������������������-���-������������
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নেই: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘সকালে ভাটা শুরু হয়েছিল এবং মোখা এখন ৬৫ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি প্রায় ২২০ কিলোমিটার। তাই জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবার যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে এনামুর বলেন, ইতোমধ্যে সাত লাখ মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি
সরকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যেই শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং নগদ অর্থ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, যখন মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর সৈকত এলাকা খালি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে মহাবিপদ সংকেত ১০ ঘোষণা করা সত্ত্বেও অনেককে সেলফি তুলতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোনে আমাকে সমুদ্র সৈকতে মানুষ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।’
সমুদ্র সৈকতে কৌতূহলী মানুষের উপস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে এবং সমস্ত পর্যটন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করবেন যেভাবে
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করছে। কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফ উপজেলায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করুন:
মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ রবিবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার সকালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে পৌঁছেছে এবং বিকালের মধ্যে ঝড়টির কেন্দ্রস্থল সিটওয়ে টাউনশিপের কাছে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘূর্ণিঝড় মোখা ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের উত্তরের দিকে ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে অতিক্রম করতে শুরু করেছে। বিষয়টি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তারিফুল নেওয়াজ কবির মুঠোফোনে ইউএনবিকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ সকালে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিলোমিটার বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করে (সময় উল্লেখ করা হয়নি)।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি আজ বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে পুরোপুরি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেতে পারে।’
বুলেটিনে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হচ্ছে। রবিবার সকাল ৬টার দিকে ‘মোখা’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির জরুরি টিম গঠন
চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে এরই মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
এর আগে সকালে অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা ইউএনবিকে বলেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এর বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করতে পারি।’
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে, সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অফিস
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত ডিজিএইচএস
ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় রাজধানীর বাতাসেও এর প্রভাব দেখা দিয়েছে। ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ অবস্থায় রয়েছে। রবিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৮৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ২৬তম।
ভারতের দিল্লি, কুয়েত সিটি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৯৮, ১৭১ ও ১৫৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। তবে ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: মে দিবসে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে: একিউআই
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার অতিক্রম করতে পারে, সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' আজ (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার অতিক্রম করতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৪ মে) বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ সিটুয়ের (মিয়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা ইউএনবিকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা এখনও নেই।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির জরুরি টিম গঠন
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন: রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় আরও ঘনীভূত হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে, উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এটি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কেন্দ্রীভূত ছিল বলে আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, শনিবার রাত নাগাদ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের প্রারম্ভিক প্রভাব পড়বে।
অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় তা বেড়ে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত ডিজিএইচএস
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের থেকে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কন্ট্রোল রুম খুলেছে বিটিআরসি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের ঢালে ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়ে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
এছাড়া, শনিবার (১৩ মে) বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
শনিবার জারি করা এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ৩ পার্বত্য জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কা
বিজ্ঞপ্তিতে অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মানুষের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া আসন্ন মোখার আঘাত থেকে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ সকল ছুটি বাতিল করা বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় রাঙ্গামাটিতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটিতে দুর্যোগমোকাবেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘনিয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আটটি বিভাগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ কয়েকটি বিভাগে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
এদিকে ঢাকা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুঁড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দরবান, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা দুই খেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৩ মে) সকাল ৬ টায় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৫.৪ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
যা আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ (১৩ মে) রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে: আবহাওয়া অফিস
শনিবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান প্রথম।
ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৭৬ ও ১৭২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার পরবর্তী দু’টি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের তৃতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাতাস 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে কক্সবাজার-মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৩ এ বলা হয়, এটি গত মধ্যরাতে (১২ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
যা আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' এর অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: জেলেদের ফিরিয়ে আনতে ভোলায় কোস্টগার্ডের প্রচারণা
অধিদপ্তর আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: পাঁচটি বোর্ডের রবিবারের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত