শিক্ষা
শিশুদের শৈশব থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করাতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যে কোনো প্রযুক্তির ভালো-মন্দ সব দিকই আছে। আমাদের প্রযুক্তিবান্ধব ও দক্ষ হতেই হবে। যুগের চাহিদা ও আমাদের ভবিষ্যতের চাহিদা তাই। সেজন্যই আমাদের শিশুদের একদম শৈশব থেকেই প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, কম বয়স থেকেই শিশুদের কোডিং, প্রোগ্রামিং শিখাতে হবে। তা না হলে এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে তারাও টিকে থাকতে পারবে না। অথচ আমরা চাই- তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হবে। সে কারণে অবশ্যই প্রযুক্তি লাগবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিক্ষক,অভিভাবকসহ সবারই একটা নজরদারির ব্যাপার আছে। এটি তো থাকতেই হবে। আমরা যেমন পড়াশোনার ক্ষেত্রে নজরদারি করি,তেমনি করে তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে যখন পড়াশোনা করছে,সেখানেও একটা নজাদারির বিষয় আছে। কাজেই আমাদের দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সদর উপজেলার নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অতিমারি এমন একটি বাস্তবাতা যেটিকে আমাদের স্বীকার না করার কোনো সুযোগ নেই। এর ফলে বিশ্বব্যাপী সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও ধাক্কা লেগেছে। এখন সবারই চেষ্টা আগামী শিক্ষাবর্ষে সম্ভব হলে, যদি অতিমারির ছোবল সেখানেও না পড়ে, তাহলে আমরা সেখানে এ ঘাটতিটুকু পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো। সে রকম পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু ১ জানুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ক্লাস ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডিনস কমিটির এক সভার পর এ সূচি প্রকাশ করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ কে এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিনসহ সব অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে শাটল বাস পুনরায় চালু
এছাড়া বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি কার্যক্রম ৭ জানুয়ারির মধ্যে এবং কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কার্যক্রম ১৩ জানুয়ারি সম্পন্ন করা হবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভর্তি কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ব্যাংকিং, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চ জীবনযাত্রার মানের জন্য বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম। মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সুইস সরকার বরাবরই শিক্ষার উপর জোর দিয়ে আসছে। সরকারি তহবিলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও দিয়ে থাকে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপের সুযোগ। প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর ভিত্তি করে স্কলারশিপগুলোর ধরণ হয় বিভিন্ন রকম। চলুন, জেনে নেই সুইস স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়গুলো।
সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুইজারল্যান্ডের সরকারি স্কলারশিপ হচ্ছে গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপ। প্রতি বছর যেকোনো বিষয়ে বহিরাগত স্নাতকোত্তর গবেষকদের এই স্কলারশিপটি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
এর মধ্যে মাসিক জীবনযাত্রা, পড়াশোনার সম্পূর্ণ খরচ, স্বাস্থ্য বীমা, ভ্রমণ খরচ/বিমান ভাড়া এবং আবাসন খরচ অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডক্টরেট বা পোস্ট-ডক্টরাল স্তরে গবেষণার জন্য সুইজারল্যান্ডগামী হয় হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্কলারশিপের মধ্যে ইটিএইচ জুরিখ এক্সিলেন্স মাস্টার্স স্কলারশিপ, মাস্টার্স ডিগ্রীধারীদের জন্য ইপিএফএল এক্সিলেন্স ফেলোশিপ, গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট জেনেভা স্কলারশিপ, পিএইচডির জন্য জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং মানবাধিকার জেনেভা একাডেমি স্কলারশিপ অন্যতম।
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বছরে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক পর্যন্ত অনুদান দিয়ে থাকে, মার্কিন ডলারে যার মূল্য মান দাড়ায় ৬৫ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে পড়াশোনার খরচ ছাড়াও আবাসনসহ জীবনযাত্রার অন্যান্য খরচও মিটে যায়।
আরও পড়ুন: সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কিউএস (কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস) র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ২৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টিই জার্মানির। বাংলাদেশের জার্মান রাষ্ট্রদূত আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চাকরি ক্ষেত্রে নিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করছেন। এসব সুবিধা ছাড়াও এই ইউরোপিয়ান দেশটির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য পড়ালেখার খরচ একদম ফ্রি। স্বভাবতই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের জন্য পাড়ি জমান জার্মানিতে। ইংরেজিতে প্রায় পনেরশটি প্রোগ্রামে চালু আছে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের জন্য। বাংলাদেশিদের জন্য জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে সেরা উপায় হচ্ছে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া। আজকের আর্টিকেলটিতে থাকছে জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত।
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার স্কলারশিপ
ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য জার্মানিতে যথেষ্ট পরিমাণে স্কলারশিপের সুযোগ আছে। তার মধ্যে গত এক দশক ধরে জার্মানিতে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশিদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন হচ্ছে জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস বা ডাড।
ডাড স্কলারশিপের দারুণ সুযোগ-সুবিধাসহ বৈচিত্রপূর্ণ বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্র থাকায় যেকোন ফিল্ডের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত কোর্স বেছে নিতে পারে। কোর্সের উপর ভিত্তি করে মাস্টার্সের মেয়াদ এক থেকে দুই বছর ও পিএইচডি’র মেয়াদ ৩৬ থেকে ৩৮ মাস পর্যন্ত হয়।
ছয় মাসের অধিক মেয়াদের স্কলারশিপের আওতায় জার্মান ভাষা শেখার জন্য ডয়েচে ইউনি-অনলাইন (ডিইউও) মডিউলগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।
আরও পড়ুন: সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
স্কলারশিপটির সবচেয়ে ভালো দিকটি হচ্ছে আবেদনের জন্য এখানে কোন দেশ ও বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই। এই স্কলারশিপের আওতায় স্বাস্থ্য বীমার সাথে সাথে ব্যাচেলর কোর্সে প্রতি মাসে ৭৫০ ইউরো এবং মাস্টার্সে ১০০০ ইউরো দেয়া হয়।
স্কলারশিপের অন্তর্ভুক্ত অনুদানে আবাসন খরচও মিটে যায়, তাই বলতে গেলে কোন ধরণের বাড়তি খরচই আর প্রয়োজন হয় না।
এখন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্সের জন্য আবেদন গ্রহণ চলছে।
ঢাবিতে শাটল বাস পুনরায় চালু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকদের জন্য ক্যাম্পাসে শাটল বাস সার্ভিস পুনরায় চালু করা হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।
এ সময় ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বাস সার্ভিস শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য এবং ক্যাম্পাসেই এ সেবা দেয়া হবে।
সময়সূচি অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ও দুপুর ২টায় প্রশাসনিক ভবন থেকে কলাভবন, টিএসসি, কাজী মোতাহার হোসেন ভবন, মোকাররম ভবন হয়ে কার্জন হল পর্যন্ত যাবে শাটল বাস এবং সকাল ১১টায় ও দুপুর আড়াইটায় কার্জন হল থেকে মোকাররম ভবন, কাজী মোতাহার হোসেন ভবন, টিএসসি, কলাভবন হয়ে প্রশাসনিক ভবনে ফিরে আসবে।
এছাড়া অন্য রুটে শাটল বাস সকাল ১১টায় লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট থেকে কার্জন হল পর্যন্ত যাবে এবং দুপুর ২টায় কার্জন হল থেকে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে ফিরে আসবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (২) মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘অনেক আগে এই সার্ভিস চালু থাকলেও কোনো কারণে বন্ধ ছিল। এখন আমরা আবার সেবাটি পুনরায় চালু করেছি।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে বিবাহিত ছাত্রীদের হলের সিট বাতিলের বিধান বাতিলে লিগ্যাল নোটিশ
ঢাবি গ্রন্থাগার: পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হতে হবে। রাজনীতি সচেতন না হয়ে সফল মানুষ হওয়া যায় না, সুনাগরিক হওয়া যায় না। রাজনীতি সচেতন না হলে তোমারা নিজের দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করতে পারবে না। রাজনীতি করো বা না করো কেউ রাজনীতির বাইরে নয়।
রবিবার রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবাইকে রাজনীতি সচেতন হতে হবে। এই ক্যাম্পাসে আসার পর পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে, ছাত্র রাজনীতিকদের সঙ্গে। এটি আমার ভালো লেগেছে। অর্থাৎ এই ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়। আমার দুটি প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভয় পেয়েছি। কারণ সেখানে লেখা আছে—ধূমপান ও রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস। অর্থাৎ ধূমপানের মতো রাজনীতিটাও পরিত্যাজ্য--এই ম্যাসেজ সেই প্রতিষ্ঠান দেয়ার চেষ্টা করছে।
দীপু মনি বলেন, জীবনের সব ক্ষেত্রের মতো রাজনীতিতে ভালো-মন্দ আছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে রাজনীতি ভলো নয়। রাজনীতি সেই জয়গা, যেখানে জীবনের সব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, রাজনীতির নামে অনেক কিছু দেখেছি। রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতে দেখেছি, ষড়যন্ত্র দেখেছি। রাজনীতির নামে দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা দেখেছি। নারীদের হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিতে দেখেছি। রাজনীতির নামে জাতির পিতাকে হত্যা করতে দেখেছি। তাকে হত্যা করে কোন রাজনীতি করা হলো?
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজনীতি সেটাই যার মধ্যে থাকে দেশের জন্য ভালোবাসা, দেশের সেবা, মানুষের জন্য ভালোবাসা, মানুষের সেবা। আশা করি তোমরা সবাই রাজনীতি করো বা না করো, সেই রাজনীতির সঠিক পথ তোমরা বেছে নিতে পারবে।
করেনা সংক্রমণ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে টিকা কার্যক্রম বিস্তৃত করা হচ্ছে। সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। বিস্তৃতভাবে পাঠদান কবে শুরু করতে পারব আমরা বলতে পারছি না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মার্চ মাসে সংক্রমণ বেশি বাড়ছে। কাজেই আমাদের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী
ভর্তিযুদ্ধ ও তদবির বন্ধে সব মাধ্যমিকে লটারি হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার কিছু উপায়
উন্নত জীবন ধারণ পদ্ধতির লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষা একটি মোক্ষম হাতিয়ার। আর গত এক দশক ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্যও এই হাতিয়ারের যোগান দিয়ে যাচ্ছে ইউরোপের অন্যতম আধুনিক দেশ সুইডেন। ৯৯ শতাংশ শিক্ষার হারের দেশটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের সুযোগ দিচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিও এই সুযোগ নিয়ে সুইডেনে পড়াশোনা করছে। পড়াশোনা শেষে শুধু সুইডেনে স্থায়ীভাবে চাকরির সুযোগ-ই নয়, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন শিল্পে দেশটির গ্রহণযোগ্যতা থাকায় অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতেও ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠায় এর শিক্ষাগত সনদ যথেষ্ট কার্যকরী। তাই আজকের ফিচারে আলোচনা হবে সুইডেনে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় নিয়ে।
সুইডেনে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ
অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় সুইডেনে পড়ালেখার খরচ কম হলেও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে তা অনেক বেশি। স্বভাবতই বাংলাদেশিদের জন্য সুইডেনে উচ্চশিক্ষার সেরা উপায় হলো স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া।
সুইডেন মূলত দুই ধরণের স্কলারশিপের সুযোগ দিয়ে থাকে।
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে
২. সুইডিশ সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত
আরও পড়ুন: চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে শিক্ষার আলোকবর্তিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপটি দেয়া হয় শুধুমাত্র প্রতি সেমিস্টারের টিউশন ফি-এর উপর। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে স্কলারশিপের ধরণ আলাদা আলাদা হয়। এখানে বাড়তি কোন সুবিধা থাকে না।
কিন্তু সরকারি স্কলারশিপে টিউশিন ফি-এর পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধাদির মধ্যে মাসিক ভাতাও দেয়া হয়। এই স্কলারশিপটির নাম সুইডিশ ইন্সটিটিউট বা সংক্ষেপে এস আই স্কলারশিপ।
সুইডিশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তিন বছরের স্নাতক এবং দুই বছরের স্নাতকোত্তর করার সুযোগ রয়েছে। তার মধ্যে ইংরেজি ভাষায় স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম সংখ্যা প্রায় নয়শত।
এস আই স্কলারশিপটি স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ চারটি বিষয়ে স্নাতকোত্তরের জন্য আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এস আই স্কলারশিপের সুবিধাগুলোর মধ্যে আছে-
আরও পড়ুন: এলডিসি পরবর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশের এখনই প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন: প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি
→ সম্পূর্ণ ফ্রি টিউশন ফি
→ পুরো অধ্যয়নের সময়কাল জুড়ে জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার সুইডিশ ক্রোনা বা ১,০৯৫.৯৪ মার্কিন ডলার অর্থ
→ অসুস্থতা এবং দুর্ঘটনার জন্য বীমা
→ এস আই-এর নেটওয়ার্ক ফর ফিউচার গ্লোবাল লিডারস (এনএফজিএল)-এর সদস্যপদ
এটি সুইডেনে থাকাকালীন নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার উন্নয়নে সাহায্য করবে।
→ স্কলারশিপের মেয়াদ শেষে শিক্ষার্থী এস আই অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের সদস্য হবেন। এটি শিক্ষা পরবর্তী বিভিন্ন চাকরীসহ ক্যারিয়ারের অন্যান্য বিকাশে সহায়তা করবে। বর্তমানে নেটওয়ার্কটি ১৪০ টিরও বেশি দেশ থেকে ১৫ হাজারেরও বেশি প্রতিভাবান প্রাক্তন শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত।
→ সমগ্র অধ্যয়নের সমকালের মধ্যে ভ্রমণের জন্য এককালীন ১৫ হাজার সুইডিশ ক্রোনা বা ১,৬৪৩.৯১ মার্কিন ডলার অর্থ।
আরও পড়ুন: ঢাবি গ্রন্থাগার: পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
শিক্ষকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৭৮তম জরুরি সভায় ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৭ জানুয়ারি হলসমূহ খুলে দেয়া ও ৯ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কুয়েটের জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সেকশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পরিস্থিতিতে ৭৭তম সিন্ডিকেটের সভায় দ্বিতীয় দফায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। সে ধারাবাহিকতায় ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় কুয়েটের ৭৮তম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভাইস চ্যান্সেলর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন। সভায় ৭ জানুয়ারি হল সমূহ খুলে দেয়া ও ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে কুয়েট প্রশাসনকে অবহিত করেছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৭৬তম জরুরি সভায় ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর ও ৭৭তম সভায় তা বাড়িয়ে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছিল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে গত ৩০ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন।
এদিকে, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর ১৫ ডিসেম্বর সকালে শিক্ষক সেলিম হোসেনের লাশ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য লাশ ঢাকায় পাঠানো হয়। ১৬ ডিসেম্বর রাতে লাশ কুষ্টিয়া পৌঁছানোর পর একই কবরে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট বন্ধের সময় আরও বাড়ল
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশ পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে। বাকি বই আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে এবং সময় মতো শিক্ষার্থীরা বই হাতে পেয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী রাজধানীর মাতুয়াইলে ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘১৭ কোটির বেশি বই বাঁধাই হয়ে গেছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সবটাই হয়ে যাবে। তারপরও স্বল্প সংখ্যক বাদ থাকতে পারে। সেটাও আমরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শিশুদের হাতে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: আগামী বছরের মাঝামাঝি হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘অতিমারির কারণে এ বছরও বই উৎসব করার মতো পরিস্থিতি আমাদের নেই। সব স্কুলেই ক্লাস ধরে ধরে বিতরণ করা হবে। যখন যে শিক্ষার্থীর বই পাওয়ার কথা সে সময় শিক্ষার্থীরা বই পাবে। এতে কোনও রকম সমস্যা হবে না।’
দীপু বলেন, ‘বই ছাপার কাজ সবটুকুই শেষ হয়ে গেছে। এনসিটিবির পক্ষ থেকে সপ্তাহে দুই দিন প্রেস পরিদর্শনে আসে। ২০০টি প্রেসে কাজ চলছে ১৫৮টি মাধ্যমিকে আর ৪২টি প্রাথমিকে। আর যে কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া আছে, তারা নিয়মিত পরিদর্শনে আসে।
২০২৩ সাল থেকে দেশে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হচ্ছে। ২০২২ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর হাই লেভেল স্টিয়ারিং কমিটিতে শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, নিম্নমানের বই দিলে সরবরাহকারী মূদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোপুরি ক্লাস শুরু করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে এখনও শেষ কথা বলার সময় আসেনি। আমরা ইউরোপ, আমেরিকায় দেখছি ব্যাপকভাবে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। আমাদের আরও একটু দেখার দরকার। আমরা ভালো আছি, কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ে মার্চ মাসে। কাজেই মার্চ না আসা পর্যন্ত আমরা বলতে পারব না আমরা নিরাপদ অবস্থায় আছি কিনা। অন্য প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক অবস্থায় যাওয়া যাবে না। আমরা স্কুলকে বলতে পারি না, শিক্ষার্থী অর্ধেক বাড়িয়ে দাও। মার্চে যদি না বাড়ে তাহলে আমরা বলতে পারি পুরো সময় ধরে বিদ্যালয় চলবে।
কাউনের চালের তৈরি নুডলস নিয়ন্ত্রণ করবে ডায়াবেটিস: শাবিপ্রবির গবেষণা
ইনস্ট্যান্ট নুডলস এখন পুরো বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমাদের দেশে এই নুডলস উৎপাদনের সাধারণত গম, চাল, আলু, মিষ্টি আলুকেই প্রধান কাঁচামাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে উপাদানগুলোতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকায় ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিসসহ নানারকম জটিল রোগের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এজন্য এর বিকল্প হিসেবে এসকল রোগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম এবং একই সঙ্গে জলবায়ু অভিযোজন সম্পন্ন শস্যকে কাচাঁমাল হিসেবে ব্যবহার করে সম্প্রতি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একটি পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে।
এই গবেষণার গবেষক ছিলেন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের পিএইচডি ফেলো মোছা.মেহেরুন্নাহার। তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক। এছাড়া সহ-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) ইন্সটিটিউট অব ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএফএসটি) সিএসও ড. মো. আব্দুস সাত্তার মিয়া।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবির ২২ শিক্ষক
শরীরে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস সহ নানারকম জটিল রোগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সময়ের চাহিদায় শস্য বৈচিত্র আনা এবং অল্প খরচে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের কাঁচামাল উৎপাদনের উদ্দেশ্যে এই গবেষণা।