বিএনপি
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাতেই বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটের দিকে তিনি গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালে আসেন এবং সেখানে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবস্থান করেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সনের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে। পরে হাসপাতাল ছেড়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি বাসায় পৌঁছান।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এর আগে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হাসপাতাল যাবেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছে।’
জাহিদ বলেন, রিপোর্ট পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসার পরবর্তী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় শারীরিক নানা জটিলতায় চিকিৎসা শেষে ১১ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় এভারকেয়ার হাসপাতালে আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এভারকেয়ারের সিসিইউতে স্থানান্তর
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়: বিএনপি
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি ও মর্টার শেলের আঘাতে মানুষ নিহত ও আহত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো নারী-পুরুষ নিরাপদ নয়। মর্টার শেলের আঘাতে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সার্বভৌমত্ব আরও শক্তিশালী করতে আমরা প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা ও কার্যক্রম দেখতে চাই।’
অন্য দেশের ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে কেন বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, 'এই ঘটনার উপযুক্ত জবাব কোথায়? জনসমর্থন না থাকায় বর্তমান সরকার একটি দুর্বল শাসন ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। ফলে লিখিত প্রতিবাদও করতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান গয়েশ্বরের
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে কিছুই করতে পারছে না। ‘তারা তাদের (বিদেশি) প্রভুদের ভয় পায়, কিন্তু তারা দেশের জনগণকে সন্ত্রস্ত করার জন্য বন্দুক ব্যবহার করে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র লড়াই, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির কারণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সীমান্তে সংঘাতের আশঙ্কায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের তিন শতাধিক সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপায়তলী গ্রামের একটি বাড়িতে মিয়ানমারের দিক থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত উত্তেজনায় ক্রসফায়ারের মুখে বাংলাদেশ: বিএনপি
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের চারপাশের সীমান্ত এলাকায় রক্ত ঝরায় বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও ভূমি এখন অরক্ষিত। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ থেকে দলে দলে মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নীরব। এমনকি বিএসএফের গুলিতে বিজিবির এক সদস্য নিহত হলেও সরকার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংযম ও শান্তি বজায় রাখার আহ্বান এখন দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। ‘ফলে আমাদের সীমান্তরক্ষীরা প্রতিদিন পিছু হটছে, যা বাংলাদেশের মানুষকে বিপদে ফেলছে।’
রিজভী দাবি করেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত, দেশের মানুষ নিরাপদে ছিল।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতা দখল করেছে। যা দেশের ৯৫ শতাংশ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, 'কেবল ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার দোসররা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেছেন। কিন্তু এটা ছিল শতাব্দীর সবচেয়ে জঘন্যতম উপহাস।’
আরও পড়ুন: বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হাসপাতাল যাবেন খালেদা জিয়া
বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হাসপাতাল যাবেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বিকাল ৪টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।’
তিনি বলেন, হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কিছু প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় শারীরিক নানা জটিলতায় চিকিৎসা শেষে ১১ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় এভারকেয়ার হাসপাতালে আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
সীমান্ত উত্তেজনায় ক্রসফায়ারের মুখে বাংলাদেশ: বিএনপি
মিয়ানমার ও ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
দলটির স্থায়ী কমিটি বলেছে, আওয়ামী লীগ ভারত, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে এসব দেশকে বিভিন্ন 'অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক' সুবিধা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে ভারতের সীমান্তে আমাদের বিজিবি সদস্য ও লোকজন গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, অন্যদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া ও মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রাখাইন রাজ্য থেকে সেনারা পালিয়ে এসে (আমাদের দেশে) আশ্রয় নিচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে।
বাংলাদেশ সীমান্তে বিরাজমান উত্তেজনার পেছনের কারণ কী হতে যাচ্ছে এবং কী হতে যাচ্ছে তা ভেবে দেখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নানা ব্যর্থতা ও সমস্যা থেকে বাংলাদেশের মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, 'যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের গোপন সম্পর্ক আছে কি না... সরকার এর আগেও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে একের পর এক ইস্যু তৈরি করেছে।’
মিয়ানমার সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে সরকার প্রয়োজনীয় ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণের কাছে তওবা করে বিএনপিকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান নানকের
বিএনপি বলেছে, মিয়ানমারের মতো দেশ কখনো বাংলাদেশে গুলি চালানোর সাহস পায়নি। এখন কেন তারা এটা করার সাহস পাচ্ছেন? এই বিষয়টি আপনাদের সকলকে ভাবতে হবে... কোথায় যাচ্ছে আমাদের দেশ?
তিনি সীমান্ত সমস্যার বিষয়ে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে বাধ্য করতে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের নাগরিকরা এখন যেভাবে চারদিক থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা থেকে রক্ষা করতে হবে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র লড়াই, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সীমান্তে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের অন্তত ৩২৭ জন সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপৈতলী গ্রামের রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর দাবি করেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ‘ফ্যাসিবাদী সরকার নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ভারত, চীন ও রাশিয়াকে অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে তাদের সমর্থন নিয়েছে।’
তিনি বলেন, তাদের দল দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। তিনি বলেন, ‘আমরা চলমান আন্দোলনে আছি। আন্দোলনের গতি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দিকে রূপ নেয়।’
বিএনপি নেতা বলেন, বিরোধী দলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ নির্বাচন ও এর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করায় ৬২টি রাজনৈতিক দলের ৭ জানুয়ারি 'একতরফা' নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ও যৌক্তিক ছিল।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছে। ‘জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন বিএনপির রাজনীতির সফলতা ও বিজয়ের বহিঃপ্রকাশ।’
গয়েশ্বর দাবি করেন, ৭ জানুয়ারির 'প্রহসনমূলক' নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ‘বরং অবৈধ, অনৈতিকতা ও অসাংবিধানিকভাবে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে চরম প্রতারণা করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ডামি প্রার্থী, ডামি পার্টি, ডামি ভোটার এবং ডামি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে একটি ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
বিএনপির মতো পৃথিবীতে এমন কোনো রাজনৈতিক দল আছে কি না, যেখানে ৫০ লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই প্রশ্নও তোলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার অনুগত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে এবং প্রায় ৭০০ নিরীহ মানুষকে গুম করেছে। গয়েশ্বর প্রশ্ন তুলে বলেন, আসন ভাগাভাগির নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্ট সরকার কেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করল?
কারাগারে তাদের দলের ১১ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির ৫০ লাখ নেতা-কর্মী তাদের জীবনে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তারা পুলিশ ও বিচার বিভাগের অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির জন্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
গয়েশ্বর আরও বলেন, 'দেশের ১৮ কোটি মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ শেখ হাসিনার দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। জনগণও আশা করে, বিএনপির আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে বিএনপির নেতৃত্বে রাজপথে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অচিরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে সীমান্ত : বিএনপি
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী
ধর্ষকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান গয়েশ্বরের
ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'এটার (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক নারীকে ধর্ষণ) বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদে আমরা উৎসাহিত হয়েছি। একজন নারীর প্রতি এ ধরনের সহিংসতা মানে আমি বলি, বাংলাদেশ ধর্ষিত.. তাই আর প্রতিবাদ নয়, সময় এসেছে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।’
গত শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক নারীকে ছাত্রাবাসে আটকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও দেশের মানুষ আর নিরাপদ থাকবে না।
জাবি ক্যাম্পাসে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিএনপিপন্থী প্লাটফর্ম নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন জরুরি।
নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে রক্ষা করতে শিক্ষার্থী ও যুবকদের জেগে ওঠার ও রাস্তায় নেমে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হত্যা, গুম, নির্যাতন, ধর্ষণ, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং অর্থনীতি ধ্বংস করা।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত ধর্ষণ, নিপীড়ন, হত্যা ও গুম থেকে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন,‘এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আমি আশা করি, আমাদের দলের শীর্ষ নেতারা শিগগিরই বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের কর্মসূচি দেবেন।’
আরও পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে সীমান্ত : বিএনপি
সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে সীমান্ত : বিএনপি
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে বর্তমান 'অজনপ্রিয় সরকারের' নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
সোমবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করে দলটি।
বিবৃতিতে দলটি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, দেশের সীমান্ত যে কোনও সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, কারণ মিয়ানমারের শত শত নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই, সংঘর্ষ ও গোলাগুলি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
দলটি বলেছে, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর চলমান যুদ্ধে ব্যবহৃত গুলি, মর্টার শেল এবং বিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার শেল প্রতিদিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ছে। এতে মানুষের ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রাণহানি এবং আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এতে আরও বলা হয়, স্থানীয় লোকজন জীবনের নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত এলাকা ছাড়ছেন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলো।
সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপৈতলী গ্রামের রান্নাঘরে মিয়ানমারের দিক থেকে মর্টারের গোলা এসে পড়লে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্ত অরক্ষিত: বিএনপি
প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) শতাধিক সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ‘মিয়ানমারের শত শত নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে ভিড় করছে- যা যে কোনও মুহুর্তে সীমান্তকে নিয়ন্ত্রণহীন করে তুলতে পারে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, অনির্বাচিত আওয়ামী ডামি সরকারের ফাঁকা বুলি-বক্তব্য এবং বাংলাদেশের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দ্রুত কার্যকর রাজনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা না করে ধৈর্য ধারণ ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বানকে নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহিঃপ্রকাশ আখ্যা দিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। জনসমর্থনহীন সরকার আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে বলেও দাবি দলটির।’
দলটি বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার অনির্বাচিত ও মূল্যহীন হওয়ায় সীমান্তে বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহস নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
এতে আরও বলা হয়, ‘যখন আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অন্য দেশের দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হয়, আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়, সেসময়ও শেখ হাসিনার ডামি সরকার কিছুই করতে পারে না। কারণ তারা বন্দুকের নলের মুখে মানুষকে জিম্মি করে অন্যের আধিপত্য মেনে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের পতন ঘটাতে মানুষ আবারও রাস্তায় নামবে: মান্না
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক সিদ্ধান্ত ও ক্ষমতালিপ্সা ও অবিবেচক সিন্ধান্তের কারণে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থান করে নতুন মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে।
এতে বলা হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কূটনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। এই মেরুদণ্ডহীন সরকারের আজ্ঞাবহ নীতির কারণে জাতীয় সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে এবং জননিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আওয়ামী ডামি সরকার দেশে বিরোধী দলকে দমন করতেই সক্ষম।
দলটি বলেছে, 'ভীতসন্ত্রস্ত' সরকার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে দেশের মানুষ নিহত হওয়ার সময়ও সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) দায়িত্ব কি শুধু বাংলাদেশিদের লাশ গ্রহণ করা?
আওয়ামী লীগ সরকারের 'নিষ্ক্রিয়' ভূমিকার কারণে সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সহিংস লড়াইয়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের হতাহত এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র: বিএনপি
বিএনপি বলেছে, দুই দেশের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখলেও ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসেনি।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু ৭ জানুয়ারির অবৈধ ও ডামি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে তারা বলেননি।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমেরিকাও এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের সরকারগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে আদর্শিক অঙ্গীকার থেকে সরে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একতরফা নির্বাচন, সহিংসতা এবং ৭ জানুয়ারি কীভাবে জনগণ প্রতারিত হয়েছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোও তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি।
রিজভী বলেন, কিছুদিন আগেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ সব সময় এই নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বের জন্য গণতন্ত্র একটি আদর্শ। এ প্রশ্নে তারা কোনো আপস করেনি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা জো বাইডেনের চিঠিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে এবং তিনি মনে করেন, এই চিঠির মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো অস্বস্তি নেই।
আরও পড়ুন: সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্ত অরক্ষিত: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীকে বাইডেনের চিঠি: ‘এখন বিএনপি কী বলবে?’ প্রশ্ন কাদেরের
আ. লীগ সরকারের পতন ঘটাতে মানুষ আবারও রাস্তায় নামবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে রাজধানীতে আবারও রাস্তায় নামবে জনগণ।
তিনি বলেন, ‘এই সংসদ কাজ করতে পারে না। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) হতাশ, আমরা নই। সাধারণ মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে না গিয়ে আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মান্না সর্বস্তরের মানুষকে সাহসের সঙ্গে রাজপথে নামার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন দেখবেন এই ঢাকা শহর মিছিলে ভরে যাবে। আমরা সেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো হতাশা নেই।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার বিরোধী নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিএনপিপন্থী ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার
মান্না বলেন, বিশ্বের প্রধান গণতান্ত্রিক দেশগুলো ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাই বিরোধী দলগুলোর হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের সহায়তায় নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা বিএনপির
সরকারের নতজানু নীতির কারণে সীমান্ত অরক্ষিত: বিএনপি
মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানাতে না পারায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিপত্তি রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত এখন অরক্ষিত। সরকারের নতজানু নীতির কারণে সেখানে রক্ত ঝরছে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দেশের সার্বভৌমত্ব তখনই দুর্বল হয় যখন সে সরকার অন্য দেশের আজ্ঞাবহ হয়। ‘একটি দেশ তখনই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে যখন তার সরকারকে অন্য দেশ সম্মান করে না এবং সরকার যখন সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়।’
রিজভী বলেন, সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করায় মিয়ানমার সীমান্তে গোলযোগ সৃষ্টি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার শাসনামলে সীমান্তে মিয়ানমার উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারেনি দাবি করে রিজভী বলেন, কারণ তারা যেকোনো উসকানির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বর্তমান সরকারের সেই সক্ষমতা ও জনসমর্থন না থাকায় আওয়াজ তুলতে ও প্রতিবাদ (সীমান্ত কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে) করতে ভয় পায়। অন্য কোনো দেশ যখন আমাদের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করছে, তখন তাদের জনসমর্থন না থাকায় তারা (সরকার) কিছুই করতে পারছে না। তারা ক্ষমতা দখল করে এবং জনগণকে জিম্মি করে অন্যের আধিপত্য মেনে নিয়েছে।’
এদিকে, সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুইজন নিহত ও এক শিশু আহত হয়েছে।
জলপাইতলী ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিস্ফোরণ ঘটে।
অন্যদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, রবিবার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির
আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
সরকার নিজেই একটি ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে এবং সেই সিন্ডিকেটই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সংসদের সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘হায়, আওয়ামী লীগ... তারা ঔদ্ধত্যের সঙ্গে কথা বলে... তাদের কোনো লজ্জা নেই। তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও আড়ালে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে।’
এক মানববন্ধনে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যে টাকা আয় করে, তার একটা অংশ সরকার পায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সেই টাকা দিয়ে আপনারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) মালয়েশিয়া, কানাডা, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুরে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ব্যবসা করবেন, অথচ বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষ এক কেজি তো দূরের কথা, একটা ডিম, এক কেজি মাংস কিনেওও খেতে পারবেন না। তবুও তারা (সরকার) ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে 'স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন'।
জাতীয় সংসদে সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, যারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও মানুষকে শান্তিতে ঘুমানোর সুযোগ দিতে পারছে না এবং যারা মেগা প্রকল্পের নামে ও উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, 'আপনাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) মুখ বন্ধ রাখা উচিত। অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এটা জনগণের সরকার নয় এবং জনগণের ভোটে সরকার গঠিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
আওয়ামী লীগের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় বিএনপিকে ছোট করে কোনো মন্তব্য না করতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ফারুক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্বল ভাববেন না। আমরা সৎ হিসেবে শক্তিশালী এবং অতীতে আমরা সততার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করেছি।’
ফারুক বলেন, যদিও আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কঠিন সময় পার করছে, তবুও সরকারের পতন নিশ্চিত করতে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন:৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির