আইনশৃঙ্খলা
মার্চে ১৬২ কোটি টাকার বেশি চোরাচালান পণ্য জব্দ
চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬২ কোটি ১৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
জব্দ করা চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ১৮ কেজি ১৮ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি ৫৫০ গ্রাম রূপা, ৪,২৬,৮১২টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১ হাজার ৭৭৭টি ইমিটেশন গহনা, ৪৩ হাজার ২৬৭টি শাড়ি এবং ১২ হাজার ২০৮টি থ্রিপিস,শার্টপিস,চাদর,কম্বল ও তৈরি পোশাক।
এ ছাড়াও ২ হাজার ৫৮৪ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ৩১৯ কেজি চা পাতা, ৪৭ হাজার ৭৩৫ কেজি কয়লা, ১ হাজার ৪৪০ ঘনফুট পাথর, ৫টি ট্রাক, ২টি কাভার্ড ভ্যান, একটি বাস, ৫টি পিকআপ, ১০টি নৌকা, ২৭টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ৬৪টি মোটরসাইকেলও রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৬১ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ৩ যুবক আটক
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একটি পিস্তল, একটএলজি, দুটি ম্যাগাজিন, একটি হ্যান্ড গ্রেনেড এবং ১৬০ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৬২ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫ কেজি ৭২৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩৮.২১৩ কেজি হেরোইন, ১৩ হাজার ৪৩২ বোতল ফেনসিডিল, ২১ হাজার ৪৭৬ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ২৮৭ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ৩১৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৯২৫ কেজি গাঁজা, ৬২ হাজার ৯০৮টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ২ হাজার ৩২৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১.৫০০ কেজি কোকেন, ১ হাজার ১৩ বোতল এমকেডিল ও কফিডিল, ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১২২টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ৪ হাজার অ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ০.৯০০ কেজি এলএসডি, ১৪০ প্যাকেট কীর্টনাশক এবং ১১ লাখ ২১হাজার ২টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩১ জনকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৭৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ১৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪২৪ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিদেশি সিগারেট ও স্বর্ণালংকার জব্দ, ২ জন আটক
দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাকে ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রপক্ষ আদায় করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কৃষি জমি থেকে মাটি কাটায় ২ যুবককে কারাদণ্ড, ভেকু মেশিন ও ২টি ট্রাক জব্দ
২০১৯ সালের ২৬ মে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জাতীয় পার্টির সাবেক এই সংসদ সদস্য (এমপি) ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম গত বছরের ১০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে কাদের খানের অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অপহৃত সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপকের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি কেএনএফের
সোনালী ব্যাংকের বান্দরবান রুমা উপজেলা শাখার অপহৃত ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনের মুক্তিপণ হিসেবে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।
গত মঙ্গলবার ব্যাংকে ডাকাতির সময় তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
কেএনএফ থেকে ফোন পাওয়ার কিছুক্ষণ পর বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক নাজমুন নাহার।
বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি, লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ও অর্থ ফেরত দেওয়াসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসার কথা নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন: কেএনএফ-সেনাবাহিনীর গোলাগলিতে আহত ১, আটক ১
জেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার অবস্থান পরিষ্কার করেন।
জেলা শান্তি কমিটির সভাপতি ক্যশৈ বলেন, গত বছরের ২৯ মে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুবিধার্থে বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
গত ৩০ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্যের শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। পরে জেলায় শান্তি ফেরাতে শান্তি কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ এই গ্রুপের সঙ্গে কয়েকটি ব্যক্তিগত আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয় এবং কেএনএফ সমস্ত সশস্ত্র কার্যক্রম স্থগিত করার আশ্বাস দিয়েছিল।
অপরদিকে জেলা থানচি উপজেলা শাখায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম বুধবার থেকে বন্ধ রয়েছে।
রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে গত ২ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা থেকে দেড় কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যায় বিচ্ছিন্নতাবাদী চক্রটি।
তারাবিহর নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ব্যাংকের পাহারারত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ১৪টি অস্ত্র লুট করে এবং ব্যাংক প্রাঙ্গণে মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে।
বুধবার বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের একটি শাখায় একই ধরনের ঘটনা ঘটায় কেএনএফ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফ’র আইইডি বিস্ফোরণে সেনাসদস্য নিহত, আহত ১
রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: প্রয়োজনে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে যোগ দেবে সেনাবাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বান্দরবানের রুমা ও থানচি এলাকায় সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় সরকারের সক্রিয় প্রতিক্রিয়ার কথা নিশ্চিত করে জঙ্গি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার(৩ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী হামলাকারীদের কার্যক্রম সহজতর করতে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিঘ্নসহ তাদের কৌশলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ঘটনার সময়, কেএনএফ সদস্যরা পুলিশ কনস্টেবল, ব্যাংক গার্ড এবং আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পুলিশ সদস্যরা তারাবিহ নামাজে থাকার সময় একজন ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে এবং একটি ব্যাংকের ভল্ট ভাঙে। যদিও লুট করা অর্থের সঠিক পরিমাণ অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে ডাকাতি, হাত-পা বেঁধে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আরও তথ্য সংগ্রহ ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অভিযানে সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
জঙ্গি হুমকি মোকাবিলার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্ত হত্যা বন্ধের লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে চলমান আলোচনা নিয়েও কথা বলেন। তিনি স্বীকার করেন যে উভয় দেশের অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত নাগরিকরা প্রায়শই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। আলোচনায় হতাহত ঠেকাতে প্রাণঘাতী নয় এমন পদ্ধতি ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই, তবে এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে চলবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বুধবার (৩ এপ্রিল) ডিএমপি সদর দপ্তরে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'কাউন্টার ছাড়া অন্য কোথাও টিকিট বিক্রি করা হলে বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশি মোটরসাইকেলে হয়: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, 'লাইসেন্স ছাড়া কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না এবং ঈদযাত্রা দুর্ঘটনামুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’
কমিশনার আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমি আমাদের ট্রাফিক ও ক্রাইম ডিসিদের অনুরোধ করব জেলার সীমান্তবর্তী ইউনিটগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য, যাতে সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা যায়।’
তিনি আরও জানান, ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন রাস্তায় চলাচল করবে না। এ ব্যাপারে পরিবহন মালিকরা একমত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা: পোশাক কারখানায় ৮ দিনের ছুটির আহ্বান জাতীয় কমিটির
এছাড়া ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন যাতে নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রবেশপথগুলোতে পুলিশ সতর্ক থাকবে বলেও জানান কমিশনার।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশি মোটরসাইকেলে হয়: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, 'দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অর্ধেকের বেশি মোটরসাইকেলে হয়। তাই ঈদে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পুলিশ সদস্যদেরও নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়া নিষেধ করেছি।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথে একটি শপিংমলের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ঈদের সময় সড়কে অনেক বেশি গাড়ির চাপ থাকে। তাই এসময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমতাবস্থায় ঈদে সবাইকে মোটরসাইকেলে যাতায়াত না করার অনুরোধ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পুলিশ ও সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে অপরাধ-অন্যায় নির্মূল সম্ভব: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, এবার আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঢাকায় চলাচলকারী লোকাল বাসকে বাইরের জেলায় যেতে দেওয়া হবে না। এজন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা এ নিয়ে কাজ করছে।
হাবিবুর বলেন, এবার ঈদে ফাঁকা ঢাকায় ছিনতাই রাহাজানি ও চুরি ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়ে। পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক আছে।
আরও পড়ুন: শহীদ দিবসে সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র কোনো ধরনের হুমকি আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের হুমকি বা নাশকতার তথ্য পুলিশের কাছে নেই।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'ফিটনেসবিহীন যানবাহন যেন রাস্তায় না চলে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বাস মালিকদের নিষেধ করা হয়েছে যেন ফিটনেসবিহীন গাড়ি বের না করে। যদি কেউ অমান্য করে তাহলে ট্রাফিক আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এসময় ঈদের কেনাকাটায় ঢাকার তীব্র যানজট বিষয়ে কমিশনার বলেন, 'ঢাকায় যে পরিমাণ মার্কেট ও যানবাহন রয়েছে সেই তুলনায় পর্যাপ্ত বৈধ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। তাই যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। পার্কিং করলে ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মার্কেট কর্তৃপক্ষকে তাদের করিডরে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার মৃত্যু: আম্মান ও দ্বীন ইসলামের আংশিক সম্পৃক্ততা পেয়েছে ডিএমপি
চুয়াডাঙ্গায় স্বামী ও স্ত্রীকে খুনের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আরেক আসামিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার পর দণ্ডিতদের চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসান নগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক, একই গ্রামের শেষপাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন এবং আসাননগর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী।
এছাড়া আসাননগর গ্রামের স্কুলপাড়ার তাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেনকে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য শেষে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারের বিবরণ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারপাড়ায় বাস করতেন নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে যেকোনো সময় গলা কেটে হত্যা করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ২৫ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন তদন্ত শেষে হত্যায় সরাসরি জড়িত সাহাবুল হক, রাজিব হোসেন, বিদ্যুৎ আলী ও ভিকটিমের মোবাইল কেনায় জড়িত শাকিল হোসেনের নামে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড
বোনের প্রেমিকাকে হত্যা: ভাইসহ দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৪ এ বদলির আদেশ দেন। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাজা স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী, জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
শুনানিকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত ৩ মার্চ এ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অর্থ আত্মসাত মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশ যেতে ড. ইউনূসকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে: হাইকোর্ট
দুর্নীতির মামলায় ড. ইউনূসসহ ৮ জনের জামিন
সিলেটে ৬১ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ৩ যুবক আটক
সিলেটে ৩ যুবককে আটক করেছে মহনগর গোয়েন্দা পুলিশ। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৬০ টাকা সমমূল্যের ৬১ বস্তা ভারতীয় চিনি ও একটি পিকআপ জব্দ করা হয়।
রবিবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টায় সিলেট-জাফলং মহাসড়কের শাহপরাণ (রহ.) থানাধীন চকগ্রামের দাসপাড়া সাকিনস্থ মেসার্স এ ই পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে ১০৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, যুবক আটক
আটকরা হলেন- শাহপরাণ (রহ.) থানাধীন মৃত জাবেদ মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া, মৃত ছিদ্দিক আলীর ছেলে সোহেল মিয়া ও জৈন্তাপুরের উমনপুর এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে মুসা মিয়া।
সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহানগর পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহনগরের উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিবি) সার্বিক দিক-নির্দেশনায় গোয়েন্দা বিভাগের টিম-১ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে।
আটকদের বিরুদ্ধে এসএমপি শাহপরাণ (রহ.) থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে আইন অনুযায়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২৭৮ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ২
সিলেটে ৬৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপির দুলু
শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
এ সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এর আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের অন্তর্বতীকালীন জামিনে ছিলেন বিএনপি নেতা দুলু।
উল্লেখ্য, শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একাধিকবার কটুক্তি করার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে দুলুর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন লালমনিরহাটের আইনজীবী রাকিবুল ইসলাম খান।
অপরদিকে, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতাল ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর লালমনিরহাট সদর থানায় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম খান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলুকে ১ নম্বর আসামিসহ বিএনপি, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের ৮১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার ১ বছরে শেষ করার নির্দেশ
বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা