জাতীয়-পার্টি
জনগণ আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ আগামী সাধারণ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, সঠিক সময়ে ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। তারা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: কা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
সোমবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে ‘উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জিএম কাদের বলেন, আসন্ন নির্বাচন জনগণের অগ্রাধিকার এবং আগামী দিনগুলোতে কী হবে তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
এর আগে অনুষ্ঠিত দুটি ডেমোক্রেসি সামিটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘জার্মানি পরিচালিত ১২৯টি দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৮টি দেশে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।’
তিনি বলেন, জরিপে বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডার সরকারকে ‘নতুন স্বৈরাচারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দুইটি দল শুধু পূজা-নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিন্তা করে: জিএম কাদের
নানা অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে: জিএম কাদের
দুইটি দল শুধু পূজা-নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিন্তা করে: জিএম কাদের
নির্বাচন ও পূজার মৌসুম এলেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ধোঁয়া তুলে 'দুই দল' রাজনীতি করে বলে মন্ত্রব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি দাবি করেন, অন্য সময়ে তারা (প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) সংখ্যালঘুদের আতঙ্কিত করে রাখে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদের হাতের মুঠোয় রাখার নোংরা রাজনীতি চলছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, 'সম্প্রতি একটি দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, নির্বাচনের আটাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদেরগে একটি দল সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাতে পারে। তাই তাদের নেতা-কর্মীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় পাহারা দেবেন। অন্য দলের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, একটি দল সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার ষড়যন্ত্র করছে।
আরও পড়ুন: নানা অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘এটি সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। প্রকৃতপক্ষে, উভয় দলই সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছে।’
জিএম কাদের বলেন, 'এ দেশে 'সংখ্যালঘু' বলে কিছু নেই। এ দেশের সবাই বাংলাদেশি। ধর্মের কারণে কেউ যদি তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তাহরে আমরা সেই সমাজকে সভ্য বলতে পারি না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক আদেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রওশনের শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রওশনের শুভেচ্ছা
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অভিনন্দন বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, গতিশীল নেতৃত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, বিচক্ষণতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশেই নন, বহির্বিশ্বেও অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্রান্তিলগ্নে বাঙালি জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে গৌরবের আসনে সমাসীন করেছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তার অসাম্প্রদায়িক, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে দিয়েছে এক আধুনিক ও অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কের স্বীকৃতি।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
রওশন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজনীতিতে তার সুদীর্ঘ পথচলা মোটেই কণ্টকমুক্ত ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু তিনি তার প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, সাহস ও সাংগঠনিক দক্ষতাবলে সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন।
বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করে বলেন, পরম করুণাময় আল্লাহতালা তার সহায় হোন। যাতে তিনি দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত, দুর্নীতি, সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারেন এবং দেশবাসীকে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও উন্নত জীবন গঠনে সহায়তা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পথ শিশুদের নিয়ে কেক কাটলেন পলক
রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে: জিএম কাদের
নানা অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে: জিএম কাদের
নানা অজুহাত দিয়ে দ্রব্যমূল্য একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার সম্পূর্ণভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। নানান অজুহাত দিয়ে দাম একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে: জিএম কাদের
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দাম যেটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে আমি মনে করি এটা কখনই সফল হওয়া সম্ভব নয়। দাম বেঁধে দেওয়ার একটা নিয়ম ছিল। কতটুকু দাম যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। হিসাব নিকাশ করে সেটা জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, যৌক্তিকতার বাইরে কেউ নিলে একটা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হয়। সহনীয় যেটাকে বলা হবে তা যুক্তিসঙ্গত দাম। সেটার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যথেষ্ট ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়, ডাটা নিতে হয়, ইভেন চাহিদা ও যোগানের ওপর তা নির্ধারণ হয়। যদি সেটা ঠিক না থাকে, তাহলে আমি যতই চাপাচাপি করি এটা স্বাভাবিকভাবে ঠিক হবে না।
জিএম কাদের বলেন, সিন্ডিকেট সরকারকে কোনো পাত্তা দিচ্ছে না বলে আমি মনে করি। যেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কথা, সরকারের কিছু দায়িত্ব থাকে। সেসব জায়গায় তারা সঠিকভাবে কিছু করছে এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমরা পাই না। সে কারণে দ্রব্যমূল্য সরকার যাই বেঁধে দিয়ে থাকুক, বাজারে এর চেয়ে মূল্য বেশি।
তিনি বলেন, কৃষকরা অনেক সময় কম দামে দিচ্ছে শহরে তা অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, যেটা করা হচ্ছে অযৌক্তিকভাবে। তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনোরকম কোনো বন্দোবস্ত বা পদক্ষেপ জনগণের চোখে পড়ছে না। দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আছে। এটা একটা দুর্বিসহ অবস্থা।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত চিন্তা করছি ৩০০ আসনে করব। ভবিষ্যতে কী করব, ভবিষ্যতের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা হবে। যেহেতু এখনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক অস্থিতিশীল, অনিশ্চিত, অস্বচ্ছ। সবকিছু জেনে বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সবাই আমার মনে হয় এই অনিশ্চয়তার দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার এক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে, সরকারের বিপক্ষ আরেক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কোনো পদ্ধতিতে আসলে নির্বাচন হবে সেটাই আমরা জানি না। নির্বাচন সঠিক পথে সঠিক সময়ে হবে কিনা, এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে অনেক কানাঘুষা আছে সন্দেহ আছে, আশংকা আছে।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমরা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না সঠিকভাবে। শেষ পর্যন্ত কে লড়বেন আর কে থাকবেন সেটাও অনিশ্চিত। রংপুর-৩ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে। জাতীয় পার্টি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা কখনোই নির্বাচন অর্জন করেনি, কারণ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।’
রওশন এরশাদ বলেন, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে বিশ্ববাজারে এখন দাম কমে গেছে।’
তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে এখন টিসিবির ন্যায্য মূল্য ওএমএসের পণ্য নেওয়ার জন্য মধ্যবিত্ত মানুষেরাও যোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘তা না হলে জনগণের ওপর চাপ বাড়বে এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।’
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার জন্য বিশ্ববাজারকে দায়ী করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ‘দেশে দীর্ঘদিন ধরে ডলারের সংকট চলছে। অনিয়মের জন্য বেশ কয়েকবার আলোচনায় এসেছে ব্যাংকিং খাত। ডলার সংকট প্রশমনে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির এ নেতা বলেন, ‘ইউটিউবে কেউ পোস্ট করেছে যে আমি বিক্রি হয়ে গেছি। এটি আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমার কর্মজীবনে, আমি নীতিগত কারণে আমার অনেক পাওনা গ্রহণ করিনি। আমি আমার কর্মজীবনে আমার জন্য বরাদ্দের প্রয়োজনীয় অংশ নিয়েছি। যখন আমার পরিবার আমার সঙ্গে সফরে গিয়েছিল, আমি ব্যক্তিগত ভিত্তিতে তাদের বিল পরিশোধ করেছি।’
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
বুধবার দুপুরে ঢাকার বনানীতে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান, সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব-০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী প্রমুখ।
তিনি বলেন, ‘আমি একবার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম, অন্যবার মন্ত্রিত্ব নিইনি। টাকা বা ক্ষমতার জন্য আমি আমাকে বিক্রি করতে পারব না। আমি ২৫ বছর ধরে কাজ করেছি এবং আমি গত ১০ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি। গত দুই বছরে দেশের পুরো পেট্রোলিয়াম পণ্য কিনতাম। আমার কাছে অবৈধ অর্থ উপার্জনের সুযোগ ছিল কিন্তু আমি কখনই করিনি। ২৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে, আমি ২০ বছর এমপি ছিলাম এবং পাঁচ বছরে দুটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছি।’
আরও পড়ুন: সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, আমি দল, দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করি।
জিএম কাদের বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি... ভারত শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর নির্বাচন চায়। তারা নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা চায় না। কে ক্ষমতায় আসবে বা নির্বাচন কীভাবে হবে সে বিষয়ে ভারতের কোনো বক্তব্য নেই।’
কাদের বলেন, বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় রয়েছে। ‘তাই তারা কখনই বাংলাদেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ চায়নি। আসলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতি নিয়ে জিএম কাদের ও রিজভীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা তথ্যমন্ত্রীর
রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে: জিএম কাদের
রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে বলে মন্ত্রব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। রওশন এরশাদের দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদ আমাদের ভাবী, তিনি আমাদের বড় ভাইয়ের স্ত্রী। ছোটবেলা থেকেই আমরা আমাদের বড় ভাইকে বাবার মতো ভাবতাম, একইভাবে রওশন এরশাদকে আমরা ছোটবেলা থেকেই মাতৃতুল্য ভাবতাম।
‘আমি তার সঙ্গে কখনও বিরোধ করিনি এবং আমাদের এখনও কোন বিরোধ নেই। রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে। অনেক বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে, এবং আমার জানামতে, তিনি ইচ্ছা করে সেসব বিবৃতি দিচ্ছেন না।’
ভারত সফর শেষে বুধবার দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
কিছু লোক জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি যাতে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তারা প্রমাণ করতে চায় জাতীয় পার্টির শক্তি নেই, দলে ঐক্য নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা দল নিয়ে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাই। আমি মনে করি যারা এটা করছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
পরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের বন্ধু নয়, তারা আমাদের দুর্বল করতে চায়।
এদিকে, তার ভারত সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। ‘আমরা বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ফেরাতে না পারলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: জিএম কাদের
বৈঠকে দুই দেশের বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা না হলে তারা খুশি হবে। এ দেশে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে, তাই তারা এখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশা করছেন।’
বাংলাদেশের প্রধান দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ভারত এটাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে।
তিনি বলেন, ‘তবে তারা চায় আমরা সংলাপের মাধ্যমে সংকটের সমাধান করি।’
আরও পড়ুন: নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন রওশন
নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন রওশন
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ মঙ্গলবার দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন।
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমি বেগম রওশন এরশাদ, এমপি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান এই মর্মে ঘোষণা করছি যে পার্টির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ও সিদ্ধান্তক্রমে দলের গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
রবিবার জিএম কাদের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে ৩ দিনের সফরে ভারতের নয়াদিল্লি যান এবং আজ (মঙ্গলবার) তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দলের অস্পষ্ট অবস্থানের মধ্যে রওশন শনিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির ৪ কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সালমা ইসলাম ও আবু হোসেন বাবলা গত ডিসেম্বরে রওশনকে লেখা এক চিঠিতে জিএম কাদেরের ওপর আস্থাহীনতার কথা উল্লেখ করে দলের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন।
তারা বলেন, জিএম কাদেরের দল পরিচালনায় অযোগ্যতা ও অসাংবিধানিক মনোভাবের কারণে তাকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন রওশন।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
তবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, জিএম কাদেরকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া ভুয়া খবর।
তিনি বলেন, তিনি কো-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলেছেন যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং তারা তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা এ জাতীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেননি এবং তারা এ জাতীয় কোনো চিঠিতে সই করেননি।
চুন্নু বলেন, দলীয় সনদ অনুযায়ী কেউ চেয়ারম্যান হতে পারবেন না এবং তার ইচ্ছামতো কাউকে অপসারণ করতে পারবেন না। এটা নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে।
জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
চুন্নু মনে করেন, এর আগে দল থেকে বহিষ্কৃত কিছু মানুষ রওশনের নাম ব্যবহার করে ভুয়া খবর ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ফেরাতে না পারলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: জিএম কাদের
জনগণের আস্থা ফেরাতে না পারলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় না; এটা প্রমাণিত। জাতীয় পার্টি ও দেশের মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, কিন্তু সরকার সাজানো নির্বাচন চায়। বিগত ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সিল মেরেছে, জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। তাই জনগণের আস্থা ফেরাতে না পারলে আগামীতেও মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
রবিবার (৩০ জুলাই) বগুড়া জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। জাতীয় পার্টিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করেছে। জাতীয় পার্টিকে তাদের বি-টিম হিসেবে রাখতে এখনও কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা আর এভাবে থাকবো না। দলকে শক্তিশালী করে আগামীতে আমরা ভালো করব। সরকারের কাছে এভাবে থাকতে চাই না। তাই ঘরে বসে থাকলে দল শক্তিশালী হবে না, এ জন্য কাজ করতে হবে।
জেলা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, ওমরের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করব। সে জন্য আপনারা প্রস্তুতি নিন। আমরা কারো জোটে নেই।
এ ছাড়া দলের জাতীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
সারাদেশে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তাই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি সহায়তায় বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মুহাম্মদ কাদের।
এছাড়া যারা ব্যর্থতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বলেন, শনিবার (৮ জুলাই) একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮২০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
সংখ্যার বিচারে এটাই এ বছরের সর্বোচ্চ।
সরকারি তথ্যে দেখা গেছে যে ৮ জুলাই থেকে ডেঙ্গুতে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, মানুষ মনে করে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ১ হাজার ৭৭৩ জনসহ ২ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু রোগী এখন সারাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ১১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত করেছে এবং সুস্থ হয়েছে ৯ হজার ৫৪৯ জন। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
ভাই এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর দলের চেয়ারম্যান হওয়া কাদের আরও বলেন, ২০১৯ সালে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল। ওই বছর রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে ছিল। কিন্তু এ বছর রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিই ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সরকারি জরিপে দেখা গেছে। এটি আসলে ডেঙ্গুর ভয়াবহ অবস্থার প্রমাণ দেয়।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
এছাড়া ডেঙ্গু নির্মূলে যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তার কার্যকারিতা নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে এর পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ এমনিতেই চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তাই বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের