���������������
একজন অভিভাবকের প্রয়াণ
সকালে ঘুম ভাঙল একটি ফোনের কলে। বড় ভাই ওপার থেকে বলল, জামিল আর নেই। আমি তখনও বুঝতে পারিনি, কোন জামিলের কথা বলছেন বড় ভাইয়া। এরপর বিস্তারিত শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। মাথার উপরে বটবৃক্ষহীন আমি, এটা তো ভাবাই যায় না। কী করব আমি, কাকে ফোন দেব, কিছুই বুঝতে পারছি না। ভেতরটা খাঁ খাঁ করছে। দেশের এ দুঃসময় যেন আমাকে আর স্পর্শ করছে না। সাহস করে বাড়ির নিচে দাঁড়ালাম। শুনশান রাস্তাঘাট। ঢাকার পথঘাট এত ফাঁকা আগে কোনো দিন চোখে পড়েনি। তার চেয়েও বেশি ফাঁকা আমার বুকের ভেতরটা। একটু হেটে যেতেই রিকশা পেলাম। রওনা হলাম আমার জামিল ভাই, জেআরসি স্যারের বনানীর বাসায়।
করোনা মহামারি: সময় দ্রুত হারিয়ে ফেলছি
মুহাম্মদ ইউনূস
ইতালির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ!
ভালো নেই ইতালি! ভালো নেই ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মানবাধিকারের এই দেশটি। চারদিকেই আজ শুধু শূন্যতা, কোনভাবেই থামছে না মৃত্যুর মিছিল।
স্পেনের অবরুদ্ধ শহরে আশার গল্প
স্পেনের বড় শহরগুলোকে এখন চেনার উপায় নাই। করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশটি অবরুদ্ধ হওয়ার পরে কার্যত গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে দেশটির সাড়ে ৪ কোটি মানুষ। প্রাচীন ইউরোপের ইতিহাস ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র স্পেনকে দেখা যাচ্ছে এক অচেনা গাম্ভীর্যে।
‘সাংবাদিকতা রাত বিরাতে’ একটি বই এবং কিছু কথা
সন্দেহ নেই যে সাংবাদিকতা হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর ও সম্মানজনক পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর পেছনে কারণও আছে। কারণ এই- যারা সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ত, তারা সবার সামনে তথ্য ও সত্যকে তুলে ধরেন। এই তুলে ধরার কাজটা সহজ নয়। কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। সাংবাদিকরা এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেন প্রতিনিয়ত।
‘কালিদাস’ রাতের আকাশের ধূমকেতু
তিনি ছিলেন সত্যানুসন্ধ্যানী। পুরনো কুসংস্কারকে মুচড়ে ফেলে শৃঙ্খলতার বাইরে এসেও নিজের সংস্কার থেকে পিছপা হননি। সর্বদা তার দর্শনে নতুন রূপ প্রকাশের সন্ধান করে গিয়েছেন। যার জন্য কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা গণ্ডির বাইরে যেতেও ভয় পেতেন না তিনি। বলছিলাম সমসাময়িক প্রথিতযশা চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকারের কথা। নিরীক্ষাধর্মীতার জন্য বিখ্যাত এ শিল্পী গত ১৮ অক্টোবর নিজের ইস্কাটনের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাথরুমে পড়ে যেয়ে পরলোকে পাড়ি জমান।
‘সাংবাদিকতা রাত বিরাতে’ বাস্তব জীবনের আখ্যান
কাজ করতে গেলে প্রচুর শিখতে হয়। কারণ সঠিক জ্ঞান না থাকলে তার প্রয়োগও সঠিক হয় না। এ কথা সব পেশার জন্যই প্রযোজ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে(ঢাবি) জিওগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন মাসুদ হোসেন। ঢাবিতে যোগ দেয়ার আগেই আমরা দুজন বন্ধু বনে যাই এক রুমে থাকতাম বলে। বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে একটি সরকারি কলেজে তখন জিওগ্রাফির তরুন শিক্ষক মাসুদ।
শত বর্ষে চিরঞ্জীব হেমন্ত!
রিফাত কান্তি সেন