আওয়ামী-লীগ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বুধবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মাটির কৃতি সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একাত্তরের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের; প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, শাজাহান খান; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. হাসান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ: তথ্যমন্ত্রী
তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে অন্যান্য কোন মরণাস্ত্র আছে কিনা তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখতেই হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে 'বঙ্গবন্ধুর তিন প্রজন্মের রাজনীতি'-শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘ভাঙচুর’ করার অভিযোগের বিষয়ে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্তের স্বার্থে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।’
তল্লাশি অভিযানের সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়াবাড়ি করায় বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ১০ ডিসেম্বর তারা প্রচন্ডভাবে ‘ফ্লপ’ করেছে। সে কারণে তারা মুখরক্ষার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ-অনুযোগ উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন: ঢাকায় বলীখেলায় তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে বিএনপিকে ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে যোগ দেয়ার জন্য ঢাকায় আসবেন। তাই কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
গত ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে বিএনপি তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা ও দেশের সব জেলা শহরসহ বড় শহরে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে, দিনটি আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের সঙ্গে মিলে গেছে।
কাদের বলেন, বৈশ্বিক সংকট বিবেচনা করে তাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সহজভাবে কাউন্সিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আমরা আশা করি একটি সফল কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ সুপার ফ্লপ হওয়ায়, বিএনপি নেতাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো ও উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফা দাবির মধ্যে নতুন কিছু নেই, সব পুরনো কথা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামের সামনের মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি তার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর সব অচল করে দেয়ার ছক এঁকে বিএনপি এখন নিজেরাই অচল হয়ে গেছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা চলে গেলেন, এভাবে বয়কট করা বড় ভুল, অচিরেই তারা বুঝতে পারবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচন চালনায় নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের মূলশক্তি। সরকার শুধু সহযোগিতা করবে।
বিএনপির মতো আওয়ামী লীগেরও দাবি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশন সর্বসম্মতিক্রমে মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
সরকারের পতন ঘটাতে এসে বিএনপি নিজেদের পতন ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকারের পতন ঘটাতে এসে বিএনপি নিজের পতন ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, বিএনপি বলেছিল সরকারের পতন ঘটাবে, ১০ তারিখের পর থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ চলবে। কিন্তু সরকারের পদত্যাগ চাইতে এসে নিজেরাই পদত্যাগ করে বসলেন সংসদ থেকে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মনে করেছে সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সরকারের ভিত নড়ে যাবে। সরকারের একটু কাতুকুতু লেগেছে এর বেশি কিছু হয়নি। তারা যেদিন পদত্যাগ করেছে সেদিনই সংসদ সচিবালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে সংসদের আসন শুন্য ঘোষণা করেছে। সামনে উপনির্বাচন হবে, এখন তারা বুঝবেন কি ভুলটি তারা করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এমন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে যে কেউ ধাক্কা দিলে সেই নিচে পড়ে যায়। কঠিন দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেলে, দেয়ালের যেমন কিছু হয় না, উল্টো যে ধাক্কা দেয় সেই মাথায় ব্যথা পায়। তেমনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ধাক্কা খেতে এলে আওয়ামী লীগের কিছুই হবে না। উল্টো বিএনপি ভেঙে পড়ে যাবে।
তিনি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, বিএনপি বলেছিল, ১০ ডিসেম্বর তাদের ১ দফা দাবি। আর সমাবেশে তারা দিল ১০ দফা দাবি। তাদের দাবিগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। নতুন কোন কিছু সেখানে নাই। এক দফা থেকে এখন দশ দফায় গেছে। গাধা জল ঘোলা করে খাওয়ার মতোই বিএনপি নয়াপল্টনের রাস্তায় দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করার কথা বলে গোলাপবাগ মাঠে পঞ্চাশ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। অনেক হিসেব-নিকেশ করেই বিএনপি ঢাকায় সমাবেশের আয়োজন করেছিল। তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন-দশ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। শেষমেষ বিএনপি অফিসে পাওয়া গেল পনেরটি তাজা বোমা, ১৬০ বস্তা চাল, আড়াই লাখ পানির বোতল আর লাঠিসোটা। তার মানে হচ্ছে তারা আসলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর জন্য নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল।
চট্টগ্রামের মানুষ বারবার আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকেছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি হাছান মাহমুদ বলেন, 'আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করার চেষ্ঠা করা হয়েছিল। চট্টগ্রামের ৩২জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী সেদিন জীবন দিয়েছিল।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঢাকার প্রধান সড়কে বিএনপি কেন সমাবেশ করতে চায়: তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়: কাদের
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়। এরপর নির্বাচনে হবে ফাইনাল খেলা।
সাত বছর পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না। মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপাট ও সন্ত্রাস করা। তারা দেশে কী করেছে তা আপনারা দেখেছেন।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশ থেকে অর্থ লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়েছেন পলাতক তারেক রহমান। তারা আবার রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। দেশে যথেষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় অন্য নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা করেন।
এই সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পদপ্রত্যাশী, নেতা-কর্মীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা শহর। সম্মেলনে অর্ধলাখ মানুষের সমাগম হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
বিএনপির চাওয়ায় নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি কী চাইল আর কী চাইল না-সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে না, দেশও চলবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফা নতুন কিছু নয়। পুরনো ভাঙা রেকর্ড তারা বাজিয়েই চলেছে।
এছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, নিরপেক্ষ সরকার চাই, সরকারের পতন চাইসহ নানা দফা-দাবি জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: সরকারি শিল্প কারখানা যেন উৎপাদনশীলতার মডেল হয়: কৃষিমন্ত্রী
রবিবার টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে সংসদের কিছু হবে না। সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি রয়েছে। সংসদ যথানিয়মে চলবে।
বিএনপি-জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনকে হাস্যকর বলে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, এরা একই বৃন্তের ফুল। যত কথাই শোনা যাক, বিএনপি-জামায়াত পরস্পরকে কখনো ছেড়ে যাবে না।
ড. রাজ্জাক বলেন, বিদেশিদের ও স্বাধীনতাবিরোধীদের উস্কানিতে বিএনপি মনে করে, সন্ত্রাস করে, অরাজকতা করে সরকারের পতন ঘটাবে। এটি কোন দিনই হবে না। ২০১৩ সালে তারা পারেনি, ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে। ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল দিয়েছিল বিএনপি, তখনও তারা সফল হয় নি। ২০২২-২৩ সালেও তারা সফল হবে না। কাজেই, বিএনপি আন্দোলন করে কখনো সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। বর্তমান সরকার একটি ন্যায়সঙ্গত, জনগণের নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকার, মেয়াদের শেষ দিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না: কৃষিমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না। এতে সংসদের কিছুই হবে না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির ২৬ জন এমপি সংসদে আছেন, তারা যাচ্ছেন না।
এছাড়া বিএনপির সংসদ সদস্যরা ভুল করেছেন এমন মন্তব্য করে কাদের বলেন, এই পরামর্শ বিএনপিকে যারা দিয়েছে তারা অচিরেই পস্তাবে।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক নিচে, এটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া সম্ভব না। বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আতঙ্ক ছিল। ১০ তারিখ চলে গেছে, সব ভয়ের মেঘ চলে গেছে।
আওয়ামী লীগ নোংরা রাজনীতি করে না উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ ভদ্র দল। এখানে খালেদা জিয়ার নামও বেগম খালেদা বলার চর্চা চলছে।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে দূতাবাসও পুলিশের ওপর হামলায় উদ্বেগ জানায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন নারী ধর্ষিত হয়, তখন কোথায় যায় যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার।
এছাড়া ফিলিস্তিনে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলো, কী বিচার করেছে আমেরিকা? ইসরায়েলকে আদর করেন, তাদের অন্যায়ের বিচার করেন না, তখন মানবাধিকার কোথায় যায়?
তিনি বলেন, উন্নয়ন আর অর্জনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ৭৫ এর পরে বাংলাদেশে এতো ভালো মানুষ জন্মায়নি।
করোনা ও এর পরে অর্থনৈতিক সঙ্কট শেখ হাসিনা সামলে নিয়েছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের কাছে এখনও পাঁচ মাসের রিজার্ভ আছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবেই।
কাদের বলেন, স্টকে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। আগে মানুষ বাঁচাতে হবে, তাই এখন উন্নয়ন কাজ একটু বন্ধ রাখা হয়েছে, তবে আবারও শুরু হবে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতন্ত্র আছে বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্র কিভাবে দেবে।
বিদেশিদের কাছে প্রশ্ন আপনারা খবর নেন জিজ্ঞেস করেন কীভাবে তারা (বিএনপি) দেশে গণতন্ত্র দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এবার সেমিফাইনাল খেলা হবে ভোট চুরি, ষড়যন্ত্র, অপশক্তির বিরুদ্ধে। এরপর ফাইনাল খেলা হবে আগামী বছর ডিসেম্বরে।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি সমাবেশে লাঠি-আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’: কাদের
গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্য নিয়েই বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের সমাবেশে ক্রমাগত সরকারকে পদত্যাগ করতে বলছে। কিন্তু এখন তাদের নিজস্ব সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। এতেই বোঝা যায় বিএনপির রাজনীতিবিদরা কতটা অগণতান্ত্রিক।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, সরকার বা সংসদ তাদের এই পদত্যাগে প্রভাবিত হবে না।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সাতজন সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদের কিছু হবে না। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে উপনির্বাচন হবে। আর তাদের ১০ দফা দাবি গতানুগতিক। এগুলো বহুদিন ধরে বলে আসছে।
গোলাপবাগে বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলে তারা বড়জোড় ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেমাঠে গরুর হাট বসে। তারা সে মাঠই পছন্দ করেছে। তাদের আরও অনেক বিকল্প বড় মাঠের কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু তাদের গরুর বাজারের মাঠই পছন্দ। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেটার আয়োতন হলো ৫০ হাজার বর্গফুট। ফলে সেমাঠে কতো মানুষ ধরে সেটা সহজে অনুমেয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যতটা ম্যানেজ করতে পেরেছিল তার চেয়ে বেশি লোক আমাদের ছোট আকারের, স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেয়। এছাড়া আমাদের থানা সম্মেলনেও এর চেয়ে বেশি মানুষ হয়।
মন্ত্রী বলেন, শনিবার মানুষ শঙ্কার মধ্যে ছিলো তারা আবার অগ্নিসন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান এবং সরকারিদল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে সরব উপস্থিতি কারণে তারা যে ভাবে করতে চেয়েছিলো সেভাবে করতে পারে নাই। অথ্যাৎ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য যেভাবে করতে চেয়েছিলো সেভাবে করতে পারে নাই। এরপরও তারা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করেছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে এবং মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের প্রস্তাবিত বড় ভেন্যু প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে তারা তাদের অনুষ্ঠানে মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। এছাড়া বিএনপির ১০ দফা দাবি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আরেকটি চক্রান্ত।
২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে বিএনপির গণমিছিলের ডাক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল ডাকা এটি দুরভিসন্ধিমূলক। ওদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। সেদিন সারা দেশে সমাবেশ ডাকা আমি মনে করে এটি দুরভিসন্ধিমূলক।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঢাকার প্রধান সড়কে বিএনপি কেন সমাবেশ করতে চায়: তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ঢাকা সমাবেশ ব্যর্থ হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে দল 'অর্ধেক পরাজিত' হয়েছে।শনিবার সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।কাদের বলেন, ‘বিএনপি নয়া পল্টনে তাদের সমাবেশ করতে চেয়েছিল। তারা তা করতে না পেরে অর্ধেক পরাজিত হয়েছে। পুলিশের অনুমতি পাওয়ার অনেক আগেই তারা সমাবেশের নামে পিকনিক আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়। পুলিশ তাদের নয়াপল্টন কার্যালয়ের মধ্যে চাল, মসুর ডাল এবং রান্নার হাঁড়ির বস্তা খুঁজে পাওয়ার পর এটি প্রমাণিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি সমাবেশে লাঠি-আগুন নিয়ে আসলে ‘খেলা হবে’: কাদেরক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের তার বক্তব্যে বুধবারের সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন।তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরা প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলা হলে পুলিশ কি নির্বিকার বসে থাকবে? আমরা জানি কারা এই ধরনের সহিংসতার জন্য বিএনপিকে অর্থায়ন করছে। সময় হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব ।‘কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যের (এমপি) পদত্যাগের সিদ্ধান্ত একটি বড় ভুল প্রমাণিত হবে। এই পদত্যাগের কারণে সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়বে তা ভাববেন না। এছাড়া, এখন আমরা সেই লবিস্টকে চিনি যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্ররোচিত করেছিল। তার নাম টবি ক্যাডম্যান। রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। এসব ভুলের খেসারত বিএনপিকে দিতে হবে।’
যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালীন, জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতারা যারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত, দোষী সাব্যস্ত এবং পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা টবি ক্যাডম্যানকে লন্ডন-ভিত্তিক আইনি উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন।
সাভারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা। সভায় কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে: কাদের