বিএনপি
ভারত থেকে ফেরার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সরকার
সরকার বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের যে কোনো সময় বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি ভারতে দেশের মিশনে পৌঁছে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের পাবলিক কূটনীতি শাখার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার (বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ) দেশে ফেরার আবেদন অনুমোদন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুয়াহাটিতে আমাদের মিশনে বিষয়টি জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিলংয়ের আদালতে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
সালাহউদ্দিন কবে বাংলাদেশে ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তার ওপর নির্ভর করে এবং তিনি যে কোনো সময় আসতে পারেন, তবে কিছু প্রক্রিয়াগত সমস্যা রয়েছে।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সালাহউদ্দিনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ চায় বিএনপি
পাবনায় বিএনপির মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
দেশে ‘অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুত খাতে ব্যাপক দুর্নীতি‘র প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা শহরের বড় ব্রিজের পাশে লতিফ টাওয়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এতে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১০ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৮ জুন দেশব্যাপী বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি
বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালপুরস্থ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের পাওয়ার হাউজ পাড়াস্থ বিদ্যুৎ অফিসে দিকে রওনা হয়। কিন্তু পথে বড় ব্রিজের মাথায় পুলিশ বাধা দেয়, এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বড় ব্রিজের পাশে ঘোড়া স্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
আরও পড়ুন: যুবলীগের পাল্টা কর্মসূচির কারণে বিএনপির ৬টি যুব সমাবেশের সূচি পরিবর্তন
এদিকে একই সময়ে পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষে ফেরার পথে লতিফ টাওয়ার সামনে আসলে ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেয়া যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টুসহ অনেকে আহত হন।
আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর সংলাপের বক্তব্যকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পরস্পরবিরোধী মন্তব্যও প্রকাশ করেছে যে সরকার এখন কেমন অস্থির হয়ে পড়েছে।
সংলাপে আমুর মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা তার মন্তব্য জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাই না। আমি এটা নিয়ে কথা বলতেও চাই না।’
বিকালে কয়েকজন সাংবাদিক ফখরুলের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমুকে আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র করা হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। ‘আমরা কেন তার বক্তব্যকে গুরুত্ব দেব? আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
আরও পড়ুন: এটি জনবিরোধী, জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য তৈরি করা হয়েছে: ২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নিয়ে বিএনপি
এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমু বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চাই এবং দেখতে চাই পার্থক্য কোথায়।’
এদিকে বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আলোচনা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্য বেপরোয়া।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমির হোসেন আমু গতকাল (মঙ্গলবার) বলেছেন, তারা জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। কিন্তু ওবায়দুল কাদের (আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক) আজ (বুধবার) তা প্রত্যাখান করেছেন। সুতরাং, কে সঠিক? আসলে, তারা (আ.লীগ নেতা) বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং বেপরোয়া মন্তব্য করছে।’
মোশাররফ বলেন, দলের সময় শেষ হওয়ায় আগামী দিনেও আওয়ামী লীগ অসংগঠিত থাকবে। ‘সময় শেষ হলে মানুষ অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করে।’
তিনি আরও বলেন, একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৮ জুন দেশব্যাপী বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল
রাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় ১৬ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় ১৬ নেতাকে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সোমবার রাতে তাদের কাছে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদের সই করা একটি চিঠি কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এরপর কেন্দ্র এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া রাজশাহী মহানগর বিএনপির ১৬ নেতা হলেন- রাজপাড়া থানার সাবেক সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বদি (৬ নম্বর ওয়ার্ড), ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু বকর কিনু (১১ নম্বর ওয়ার্ড), শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি টুটুল (১৪ নম্বর ওয়ার্ড), সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান লিটন (১৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন (১৬ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুল (১৬ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু (১৯ নম্বর ওয়ার্ড), ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা রিপন (২২ নম্বর ওয়ার্ড), বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন (২৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আমিন আজব (২৭ নম্বর ওয়ার্ড), মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল হাসান বাচ্চু (২৮ নম্বর ওয়ার্ড)।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বরিশালে বিএনপির ১৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
এছাড়া নগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা বেগম বেলী (সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আলতাফুন নেসা পুতুল (সংরক্ষিত ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার (সংরক্ষিত ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি শাহনাজ বেগম শিখা (সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ৪ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক আয়েশা খাতুন মুক্তি (সংরক্ষিত ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড)।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা জানান, দলীয় সিদ্ধান্তর বাইরে গিয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের নাম ও পদবিসহ চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের শোকজ করেছে।
তিনি বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের শোকোজের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এতে তারা যদি আত্মপক্ষ সমর্থন করে চিঠির জবাব দেন, তাহলে কেন্দ্রীয় কমিটি তা বিবেচনায় নেবে। তারা যদি উত্তর না দেন তাহলে তাদের বহিষ্কার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
সিলেট সিটি নির্বাচন: বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ৪১ নেতাকর্মীকে শোকজ
যুবলীগের পাল্টা কর্মসূচির কারণে বিএনপির ৬টি যুব সমাবেশের সূচি পরিবর্তন
ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বুধবার বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন ছয় জেলায় তাদের ঘোষিত ‘যুব সমাবেশ’ পুনঃনির্ধারণ করেছে।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, তারা ২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবির প্রতি তরুণ প্রজন্মের সমর্থন আদায়ে শান্তিপূর্ণভাবে ছয়টি যুব সমাবেশের আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছেন- ১১ জুন চট্টগ্রামে, ১৭ জুন বগুড়ায়, ৭ জুলাই খুলনায়, ১৫ জুলাই বরিশালে, ২২ জুলাই সিলেট এবং ২৯ জুলাই ঢাকায়।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন ও প্রচারণা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা বিএনপি মহাসচিবের
যুবদল সভাপতি বলেন ‘কিন্তু দু’দিন পর আওয়ামী যুবলীগ পাল্টা কর্মসূচি ডাকায় আমরা হতবাক হয়েছি। আমরা মনে করি যুবলীগের পক্ষ থেকে একই তারিখে এবং একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা একটি উস্কানিমূলক এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা।’
যুবদল সব সময় উদার ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী দাবি করে তিনি বলেন, কোনো সংঘর্ষ এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করতে তারা তাদের কর্মসূচি পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী টুকু বলেন, তারা এখন ১৪ জুন চট্টগ্রামে, ১৯ জুন বগুড়ায়, ২৪ জুন বরিশালে, ৯ জুলাই সিলেটে, ১৭ জুলাই খুলনায় এবং ২২ জুলাই ঢাকায় যুব সমাবেশ করবেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেয়নি আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো শুরু থেকেই সহিংসতা ও নৈরাজ্যের রাজনীতি করে আসছে। ‘বিরোধীদের কন্ঠস্বর দমন করতে জোরপূর্বক গুম, খুন, হামলা, মামলা-মোকদ্দমা করা তাদের স্বাভাবিক অভ্যাস।’
টুকু বলেন, যুবলীগ তাদের শান্তিপূর্ণ যুব সমাবেশ ঘোষণার দুই দিন পর পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে এসেছে শুধুমাত্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য। কারণ, বর্তমান সরকার সব রাজনৈতিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা বিভিন্ন দিনে তাদের কর্মসূচি দিতে পারত। আমরা গণতন্ত্রের আন্দোলনে আছি, এবং আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সেজন্য আমরা আমাদের কর্মসূচির পুনঃনির্ধারণ করছি।’
এর আগে ২ জুন টুকু বলেছিলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে যুবসমাজকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ করতে ‘তরুণ প্রজন্ম ভোট দিন, ভোটের জন্য লড়ুক’ স্লোগান নিয়ে ছয় জেলায় যুব সমাবেশের আয়োজন করবেন।
আরও পড়ুন: এটি জনবিরোধী, জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য তৈরি করা হয়েছে: ২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নিয়ে বিএনপি
এটি জনবিরোধী, জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য তৈরি করা হয়েছে: ২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নিয়ে বিএনপি
বিএনপি অর্থবছরের ২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে গণবিরোধী ও প্রতারণামূলক আখ্যায়িত করে বলেছে, এটি একটি দুর্নীতিবাজ সরকারের আশ্রয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের জাতীয় সম্পদ লুটপাটের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, অবাস্তব ও কাল্পনিক বাজেট দিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘সদ্য পেশ করা বাজেট বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট লুটেরা’ সরকারের অর্থনৈতিক দুর্নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বার্ষিক ইশতেহার মাত্র।
অর্থনীতির সাবেক শিক্ষক ফখরুল বলেন, বাজেট অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী এবং বাস্তবায়নযোগ্য।
তিনি বলেন, বর্তমান দুর্নীতিবাজ সরকারের আশ্রয়ে কোটি কোটি ডলার লুটপাটের লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা লুণ্ঠনকারীদের বাজেট মাত্র।
অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পেশ করার ছয় দিন পর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল
বাজেট নিয়ে ফখরুল বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, ব্যাপক অর্থপাচার এবং দেশের জনগণের কাঁধে বিপুল ঋণের বোঝাকে অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেননি।
তিনি বলেন, কীভাবে অর্থনৈতিক সংকট ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে হবে সে বিষয়ে সরকার বাজেটে কোনো রূপরেখা দেয়নি এবং সুশাসন ও ন্যায়বিচারের ধারণাকে পুরোপুরি এড়িয়ে গেছে।
‘ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধে বাজেটে কোনো নির্দেশনাও নেই। এই গণবিরোধী বাজেট সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কোনো ভূমিকা রাখবে না’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, গত এক দশকে নীতিগত সমস্যা, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, রাজস্ব খাত বা আর্থিক খাতসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতে কোনো বড় কাঠামোগত সংস্কার করা হয়নি। ‘এই বাজেটেও এই সংস্কারের কোন ইঙ্গিত নেই।’
স্মার্ট বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সরকার এবার স্মার্টলি টাকা লুটপাটের জন্য বাজেট দিয়েছে। ‘তারা (সরকার) ভোট চুরি, ব্যাংক চুরি এবং অর্থ পাচারসহ চুরি করতে বুদ্ধিমান।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন ও প্রচারণা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা বিএনপি মহাসচিবের
বিএনপি নেতা আরও বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা স্মার্টলি লুটপাট, ব্যাংক ও জনগণের টাকা লুট করার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে বাজেটে।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট দেশের প্রধান জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক সরকার ছাড়া জনগণ ও অর্থনীতির কল্যাণে বাজেট প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, চলমান জাতীয় সংকট থেকে মুক্তির জন্য একটি জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বশীল নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ‘এটি করার একমাত্র উপায় হলো
একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা।’
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৮ জুন দেশব্যাপী বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেয়নি আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বুধবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে দল এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা আমাদের নিজেদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব। প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই সমাধান করব। দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই যাতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়।’
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যেকোনো সংকটের সমাধান সংবিধান। ‘সংবিধান যদি কোনো দেশে সমাধান দিতে না পারে, তাহলে সে দেশে গণতন্ত্র থাকবে কী করে?’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত আমির হোসেন আমু’র
এর আগে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু নির্বাচনী সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যত্রের প্রতিবাদে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘সংলাপ ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে সংকট সমাধান করা সম্ভব নয়। আর যদি তারা (বিএনপি) অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ প্রতিরোধ করবে।’
তিনি এমনকি ২০১৩ সালে ফার্নান্দেজ তারানকোর প্রচেষ্টার মতো জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় আলোচনার সম্ভাবনাও ধরে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংলাপের দরজা সব সময় খোলা। প্রয়োজনে জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।’
এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু আচরণের প্রচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশের বহুমুখী তৎপরতা দৃশ্যমান।
আরও পড়ুন: বিএনপির ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী
লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৮ জুন দেশব্যাপী বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি
লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৮ জুন দেশব্যাপী বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি
বিদ্যুৎ খাতে চলমান লোডশেডিং ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ৮ জুন সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভাগের সব জেলা কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এছাড়া একই দিন জেলা বিদ্যুৎ অফিসে স্মারকলিপিও দেবে দলটি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, সোমবার রাতে তাদের দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, আগামী ৮ জুন সকল জেলা সদরে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে এবং সেখানে অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ‘গ্রাম ও শহরে মানুষ ২৪ ঘণ্টায় এক-দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ পায়। দিনেও পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছে মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, রাজধানীতেও প্রতিদিন ৩/৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না।
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ‘সরকার কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্রকল্প ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেওয়ার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে তাদের (সরকার) প্রতারণা এখন জনগণের সামনে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধতা দিতে ক্ষতিপূরণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সেজন্য এসব কুইক রেন্টাল প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তারা জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু।’
এসময় বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ কর্মসূচিতে হামলার নিন্দা জানান তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচন ও প্রচারণা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা বিএনপি মহাসচিবের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে যে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, প্রচারণা প্রক্রিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কিছু অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির মহাসচিবকে বহনকারী একটি প্রাইভেটকার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে প্রবেশ করে এবং দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে গাড়িটি বের হয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
তবে এ সাক্ষাৎ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিএনপি।
এর আগে ১৬ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার গুলশানের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপি ওই সাক্ষাতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং অহিংস রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল
সরকারের দুঃশাসনের কারণেই বাংলাদেশের ওপরে ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের নানা চাপ’ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্যে তারা (সরকার) বাংলাদেশের রাষ্ট্রের মানুষে যে আকাঙ্খা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ; তার সব কিছু তারা চুরমার করে দিয়েছে। যার ফলে কি হয়েছে আমরা সব জানি। আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি দেয়, নিষেধাজ্ঞা দেয়-এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের কথা নয়, লজ্জার কথা… যে আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের আজকে আমাদের ওপরে আরেকটা দেশ থেকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেনো?’
সোমবার বিকালে এক সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
গুলশানে হোটেল লেকশোরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই সেমিনার হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান।
ফখরুল বলেন, ‘কারণ এই আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার আজকে দেশকে এমন জায়গা নিয়ে গেছে তাদের দুঃশাসনের কারণে, তাদের দুর্ব্যৃত্তায়নের কারণে, তাদের লুটের কারণে যে আজকে একটা এই ধরনের ব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্রে ফিরে আসার আর কোনো পথ আন্তজাতিক ভাবে গণতান্ত্রিক বিশ্ব দেখতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নয়, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাবে কি না: বিএনপি
‘জনগণকে জাগিয়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন একমাত্র একটাই পথ আবার জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে, যেভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব জাগিয়ে তুলেছিলেন মানুষকে যুদ্ধের জন্যে, যেভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যেভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রামেগঞ্জে চারণ কবির মতো গান গেয়ে মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নামিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সেই একইভাবে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বিদেশ থেকে যিনি ১০ দফা দিয়েছেন, ২৭ দফা দিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সেই দাবিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে সংগঠিত করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে সংগঠিত করে গণতন্ত্রকে এখানে আবার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তাকে এখানে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়ার জন্য গণতন্ত্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে… এই শাহাদাত বার্ষিকীকে এই হোক শপথ।’
দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সেমিনার কমিটির আহ্বায়ক ইসমাইল জবিউল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক লুতফর রহমান বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অসম্মানজনক ভিসা নীতির জন্য সরকার দায়ী: ফখরুল
মার্কিন ভিসা নীতি: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা বিএনপির