আওয়ামী-লীগ
জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণ করা।
তিনি বলেন, ‘তাই প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। আপনাদের (সংসদ সদস্যদের) নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের এলাকায় সুষম উন্নয়ন করা হবে।’
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
বুধবার(১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের (এএলপিপি) প্রথম সভার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বক্তব্য দেন। দুপুর ১২টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলে।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গণতন্ত্র ও জনগণ বিজয়ী হয়েছে।’
তবে সংসদে বিরোধী দল কে হবেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি বলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান জয়।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
জয় সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সংসদের স্পিকার, মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে সংসদের চিফ হুইপ মনোনীত করা হয়েছে।
একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতি ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সংসদ নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ফলে একটানা চতুর্থবারের মতো তিনি সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের শপথ শেষে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার নাম প্রস্তাব করেন এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ওই প্রস্তাবের সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিকরণে তা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
সংসদ নেতা নির্বাচনের পাশাপাশি বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচিত করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত করা হয।
এদিকে সংশোধিত দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে আবারও নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া বর্তমান নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া: হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে হাছান বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন জাতির পিতা স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, গভীর শ্রদ্ধা জানাই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ সকল শহীদ, জাতীয় ৪ নেতা এবং যারা জীবন দিয়ে আমাদের এই দেশমাতৃকা রচনা করে গেছেন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।’
সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন যে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। কোনো কোনো নির্বাচনী এলাকায় ৭০ শতাংশের ওপরে মানুষ ভোট দিয়েছে। ৩ দিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিল। সে কারণে কিছু বড় শহরে ভোটের হার কিছুটা কম হয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাদের ভোট প্রদানের হার ৪২ শতাংশ।'
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
ড. মাহমুদ বলেন, 'যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিল এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ভোট বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়ে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।'
দেশের ইতিহাসে একটি ভালো সুন্দর নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে। এবং সরকার গঠনের পর আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে দেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসকে সমূলে উৎপাটন করা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।'
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে, বিএনপিসহ যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা, ভোট বর্জনের ডাকের পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি ট্রেনে বর্বরোচিত হামলা এবং ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুনসন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান বলেন, বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত- কেন তারা নির্বাচন করল না। তাদের সঙ্গে যদি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন, তাহলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে কী পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন অনুধাবন করতে পেরেছে, এই নির্বাচন বর্জন করে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো সহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে যে, দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সোমবার বিকালে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে’
নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নাই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই হবে নতুন সরকারের মূল কাজ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন সরকারের প্রধান কাজ হবে নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এই দিনে সংসদ নেতাও নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে।
তিনি আরও বলেন, '২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দলমত নির্বিশেষে দেশের অব্যাহত উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে যেতে হবে। কোথাও কোনো সহিংসতা বা সংঘাত হওয়া উচিত নয়। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নেতা যে ভাষণ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা এবং দেশ পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের অতিক্রম করতে হবে।’
সংসদ নির্বাচনের পর কোনো ধরনের সহিংসতায় না জড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা দলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার একটি চক্রান্ত। দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে। যারা বর্জনের ডাক দিয়েছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বিএনপি তাই করছে। এটি তাদের জনসাধারণের বিচ্ছিন্নতার মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে। আমরা সবসময় সতর্ক থাকি যাতে কোনো ক্ষতি না হয়। সবকিছু মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ আজকের বিজয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল রয়েছেন।’
নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি দেশের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমেরিকা, কমনওয়েলথ ও ওআইসির পর্যবেক্ষকরা এখানে উপস্থিত ছিলেন। আমি মনে করি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পর পর্যবেক্ষকরা তাদের দেশ থেকে যে ইতিবাচক মন্তব্য করবেন, তার ওপর ভিত্তি করে যারা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন তারাও বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা.দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো দলে না গিয়ে যদি আলাদা থাকেন, তবে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনিা বলেন, স্বতন্ত্রদের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা আলাদা আলাদা থাকবেন, তবে জাতীয় পার্টি যেহেতু ১১টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি অবশ্যই (বিরোধী দল হিসেবে) প্রাধান্য পাবে।’
তিনি জানান, বিরোধী দল হতে হলে ১০ শতাংশ আসন থাকতে হয়।
এমপিদের শপথ, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল (বুধবার) নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। এ আমন্ত্রণ জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকার গঠন করবেন। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না গঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখন যে সরকার আছে তারা দায়িত্বে থাকবেন। নির্ধারিত সময় না থাকলেও রীতি রয়েছে শপথ নেওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই নতুন সরকার গঠিত হয়। আমার মনে হয়, এবারও তাই হবে।’
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন সংসদ সদস্যদের একটা গেজেট করবে। এটা করার পরে শপথ নিতে হবে, সেখানে একটা সময়সীমা রয়েছে যে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই শপথ নিতে হবে। এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
স্বতন্ত্ররা কোনো মোর্চা করতে পারবে কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘কেন পারবে না? স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজস্ব একটা গ্রুপ করবেন, অবশ্যই তারা সেটা করতে পারেন। তখন কাকে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা নির্ধারিত হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল শপথ নেওয়ার পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান কি হবে তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। স্বতন্ত্রদের অবস্থান নির্ণয় হওয়ার পরেই আমার মনে হয় বিরোধী দল কারা থাকবেন সেটা আমরা বুঝতে পারব।’
স্বতন্ত্র যারা তারা আওয়ামী লীগের। তারা যদি বিরোধী দলে যায়, তবে সরকার এবং বিরোধী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগ হলো। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের হিসেবে নির্বাচিত হননি। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগের এটা মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইন ও বাস্তবতার কথা সেটা নয়।’
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘তারা স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তারা যদি মনে করেন তারা স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন। তাহলে দেখা যাবে কতজন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেন। যদি দেখা যায় তারা একটা মোর্চা করবেন। অবশ্যই সেখানে তখন বিরোধীদল কে হবে তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
সংসদ সদস্যদের শপথ বুধবার হলে মন্ত্রিসভা কবে গঠিত হবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন তিনি ইনশাআল্লাহ আবারও আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির দল নেতা হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তিনি তখন ঘোষণা দেবেন কখন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলে আসছি নির্বাচন তখন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, যখন জনগণ ভোট দেয়। আপনারা সবাই দেখেছেন এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সেজন্য আমরা বলব, আমরা যেটা বলি সেটা সঠিক। এর কারণ হচ্ছে বাস্তব চিত্র আমরাই দেখেছি। এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে, যেটা জনগণ স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ওপরে কারও স্বীকৃতি প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।’
আরও পড়ুন: পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
১৯৭৫ সালের পর এই নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ-সুষ্ঠু হয়েছে: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রবিবারের (৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর নেতা-কর্মীরা সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
এই বিজয় তার টানা চতুর্থ মেয়াদে এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের পরামর্শ মেনে চলায় বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। তাদের কিছু ওস্তাদ আছে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে চেনে না। এসব ওস্তাদদের পরামর্শ মেনে চললে বাংলাদেশে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো বিদেশি প্রভু নেই, কারণ জনগণই তাদের শক্তি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের মধ্যে এই নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা প্রমাণ করেছি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবকিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের অনেকেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বকে কাজে লাগানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
‘জনগণের ম্যান্ডেট মেনে সবকিছু ভুলে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার’ আহ্বানও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে কিছু রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় না চায়, তাহলে আমরা তাদের ম্যান্ডেট দিয়ে তা দেখাব।’
এ প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর জনগণ দেড় মাসের মধ্যে বিএনপি সরকারকে উৎখাত করেছিল।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ কখনও অন্যায় মেনে নেয় না।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা তার বড় বোনকে ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হতে পারে।
তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নতুন সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে বাংলাদেশ সৌরভিত্তিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে: নসরুল হামিদ
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ ঢাকা-৩ আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের শক্ত অবস্থানের কারণেই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের মাধ্যমে বিএনপি'র অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব জনগণ দেবে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাসহ নতুন সরকারের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, নতুন সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য বজায় রাখতে স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা চালু করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই: নসরুল হামিদ
আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নিসংযোগকারী, ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি ও ১৫ আগস্টের খুনিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এবারও ব্যর্থ হয়েছে। বারবার নির্বাচন বর্জন করার পর এখন বিএনপির পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। বিএনপি এখন যেসব অভিযোগ এনেছে তা অবাস্তব ও ভিত্তিহীন।’
আরও পড়ুন: ভোট বর্জনকারীদের বর্জন করেছেন ভোটাররা: কাদের
সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে সত্য মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব: ফেরদৌস
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা নির্বাচনি ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার করেছি তা বাস্তবায়ন করব এবং ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অভিনেতা ও প্রযোজক সাজু মুনতাসিরের বিশেষ দিন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
ঢাকার সংসদীয় ২০টি আসনের দখল ধরে রাখতে পারেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে থাবা বসিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর একটিতে জোটকে ছাড় দিতে হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া ঢাকা ১৯টি আসনের তিনটিতে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরমধ্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান লড়েছিলেন ঢাকা -১৯ আসনে।
২০ টি আসনের বেসরকারি ফলে ঢাকা-৪, ঢাকা-৫ এবং ঢাকা-১৯ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে নাস্তানুবুদ করে নিজ দলেরই মনোনয়ন বঞ্চিতরাই।
ঢাকা-৪ আসনে ৭৭টির কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফলাফলের ভিত্তিতে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন, তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট। নৌকা প্রতীকের সানজিদা খানম পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট।
ঢাকা-৫ আসনের ১৮৭ কেন্দ্রের ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট। আর নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা-১৯ আসনের ২৯২ কেন্দ্রের ফলাফলে ট্রাক প্রতীকের সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের ডা. মো. এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ) পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট।
ঢাকার যেসব আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ
ঢাকা-১: সালমা বনাম সালমান এফ রহমান
সংসদীয় এই আসনটির ১৮৪টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালমান এফ রহমান ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।
ঢাকা-২: আসনে কামরুল বনাম হাবিবুর
আসনটির ১৯৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মো. কামরুল ইসলাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের ডা. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৫ ভোট।
ঢাকা-৩: নসরুল হামিদ বনাম মনির সরকার
এ আসনটির ২২৬ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের নসরুল হামিদ ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙল প্রতীকের মো. মনির সরকার পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ ভোট।
ঢাকা-৬: সাঈদ খোকন বনাম রবিউল আলম
নৌকার প্রার্থী সাঈদ খোকন ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনার প্রতীকের মো. রবিউল আলম মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ১০৯ ভোট।
ঢাকা-৭: সোলাইমান সেলিম বনাম সাইফুদ্দিন
আসটির ১২৫ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলাইমান সেলিম ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৮ ভোট।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
ঢাকা-৮: বাহাউদ্দিন নাছিম বনাম জুবের আলম
বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মো. জুবের আলম খান পেয়েছেন ৮৮০ ভোট।
ঢাকা-৯: সাবের হোসেন চৌধুরী বনাম আবুল
১৬৯টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী ৯০৩৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের কাজী আবুল খায়ের পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট।
ঢাকা-১০: ফেরদৌস বনাম শাহজাহান
এ আসনে ১১৯টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ফেরদৌস আহমেদ ৬৫ হাজার ৮৯৮ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।
ঢাকা ১১: ওয়াকিল বনাম শামীম
আসটির ১৬২ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছন। লাঙল প্রতীকের শামীম আহমেদ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৭৪৭ ভোট।
ঢাকা-১২: আসাদুজ্জামান বনাম খোরশেদ
১৪০ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ৯৪ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী খোরশেদ আলম খুশু ২ হাজার ২১৯ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-১৩: আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
ঢাকা-১৪: নিখিল বনাম লুৎফর
আসনটির ১৬৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খান ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের মো. লুৎফর রহমান ১৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সাবিনা আক্তার তুহিন পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৯২ ভোট।
ঢাকা-১৫: কামাল আহমেদ মজুমদার বনাম শামসুল
আসনটির ১৩৩ কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির শামসুল হক লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট।
ঢাকা-১৬: ইলিয়াস আলী মোল্লা বনাম
আওয়ামী লীগের ইলিয়াস আলী মোল্লা বিজয়ী হয়েছেন। ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ ৬৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দিন রবিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৪ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান প্রায় ৫৯ হাজার।
ঢাকা-১৭: আরাফাত বনাম আইনুল হক
নির্বাচনের ১২৪টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। নৌকা প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ এ আরাফাত পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুলা প্রতীক নিয়ে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আইনুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮০ ভোট।
ঢাকা-১৮: খসরু বনাম শেরীফা কাদের
আসনটির ২১৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। কেটলি প্রতীকের মো. খসরু চৌধুরী ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের এস এম তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। লাঙল প্রতীকের শেরীফা কাদের পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ ভোট।
ঢাকা-২০: বেনজির বনাম মোহাদ্দেছ
আসনটির ১৪৯ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে।নৌকার প্রার্থী বেনজীর আহমদ ৮৩ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩ ভোট।
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের