মন্ত্রিসভা আগামী তিন দিনের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জের বাস্তবসম্মত মূল্যায়ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে একটি বিস্তৃত চিত্র দেবে।
মন্ত্রিসভা নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিবেদনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে করণীয় ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিশেষ করে ‘কীভাবে বিষয়টি পরিচালনা করতে হবে, কোথায় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে এবং কোথায় শিথিল করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
মার্কিন ডলারের দামের বিষয়টিও ওই সমন্বিত প্রতিবেদনে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২২-কে নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে; যাতে এটি সময় উপযোগী করার জন্য ১৯৫৯ সালের একটি অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপন করা হয়।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ২৬টি ধারা রয়েছে। আইন অনুযায়ী সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো হাট-বাজার করতে পারবে না।
তিনি বলেন, কোনো এলাকায় অননুমোদিত হাট-বাজার গড়ে উঠলে সরকার খাস জমি হিসেবে দখল করবে।
জেলা প্রশাসন ও সরকার হাট-বাজারের জমি পরিচালনা করবে এবং স্থায়ীভাবে কোনো জমি হস্তান্তর করা যাবে না।
প্রস্তাবিত আইনে কেউ বা একদল লোক অবৈধভাবে কোনো হাট-বাজারের খাস জমি দখল করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর আইন, ২০২২ মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে যা ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ ১৯৭৬ প্রতিস্থাপন করবে।
আইন অনুযায়ী ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমি ভূমি উন্নয়ন করমুক্ত থাকবে, বঙ্গবন্ধু যা করেছিলেন। কিন্তু কেউ যদি ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে পুরো জমির জন্য কর দিতে হবে।
কোনো জমি একাধিক ব্যক্তির মালিকানাধীন হলে সে ক্ষেত্রে ওই জমির মালিকদের নির্দিষ্ট অংশ নির্ধারণের জন্য শুনানি হবে এবং এরপর ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করা হবে।