আওয়ামী-লীগ
আ.লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সোহেল তাজ
প্রায় শতাধিক সমর্থক নিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে গিয়ে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ ঘটনার ফলে পুনরায় তার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার জল্পনা আরও বেড়েছে।
ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোহেল তাজ রাজনীতিতে তার সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তিনি এখনও রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার জন্ম একটি রাজনৈতিক পরিবারে। আওয়ামী লীগ আমার রক্তে মিশে আছে। আমি কখনোই রাজনীতির বাইরে ছিলাম না। কিছুদিন ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আজ পার্টি অফিসে এসেছি, আমি এখানে নিয়মিত আসার চেষ্টা করব।’
সোহেল তাজ জানান, তিনি দলের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ‘হটলাইন কমান্ডো’ নিয়ে আসছেন সোহেল তাজ
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আমি যেমন ছিলাম, এখনও তেমনই থাকব।’
সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে। তিনি ২০০১ সালের গাজীপুর-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে আবারও নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে শেখ হাসিনা তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বানান। তবে এর পাঁচ মাস পরে তিনি পদত্যাগ করেন।
২০১২ সালের এপ্রিলে আবারও তিনি এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই সোহেল তাজ সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন।
আরও পড়ুন: সোহেল তাজের অপহৃত ভাগনে উদ্ধার
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন: হানিফ
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য চা বাগান মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে চা শিল্পে শ্রমিকরা চা বাগানে কাজ করেন। তারা অনেক দরিদ্র এবং অসহায়। মজুরি বৃদ্ধির জন্য দাবি জানাচ্ছেন। চা বাগানের মালিকদের অনুরোধ করেছি, আপনার চা শিল্পে যারা কাজ করেন তাদের মজুরি সহানুভূতি, মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করুন। যতটুকু পারবেন আপনারা তাদের সঙ্গে বসে ঠিক করুন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় দক্ষিণ ময়ূরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই সব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমি খুব হতাশ হয়েছি চা বাগানের শ্রমিকরা এখনও কাজে যোগ দেননি। আমি মনে করি মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি সহানুভূতি ও মানবিকাতর সঙ্গে বিবেচনা করলে শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিবে এবং কাজ করে শিল্পকে অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। প্রতিষ্টার পর থেকে আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছি এবয় তার নেতৃত্বে আমরা সবাইকে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তাই দুঃখ, দুর্দশায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সংসদ নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা রাজপথে লড়াইয়ের হুমকি দিচ্ছেন তাদের বলতে চাই পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই, সংগ্রাম করে এই দলের জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ লড়াই, সংগ্রাম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এখন যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশের রাজনীতির ময়াদানে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার কোনো শক্তি নেই।
তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি পরিহার করে যদি ভাবেন জনপ্রিয়তা আছে তাহলে নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনে প্রমাণ হবে কতটুকু জনপ্রিয়তা আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতা মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবো।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের সক্ষমতা বিএনপির নেই: হানিফ
তিনি বলেন, হুমকি-ধমকি পরিহার করে যদি ভাবেন জনপ্রিয়তা আছে তাহলে নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি নিন। নির্বাচনে প্রমাণ হবে কতটুকু জনপ্রিয়তা আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতা মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে রাখতে হবে। আর না হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শান্তির পরিবেশ রাখা দুরূহ হবে।
জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা প্রমাণের জন্য রকেট সায়েন্স লাগে না। তার কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মারা না গেলে জিয়াউর রহমান এই মামলার আসামি হতেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের বিষয়ে অনেকেই এখন সোচ্চার। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সময়মত এ কমিশন অবশ্যই গঠন করা হবে এবং এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা কমবেশি চিহ্নিত। তাদের কর্মকাণ্ডকে দলিল হিসেবে সংরক্ষণের জন্য কমিশন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছাড় দেয়া হবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘উইচ হান্টিং’ বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল, যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন:আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,সারের কোন ঘাটতি নেই। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চাহিদার অতিরিক্ত সারের মজুদ রয়েছে। আমরা এখন আগামী বোরো মৌসুমের জন্য সার সংগ্রহ করছি। তারপরও কিছু ডিলার ও অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশেও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী অনেক চতুর। তারা আমনের উৎপাদন কমবে জেনে ইতোমধ্যে চাল মজুদ করছে। সেজন্য বাজারে চালের সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ধান ও গমসহ ২৮টি ফসলের ভবিষ্যত চাহিদা ও যোগান নিরূপণে পরিচালিত গবেষণার চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভোগ্যপণ্যের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বীকার করছি, মানুষ কষ্টে রয়েছে। যাদের আয় কম তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তবে সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কীভাবে দ্রুত সবকিছুর দাম কমানো যায় সে চেষ্টা সরকারের রয়েছে। তবে বিশ্ব পরিস্থিতি খুব খারাপ। সেজন্য বিশ্বজুড়েই এ অস্থিতিশীলতা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমন চাল উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৌসুম। খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে এবছর আমন রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বেশি। গ্রামগঞ্জে অনেক সময় বিদ্যুত থাকছে না। সেচ সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেরিতে লাগানো আমনের ক্ষেত এখন সেচের অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সেজন্য আমন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি।
তিনি বলেন, গতকাল কেবিনেটে এ পরিস্থিতি নিয়ে অলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি আগস্টের পরে ধান রোপণ করলে উৎপাদন কমে যাবে। আগামী ১৫ দিন আমনের সেচের কাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সেটি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে রাতে সেচের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি, এ সিদ্ধান্ত তারা (বিদ্যুৎ বিভাগ) পালন করবে।
২৮টি ফসলের ভবিষ্যত চাহিদা ও যোগান নিয়ে স্টাডির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,এ ধরনের স্টাডি খুবই প্রয়োজন। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে চাল ও গমসহ বিভিন্ন ফসলের চাহিদা ও উৎপাদনের পরিসংখ্যান থাকলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন করা সম্ভব হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করাও সম্ভব হবে।
এসময় স্টাডিকে আরও সঠিক করার নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অধীনে দেশের বিশিষ্ট কৃষি অর্থনীতিবিদ ও গবেষকের নেতৃত্বে নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের (কৃষি অর্থনীতিবিদ) সমন্বয়ে গঠিত গবেষণা দলের মাধ্যমে এ স্টাডি পরিচালিত হয়। ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে ফসলের (খাদ্য শস্য) অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও যোগানের ঘাটতি/উদ্বৃত্ত প্রাক্কলন করতেই মূলত স্টাডিটি করা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য গ্রহণের তালিকা ধীরে ধীরে বৈচিত্র্যময় হচ্ছে। দানাদার খাদ্য থেকে সিংহভাগ ক্যালোরি গ্রহণ করলেও মোট ক্যালোরি গ্রহণের হার অনেক কমে গেছে। ১৯৯০ সালে দানাদার খাদ্য থেকে মোট ক্যালোরি গ্রহণের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ যা ২০১০ সালে হ্রাস পেয়ে ৮৩ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।
১৯৯০ সালে শুধু চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ছিলো ৮০ দশমিক ৪ শতাংশ যা ২০২১ সালে হ্রাস পেয়ে ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে এবং আগামী ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে হবে যথাক্রমে ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ। গম থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ২০১০ সালে ছিলো ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০৩০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ যা অব্যাহত থেকে ২০৫০ সালে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাবে।
পড়ুন: বিএনপি সরকারকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
চালের উৎপাদন ও যোগানে বিষয়ে বলা হয়, ২০৩০ সালে মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং অন্যান্য প্রয়োজনে (বীজ, প্রাণি ও মৎস্য খাদ্য, শিল্প, অপচয়, ইত্যাদি) চালের মোট চাহিদা হবে ৩৯ দশমিক ১ মিলিয়ন টন এবং ২০৫০ সালে ৪২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন। বর্তমান উৎপাদন অবস্থা বিদ্যমান থাকলে আগামী ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ চালের মোট যোগান হবে যথাক্রমে ৪৩ দশমিক ২ এবং ৫৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন।
আগামী কয়েক দশক দেশের কৃষি উৎপাদন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সেচের পানির অভাব ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ধান উৎপাদন ব্যাপক ব্যাহত হবে। এটি মোকাবিলায় অধিক উৎপাদনশীল নতুন ধান প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করা অত্যাবশ্যক- যাতে মোট উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা যায়। আশা করা যায়, দীর্ঘমেয়াদে নতুন ধান প্রযুক্তি পাওয়া যাবে এবং কৃষক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক অবস্থা বিবেচনায় ২০৩০ ও ২০৫০ সালে উদ্বৃত্ত চালের পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ৪ দশমিক ১ ও ১২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতি (বিরূপ আবহাওয়া, উৎপাদন উপকরণ সংকট, ইত্যাদি) সৃষ্টি হলে ২০৩০ সালে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন এবং ২০৫০ সালে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন চালের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার।
আরও পড়ুন: দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমাতেই দাম বৃদ্ধি: কৃষিমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আমরা খুব সজাগ এবং সতর্ক। আমরাও জানি কোথায় কে কি করছেন। বিদেশিদের দরবারে কোথায় কোথায় বৈঠক হচ্ছে। এসব চক্রান্তে চোখ কান আমাদের খোলা রাখতে হবে। এবার চোখ কান খোলা রেখেছি, শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে পার পাবেন না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ১৫ই আগস্ট শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১শে আগস্ট প্রাধান টার্গেট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে এবং চক্রান্ত করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব নয় সে কারণেই তাকে হত্যাচেষ্টা।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন স্বপ্ন দেখছে। আগস্ট এলে এত ভয় পান কেন? আগস্ট হলো আপনাদের চক্রান্তের মাস। বিদেশিদের দরবারে গিয়ে নালিশ করছেন। নালিশের রাজনীতি করছেন। আজকে এই অবস্থায় আমাদের কথা বলতে হয়। সারা দুনিয়ার ছবি চোখে পড়ে না, শুধু বাংলাদেশেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, তেলের দাম বাড়ে জ্বালানির দাম বাড়ে? কোথায় বাড়েনি বলুন? জিনিসপত্রের দাম কোথায় বাড়েনি। লন্ডনে হুট করে মুদ্রাস্ফীতি এখন ১০.১। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার কথা নাই বললাম, সেখানে লাগামহীণভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে।
আরও পড়ুন:যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বলেন নির্বাচন দরকার নেই, দরকার সরকারের পতন। সেজন্য এখন ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনাকে কেমন করে নামাবে, এটা হলো তাদের লক্ষ্য। আমরা আছি কিন্তু, এসেছি রাজপথ থেকে প্রয়োজনে আবারও যাবো। রাজপথে অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করা হবে। রাজপথ কাউকে লিজ দেইনি, রাজপথ জনগণের। রাজপথ কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।
তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে বিএনপি। এখানে কোন কৃত্রিমতা নেই, তাই আজকে সত্যকে সত্য বলব।
তিনি বলেন, মুচলেকা দিয়ে আর রাজনীতি করব না, কোন কাপুরুষটা বিদেশ চলে গিয়েছিল, সে হলো আপনার প্রধান নেতা। মুচলেকা দিয়ে বলেছিল আর রাজনীতি করবে না, এখন বিদেশে টেমস নদীর পাশে বসে কলকাঠি নাড়ে। এছাড়া ফখরুল সাহেবকে সেখান থেকে ফরমায়েশ দেন এবং তিনি এখান থেকে কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, টেক ব্যাক বাংলাদেশ, ওখান থেকে স্লোগান দেয়। ওখান থেকে বলে টেক ব্যাক এখান থেকে বলে বাংলাদেশ। টেক ব্যাক কারা করবে বিএনপি? আবারও ৭৫ ও ২১শে আগস্ট ঘটানোর জন্য? আবারও দুর্নীতির হাওয়া ভবন করার জন্য?
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পাণিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ।
আরও পড়ুন:ভারত নিয়ে মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগসূত্র নেই: ওবায়দুল কাদের
সংকট মোকাবিলায় সময়মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে: কাদের
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য: ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি ভিডিওতে মানহানিকর মন্তব্য করায় ছাত্রলীগ এক নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
সোমবার বিকাল ঠাকুরগাঁও ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকারের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কার বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতা আরিফ খান জয় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দিন স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা আরিফ খান জয়ের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হওয়া অভিযোগ সম্পর্কে লিখিত জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে দিতে বলেছে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে তার লিখিত জবাব সন্তোষজনক না হলে তাকে সংগঠন থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: অপহরণের ঘটনায় মাগুরা ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার
গত ১৫ আগস্ট শোক দিবসে র্যালির একটি ভিডিওতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্যের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে। এর প্রেক্ষিতে গত বুধবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি নজরে আনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন বক্তব্যের জন্য ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
মোমেন আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দলীয় সংসদ সদস্য হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন।’
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন। তাই আওয়ামীলীগের পক্ষে বিদেশে গিয়ে কিছু বলার দায়িত্ব তাকে দেয়া হয় নি।’
রবিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দলের কেউ নন। তাঁর বক্তব্য দলের কোনো বক্তব্য নয়’- আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমানের এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য অবশ্যই, কিন্তু উনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তো কেউ নন। তাই তার সাম্প্রতিক বক্তব্য (শেখ হাসিনার প্রতি ভারতীয় সমর্থন চাওয়া) দলীয় বক্তব্য নয়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি জনগণ ছাড়া কেউ সরকার টিকিয়ে রাখতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত গল্প করে আসে, সে দায় আমাদের নয়। দলের পক্ষ থেকে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয় নি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি আপনি যদি একটি দায়িত্বশীল অবস্থানে থাকেন, তবে আপনাকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে না, বরং ক্ষমতায় আসার জন্য প্রতিনিয়ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কাছে ছোটাছুটি করে।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে কেউ কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।
বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। ‘আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাদের ডমেস্টিক কিছু ল আছে, সেখানে কিছু জটিলতা আছে (তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে)।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র রুখতে সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু: তথ্যমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে সরকার গঠন করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণের ভোটে সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ। এজন্য অন্য কোন কিছুর ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন পূর্ব বাংলার অনেক বড় বড় নেতা পাকিস্তানের সামরিক জান্তাদের সঙ্গে আপস করলেও বঙ্গবন্ধু কখনও আপস করেননি। এজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ভয় পেতেন, তাঁকে গুণতেন। বঙ্গবন্ধুকে ভয় পাওয়ার যুক্তিও ছিল।
‘বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধে বিশ্বাস করতেন না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সবসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন। কারণ তাঁর ছিল প্রবল দেশপ্রেম এবং ছিল জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা’, বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
তিনি দুঃখ করে বলেন, পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা যাঁকে হত্যা করার সাহস পায়নি, সেই বঙ্গবন্ধুকে আমরা হত্যা করেছি। এই কলঙ্ক আমরা কোনোদিন মোচন করতে পারবো না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আত্মমর্যাদার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমরা বর্তমানে কঠিন সময় পার করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই কঠিন সময় অবশ্যই আমরা মোকাবিলা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারবো।’
আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুক, সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী, অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম ও কাজী আরিফুজ্জামান, উপসচিব শেখ গোলাম মাহবুব ও গাজী কালিমুল্লাহ প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক: আইনমন্ত্রী
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আইনমন্ত্রী
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী আজ
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক অধ্যায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তনয়া এবং দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের র্যালিতে নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী আজ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা কর্মর্সূচির মধ্য দিয়ে গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী পালন করছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে ফিরলেও, তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হামলার প্রায় ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালাত।
এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: রায় কার্যকর দেখে মরতে চান রেনু
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দিনব্যাপী রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে যানজট পরিহার করার জন্য প্রেসক্লাব, পল্টন ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় যাতায়াত এড়িয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে নগরবাসীকে অনুরোধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দিবসটির শহীদদের স্মরণে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের সম্মান জানাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্খী ও সর্বস্তরের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দিবসটি পালনের আহ্বান জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওই দিন হামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন লোক নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
সেদিনের হামলায় যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতার নিরাপত্তা কর্মী ল্যান্স করপোরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আব্দুল কুদ্দস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুন্সি, হাসিনা মমতাজ রীনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম, মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মো. হানিফ, আবুল কাশেম, জেহাদ আলী, মমিন আলী, এম শামছুদ্দিন এবং ইসহাক মিয়া।
এছাড়া গ্রেনেড হামলায় স্প্রিন্টারের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ হানিফ, অধ্যাপক আবু সায়্যিদ এবং এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম।
আরও পড়ুন:২১ আগস্ট রাজধানীতে যান চলাচল সীমিত
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে আ.লীগের নানা কর্মসূচি
ষড়যন্ত্র রুখতে সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মুসলমান ও হিন্দুসহ সকল ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশ নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।
শনিবার বিকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মানুষ একসময় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারছে। সকল প্রকার বৈষম্য নিরসন করেছেন।
ধর্ম যার যার উৎসব সবার কথাটি উল্লেখ করেন তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে সকল ধর্মের মানুষের জন্য। তাই সকল মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণের দল। এই দল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে। ধর্মের ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা এক সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। সবার রক্তের রং লাল। সকল মানুষের অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান ও নিরাপদ জীবন যাপন নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামীলীগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দল এবং শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে সকল মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে এবং বাংলাদেশ কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে শ্রীলংকা বানানোর জন্য একটি গোষ্ঠী প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। কারণ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অযথা মানুষের মধ্যে প্যানিক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। দেশের জনগণকে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার এবং দেশের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে দেশে উন্নয়ন কাজে বিনিয়োগ করেছে। সরকার অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্প থেকে আউটপুট আসা শুরু করলে ঋণ পরিশোধ করা সহজ হবে। সকল উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশ এভাবেই নিজেদের উন্নয়ন করে থাকে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে ২০০০ সালের মধ্যেই দেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করা হয়েছে। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মো. তাজুল ইসলাম।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্র মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এছাড়া অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন।
এর আগে, রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর অডিটোরিয়ামে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সেখানে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে তৈরি থাকতে হবে। আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সত্যিকারের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তিতে আরও বেশি দক্ষ হওয়ার জন্য সকল শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুখে হাসি ফুটাতে সারাজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তিনি মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসতেন। অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপোষ করেননি। একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। একারণেই ৭৫'এর ১৫ই আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু এবং শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
আরও পড়ুন: পানির মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী