‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক এ রেজুলেশনটি যৌথভাবে এনেছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)।
এটি টানা তৃতীয় বছরের মতো গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটির চলমান অধিবেশনে ১৪ নভেম্বর উত্থাপন করা হবে।
গত দুই বছর এটি জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভিভূত সমর্থন পেয়েছিল বলে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে।
সোমবার কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে।
নয়াদিল্লি ভিত্তিক মিশন প্রধানসহ প্রায় ৪৫ বিদেশি কূটনীতিক এ ব্রিফিংয়ে যোগ দেন। তারা নিজ দেশের হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশেও দায়িত্বে সংযুক্ত আছেন।
হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ ঢলের সময় শুধুমাত্র মানবিক বিবেচনায় সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সর্বশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপন করা চার দফার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন তিনি।
হাইকমিশনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মোয়াজ্জেম আলী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে এ চার দফা পরিকল্পনার ভিত্তিতে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত ও টেকসই আন্তর্জাতিক চাপ সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।’
শেখ হাসিনার প্রস্তাবনার উদ্ধৃতি দিয়ে হাইকমিশনার বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণগুলোর যাতে সমাধান হয় এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতা ও অপরাধের যাতে জবাবদিহি আদায় হয় তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে সোমবার মিয়ানমারের নামে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছে গাম্বিয়া।
গাম্বিয়ার আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ মামলায় মিয়ানমারের গণহত্যার আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করার ব্যবস্থা বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে জরুরিভাবে আদেশ দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে গাম্বিয়া এ মামলা করেছে বলে এপির খবরে জানানো হয়েছে।