আইনশৃঙ্খলা
সৌদি আরব থেকে অবতরণের পর ঢাকা বিমানবন্দরে মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, গাজীপুর পুলিশের একটি দল ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গ্রেপ্তার করে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, জেদ্দা থেকে বিমানবন্দরে আসেন মাহি। দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে বাসন থানার উপ-পরিদর্শক মো. রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহি দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে একই রাতে অপর মামলাটি করেন স্থানীয় ইসমাইল হোসেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামীর নামে ২ মামলা
এর আগে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার জমি ও শো-রুম নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ও গাজীপুর মহানগর পুলিশকে জড়িয়ে ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। অন্যদিকে, ইসমাইল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মারধর, কারখানা ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ তুলে ধরেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের নামে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মারধর, ভাঙচুর, চাঁদাদাবি ও জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে ২৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দুটোর বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে মাহি মক্কা থেকে রওনা দেয়ার আগে শুক্রবার মধ্যরাতে আবারও ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। শনিবার সকালে দেশে পৌঁছাবেন জানিয়ে এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে গ্রেপ্তার হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ সময় তার স্বামী রকিব সরকারও তাদের শো-রুমে হামলা ও সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, নগরের ইটাহাটা এলাকার রড বাইন্ডিং কারখানা মালিক ইসমাইল হোসেন জানান, জমি কিনে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে তিনি কারখানা বানিয়ে তাতে দখলে রয়েছেন। বর্তমান বাজারদরে প্রায় চার কোটি টাকা দামের এই জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধে উচ্চ আদালতেও তার পক্ষে রায় রয়েছে। এরপরও শুক্রবার ভোরে রাকিব সরকার ও তার স্ত্রীর লোকজন অতর্কিত হানা দিয়ে তাদেরকে মারধর করে অন্তত পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছে এবং জবর দখলের চেষ্টা করে। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি এর সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন নায়িকা মাহি
গাজীপুরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামীর নামে ২ মামলা
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের নামে মামলা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি এবং মারধর, ভাঙচুর, চাঁদাবাজির অভিযোগে অপর একটি মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বাসন থানার উপ-পরিদর্শক মো. রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহি দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে একই রাতে অপর মামলাটি করেন স্থানীয় ইসমাইল হোসেন।
এর আগে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকার জমি ও শো-রুম নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ও গাজীপুর মহানগর পুলিশকে জড়িয়ে ওমরাহ হজ পালন করতে গিয়ে মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। অন্যদিকে, ইসমাইল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মারধর, কারখানা ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ তুলে ধরেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের নামে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন নায়িকা মাহি
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মারধর, ভাঙচুর, চাঁদাদাবি ও জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে ২৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দুটোর বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে মাহি মক্কা থেকে রওনা দেয়ার আগে শুক্রবার মধ্যরাতে আবারও ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। শনিবার সকালে দেশে পৌঁছাবেন জানিয়ে এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে গ্রেপ্তার হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ সময় তার স্বামী রকিব সরকারও তাদের শো-রুমে হামলা ও সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, নগরের ইটাহাটা এলাকার রড বাইন্ডিং কারখানা মালিক ইসমাইল হোসেন জানান, জমি কিনে কমপক্ষে ১০ বছর ধরে তিনি কারখানা বানিয়ে তাতে দখলে রয়েছেন। বর্তমান বাজারদরে প্রায় চার কোটি টাকা দামের এই জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধে উচ্চ আদালতেও তার পক্ষে রায় রয়েছে। এরপরও শুক্রবার ভোরে রাকিব সরকার ও তার স্ত্রীর লোকজন অতর্কিত হানা দিয়ে তাদেরকে মারধর করে অন্তত পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছে এবং জবর দখলের চেষ্টা করে। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি এর সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে তার স্বামী গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের গাড়ির শো-রুমে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ তোলেন ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকারের বিরুদ্ধে।
তারা লাইভে জানান, গাজীপুর মহানগরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্বপাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশের তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সনি রাজ কার প্যালেস নামের গাড়ির শো-রুম দখলের উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
দীর্ঘ সময়ের লাইভে তারা এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে কমিশনারের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ নেয়ার’ অভিযোগও করেন।
এ প্রসঙ্গে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাহিয়া মাহি পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদেরও আমি চিনি না।’
আরও পড়ুন: মাহির ফেসবুক পেজে কোনো ছবি নেই
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী: পটুয়াখালীতে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
পটুয়াখালীর বাউফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এই সংঘর্ষ হয়।
এদের মধ্যে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার গুরুতর আহত অবস্থায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, মোতালেব ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে ফিরোজ ও মোতালেব একই স্থানে ও সময়ে কর্মসূচি ডাকেন।
এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গাড়ি ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৮: র্যাব
উপজেলা যুবলীগ নেতা অরিবিন্দু ইউএনবিকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে মোতালেব ও তার অনুসারীরা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে তাদের মিছিলে বাধা দেয়। একপর্যায়ে দলের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির ভাইর ছেলে যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এসে তাদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় শহরে প্রায় ১ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আসম ফিরোজ এমপির নেতৃত্ব একটি বিশাল আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বাউফলের ইউএনও জানান, দুই পক্ষকেই সহ অবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এ কর্মসূচির নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় রাবার বুলেট ছুঁড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভিএম ব্যালট ইউনিট ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
নাসিরনগর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: ১৩ জনের ৪ বছর কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গাড়ি ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৮: র্যাব
নারায়ণগঞ্জে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টাকালে ডাকাত দলের আট সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর কালিরবাজার এলাকায় স্থানীয় ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার ও উপ-পরিচালক মনিরুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাদা পোশাকে র্যাব-১১ এর দুটি দল টহল দিচ্ছিল। এ সময় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন চর বাউশিয়া এলাকায় একটি দল যানজটে আটকা পড়ে।’
আরও পড়ুন:র্যাব কিছু কাজ উল্টাপাল্টা করেছে, তবে এখন অনেক ম্যাচিউরড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের উপ-পরিচালক বলেন, ‘র্যাবের গাড়িটিকে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি ভেবে একদল সশস্ত্র ডাকাত সেটিকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে ডাকাতরা গাড়িতে হামলা চালায়। জবাবে সাদা পোশাকের র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে চক্রের নেতাসহ আটজনকে আটক করে।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা গত দুই বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫০টির বেশি ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, ৫ জঙ্গি আটক
চট্টগ্রামে ইভিএম ব্যালট ইউনিট ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন চলাকালে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যালট ইউনিট ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষক সজল দাশ।
অভিযুক্ত নির্মলেন্দু দে সুমন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৯নং ওয়ার্ডের মৃত গৌরাঙ্গ দে’র ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দিনভর ভোটারদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। প্রায় সব কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। এরই মধ্যে বেলা ১২টার দিকে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৫ নং কক্ষে প্রবেশ করে নির্মলেন্দু দে সুমন গোপনকক্ষ থেকে ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যায় চলে যায়। গোপনকক্ষ থেকে ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি নিয়ে যাওয়ার সময় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ মৃদু প্রতিবাদ করলেও তা কর্ণপাত করেনি ওই যুবলীগ নেতা। পরে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া ইভিএম ব্যালট ইউনিট প্যানেলটি উদ্ধার করে কেন্দ্রে ফেরত দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন চৌধুরী।
এ ঘটনায় পুলিশ রতন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের দায়েরকৃত মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ইউপি নির্বাচন: এমপি বেলালের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
এমপি নিক্সনের বিরুদ্ধে ইসির মামলা
জেকেজি চেয়ারপার্সন সাবরিনার বিরুদ্ধে ইসির মামলা
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে দু’দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
সমিতির আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাদের পক্ষ থেকে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন পরিচালনা করেন।
পুলিশি পাহারায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের ভোট দিতে দেখা যায়।
এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে দুইদিনে ৪ হাজার ১৩৭ ভোট পড়েছে বলে দাবি এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির।
অন্যদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সবার সম্মতিতে বৈধভাবে গঠিত না হওয়ার অভিযোগ তুলে, এই ভোটে অংশ নেননি বিএনপি সমর্থক ও সমমনা আইনজীবীরা।
তবে আজও সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় মিছিল-পাল্টা মিছিল, ধস্তাধস্তি, হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছর এই ভোট উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও এবারের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
সমিতির এই ভোটের প্রথম দিনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বের করে দেয়া, পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ, বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের রুমে তালা লাগিয়ে দেয়া ও আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়গুলো বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতির আদালতে তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
পরে খাসকামরায় নিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতাদের বক্তব্য শোনেন। এরপর সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যও শোনেন প্রধান বিচারপতি।
এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল-শ্লোগান, ভোটের প্যান্ডেলের সামনে দু’পক্ষের ধাক্কাধাক্কি, পৃথক মামলায় বিএনপিপন্থী ২২ আইনজীবীর আগাম জামিন এবং বিকেলে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই সমিতির দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দিনভরই আদালত চত্বরে ছিল উত্তেজনা।
আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সমিতির এবাবের ভোটকে ঘিরে উৎসবের পরিবর্তে উত্তেজনার আমেজ ছিল। তবে আজ রাতেই এই ভোট গণণা ও ফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মো. মনিরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সকালে আপিল বিভাগে শুনানির শুরুতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে নজীরবিহীন ঘটনা গতকাল (বুধবার) ঘটেছে, যা চলমান। আজও রুমে তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেয়া হয়েছে। বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কিনা তা দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাচ্ছি।’
সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘সমিতির নির্বাচন হয় সব সময় উৎসবমুখর। তবে এবার কি হলো? আজও আমি রুমে ঢুকতে পারিনি। রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো। কক্ষের সামনে পুলিশ রয়েছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘মি. রুহুল কুদ্দুস আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। আপনারা ২ জন ১১টার সময় (বিরতি) আসেন। কোনো করণীয় থাকলে করবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেবো।’
এ সময় সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটকেন্দ্রে তিন চারশ পুলিশ ঢুকে ধাক্কা দিতে থাকে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল আর পুলিশ পা দিয়ে পাড়িয়েছে। আমার পায়ে ব্যাথা আমি ঠিকমতো দাড়াতে পারছি না।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ কথাগুলো ভেতরে বসে শুনি। ১১ টায় আসেন। এখন কোর্টের কাজ করি।’
পরে বেলা ১১টার পরে বিএনপি ফোরামের ৫জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাত করেন। এ সময় সেখানে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরা ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সব অভিযোগ তুলে ধরেন। সবকিছু শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রধান বিচারপতি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের জানায়।
এরপর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটা আমাদের বিষয় না। সমিতি একটি প্রাইভেট বডি। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। এখানে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করেন। সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন।
পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কিনা জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হলে দু’পক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। একপক্ষ ব্যালট ছিড়ে নিয়ে যাবে অপরপক্ষ বাধা দেবে তাহলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কি করে? কাকে দোষ দেবেন? বিএনপি তো প্রথম থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছিল না। আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থকরা পুনরায় নির্বাচন দাবি করতেই পারে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এবং শত শত আইনজীবী লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জানা যায়, সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান দু’পক্ষের আইনজীবী নেতারা। পরে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা, সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল হক চৌধুরীকে। কিন্তু ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত
একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোট গণনার মেশিন ব্যবহার করতে চাইলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও আওয়ামী ফোরামের সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর দুলাল তাতে বাধা দেন। তিনি আলাদা ব্যালট পেপার তৈরি করে আনেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৩ মার্চ বিকালে প্রার্থী পরিচিতি সভার পর সন্ধ্যায় মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সমিতির আওয়ামী ফোরামের নেতারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থকরা সমিতির সাবেক সহসভাপতি এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান করে একটি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর উদ্যোগ নিলে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সঙ্গে বিবাদে জড়ান। এক পর্যায়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও ভোটে আওয়ামী লীগ ফোরামের সভাপতি প্রার্থী মমতাজ উদ্দিন ফকির পুলিশ ডাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলা ১১টার ৪০ মিনিটের দিকে সমিতির মিলনায়তনে কয়েকশ পুলিশ প্রবেশ করে। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী আহত হন।
এসময় পুলিশের সঙ্গে ঢোকা সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি, ভিডিও নিতে থাকেন। ফলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিকদেরকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে এনটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাভেদ আক্তারসহ ১০-১২জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন।
পুলিশ দুঃখিত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনে আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএএফ) কার্যালয়ে এসে এ দুঃখ প্রকাশ করে হারুন অর রশিদ বলেন, হঠাৎ করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশকে একটু হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। হ্যান্ডেল করতে গিয়ে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এজন্য আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের কমিশনার মহোদয়ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, আসলে এটা উচিত হয়নি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ভবিষ্যতে এই পবিত্র জায়গায় হ্যান্ডলিং করতে আমরা একটু সাবধান হব।
নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট
এদিকে সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান কমিটির সম্পাদক, বর্তমান কমিটির সভাপতি ও চলমান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বিএনপি সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়েছে।
পাশাপাশি অনুষ্ঠিত ২০২৩-২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের আর্জি জানানো হয়েছে।
নাসিরনগর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: ১৩ জনের ৪ বছর কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় পাঁচ বছর আগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হিন্দু মন্দিরে অগ্নিসংযোগের মামলায় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ আসামিদের দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আদালতের পরিদর্শক দিদারুল আলম।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, মো. মোখলেস মিয়া, মো. মফিজুল হক, খসরুল মিয়া, নাজির রহমান, মো. মাহফুজ মিয়া, ইদু মিয়া, শেখ মো. আব্দুল আহাদ, সায়হাম রাব্বী শ্যাম, মীর কাশেম। নাসিরনগর উপজেলার অন্যান্য এলাকার আনিস মিয়া, তবারক রেজা ও সজীব চৌধুরী।
রায় ঘোষণার সময় ১৩ আসামির মধ্যে আটজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেদ গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে একটি অবমাননাকর পোস্টের গুজব ছড়ানোর পর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ২১ আইনজীবীর ভাষা ছিল অশ্লীল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট
পরে সহিংসতার ঘটনায় মোট আটটি মামলা দায়ের করা হয়।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।
বৃহস্পতিবার সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পাঁচ আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন।
রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান।
বাদীর কৌঁসুলি নাজমুল হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি কালো দাগ সৃষ্টি করেছে: হাইকোর্ট
সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন, দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনে অংশ নেয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই জুয়েলারির দোকানের মালিক আরাভ খান পুলিশ সদস্য খুনের মামলার আসামি, এ বিষয়টি সাকিবকে জানানো হয়েছিল। তবু তিনি দুবাই গেলেন। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ‘আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম একজন খুনি, সে একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করেছে। মিডিয়াতে ও অনেকের বলার পরেও সাকিবসহ অনান্য স্টার খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাইয়ে গেছেন। এবং তার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন।’
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ইন্টারপোলের সহায়তায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে রবিউলকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘বিতর্কিত’ সাকিবকে শুভেচ্ছা দূত না রাখার সিদ্ধান্ত দুদকের
জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
ক্ষমা চাইলেন সাকিব!
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া অবৈধ: হাইকোর্ট
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে পারফরম্যান্স বোনাসের (উৎসাহ ভাতা) দেয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, কোনও বিধি প্রণয়ন ছাড়াই খেয়াল-খুশিমতো পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সামসুন নাহার লাইজু।
পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ঢাকা ওয়াসা আইন ১৯৯৬ এ সুস্পষ্টভাবে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পানির মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা থাকলেও কোনো বিধি প্রণয়ন ছাড়াই খেয়াল খুশিমত পানির মূল্য বৃদ্ধি এবং অবৈধভাবে ওয়ায়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করে ক্যাব। উভয় পক্ষে দীর্ঘদিন শুনানি হওয়ার পর যেকোনও সময় রায় দেয়ার কথা ছিল। আজ উচ্চ আদালত বিধি বহির্ভূতভাবে পানির মূল্য নির্ধারণ ও পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
তিনি আরও জানান, যেহেতু অন্যায় কাজগুলো আগেই সমাপ্ত হয়েছে তাই সেসব বাতিল না করে ক্ষমা করে দিয়েছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে বিধি ছাড়া যেন পানির মূল্য নির্ধারণ করা না হয় এবং পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া না হয় সে মর্মে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মহামান্য আদালতের কাছে বিধি প্রণয়ন না হওয়ায় পর্যন্ত জুডিশিয়াল গাইডলাইন করে দেয়ার যে আবেদন ছিল তা আপাতত মঞ্জুর করা থেকে বিরত থেকেছেন এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে সরকার অনতিবিলম্বে বিধি প্রণয়ন করে বিদ্যমান অসুবিধা দূর করবে।
বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছরের ৩১ জুলাই ক্যাবের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ওই রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কোনো বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ড, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হলে তাতে সাড়া দেননি আদালত। পরে গত বছরের ১১ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে মূল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী গত ১৬ নভেম্বর ওয়াসার পক্ষে ব্যারিস্টার এ এম মাসুম একটি এফিডেভিট দাখিল করেন।
তাতে বলা হয় ২০১১-২০১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত ৮টি অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া হয়। এর মধ্যে ২০১১-২০১২ অর্থবছরে পারফরম্যান্স বোনাস বাবদ দেয়া হয় ২ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ টাকা। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দেয়া হয় ৩ কোটি ১লাখ ৩৮ হাজার ২১৯, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দেয়া হয় ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯২ হাজার ৮১টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে দেয়া হয় ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩১০ টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দেয়া হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৭ টাকা, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দেয়া হয় ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৯হাজার ২৫৩টাকা, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে ২৩ কোটি ৬২ লাখ, ৪০ হাজার ৫১৫টাকা, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে ১৭ কোটি ৭৮লাখ ৫১ হাজার ৫১৭টাকা।
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওয়াসা প্রথম ৫টি অর্থবছরে ১টি করে উৎসাহ বোনাস দিলেও; ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৪টি, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪টি এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩টি উৎসাহ বোনাস দিয়েছে। তবে ২০১৩-২০১৪ এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে কোনও উৎসাহ বোনাস দেয়া হয়নি।
ওয়াসার এফিডেভিটে আরও বলা হয়, ওয়াসা আইনের ধারা ২২ অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির কারণে কোনও রকমের বিধি প্রণয়ন করা ছাড়াই বোর্ডের অনুমতি নিয়ে প্রতি বছর ৫শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধি করতে পারে। ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানমালা-২০১০ এর ৩৪(৩) বিধি অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দিতে পারে।
এদিকে সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫ বার ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় বিধি তৈরি না করেই পানির দাম বাড়ানো এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে পারফরম্যান্স বোনাসের নামে টাকা বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে ক্যাব।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিধি প্রণয়ন ছাড়া পানির মূল্য নির্ধারণ ১৯৯৬ সালের ওয়াসা আইনের ২১ ও ২২ ধারার পরিপন্থী।’ আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার পারফরম্যান্স বোনাস ঘোষণা ও বিধি ছাড়া পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার কর্মীদের উৎসাহ বোনাসে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে হত্যা মামলায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার দেবরাইল গ্রামের আহাম্মদ আলী (৭৪),তার স্ত্রী মিনা বেগম (৬২), তাদের তিন ছেলে আলতাব হোসেন (৪৫), মোন্তাজ আলী (৪১) ও এন্তাজ আলী (৩৫) এবং প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৩)।
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল জয়পুরহাট সদর উপজেলার দেবরাইল গ্রামের আজিজুল তার বাবা ও ভাইদের নিয়ে সাংসারিক আলোচনা করছিলেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই সময় প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীরা (আসামিরা) সেখানে উপস্থিত হয়ে বাবা ও ভাইসহ আজিজুলকে মারপিট করে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ১৭ এপ্রিল আজিজুলের ভাই মিজানুর রহমান মিঠু সদর থানায় মামলা করেন।
হাসপাতালে ২২দিন চিকিৎসা নেয়ার পর আহত আজিজুল মারা যান। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।
মামলায় অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল (পিপি) ও গকুল চন্দ্র মণ্ডল বাদী পক্ষের এবং আ্যাডভোকেট আকতার বানু আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
জয়পুরহাটের ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দাদা ও নাতির মৃত্যু