বিএনপি
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি কখনো বলেনি তারা নির্বাচনে যাবে না, বরং আমরা বলেছি বর্তমান সরকারের অধীনে 'সাজানো, একতরফা, প্রহসন ও প্রতারণামূলক' নির্বাচনে অংশ নেবো না।
তিনি বলেন, ‘এবারের উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে আগের নির্বাচনের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য হবে না। তাই উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরের উত্তরার বাসায় দেখা করতে যাওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না রাখার সিদ্ধান্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ নিজেই স্বীকার করে যে দেশের জনগণ নৌকা প্রতীককে প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে আওয়ামী লীগ নিজেই নৌকা ডুবিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, 'আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জিতে একাধিকবার সরকার গঠন করেছে। আমরা জনগণকে শাসন করায় বিশ্বাস করি না, তাদের সেবা করার জন্য রাজনীতি করি।’
তিনি বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে কি দেবে না, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিএনপির আন্দোলনের ফলাফল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, 'বিএনপির সংগ্রামের ফল না পেলে ৯৫ শতাংশ মানুষ ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করল কেন?’
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করছে ক্ষমতায় থাকার জন্য আর বিএনপি রাজনীতি করছে মানুষের সেবা করার জন্য। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখল করেছে, বিএনপি কখনো তা চিন্তাও করে না।
বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে ড. মঈন আরও বলেন, তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার জন্য দেশের জনগণকে অনুরোধ করেছিলেন এবং তারা (জনগণ) প্রহসন, সাজানো ও একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করে তা বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে ৫০ লাখ আসামির বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দেওয়ার নজির পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। তিনি বলেন, আমরা অল্প কিছু স্বৈরাচারী দেশকে চিনি, যেখানে বিরোধী দলের দমন বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ নয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
বাংলাদেশকে অন্য দেশের অধীনতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে প্রতিবেশী দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে দুস্থদের মাঝে ঈদের বস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি দমনের চেষ্টা করছে তারা।’
রিজভী আরও বলেন, যাদের সামর্থ্য আছে তারা সাধারণত নিকটাত্মীয়, গরিব ও অভাবী মানুষদের খাওয়ানোর জন্য ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। এটি দেশে দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতি ও ধর্মীয় প্রথা।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
তবে এ বছর কিছু সংগঠনকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বা বাইরে ইফতার পার্টি করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘তারা (সরকার) এটা পছন্দ করে না। তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানছে।’
এই বিএনপি নেতার অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী তার প্রভুদের ইচ্ছা পূরণের জন্য এসব করছেন।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। কিন্তু আমরা যদি গভীরভাবে চিন্তা করি, তাহলে বুঝতে পারি কীভাবে তারা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করছে।’
এ সময় বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকের পক্ষে রিজভী বলেন, ‘তারা আমাদের জনগণ এবং আমাদের মূল্যবোধকে সম্মান করে না। আমরা কেন তাদের শাড়ি বা টুথপেস্ট কিনব।'
রিজভী বলেন, ‘তারা নিয়মিতভাবে সীমান্তে আমাদের লোকদের হত্যা করছে।’
তিনি আরও বলেন, 'সীমান্ত হত্যা নিয়ে চুক্তি আছে, প্রোটোকল আছে, কিন্তু বিএসএফ তাতে মাথা ঘামায় না। তারা প্রায়ই সীমান্তে আমাদের লোকজনকে হত্যা করছে।’
ভারত প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'তারা দাবি করে তারা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্বীকার করে না। এমনকি তারা বাংলাদেশিদেরও সম্মান করে না। তারা কেবল একটি রাজনৈতিক দলের পাশে দাঁড়িয়েছে যাতে তারা স্থায়ীভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘তারা তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে এবং তাদের (আওয়ামী লীগ) জন্য বিশ্বব্যাপী তদবির করেছে।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, লোকেরা কেন তাদের পণ্য ব্যবহার করবে যখন তারা তাদের ইচ্ছাকে সম্মান করে না এবং একটি দলের স্বার্থে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে উপেক্ষা করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে: আমীর খসরু
আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে-বিদেশে সবার মধ্যে একটি প্রশ্ন- বাংলাদেশ কোথায় আছে?
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ কনভেনশন হলে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে শেখ হাসিনার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সুশীল সমাজ, যারা আগে মুখ খুলত না, তারাও পরিষ্কার ভাষায় এ অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে।
চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন- ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, উদ্বেগ ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে: গয়েশ্বর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি সমস্যা নয়, উদ্বেগের বিষয় হলো ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করতে দেবে কি না, বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। যে কারণে (আবরার ফাহাদ হত্যার) বুয়েট কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল, তারা দেখবে এমন পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত আছে কি না এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিএনপি নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আহত দেওয়ান শাহিনকে দেখতে গিয়ে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কয়েকজনের হামলায় দেওয়ান শাহিন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসতে পারে: ভিসি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও খারাপ ছিল।সেখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মানিক ‘ধর্ষণের সেঞ্চুরি’ উদযাপন করেছিলেন। ‘এটি জাতির জন্য কলঙ্ক ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই লজ্জাকে অলংকার বলে মনে করে।’
প্রশাসনের মদদে তারা বেপরোয়া আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নৃশংসতা চালিয়ে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে নাটোর বিএনপি নেতারা আ. লীগের নেতা-কর্মীদের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ‘নিপীড়ন সত্ত্বেও নেতা-কর্মীরা বিএনপিকে ছাড়েনি। সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের যে দৃশ্য, নাটোরেও একই রকম।’
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট
আওয়ামী লীগকে একটি বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া তারা (আ. লীগ) রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং তাদের বর্বরতার জবাব দিতে প্রস্তুত হতে হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ শোনার জন্য সরকার অপেক্ষা করছে। ‘আমার ধারণা গণভবনে তার মৃত্যুর খবর শুনলেই মিষ্টি বিতরণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের কাছে আমাদের কিছু আশা করার নেই। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তারা যা করছে তা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কুইক রেন্টাল, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মতো উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগই নয়, যারা নির্লজ্জভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে, বিরোধী দল দমনে সহযোগিতা করেছে তারাও এই লুটপাটের অংশ।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিএনপির আন্দোলনের সময় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি (বেনজীর) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ জাতি জানতে পেরেছে যে তিনি (বেনজির) একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করেছেন যা আলিফ লায়লার গল্পকে হার মানায়।’
কীভাবে তিনি এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করলেন জানতে চেয়ে প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ ও মাংস কেনা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। লেবুর দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় রোজা ভাঙার জন্য পানীয়ের ব্যবস্থা করাও সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, প্রতি কেজি খেজুর ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা একজন দিনমজুর বা রিকশাচালকের পক্ষে কেনা একেবারেই অসম্ভব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
আ. লীগ দেশে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না: ড. মঈন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না।
শনিবার (৩০ মার্চ) জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কারাবন্দি সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের মগবাজারের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক যে বাংলাদেশের কিছু লোক আওয়ামী লীগকে সমর্থন করবে, কেউ বিএনপি বা অন্য কোনো দলের পক্ষ নেবে।
মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। কিন্তু দেশে এখন তা অনুপস্থিত। এ অবস্থায় আমরা কীভাবে বাঁচব?’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে নয়নের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে সে বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
পরিবারটিকে অন্য কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না এবং পুলিশ তাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে বলে বিএনপির এই নেতা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলের সদস্যদের দমন-পীড়ন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মঈন খান বলেন, জনগণ এখন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করুন এবং দেশে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করুন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যেতে হলে গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে, বাকস্বাধীনতা দিতে হবে, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, যার জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েছিলেন।
মঈন বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন সমাজে বাস করতে চাই, যার জন্য আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ এটাই চায়।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, বিএনপি বিদেশিদের সমর্থনে নয়, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী নির্যাতনের শিকার: ফখরুল
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের নেভাল এভিনিউয়ের মেরিটাইম মিউজিয়াম ক্যাফেতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেভাবে চলছে, রাষ্ট্রের অঙ্গগুলো যেভাবে চলছে, এতে সাংবাদিকতা ভালো অবস্থানে নেই। বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী এখানে সৃষ্টি করা হয়েছে, যাদের সাংবাদিকতা পরিচালিত হয় সরকারি ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যারা চলে তারা সাংবাদিকতা করতে পারে না। সাংবাদিকদের হতে হবে ওয়াচডগ (পর্যবেক্ষণকারী)। এখন তারা হয়ে গেছে ল্যাপডগ মানে কোলের কুকুর। ওরা ওয়াচডগের বদলে এখন ল্যাপডগ হয়ে গেছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
বিএনপি নেতা বলেন, যারা সাহস করে কথাবার্তা বলছে, লিখছে, তাদের বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। যেসব সাংবাদিক সংগঠন, মিডিয়ায় কিছু কথা বলার চেষ্টা করছে তারা কিন্তু এখন বড় চাপের মধ্যে আছে। ফ্যাসিস্ট শাসনের (রেজিম) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এখনও যে সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে আছে, বিশেষ করে আজ এখানে যারা আছে, এখানে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা কিন্তু অনেক বাধা অতিক্রম করে যাচ্ছে, সাহসিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ভারতে আমরা শুনতাম ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সির সময় সরকার থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল একটু বাঁকা হয়ে সরকারের পক্ষে কথা বলতে। কিন্তু তারা বাঁকা হয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। সরকার বলেছিল একটু ব্যাং হয়ে আমাদের পক্ষে লিখেন, কিন্তু অতি উৎসাহী সাংবাদিকরা হামাগুড়ি দিচ্ছিল। বাংলাদেশ সরকার বলেছে হামাগুড়ি দাও, এরা সিজদায় পড়ে গেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অবস্থা।’
আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের বেনিফিশিয়ারি সাংবাদিকরা ছাড়া বাংলাদেশের সাধারণ সাংবাদিকরা মুক্ত হতে চাচ্ছে। তারা মুক্তির পথ খুঁজছে। তারা যদি মুক্ত হতে না পারে এখন, তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা বলে কোনো কিছু থাকবে না। সাংবাদিকতা পেশা বলে যে কিছু আছে, এটাও ভুলে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব বিএনপির একার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি গুম হবে, খুন হবে, মৃত্যুর মুখে যাবে, চাকরি হারাবে, ব্যবসা হারাবে- শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব না। সাংবাদিকদের দায়িত্ব আছে, পেশাজীবীদের দায়িত্ব আছে, সর্বস্তরের মানুষের আজ দায়িত্ব আছে। ৯৫ শতাংশ মানুষ যারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা কিন্তু তাদের একটা দায়িত্ব পালন করেছে। বিএনপি এবং বিরোধী দলের ডাকে তারা দায়িত্ব পালন করেছে, তারা কথা বলেছে, ঘরে বসে কথা বলেছে।
সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
আরও ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, সিএমইউজের সাবেক সভাপতি ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কপিল উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নছরুল কাদির, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন ও আলী আব্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পূর্ণ হবে না, কারণ তার অবদান জাতির জন্য এব্ং কাজের জন্য ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জিয়ার জীবন ও দেশের জন্য তার অবদান নিয়ে এক-দুই ঘণ্টায় আলোচনা করা যাবে না। দেশের প্রতি তার আত্মোৎসর্গ ছিল অভূতপূর্ব।’
তিনি বলেন, ‘দেশে জিয়াউর রহমানের নাম ও খ্যাতি সর্বজনবিদিত। তিনি তার কাজের জন্য মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে আছেন, যা কখনও ম্লান হবে না এবং কারো পক্ষে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘একজন মাঝারি রেঞ্জের সেনা কর্মকর্তা হিসেবে মেজর জিয়া কতটা সাহসী ছিলেন, তিনি একটি শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। মেজর জিয়ার সাহস বোঝার মতো একজন মানুষও আওয়ামী লীগে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের লিপির পাঠক ছিলেন না। তিনি ছিলেন ঘোষক এবং গণমানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: সরকার বিএনপির সংবেদনশীল জায়গায় আঘাত করছে: গয়েশ্বর
গয়েশ্বর বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে ছোট করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মহান করা সম্ভব নয়। দেশে কেউ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের অপেক্ষায় ছিল, তখন জিয়াউর রহমানের ঘোষণা তাদের প্রভাবিত করেছিলেন এবং তারা অংশগ্রহণ করেছিল।’
গয়েশ্বর বলেন, জিয়া জনগণের ভাষা ও মন বুঝতে পারতেন।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করার ক্ষমতা সরকারেরও নেই: ফখরুল
বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী নির্যাতনের শিকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী 'ফ্যাসিবাদী' আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্যাতন ও জনগণকে দমন করা ছাড়া তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। তাদের দমন-পীড়নের প্রথম শিকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যার জন্য তিনি লড়াই করছেন।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট সরকার বা একদলীয় শাসন বা এক নারী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন শুরু করলে নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে তারা।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা এমন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না, লিখতেও পারছে না।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-পীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর বাবা-মা, ছেলে, মেয়ে-স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও রেহাই পায়নি।
আরও পড়ুন: একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে নখ উপড়ে ফেলা, পা ভাঙাসহ নানা অমানবিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগীরা। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, তারা কোনো চিকিৎসা করাতে পারেননি।
সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আমাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি কাজ করে যাচ্ছি।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ সালের মতো ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। সেসময় জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।
আরও পড়ুন: মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বড় আকারের দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে।
ড. মঈনের মতে, লক্ষ হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা দেশের উন্নয়নে প্রভাব ফেলেছে।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ১৮ কোটি মানুষের মনে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে: গণতন্ত্র কোথায়?’
আরও পড়ুন: একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা: মির্জা ফখরুল
তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, তাদের ঘোষণা সত্ত্বেও তারা কার্যকরভাবে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখ মামলা দায়ের, ৫০ হাজার জনকে কারাগারে বন্দি করাসহ সরকারের কথিত দমনমূলক পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বিএনপির এই নেতা স্বাধীনতা সংগ্রামের আওয়ামী লীগের বর্ণনার সত্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বিপরীতে, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার ক্ষেত্রে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান