বিএনপি
যেকোনো মূল্যে ঢাকার জনসভা সফল করব: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে যেকোনো মূল্যে তাদের দল রাজধানীতে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি সারা বিশ্ব নজর রাখছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় আমাদের সমাবেশের দিকে। যেকোনো মূল্যে আমাদের এই সমাবেশকে সফল করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে ফখরুল আরও বলেন, জনসভা সফলভাবে করতে পুলিশের গুরুতর বাধা ও গ্রেপ্তার অভিযানের মধ্যেও বিএনপি নেতারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এবং জনগণের কাছে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে এবং গণতন্ত্র ফিরে পেতে হলে ১০ ডিসেম্বর আমাদের অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও সফল সমাবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিন: ফখরুল
বিএনপি’র সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
ফখরুল পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি তাদের দলের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগদান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের বর্তমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
তিনি পূনরায় আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে অতীতে যখনই দেশ সংকটের সম্মুখীন হয়েছে তখন বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা এগিয়ে এসেছেন এবং অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। ‘আমরা আশা করি তারা এবারও এগিয়ে আসবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পিঠ এখন দেয়ালের বিপরীতে এবং আমরা ঘাটের একেবারে কিনারায়। আমাদের জাতির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে এবং যে স্বপ্নের জন্য আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম তা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘এই শাসনামল দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে কারণ লুটপাট আওয়ামী লীগের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই তারা দু’টি কাজে লিপ্ত হয়- জনগণের টাকা লুটপাট এবং তাদের দুঃশাসন অব্যাহত রাখতে জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়ানো।’
আওয়ামী লীগের ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের দুঃশাসনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এই দলটি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘তারা মানুষের সঙ্গে একত্রে এগোতে পারে না। জনগণকে ধোঁকা দিয়ে এবং কৌশল অবলম্বন করে তারা ক্ষমতায় আসে। তারা ক্ষমতায় এলে তাদের আসল রূপ উন্মোচিত হয় যা এখন স্পষ্ট।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের নয়টি বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে পুরো বাংলাদেশ এখন জেগে উঠেছে। ‘১০টির মধ্যে আমরা ইতোমধ্যে ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি এবং অনেক বাধা অতিক্রম করে জনগণ তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই কর্মসূচিগুলোকে সম্পূর্ণ সফল করেছে। তারা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সমাবেশে যোগ দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তবে সরকারের অন্যান্য সমাবেশস্থলের পরামর্শ বিবেচনা করবে বিএনপি: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
সরকারের সব ধরনের দমন-পীড়ন ও ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ ডিঙিয়ে ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস।
সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এ নেতা এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঢাকা মহানগরের নেতাদের কেউই এখন ঘরে থাকতে পারছে না, কারণ সরকার এখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কিন্তু আমাদের কর্মীরা এতে ভয় পায় না।’
তিনি বলেন, দমন-পীড়ন মোকাবিলা করে তারা সমাবেশ সফল করবে। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে কোনও বাধা সৃষ্টি করবেন না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
সমাবেশ আয়োজনের জন্য দলের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম তদারকি করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস।
তিনি আরও বলেছেন, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ নদীর তীর ছাড়া ঢাকার অভ্যন্তরে যে কোনও উপযুক্ত স্থানে তাদের কর্মসূচি পালনের কথা বিবেচনা করতে পারেন।
রবিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) অদূরে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের ওপর দলের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের লিফলেট বিতরণের সময় হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ইশরাকের ওপর হামলা করে তারা (আওয়ামী লীগ) প্রমাণ করেছে যে বিএনপি নয়, তারা সন্ত্রাসে লিপ্ত। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন হামলা নয়, কিন্তু তারা একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে,’ বলেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীমের বাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা হামলা চালায় এবং নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
আব্বাস বলেন, সরকার নিজেই প্রচার করছে যে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাস হবে। ‘আমি জানতে চাই কেন শাসক দল আমাদের ওপর হামলা করছে যখন আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে যাচ্ছি, যেখান থেকে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি’র বরিশাল জন সভাবেশ সফল, সব বন্ধ করে সরকারের কী লাভ হলো: মির্জা আব্বাস
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের কোনও ধরনের উসকানিতে তারা সাড়া দেবেন না কারণ কোনও বিশৃঙ্খলা ছাড়াই কর্মসূচি পালনই তাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করা ছাড়া তাদের দলের অন্য কোনও পরিকল্পনা নেই। ‘আমরা শুধু দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সমাবেশ করব তারপর আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়ি ফিরে যাবে।’
সকাল থেকেই পুলিশ তার শাহজাহানপুর বাড়ি ঘিরে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। ‘আজ (সোমবার) আমার বাড়িতে কর্মীদের একটি সভা ছিল যেখানে আমি তাদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার জন্য নির্দেশ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাকে তা করতে দেয়া হয়নি। আমার বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখেছে।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশ কি সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েছে যে বিএনপি নেতারা এখন বাসা ও অফিসে নিরাপদ নয়।
আরও পড়ুন: এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না বিএনপি: মির্জা আব্বাস
রাজধানীতে বিএনপি নেতা ইশরাকের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) কাছে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের লিফলেট বিতরণের সময় দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের ওপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ইশরাক অভিযোগ করেন, রবিবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছয়-সাতজন বিএনপি নেতাকর্মীকে রেখে হামলা চালায়।
বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ‘লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে উঠলে প্রথমে ছাত্রলীগের লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে তারা রড ও হকি স্টিক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমার গাড়িও ভাংচুর করেছে।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে খালেদা জিয়ার যোগদানের প্রশ্নই আসে না: বিএনপি
প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক জানান, আহত চার বিএনপি নেতাকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে জেএনইউ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, তারা ইশরাক ও তার অনুসারীদের ধাওয়া করেছে, কারণ এই বিএনপি নেতা লিফলেট বিতরণের সময় উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন।
ইশরাকের ‘ক্যাডার’ হামলায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
এর আগে ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদী উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয় ইশরাকের গাড়িবহর।
হামলায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও ৯ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তবে সরকারের অন্যান্য সমাবেশস্থলের পরামর্শ বিবেচনা করবে বিএনপি: ফখরুল
রাজশাহীতে বিএনপির র্যালি ‘মিডিয়া কার্ডে’ খালেদা-তারেকের ছবি ব্যবহারে সাংবাদিকদের সমালোচনা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তবে সরকারের অন্যান্য সমাবেশস্থলের পরামর্শ বিবেচনা করবে বিএনপি: ফখরুল
রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশের বিষয়ে স্পষ্টতই নিজেদের অবস্থান নরম করে বিএনপি বলেছে, সরকার ১০ ডিসেম্বর দলের সমাবেশের জন্য উপযুক্ত ও বিকল্প কোনো স্থান নিয়ে আসলে তারা বিবেচনা করবে।
তবে, সরকারকে একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অহেতুক নৈরাজ্যকর ও সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের ঢাকার সমাবেশ হবে সবচেয়ে সফল ও শান্তিপূর্ণ। তাই আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই আমাদের কর্মসূচিকে অন্য দিকে মোড় নিয়ে কোনো অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না করার জন্য।’
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অরাজক ও সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
তিনি আবারও বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ এবং সুবিধাজনক ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, শনিবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে জনসভা করার বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বিকল্প কোনো উপযুক্ত স্থান পাই তাহলে আমরা বিবেচনা করব, তবে সেটা সোহরাওয়াদী উদ্যান বা তুরাগ তীরে হওয়া উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণ
রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া ইউএনবিকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
রাজশাহীতে সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটার জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশের জনগণের প্রতি আস্থা না থাকায় সরকার ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণভাবে জনসভা করতে চাই। কিন্তু ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা (আ.লীগ) ঘুম হারিয়েছে। তারা নিজেরাই বলছে যে তাদের সিংহাসন উল্টে দেয়া হবে।’
শনিবার এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এর আগেও কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই নয়াপল্টনে বিএনপি অনেক সমাবেশ করেছে, এমনকি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেও।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা (আ.লীগ) জানেন আপনারা অনেক অপকর্ম করেছেন। মানুষের প্রতি আপনাদের আস্থা নেই।তাই আপনারা ভীত এবং দুঃস্বপ্ন দেখছেন যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান (ক্ষমতায়) আসছেন।’
দলের বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির রাজশাহী মহানগর শাখা রাজশাহী মাদরাসা মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে।
র্যালিতে বিভাগের আট জেলা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।
র্যালিকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং প্রবেশপথে চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজশাহীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার থেকে বিভিন্ন বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলো থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ট্রেন, ট্রাক, নৌকাসহ মানববাহী গাড়ি, অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার, মোটরবাইক, মাইক্রোবাসে করে নগরীতে আসেন।
বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এছাড়া শুক্রবার বিকালে রাজশাহী অটোরিকশা মালিক সমিতিও অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তাদের সমাবেশে জনতার ঢল বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এই হরতাল।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল এবং ফরিদপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় আটটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় রাজশাহীতে এটি ছিল বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির নবম সমাবেশ।
সিলেট, ফরিদপুর, বরিশাল, রংপুর ও খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগেও একই ধরনের হরতাল কার্যকর করা হয়েছিল, তবে দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক বাধা অতিক্রম করে সমাবেশে অংশ নেন।
চলমান আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শেষ জনসভা করে বিভাগীয় কর্মসূচি শেষ করবে দলটি।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির নিন্দা, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে পাঁচ দলের নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
রাজশাহীতে সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটার জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটারের আশেপাশে পাঠানপাড়া, সিপাইপাড়া, লক্ষ্মীপুর, ফায়ার সার্ভিসের মোড়, বর্ণালী, নগরভবন এলাকায় কোনো ইন্টারনেট নেই। এমন কি এসব এলাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধাও বন্ধ করে রাখা আছে বলে জানান নেট ব্যবহারকারীরা।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হাওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
সমাবেশস্থলে একটি ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. সজল জানান, প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছিল নগরীর মাদরাসা মাঠে। সেখানে ইন্টারনেট নেই। মূল সার্ভার থেকেই বন্ধ করে রাখা আছে। আমাদের কিছু করার নেই।
এদিকে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাংবাদিকরা।
রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এ সরকার আমাদের সব কাজেই বাঁধা দিচ্ছে। ইন্টারনেট বন্ধও একটি বাঁধা। আমাদের সমাবেশ যাতে বিপুল পরিমাণে প্রচার না পায় এজন্য তারা ভয়ে বন্ধ করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
বিএনপির সমাবেশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন: কাদের
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু
রাজশাহীতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে দলটির ৯ম বিভাগীয় সমাবেশ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ শুরু হয়।
দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকালে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
গণসমাবেশের মিডিয়া কমিটির সদস্য ও বিএনপির রাজশাহী জেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা এখন রাজশাহীতে এবং তারা মঞ্চে।
সকালে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশ এলাকায় আসতে দেখা যায় এবং অসংখ্য মানুষ আশপাশের সড়কে ভিড় করতে থাকে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে অসংখ্য মানুষ সমাবেশে যোগ দেন।
সকাল ৯টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ দেখতে পান ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
বৃহস্পতিবার থেকেই নগরীতে পৌঁছানো নেতাকর্মীরা ভেন্যু সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নেন।
শুক্রবার রাতে নগরীতে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং নগরীর সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সাদা পোশাকেও পুলিশ পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপি’র নবম বিভাগীয় সমাবেশ শনিবার
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ইতোমধ্যে নগরীতে পৌঁছেছেন।
শনিবার সকাল থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে নাটোর, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীরা রাজশাহী মহানগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছান।
সমাবেশস্থলে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী মিছিল ও স্লোগান দিচ্ছেন। সকাল ৯টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ দেখতে পান ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার আগে থেকেই নগরীতে পৌঁছানো নেতাকর্মীরা ভেন্যু সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নেন।
জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হবে এবং এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে নগরীতে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং নগরীর সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
সাদা পোশাকেও পুলিশ পুরো এলাকায় টহল দিচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে খালেদা জিয়ার যোগদানের প্রশ্নই আসে না: বিএনপি
১০ ডিসেম্বর রাজধানীর বহুল আলোচিত সমাবেশে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়ে কিছু বিরোধী নেতার উগ্র মন্তব্যে দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও, বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, প্রোগ্রামে তাকে নিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।
তারা আরও বলেন, রাজধানীতে তাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বিএনপির অন্যান্য ৯টি বিভাগীয় কর্মসূচির মতো যেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন এবং দলের পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবেন।
তবে দলের নেতারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, তারা যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চান। কারণ তারা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার এবং ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচির পর সরকারের পদত্যাগের দাবি আদায়ে আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করবেন।
আরও পড়ুন: আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের ঢাকার সমাবেশ নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। এটি অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো। আমি জানি না কেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এবং কিছু মিডিয়া আমাদের চেয়ারপার্সনের সমাবেশে অংশগ্রহণের কথা বলছে। আমাদের স্থায়ী কমিটি কখনই এই বিষয়ে আলোচনা করেনি এবং আমাদের এমন কোনো পরিকল্পনাও ছিল না।’
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন।
তিনি বলেন, কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করে তাদের আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে মোড় নেয়ার কোনো সুযোগ তারা দেবেন না। আমরা আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দেব না, কোনো বিবেকহীন পদক্ষেপ নেব না।গত ৮ অক্টোবর ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে।
দুই দিন পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দেবেন এবং পরে দলের আরও কিছু নিম্ন-স্তরের নেতা আমান ও ফারুকের মতোই কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা অবশ্য বলেছেন, খালেদাকে নিয়ে আমান ও ফারুকের বক্তব্য তাদের ব্যক্তিগত মতামত।এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শর্তসাপেক্ষে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া খালেদা ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে মুক্ত করা হয়েছে। কারণ তার পরিবার একটি আবেদন জমা দিয়েছে যে তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন বলে তিনি চলাচল করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন যদি ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে যোগ দেন, তাহলে প্রমাণ হবে যে তার পরিবারের আবেদনে যা লেখা ছিল তা মিথ্যা ছিল।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদাকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় জেল থেকে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ কয়েকবার বাড়িয়েছে সরকার। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন।
২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি। ইতোমধ্যে আটটি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে এবং নবম সমাবেশ শনিবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে বিশাল জনসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
দলটি নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও ২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সরকার।জানতে চাইলে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ঢাকার জনসভায় খালেদার অংশগ্রহণ গণমাধ্যম ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের জল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। ‘আমাদের দায়িত্বশীল নেতাদের কেউ এ বিষয়ে কথা বলেননি।’
লাখো মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। ‘এটি অবশ্যই একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবে। আমাদের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সব ধরনের চক্রান্ত ও উসকানি সম্পর্কে সতর্ক থাকব আমরা।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অংশ হিসেবে জনসভায় খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে মন্তব্য করছেন।
‘ম্যাডাম (খালেদা) গৃহবন্দি এবং তিনি খুব অসুস্থ। আমরা কখনই বলিনি যে সে আমাদের প্রোগ্রামে অংশ নেবে। কিন্তু সরকার এই ইস্যুতে খারাপ খেলা খেলছে।’
‘আমরাও রাজধানীতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করব এবং তারপর বাড়ি ফিরব। আমাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা নেই।’বৃহস্পতিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি নেতা বলেন, নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে তারা তাকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। ‘আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর। কোনো ভেন্যু নিয়ে আমাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা নেই।’
আরও পড়ুন: খোলা মাঠ থাকতেও কেন সড়কে সমাবেশ: বিএনপিকে জয়ের প্রশ্ন
না’গঞ্জে বিএনপি-জামাত-গণঅধিকারের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা