%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সমবায় গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষি খাতে সমবায় পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সমবায় পদ্ধতিতে এগোতে হবে। যদিও সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে, তবে এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যে স্থায়ী উপলব্ধি এখনো গড়ে উঠেনি।’
শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় সমবায় গঠন করে জমি চাষাবাদে জনগণকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতাদের আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে আমাদের আর খাদ্যের অভাব হবে না।’
সমবায় ব্যবস্থার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সমবায় ব্যবস্থাপনায় জমি চাষ করা হবে এবং সমবায়ের অধীনে কৃষিযন্ত্র ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
এই ব্যবস্থার আওতায় জমির মালিকরা লাভের একটি নির্দিষ্ট অংশ পাবেন, কৃষক বা শ্রমিকরা আরেকটি নির্দিষ্ট অংশ পাবেন এবং মার্জিনের অবশিষ্ট অংশ মেশিন, সার, বীজ, চাষাবাদ ও সেচসহ কৃষি উপকরণ ব্যবস্থাপনার জন্য সমবায়ের অধীনে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সমবায়ের প্রচার করতে 'আমার বাড়ি আমার খামার' এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে।
কৃষি খাতে তার সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে ১ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন থেকে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে বর্তমানে ৪ কোটি ৯২ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ৭৯ লাখ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে, যা তখন মাত্র ২৮ লাখ হেক্টর জমি ছিল।
এ সময়ে মাছের উৎপাদন ২১ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৫৩ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। আর গৃহপালিত পশুর সংখ্যা এখন ৭ কোটি ৯৯ লাখ, যা ২০০৬ সালে ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ।
কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এক সময় মানুষ তাদের পরিবারের জন্য শুধু চাল-নুন বা চাল-ডালের ব্যবস্থা করতে উদ্বিগ্ন থাকলেও এখন তারা মাছ, মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, মানুষ এখন মাছ, মাংস, ডিম ও মুরগির কথা বলে, অর্থাৎ উন্নয়ন হচ্ছে। সরকারের সমালোচকদের এটা স্বীকার করতে বলেন তিনি।
সরকার বর্তমানে কৃষি খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এ খাতে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে এবং সম্পদ ব্যবহারে কৃচ্ছ্রসাধন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র গান্ধীর নেতৃত্বে নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কৃষক লীগ নেতাদের গণভবন কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজি উপহার দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়নি।
তিনি বলেন, 'যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারা অপরাধ করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
শুক্রবার গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, দুর্নীতি, অস্ত্র চোরাচালান ও গ্রেনেড হামলার মতো অপরাধ করার জন্য এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ৩ হাজার ৮০০ কার, বাস, লঞ্চ ও ট্রেন পুড়িয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ২৮ অক্টোবর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল এবং নির্বাচন বানচাল করতে ট্রেনে আগুন দিয়ে একজন মা ও তার সন্তানকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘যারা এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত নয়? মানুষ কি তাদের পূজা করবে?'
তিনি বলেন, ‘আজকে তারা সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া উচিত কীসের জন্য মামলাগুলো করা হয়েছে।’
বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মী কারাগারে আছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারগুলোর এত লোককে জায়গা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, 'তারা দাবি করছে যে তাদের ৬০ লাখ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু আমাদের (কারাগারগুলোর) সেই সামর্থ্যও (এত লোককে জায়গা দেওয়ার) নেই।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপির এত লোক কারাগারে আটক থাকে, তার মানে এখন যারা কারাগারে আছে তারা সবাই তাদের লোক এবং সেখানে অন্য কোনো অপরাধী নেই।
তিনি আরও বলেন, 'এর অর্থ হচ্ছে ওখানকার সব অপরাধী (যারা কারাগারে আছে) বিএনপির।’
বিএনপি শাসনামলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর সহিংসতা ও নির্যাতনের ভয়াবহ দৃশ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতিশোধ নিতে যায়নি, বরং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে মেধা ও শক্তি কাজে লাগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সৌভাগ্য যে আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ নই বলে তারা এখনো কথা বলার (আওয়াজ তোলার) সুযোগ পায়। তারা সারাদিন লাউড স্পিকার ব্যবহার করে কথা বলে এবং তারপর বলে যে তারা কথা বলার সুযোগ পায় না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
সম্ভাবনা সত্ত্বেও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে ঘাটতির কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেও গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণে সক্ষম হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা এ কাজের জন্য কোনো উদ্যোক্তা পাচ্ছি না। এটাই বাস্তবতা।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিদের উন্নয়নের মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে ২ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছে এবং সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে ব্লু ইকোনমির পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ করতে সক্ষম হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আগে খাদ্য নিরাপত্তা, তারপর পুষ্টি নিশ্চিত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘… এবং আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা গবেষণায় অগ্রাধিকার দিয়েছি, যেহেতু তা ছাড়া উচ্চ ফলনশীল জাত উৎপাদন সম্ভব নয়।’
সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য ভর্তুকি প্রদানসহ এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া দেশে আমিষের উৎপাদন বাড়াতে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।’
তিনি আরো গবেষণামূলক কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, কারণ গবেষণা ছাড়া কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যশস্য এবং মাছ ও মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে তিনি মৎস্য ও গবাদিপশুকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি দেশে পোল্ট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
তিনি কৃষি উৎপাদন এবং এর প্রক্রিয়াজাতকরণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করার নির্দেশ দেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কাউন্সিলের (বিপিআইসি) যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, প্রাণিসম্পদ সচিব সেলিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: মানুষের জন্য কাজ করুন, জনগণের আস্থা হারাবেন না: জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রধানমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিদের উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে শের-ই-বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ২ দিনব্যাপী এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কাউন্সিলের (বিপিআইসি) সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্য সংকট: সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। দর্শনার্থীদের জন্য কোনো প্রবেশ মূল্য লাগবে না।
এতে সারা দেশের পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিরা তাদের গবাদিপশু ও পাখি প্রদর্শনের জন্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
৬৪ জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় একযোগে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনী প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এবং প্রদর্শিত প্রাণিসম্পদ দেখতে বিভিন্ন স্টলে থামেন।
আরও পড়ুন: আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী
আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে দেশের প্রাণিসম্পদের বৈচিত্র্য প্রদর্শনের জন্য ২৫টি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্যাভিলিয়ন সরকারি কর্তৃপক্ষের জন্য নির্ধারিত।
বিডিএফএ'র ৫৫ হাজার সদস্যের মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, বেনাপোল, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলার ৩ হাজারের বেশি কৃষক আয়োজনটিতে অংশ নেন।
আয়োজকরা আরও জানান, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকরা বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিসকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
মধ্যপ্রাচ্য সংকট: সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ইসরায়েলের ওপর ইরানের পাল্টা হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সংঘাত দীর্ঘদিন চলতে থাকলে বাংলাদেশের কিছু খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই বিবেচনায় সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি।
বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে বাস্তবতা উদ্ভূত হচ্ছে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে নজর রাখতে হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতির দিকে মন্ত্রিপরিষদ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সব সদস্যকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সংঘাতের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'সংঘাত দীর্ঘমেয়াদে চলতে থাকলে আমরা কীভাবে বিষয়গুলো মোকাবিলা করব বা এসব পরিস্থিতি সামলাতে আমরা কী করতে পারি সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সংঘাত দীর্ঘমেয়াদি রূপ নিলে বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব পড়বে, সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর কর্তৃপক্ষকে এর প্রভাব মোকাবিলায় পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে।’
কোন কোন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব বলেন, সবাইকে নিজ নিজ খাতসংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংকট তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে। তাই সেক্ষেত্রে কী করা উচিত, তার একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী
অতীতের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে নববর্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আসুন, নতুন বছরে অতীতের সব ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি।’
রবিবার উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন, বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ঈদের শুভেচ্ছায় জনকল্যাণে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডস্থ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) বসবাসকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ফলমূল ও মিষ্টান্ন পাঠান প্রধানমন্ত্রী।
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব হাসান জাহিদ তুষার, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেসসচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর এসাইনমেন্ট অফিসার মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান নূরনবী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহারগুলো পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: ঈদের শুভেচ্ছায় জনকল্যাণে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীরযুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা এ সময় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস এবং উৎসবে- স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পবিত্র ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের দিনে তাদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনাই দেশকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছেন। আওয়মী লীগ ছাড়া কোন সরকার সাধারণ মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিন্তা করে নাই। একমাত্র শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে পারে। সবশেষে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিসকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিসকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
নির্বাচনে জয়লাভ এবং গতিশীল রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়ায় সাইমন হ্যারিস টিডিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)এক অভিনন্দন বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এতে শেখ হাসিনা আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাইমন হ্যারিসের অর্জনের বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, নির্বাচনে সাইমন হ্যারিসের নিরঙ্কুশ বিজয়ে আইরিশ জনগণের মধ্যে তার গভীর আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি
ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ' আমরা বাংলাদেশে আইরিশ জনগণ এবং রাজনীতিবিদদের সমর্থনকে গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। ১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আয়ারল্যান্ডের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিন ম্যাকব্রাইড যে সমর্থন জানিয়েছিলেন।’
শেখ হাসিনার মতে, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সহনশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তির অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। সক্রিয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো পারস্পরিক উদ্বেগের কারণে এই সম্পর্ক সমৃদ্ধ হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন, এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে আয়ারল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ভবিষ্যতে দু'দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হ্যারিসের সুখ, সুস্বাস্থ্য ও সুখের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডের জনগণের সমৃদ্ধি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে তার বাণী শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ঈদের শুভেচ্ছায় জনকল্যাণে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের শুভেচ্ছায় জনকল্যাণে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
সরকারি বাসভবন গণভবনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনকালে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে আওয়ামী লীগের স্থায়ী প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতা, কর্মী, বিচারক এবং বিদেশি কূটনীতিকসহ বিভিন্ন নাগরিকের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেখ হাসিনা তার ভাষণে ঐতিহ্যবাহী ইফতার পার্টি বাদ দিয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে খাবার বিতরণের আহ্বানে সাড়া দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'অভাবীদের মাঝে ইফতার বিতরণে আমার নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনারা সবাই সত্যিকার অর্থে পবিত্র কাজ করেছেন।’
অসংখ্য ইফতারে অংশ নেওয়া কিছু ব্যক্তির সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি গর্ব করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণের সেবা করার জন্য, তাদের কাছ থেকে নিতে নয়।’
ঈদ উদযাপনকে আনন্দময় ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ভূমিকার প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদে যারা দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের আনন্দ-পরিচ্ছদে অবদান রেখেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
আরও পড়ৃন: দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
তিনি উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষ ভূমিকার প্রশংসা করেন, যা জনসাধারণের ছুটি উপভোগে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি আন্তরিক বাণীও দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এতে ঈদ উৎসবে তাদের আনন্দ কামনা করেছেন এবং অন্তর্ভুক্তির প্রতি তার সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জাতির পিতার উত্তরাধিকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। অব্যাহত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য অবশিষ্ট দারিদ্র্য বিমোচন এবং সবার জন্য মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা- যে অঙ্গীকার আমরা এই ঈদেও পুনর্ব্যক্ত করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সকাল ১০টায় সাধারণ জনগণ এবং পরে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীকে ঈদ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে তারা ঐতিহ্যবাহী উৎসাহের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করার সময়, বিশ্বজুড়ে মানুষকে সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব এবং একত্রিত হওয়ার মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য এবং সুখ কামনা করেন এবং আমাদের দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়ে উঠুক বলে কামনা করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা