প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
সমালোচকদের চোখের দৃষ্টি পরীক্ষার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দেখতে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচকদের কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপি ও সরকারের সমালোচকদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যারা উন্নয়ন দেখে না তাদের চোখের দৃষ্টি পরীক্ষা করা দরকার।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধারে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের শতভাগ এলাকাকে বিদ্যুতের আওতায় আনা, দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা, পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে সরকারের সাফল্য সমালোচকরা দেখছেন না।
দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বিএনপি নেতারা প্রায়শই অভিযোগ করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে সেনানিবাসের ভেতরে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান যে দলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সে দল থেকে এখন গণতন্ত্র শিখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলছে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী? তারা এখন গণতন্ত্রের জ্ঞান দিচ্ছে যেটা জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ ফাউল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে কেউ ফাউল করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে এখন আর কেউ ফাউল করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘কেউ বাংলাদেশকে নিয়ে খেলতে পারবে না... বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।’
শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চার দিনব্যাপী ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সুবর্ণ জয়ন্তী সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি, আমরা স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি, আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছি, আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি, আমরা শত শত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি।
তিনি বলেন, শিক্ষা, জ্ঞান, প্রযুক্তি, বিজ্ঞানসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাত্র নয় মাসের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান দিয়েছিলেন, বর্তমান সরকার তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভাগের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তুলে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর হাতে
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের পর তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং আমরা এই ব-দ্বীপের জনগণকে উন্নত জীবন দেয়ার লক্ষ্যে এর কিছু অংশ বাস্তবায়ন শুরু করেছি।
এসময় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া।
আরও বক্তব্য দেন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের থিম সং এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।
বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি যুগান্তকারী অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অতীতের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনভী রোডে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের কাছে এসব দ্রব্য হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
এদিকে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে- তা জাতীয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ বা পহেলা বৈশাখ যাই হোক- তাদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যার নেতৃত্বে দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন দেশের জনগণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করছে আওয়ামী লীগ সরকার যা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত ভাতা ও বাসস্থান প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ একদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দারিদ্রমুক্ত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ হবে বলেও দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন তারা।
তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তুলে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর হাতে
মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার গৌরবময় সাফল্য অর্জনে দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কার্যকর নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রাপ্ত স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান এবং দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় আনার সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সর্বোচ্চ এই জাতীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২ পেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ আরও ১০ ব্যক্তি ও সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পরে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস জানান, প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার (পদক ও সনদ) তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুৎ খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নীতি ও কৌশলের কারণেই দেশের শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
তারা বলেন, ‘তিনিই এই গৌরবময় অর্জনের স্থপতি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে প্রতিটি ঘর আলোকিত করার ঘোষণা দেন।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনার কাজে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এভাবেই সারাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জনের স্মারক প্রাপ্য বলে তারা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি যুগান্তকারী অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বৃহস্পতিবার নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে 'স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২' তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার তুলে দেন।
এ বছর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে পুরস্কার পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস, প্রয়াত সিরাজুল হক সম্মাননা দেয়া হয়।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম, স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে এই পুরস্কার দো হয়।
শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি যুগান্তকারী অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া একটি যুগান্তকারী অর্জন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই অর্জনের মাধ্যমে সরকার জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শিগগিরই সকল গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে বঙ্গবন্ধুর আরেকটি স্বপ্ন।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রমকারী সকল সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি উদ্যোগে বিদেশি বিনিয়োগে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার মেঘনা ঘাট ও ৩৬০ মেগাওয়াট হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে, আওয়ামী লীগে সরকার ২০০৯ সাল থেকে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যার ফলে শতভাগ বিদ্যুৎ কভারেজ অর্জন সম্ভব করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অর্জনের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার আরেকটি স্বপ্ন পূরণে দেশের সব গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ চলমান।
অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলে বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, গতকাল (সোমবার) পটুয়াখালী জেলায় সবচেয়ে বড় পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর, সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটিও অন্যান্য অবকাঠামোর মতো অনেক বড় স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে যা এই অঞ্চলের সামগ্রিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শতভাগ বিদ্যুতায়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআই সভাপতির অভিনন্দন
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই এই মেগা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চিরতরে শেষ হবে।
বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন দক্ষিণাঞ্চলকে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের প্রচারণার পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বন তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং গত ১৩ বছর ধরে জনগণের রায়ে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জন্য এই বড় অর্জনে সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ আর নেই
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ফেব্রুয়ারি থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও গভীর শোক প্রকাশ করছেন।
‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
যারা মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা, ‘জয় বাংলা’র মতো জাতীয় স্লোগান দিতে অস্বীকার করে তাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘যারা এখনও 'জয় বাংলা' স্লোগান দেয় না তারা আসলে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করে না।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু সমাধি কমপ্লেক্সে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
সভায় সভাপতিত্ব করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান একসময় দেশে নিষিদ্ধ ছিল এবং এই স্লোগান দিতে এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাজানোর জন্য বহু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এই স্লোগান উচ্চারণ করেই স্বাধীনতা অর্জন করেছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্র ও খুনিরা স্লোগানটিকে নিষিদ্ধ করেছে।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ
এদিকে সারাদশে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। সরকারি ছুটির দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালন করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে দুপুর আড়াইটার দিকে ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
বিকালে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছেলেবেলা কেমন ছিল?