সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর ফলে পানির অপচয় রোধের পাশাপাশি ফসলও ফলবে সময়মতো। আধুনিক কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থাকে সহজ করে আবাদি জমিতে সঠিক মাত্রায় আর্দ্রতা বজায় রাখা সম্ভব নতুন এই সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে।
এছাড়া এর মাধ্যমে মাটির আর্দ্রতা এবং পানির উচ্চতা সহজে নির্ণয় করে মাঠে সেচ দেয়া যাবে বলে জানান গবেষকরা।
পাঙ্গাসের মড়ক রোধে সিকৃবিতে ‘বায়োফিল্ম’ ভ্যাকসিন উদ্ভাবন
কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এবং কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, সহকারী অধ্যাপক মো. জানিবুল আলম সোয়েব এবং একই বিভাগের দুই শিক্ষার্থী মো. রাইসুল ইসলাম রাব্বী ও মো. নুরুল আজমীর এই ‘প্রটোটাইপ’ ডিভাইসটি তৈরি করেছেন।
কৃষকের সেচের সমস্যা সমাধানে এই যন্ত্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন গবেষকরা। যন্ত্রটি তৈরি করতে তারা মাইক্রোকন্ট্রোলারে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ব্যবহার করেছেন।
তাপমাত্রা বাংলাদেশে করোনার বিস্তারকে ধীর করে দিতে পারে: সিকৃবি
এ বিষয়ে প্রধান গবেষক ড. রাশেদ বলেন, ‘এই যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাটির আদ্রর্তা নির্ণয় করতে সক্ষম বলে প্রয়োজন অনুযায়ী মাটির আদ্রর্তা ও পানির উচ্চতা পরিমাপ করে পাম্প সক্রিয়ভাবে চালু হবে এবং বন্ধ হবে যা কৃষককে পানি দেয়ার সময় ও পরিমাণ নির্ধারণের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন শস্যের ক্ষেত্রে পানির চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন আদ্রর্তা ও উচ্চতায় এই যন্ত্রের সুবিধা নেয়া যাবে।’
খাবার উপযোগী পোকা নিয়ে সিকৃবি ছাত্রের গবেষণা
তিনি জানান, এই যন্ত্রটি মাঠ পর্যায়ে উপযোগী করে তুলতে পারলে সেচ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে, যা সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান করবে।