জাতীয়-পার্টি
দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
বাংলাদেশ এখন ভয়াবহ সংকটে রয়েছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে তারা যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন অতল গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে এবং যে কোনো সময় ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
রবিবার মুন্সীগঞ্জের জুবিলী রোডে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জাপা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে কোনো রিজার্ভ নেই, সরকার যা হিসাব দিচ্ছে তার থেকে অনেক বেশি ধার নেওয়া হচ্ছে। সুদ ও মূল পরিশোধ করা হলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে।’
এখন ঋণ নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা মেটানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও কাদের বলেন, দেশের ব্যাংকগুলো এখন নির্দিষ্ট কিছু লোকের দখলে। তারা ব্যাংকের টাকা লুট করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
তিনি বলেন, ‘এখন মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তারা মাছ-মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তারা জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এবং শিশুর খাবারও কিনতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, মানুষ খরচ মেটাতে না পেরে হাসপাতাল থেকে তাদের রোগীদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের জন্য কিছুই নেই।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, সরকার কী রেশন কার্ড দিয়ে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে?
তিনি আরও বলেন, সরকার টাকা ধার করে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সরকার বলছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের আসল ধরন মানুষ জানে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার বর্জ্য অপসারণের জন্য ৩৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কাজ শুরু করার সময় দেখা গেছে, বর্জ্য নিষ্কাশনের পাইপ লাইন বসানো হয়নি।’
দেশি-বিদেশি ঋণ নিয়ে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কিছুই করা হচ্ছে না বলেও জানান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব জানে আলম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. জামাল হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. নোমান মিয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে আবারও মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের ধারণা যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনের নির্ভুলতা নষ্ট করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে দলের সাংস্কৃতিক শাখা 'জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি'র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা নেই: জিএম কাদের
সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন এজেন্সি মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়ায় এবং ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপিও করা হয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় তাদের ভীতি প্রদর্শন করছে।
দলীয় চেয়ারম্যান তাদের জানান, তারা শুধু ক্ষমতা ও সামর্থ্যের মূল্যায়ন করতেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে দেশে কিভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থা বিদ্যমান এবং ভোটাররা এখন বলতে পারেন যে তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে এবং নির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহণ সত্ত্বেও তাদের ভোট দিতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
জবাবদিহিমূলক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, তিনি দেশ ও জাতির চাহিদা মেটাতে রাজনীতি করছেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করা যায়।
সাংস্কৃতিক শাখার সভাপতি ও সংসদ সদস্য শেরফা কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শোভ রায়, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। ভিসা নীতিতে যা বলা হয়েছে, সবই বাংলাদেশ ও এর জনগণের পক্ষে।’
মঙ্গলবার শেরপুর জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সংসদে বিরোধী দলের ডেপুটি নেতা কাদের শহরের সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করতে পারি না। এটি পরিবর্তন করা দরকার। তবে সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তনের বিষয়ে আমাদের ঐকমত্য প্রয়োজন। তাই আমরা (জাতীয় পার্টি) মার্কিন ভিসা নীতিকে সমর্থন করি।’
জিএম কাদের বলেন, সবাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা নেই: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আমরা এখনও কোথাও থেকে কোনো প্রস্তাব পাইনি। তবে আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী নির্বাচনে কীভাবে অংশগ্রহণ করব তা পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শহরের চকবাজার কেন্দ্রে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন জিএম কাদের ও জাতীয় পার্টির নেতারা।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান পদ্ধতির পরিবর্তন হলেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। কী পদ্ধতি হয় সেটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
রবিবার (১১ জুন) দুপুরে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সচিব- ০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার হবে বলে আমরা জানি না। আমাদের শাসন পদ্ধতিতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় কে থাকলো না থাকলো অথবা সংসদে কতজন সদস্য আছে বা নেই তাতে কিছু আসে যায় না। প্রধানমন্ত্রীকে তার জায়গায় রেখে কোনো পরিবর্তনকে আমরা পরিবর্তন মনে করি না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনগুলোতে কোনো দলেরই সকল আসনে যোগ্য প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই কোনো না কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে হয়।
তিনি বলেন, প্রধান দুই দলের নেতৃত্বে শেষ পর্যন্ত দুটি জোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এক পর্যায়ে সব দল নিজস্বতা হারিয়ে দুটি দলে বিলীন হয়।
তিনি বলেন, এ প্রেক্ষিতে আমরা তিনশ’ আসনের নির্বাচনের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি। দলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। তবে নির্বাচনের সময়ে নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা নেই: জিএম কাদের
রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে: এবিএম রুহুল আমিন
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, তিনশ’ আসনেই প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি।
তিনি জানান, জরুরি মিটিংয়ে তাদের তিনশ’ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে তার নির্বাচনী এলাকার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ত্যাগী ও জনপ্রিয়তা দেখে সকল আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সরকার রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেবে। এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে দেশের ক্ষতি হয়। কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ক্ষতি চিন্তা করতে পারে না। আমরাসহ বড় বড় রাজনৈতিক দল এবিষয়ে ভাবছি।
পরে তিনি পটুয়াখালীর দুমকিসহ বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগ করেন।
এসময় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মেয়র পদে সাবেক সচিব নিয়াজউদ্দিনকে মনোনয়ন দিল জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা নেই: জিএম কাদের
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা নেই বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি, আওয়ামী লীগের একজন মেয়র প্রার্থী কত শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যান্য প্রার্থীরা কত ভোট পাবে তাও তিনি বলছেন।’
বৃহস্পতিবার পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় জিএম কাদের বলেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত লড়বেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘আমরা বিজয়ী হওয়ার জন্য নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় থাকব। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে নির্বাচন হলে আমাদের প্রার্থীরা ভালো ফল পাবেন।’
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে পাঁচ সিটির নির্বাচন শুরু হবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, খুলনা ও বরিশালে ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেটে ২১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা এসকর্ট বাতিলের বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কূটনীতিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই যাতে তারা আমাদের দেশে নিরাপদে কাজ করতে পারে।’
আগামী দিনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে কী হয় তা আমরা কেউই জানি না। এমন বাস্তবতায় সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই রাজনীতিতে আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
জিএম কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনো পক্ষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে বিপদে পড়তে হবে। ‘রাজনীতিতে একটি ভুল সিদ্ধান্তের ভয়াবহ পরিণতি হবে।’
তিনি বলেন, তারা জনগণের সামনে তাদের দলের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে চান। ‘আমরা কোন দলের বি-টিম নই।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদারে কাজ করার আহ্বান জানান। ‘জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আমাদের কঠোর রাজনীতি করতে হবে। নির্বাচনের মাঠে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। জাতীয় পার্টির ঐক্য বিনষ্ট করার ক্ষমতা কারো নেই।
আরও পড়ুন: সংবিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না: রওশন
সংবিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না: রওশন
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বৃহস্পতিবার বলেছেন, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনেই দেশের পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেবে। তাই সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে অন্যভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: রওশন এরশাদ
রাজধানীর গুলশান এলাকায় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমর্থকদের সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেত্রী এ মন্তব্য করেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অনুষ্ঠানে কিছু নতুন সমর্থক তার দলে যোগ দেয়।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে কেউ যদি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে, তা প্রতিহত করা হবে।’
রওশন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
নতুন ও পুরাতন সমর্থকদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করবে।
রাহগির আল মাহি এরশাদ এমপি (ওরফে সাদ এরশাদ) ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না: রওশন
সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের অবিলম্বে ফিরিয়ে আনার আহ্বান রওশন এরশাদের
সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের অবিলম্বে ফিরিয়ে আনার আহ্বান রওশন এরশাদের
সুদানে যুদ্ধ চলাকালে আটকা পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় তিন হাজার বাংলাদেশি সুদানে আটকা পড়েছেন। অর্থ ও খাবার না থাকায় তারা এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের সরিয়ে নিতে এবং তাদের জন্য খাদ্য ও নিরাপদ স্থানের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান এই বিরোধীদলীয় নেতা।
আরও পড়ুন: সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের জেদ্দা হয়ে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: রওশন এরশাদ
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তার দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বলেছেন, ক্ষমতায় আসা বা পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় নির্বাচন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জাতীয় পার্টি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া জাতীয় পার্টি কখনো নির্বাচন বয়কট করেনি এবং ভবিষ্যতেও বয়কট করবে না।
সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তার সমাপনী বক্তব্যে বিরোধীদলীয় নেত্রী এসব মন্তব্য করেন।
সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সংসদে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় গঠনমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা কখনই ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনি। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, জাতীয় পার্টি দেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সংসদে ও সংসদের বাইরে গঠনমূলক ও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, কয়েকদিন ধরে দেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতি এখন ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে ছিল আবেগের বিষয়: ফিরোজ রশীদ
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আগুন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে উঠছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অসাবধানতা, অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বে অবহেলার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, বারবার এ ধরনের ঘটনার কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও উপযুক্ত প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংসদকে সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি দল ও বিরোধী দলের উপস্থিতির পাশাপাশি তাদের পারস্পরিক আলোচনা-সমালোচনায় সংসদ সমৃদ্ধ হয়।
এটি জনগণের প্রত্যাশা ও আশা পূরণকেও প্রতিফলিত করে। এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। সংসদের কাজ জনগণের পক্ষে কাজ করা। জনস্বার্থের বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং আইন প্রণয়নে ভূমিকা পালন করা।
এছাড়া সংসদে এসব কার্যক্রম ভালোভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। বিরোধী দল হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মূল কেন্দ্র হচ্ছে সংসদ। জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটি জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক এবং জনমত ও প্রত্যাশাকে ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ আশা করে যে সংসদ নাগরিক জীবনের জরুরি ও জনসাধারণের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় সংসদকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমাজের সকল স্তরের নাগরিক, বিভিন্ন দল, দল, সংগঠনের দাবি ও স্বার্থ সমন্বয় করতে হবে।
রওশান বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নতা ও মতাদর্শের পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু সংসদকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য থাকতে পারে না। তাই জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে সংসদকে কার্যকর করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
সরকার গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালাচ্ছে: জিএম কাদের
রাজনীতি এখন ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে ছিল আবেগের বিষয়: ফিরোজ রশীদ
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, রাজনীতি এখন একটি ‘পেশা’ হয়ে গেছে, আগে যা আবেগের বিষয় ছিল।
রবিবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে রাজনীতি ছিল আবেগের বিষয়, এখন এটা পেশায় পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, পাত্র সরকারি দল করে শুনলে, ‘তাহলে বলে আলহামদুলিল্লাহ।’
ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজনীতিই দেশবাসীর জীবন পরিবর্তনের একমাত্র উপায়।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এটা একটা পেশা হয়ে গেছে। আগে রাজনীতি আবেগ ছিল, জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করত।’
পাকিস্তান আমলের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, একজন মানুষ রাজনীতিতে যুক্ত হলে চাকরি পাবেন না বলে বিয়ে করেননি।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
ফিরোজ রশীদ দাবি করেন, সংসদের অনেক অর্জনের পাশাপাশি দুর্বলতাও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত (বঙ্গবন্ধু হত্যার) কমিশন গঠন করতে পারছেন না… কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল। ডালিম, ফারুক, রশিদ গিয়ে এটা করল… ঠিক তা নয়। এর পেছনে একটা ষড়যন্ত্র ছিল, আপনারা সেটা বুঝতে পারেননি।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দিকে ইঙ্গিত করে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, চরম বাম ও চরম ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের নাম উচ্চারণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘কারণ সবাই নৌকায় উঠেছে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) নৌকায় চড়বেন। আপনারা নৌকার চালক। তারা নৌকায় বসে আছে এবং জিজ্ঞাসা করছে আর কতদূর?'
ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতি এখন দুই ভাগে বিভক্ত।
তিনি বলেন, ‘কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তি নেই। শিক্ষক, চিকিৎসক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সবাই বিভক্ত। গোটা দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত।’
তিনি আরও দাবি করেন, এ আমলে বিএনপির ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবসা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের