বিএনপি
পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য সরকারের 'ধ্বংসাত্মক' নীতি দায়ী: বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে 'ধ্বংসাত্মক' উন্নয়ন নীতি গ্রহণ করে সারাদেশে পরিবেশের অবনতি ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার প্রচণ্ড গরম অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ঢাকার আশপাশে তুরাগ, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার মতো নদী থাকার পরও এটা হওয়ার কথা ছিল না। বাস্তবতা হলো, দখলদাররা এসব নদী দখল করে নিয়েছে। তারা দেশের প্রায় প্রতিটি নদী ভরাট করে ফেলেছে। এটা স্বৈরাচারী শাসনের আমলেই সম্ভব।’
তীব্র তাপপ্রবাহে জনদুর্ভোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের ফলেই তাপমাত্রা বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালক, হকারসহ শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বোতলজাত পানি, স্যালাইন ও জুস বিতরণ অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।
তাপমাত্রা নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছানোর কারণে জনদুর্ভোগ লাঘবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, সবুজ বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা বারবার সরকারকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন না করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু গণবিরোধীদলীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের পরামর্শ উপেক্ষা করে উল্টো উন্নয়নের নামে ব্যাপক দুর্নীতির মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর কলাপাড়া এলাকায় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে, যা সমগ্র বরিশাল অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
রিজভী বলেন, ‘তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কারণে পটুয়াখালী ও বরিশালের আশেপাশের এলাকায় নারিকেল গাছে এখন আর ফল ধরছে না। একটা সময় ছিল যখন ওইসব এলাকায় নারকেলের প্রাচুর্য ছিল, কিন্তু এখন নদীতেও মাছের অভাব।’
রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তাও তুলে ধরেন তিনি।
রিজভী বলেন, 'রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে বাংলাদেশের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত সুন্দরবন এখন বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, পশুর নদীর কুমির এবং সুদৃশ্য হরিণের মতো বাসিন্দাদের নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করছে।’
জনগণকে ক্ষমতার উৎস মনে করে না বলেই দেশের মানুষের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকারের কোনো মনোযোগী নেই বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘তারা পরিবেশ, বন ও নদী ধ্বংসসহ যেকোনো কিছু করতে পারে।’
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবার ডামি প্রার্থীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন করতে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যরা নিজস্ব রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন।
রিজভী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো সুযোগই পাচ্ছেন না। মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, ভাই ও ভগ্নিপতিদের নিয়ে এমপিদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সূত্রমতে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, যারা সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হবেন বা জবাব দিতে ব্যর্থ হবেন, তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের কারণে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ স্থগিত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক জানান, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিএনপির ৬৪ জন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেকোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির হাইকমান্ড।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ইতোমধ্যে পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সহ-সভাপতি সাদেক আলী, উত্তর চট্টগ্রামের চিকনন্দী ইউনিয়নের সহকারী আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপি নেতা জহুরুল আলম ও কক্সবাজার জেলা মৎস্যজীবী দলের নেতা এম হান্নান মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনা সরকারের অন্যায়-নৃশংসতা ফাঁস করে দিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন: রিজভী
হাসিনা সরকারের অন্যায়-নৃশংসতা ফাঁস করে দিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন: রিজভী
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০২৩ বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের 'অবিচার ও নৃশংসতার' ফাঁস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে গুম, গুপ্তহত্যা ও নির্যাতনসহ বাংলাদেশে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইলিয়াসসহ অন্যদের নিখোঁজের পেছনে রাষ্ট্রের হাত রয়েছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধাসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
অবিচার ও নিষ্ঠুরতার দৃশ্যমান ঘটনাগুলোর মাধ্যমে প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির আসল রূপ তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রবার্ট এস গিলক্রিস্ট মানবাধিকার প্রতিবেদনটি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, গিলক্রিস্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন কারসাজির মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল মাত্র ৪টি মামলা।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে 'মিথ্যা' মামলায় সাজা দিয়ে তড়িঘড়ি করে নিজের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা প্রত্যাহার করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা অনেকবার এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এবার তা মার্কিন রিপোর্টেই উঠে এসেছে। মানুষ বিশ্বাস করত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার খালেদা জিয়া। এবার গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাদের বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তা তুলে ধরেছে।’
সোমবার ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন (এইচআরআর) প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। একে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি ‘বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ’ রেকর্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মার্কিন দূতাবাস।
১৯৮টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি (এইচআরআর) তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অংশে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে আটক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অনেক খবর পাওয়া গেছে।
এতে দাবি করা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করতে ও শাস্তি দিতে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।
রিজভী বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের নিপীড়ন, নৃশংসতা, গুম, খুনসহ নানা অপকর্মের কথা বলে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর লুকানোর কিছু নেই। শেখ হাসিনার অবিচার, রক্তপাত ও নানা অপকর্মের ঘটনা ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক বিশ্বে বেরিয়ে আসছে। গোটা বিশ্ব এর নিন্দা করছে।’
আরও পড়ুন: হাসিনা সরকারের অন্যায়-নৃশংসতা ফাঁস করে দিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়: রিজভী
তাপপ্রবাহের কারণে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ স্থগিত
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।
সোমবার এক বিবৃতিতে সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দেয় দলটি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, সমাবেশের নতুন তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা হাবিব কারামুক্ত
আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়: রিজভী
বিএনপি নেতা হাবিব কারামুক্ত
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে তিনি কারাগার থেকে বের হন বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মুক্তির পর কারাফটকের সামনে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনসহ নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু হাসপাতালে ভর্তি
পরে হাবিব নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেলে রিজভী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসা থেকে হাবিবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা।
হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে নিয়ে 'কটূক্তি’ করায় গত ২৮ অক্টোবরের পর তাকে তলব করেন আদালত।
পরে মন্তব্য প্রত্যাহার না করায় তাকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপি গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের অপচেষ্টা করছে: হাছান মাহমুদ
বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শীর্ষ ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল )হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর বাড়িতে ফেরেন তিনি। তারপর ঘুমাতে গিয়ে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইলিয়াসসহ অন্যদের নিখোঁজের পেছনে রাষ্ট্রের হাত রয়েছে: রিজভী
মিন্টুর বড় ছেলে বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল বলেন, মিন্টু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
অসুস্থ আবদুল আউয়াল মিন্টুকে দেখতে আজ দুপুর আড়াইটায় হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
৭৪ বছর বয়সী আবদুল আউয়াল মিন্টু মাল্টিমোড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলের অনেক নেতাকর্মীকে সরকার কারাগারে নিক্ষেপ করে আলো-বাতাস থেকে বঞ্চিত করছে।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিনা কারণে মাসের পর মাস কারাগারে বন্দি থাকতে থাকতে কারাগারগুলো বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর স্থায়ী আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, 'মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিবের মতো শীর্ষ নেতারা তিন-চার মাস ধরে কারাভোগ করে মুক্তি পেয়েছেন।’
শেখ হাসিনার বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর নীতি এখনো শেষ হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে ভয় পান এবং জানেন যে তার পক্ষে কোনো জনসমর্থন নেই।
জনগণের সমর্থনহীন সরকার স্বৈরাচারী হয়ে যায় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জনগণ যখন অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলে তখন তারা দমন করে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, 'তারা দমন-পীড়নের সব উপায় অবলম্বন করে, যেমন- আটকে রাখা, নির্যাতনের জন্য আয়না ঘর তৈরি করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হত্যা করা এবং বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করা।
তিনি দাবি করেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এখনো কারাগারে রয়েছেন। আর কয়েকজন ৩ থেকে ৪ মাস কারাভোগের পর বের হতে পেরেছেন।
বিএনপির এত সদস্য কেন কারাগারে, তার কোনো সদুত্তর সরকারের কাছে আছে কি না জানতে চান রিজভী।
অবৈধভাবে অর্জিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এসব করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
ইলিয়াসসহ অন্যদের নিখোঁজের পেছনে রাষ্ট্রের হাত রয়েছে: রিজভী
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পেছনে রাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের ১২ বছর স্মরণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল বনানী ২ নম্বর রোডের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনছার আলী।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই: রিজভী
ইলিয়াস আলীর ব্যবহৃত গাড়িটি ওই দিনই ঢাকার মহাখালী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হলেও ১২ বছর পরও তাদের দুজনের সন্ধান মেলেনি।
রিজভী বলেন, দেশবাসীর কাছে এটা স্পষ্ট যে, এই ‘ফ্যাসিবাদী সরকার’ ইলিয়াস আলীকে গুম করে দিয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ ও সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সিলেট অঞ্চলে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনের মূল নেতা হিসেবে ইলিয়াস আলী ছিলেন রাষ্ট্র ও বিদেশি শক্তির মাথাব্যথার কারণ। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধেও তিনি সক্রিয় ছিলেন বলে জানান রিজভী।
ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর সরকার তাকে খুঁজে বের করার নামে বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করেছিল বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি বলেন, এসব নাটকের কাহিনী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়।
রিজভী বলেন, শুধু ইলিয়াস আলীই নন, সাইফুল ইসলাম হিরু, সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, জাহিদুল করিম তানভীর, মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আল আমিন, সাজেদুল ইসলাম সুমন, আবদুল কাদের ভূঁইয়া মাসুম, জাকির হোসেন মুন্না, মীর আহমেদ বিন কাসেম, আব্দুল্লাহিল আজমী, ইফতেখার আহমেদ দিনারসহ আরও অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
রিজভী বলেন, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের মতে ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৬২৩ জনকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৬ জন নিখোঁজ ও গুমের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনেও দেখা গেছে গত ১৫ বছরে প্রায় ৬০০ মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই বলেও উল্লেখ করে দলটি।
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল সোমবার।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বেনজিরের মতো ধনী লোকের সংখ্যা বেড়ে গেছে: রিজভী
দেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের মতো ধনীদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।
সম্প্রতি বেনজীর আহমেদের কথিত দুর্নীতি ও বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
রিজভী বলেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা ও গুম করে এই ধনী ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনেরও সম্মুখীন: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘মেগা প্রকল্পের নামে দুর্নীতি, ব্যাংক লুট করা এখন রূপকথা নয়, এখন বাস্তব।’
দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতার শীর্ষে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী দাবি করেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে টেন্ডারবাজি-সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীন মহলের আশীর্বাদে তারা ধনী হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগ ও তাদের অলিগার্করা জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করছে, অন্য দিকে দেশের দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষদের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই।
রিজভী বলেন, 'যেখানে প্রতিদিনের খাবার নিশ্চিত করতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে সেখানে তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের পোশাক কিনবে কীভাবে?’
দরিদ্র মানুষ অনাহার ও নজিরবিহীন দুঃখ নিয়ে এবারের ঈদ উদযাপন করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের দুঃশাসন ও জনগণের অর্থ আত্মসাৎ এক নীরব দুর্ভিক্ষ ডেকে এনেছে। তারা একটি সুসংগত, একতরফা ও ডামি নির্বাচন করে দেশের জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের যুদ্ধের পর জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ এক অত্যাচারীর পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই: রিজভী