএনপির আশা পূরণ হয় না: কাদের
বিদেশিদের কাছে বিএনপির আশা পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা এসে চলে গেল কিন্তু তাদের আশা পূরণ হয়নি। এখন সব দোষ শেখ হাসিনার। নির্বাচনে এলে হেরে যাবে একথা ভাবতেই তাদের মন খারাপ।’
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তায় আয়োজিত আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতারা আশার মালা গেঁথে প্রহর গুনেছে কখন আসবে আজরা জেয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। বিএনপি নেতাদের চোখে, মুখে আনন্দের ধারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা এল, এখন যায় যায়। আমেরিকান প্রতিনিধি এসে চলে গেল। বিএনপি যা শুনতে চেয়েছিল, তা পায়নি। তাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গলার পানিও শুকিয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আনন্দ নেই, শুকনো মুখ, শুখনো চোখ। কারণ বিএনপি নেতাদের আমেরিকা বলে দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপিকে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। এটাই তাদের জ্বালা।’
আরও পড়ুন: বিএনপির বিজয় মিছিল নয়, পরাজয়ের মিছিল: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে স্লোগান আর দফা একটাই- শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। সাত রাস্তায় এসে দেখুন জনতার ঢল আর জনতার বিপ্লব।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানসম্মান থাকতে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। অন্যথায় মানসম্মান থাকবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে পরিষ্কার বলতে চাই নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে না এলে সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিহত করব।’
বিএনপির ৫৪ দল, ৩৬ দল, ২৭ দফা, এক দফা ভুয়া উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিএনপির ভুয়া রাজনীতি চায় না।
তিনি বলেন, বিএনপির অন্তরজ্বালা বেড়ে যাচ্ছে। এক দিনে শত সেতুর উদ্বোধন, আগামী মাসে আরও শত সেতুর উদ্বোধন হবে। এ ছাড়া পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল - এত উন্নয়ন কীভাবে ঠেকাবে? বিএনপির ঘুম নেই।
শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন পায়ে পা রেখে ঝগড়া করতে চায়। আমরা শান্তি চাই।
কর্মীদের মাথা গরম না করার নির্দেশ দিয়ে কাদের বলেন, যত শান্তি থাকবে, আওয়ামী লীগের ভোট তত বাড়বে। একদিকে জনগণের শক্তি, অন্যদিকে সন্ত্রাস আর তাণ্ডব।
আরও পড়ুন: বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে আসেনি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে নির্বাচনে এসে নিজেদের জন সমর্থন প্রমাণ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিদেশিদের ক্রীড়নক হওয়ার চেষ্টা করবেন না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ আরও অনেকে।
সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সাতরাস্তা মোড়ে আ.লীগের শান্তি মিছিলের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু