রাঙ্গামাটির নানীয়ারচর থেকে ক্যাপ্টেন গাজী হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি ও ইউনাইটেট পিপলস ডেমোক্রেটিকস ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)এর কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জ্ঞানময় চাকমাকে (৫২)গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাকে নানীয়ারচর থানায় হস্থান্তর করে সেনাবাহিনী।
এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টায় রাঙ্গামাটি রিজিয়নের ঘাগড়া আর্মি ক্যাম্প পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে নানীয়ারচর হাজাছড়ি থেকে জ্ঞানময় চাকমাকে আটক করা হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আটক ব্যক্তির নাম জ্ঞানময় চাকমা, বয়স-৫২। তবে অন্য অনেকের কাছে তিনি প্রগতি চাকমা/ কানুনগো এবং দলীয় সংগঠনগুলোর কাছে পরিত্রাণ/জিদং/গম্ভীর নামে পরিচিত বলে জানা যায়। তার স্থায়ী ঠিকানা- উত্তর হাতিমারা, বুড়িঘাট, নানিয়ারচর, রাঙ্গামাটি।
আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় শটগান, একটি মেগাফোন, তিনটি মোবাইল, জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ববি ছাত্রী লাঞ্ছিত: র্যাবের হাতে ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
অপারেশন পরিচালনার সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তার সঙ্গে থাকা তিন-চারজন সশস্ত্র দেহরক্ষী পালিয়ে যায়।
তদন্তকালে জানা যায়, প্রগতি চাকমা আনুমানিক ১৬-১৭ বছর বয়সে শান্তি বাহিনীতে যোগ দেন। কিন্তু ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির আলোকে শান্তি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও তিনি আত্মসমর্পণ না করে কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে পুনরায় জেএসএস এর সশস্ত্র কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন।
পরবর্তীতে ২০০৩ সালে জানুয়ারি মাসে ঘিলাছড়ি এলাকায় সাব-পোস্ট পরিচালক হিসেবে ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র দলে যোগ দেন তিনি। ঘিলাছড়ি এলাকায় সাব-পোস্ট পরিচালক ও প্লাটুন কমান্ডার থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালে ক্যাপ্টেন নুরুল গাজী হত্যায় সরাসরি নেতৃত্ব দেন তিনি। ওই ঘটনায় নানীয়ারচর থানায় একটি মামলা হয়। জ্ঞানময় চাকমার নাম এ মামলায় ৬ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও তিনি রাঙ্গামাটির লংগদু থানায় অন্য একটি মামলায়ও অভিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৭, অস্ত্র ও মাদক জব্দ
সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার কাউন্সিলরের