%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
গ্লোবাল স্কিলস ফোরামে দক্ষতা উন্নয়নে সাফল্য তুলে ধরেছে বাংলাদেশ
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, বিশেষ করে নারী, আদিবাসী সম্প্রদায় ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য প্রবেশগম্যতা ও সমতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরেছেন।
এই প্রচেষ্টাগুলো সরকারের বর্ণিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং উন্নয়নমূলক অগ্রাধিকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তবুও, জাতীয় এবং আরও সাধারণভাবে উভয় ক্ষেত্রেই শিল্পের উচ্চ-দক্ষতার চাহিদা এবং সাধারণত স্বল্প-দক্ষ শ্রমশক্তির মধ্যে দক্ষতার অসামঞ্জস্যতা দূর করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন মন্ত্রী।
জেনেভায় একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনার বক্তব্যে তিনি শিল্প খাত এবং উন্নয়ন অংশীদারদের জীবনব্যাপী শিক্ষার প্রচার এবং দক্ষতা বিকাশে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। এগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস, আইসিটি এবং কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মতো উদীয়মান শিল্প খাত অন্তর্ভুক্ত।
গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল আইএলও স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়াবিলিটি শাখা আয়োজিত গ্লোবাল স্কিলস ফোরামে পরিবর্তনশীল বিশ্বে দক্ষতার চ্যালেঞ্জ ও অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনার জন্য সংগঠক ও উন্নয়ন অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলও সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠন এবং প্রধান উন্নয়ন সহযোগী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা সরকারের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সেশনে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের অর্জন, চলমান চ্যালেঞ্জ এবং লক্ষ্যযুক্ত কৌশল ও সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জাতীয় দক্ষতা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
আইএলও বৃহস্পতিবার বলেছে, শ্রমশক্তির কর্মসংস্থান ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে দক্ষতা ও জীবনভর শিক্ষার অপরিহার্য ভূমিকা স্বীকৃত।
উচ্চমূল্য উৎপাদন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে দক্ষ শ্রমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ২০০৭ সাল থেকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) এবং দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বহুগুণ বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করেছে এবং দক্ষতা, যোগ্যতার স্বীকৃতি এবং জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একটি অভিন্ন জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছে। তদুপরি, ঐতিহ্যবাহী টিভিইটি সিস্টেমটি একটি শিল্প-প্রাসঙ্গিক এবং দক্ষতা-কেন্দ্রিক মডেলে বিকশিত হয়েছে।
এই রূপান্তরগুলো তার উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে, উন্নয়ন অংশীদারদের উল্লেখযোগ্য আর্থিক অবদান এবং বিশেষত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) দ্বারা প্রদত্ত প্রযুক্তিগত দক্ষতার পরিপূরক।
তবে, জাতীয় দক্ষতা ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
আইএলওর স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়াবিলিটি শাখার প্রধান শ্রীনিবাস রেড্ডি সঞ্চালনা করেন এবং দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রধান অর্জনগুলো তুলে ধরার জন্য একটি ভিডিও অনুষ্ঠান শুরু করেন।
আইএলওর মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হুনগবো তার উপস্থিতিতে অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন এবং তার হস্তক্ষেপের জন্য উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলে যোগ দেন।
হুনগবো বাংলাদেশ সরকার, আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাদের পারস্পরিক শক্তিশালীকরণের স্বীকৃতি দেয়।
হুংবো সবুজ দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনের পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থার ব্যবহারযোগ্যতা এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সামাজিক সংহতি এবং কর্মসংস্থান প্রচারের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আরও শিক্ষানবিশ নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি শিক্ষা থেকে কর্মসংস্থানে নির্বিঘ্নে উত্তরণের সুবিধার্থে দক্ষতা উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অপরিহার্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তিনি প্রয়োগ করা শিক্ষানবিশ মডেলগুলোর পরিমাণ এবং গুণমান গ্রহণ এবং বাড়ানোর জন্য ব্যবসাগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য প্রণোদনার পক্ষে ছিলেন এবং শিল্প-প্রাসঙ্গিক টিভিইটির ব্যাপক প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সেক্রেটারি রেজওয়ানা সাকি শ্রমবাজারের উপযোগী উন্নত দক্ষতা অর্জনে সংগ্রামকারী শ্রমিকদের সম্মুখীন হওয়া বাধার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি সামাজিক সংলাপ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর বৃহত্তর সম্পৃক্ততা এবং শ্রমিকদের দক্ষতার আজীবন শিক্ষা ও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি সহজতর করতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে মত দেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি শুধু অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান নয়, আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের জন্যও বাংলাদেশি জনশক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইইউ'র প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বৈধ অভিবাসন পথের মাধ্যমে ইইউতে বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষ অভিবাসনের জন্য বাংলাদেশ এবং ইইউর প্রধান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আসন্ন প্রতিভা অংশীদারিত্বের জন্য ইইউর সমর্থনের পাশাপাশি গেটওয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে শিল্প খাতের উৎপাদন ভিত্তির বৈচিত্র্যকরণে সহায়তা করার পরিকল্পনার উপর জোর দেন।
জেনেভায় জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় ইইউ ডেলিগেশনের উপ-প্রধান রাষ্ট্রদূত থমাস ওয়াগনার অঞ্চলজুড়ে অংশীদার দেশগুলোতে দক্ষতা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের জন্য ইইউর চলমান সমর্থনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিশেষত আগামী বছরগুলোতে শিল্প-প্রাসঙ্গিক দক্ষতার বিধান বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করেন।
জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডার উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি প্যাট্রিসিয়া ম্যাককুলাগ দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কানাডার সাম্প্রতিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য মানসম্মত কাজের সুযোগ নিশ্চিত করতে আইএলও এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্যানেলের সকল প্রতিনিধি ২০০৭ সাল থেকে তাদের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার, আইএলও এবং উন্নয়ন অংশীদারদের জাতীয় দক্ষতা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের জন্য প্রশংসা করেন। সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে আরও জোরদার করার জন্য ভবিষ্যতে লাভজনক অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তারা।
গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে: নসরুল হামিদ
গ্যাস বিতরণ খাতে সিস্টেম লস দুই বছর আগে ২২ শতাংশ থেকে এখন সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই বছরের মধ্যে সিস্টেম লস শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা।’
গ্যাস বিতরণ খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান তিতাস। দেশের মোট ৪৮ লাখ খুচরা গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ২৮ লাখই এই সংস্থাটির।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প সংযোগ ৩৩৬টি, বাণিজ্যিক সংযোগ ৪৭৫টি, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র ৯৭টি, সিএনজি স্টেশন ১৩টি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, অবৈধ গ্রাহকদের কাছ থেকে মোট ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ এবং ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে নসরুল হামিদ বলেন, অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ কিছু প্রভাবশালী মহল এর প্রধান প্রতিবন্ধকতা বলে স্বীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু মনে রাখতে হবে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, এ ব্যাপারে আপসহীন থাকার জোরালো নির্দেশনা রয়েছে তার।’
এ সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
নসরুল হামিদ জানান, তিত্রাস গ্যাস কোম্পানি গ্যাস লিকেজ বন্ধে পুরনো পাইপলাইন প্রতিস্থাপনে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের আওতাধীন এলাকায় ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ ছাড়া গ্যাসের ব্যবহার কমাতে প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক, জাপানের জেবিআইসিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে তিতাস গ্যাস।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ বলেন, গ্যাস লেনদেনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সব বিতরণ ও সঞ্চালন কোম্পানি মিটার স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সহযোগিতার পথে রয়েছে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: নসরুল হামিদ
বাকৃবিতে তিন দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্জিক্যাল কিট বক্স বিতরণ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ, নেপাল ও মালয়েশিয়া এই তিন দেশের ১৯৮ শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্জিক্যাল কিট বক্স বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের উদ্যোগে বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিনি কনফারেন্স রুমে ওই কিট বক্স বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী শিক্ষার্থীদের হাতে কিট বক্স তুলে দেন।
এ সময় তিনি বলেন, একজন সফল ভেটেরিনারি ডাক্তার হতে হলে অবশ্যই কিট বক্স সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। এর পাশাপাশি সার্জিক্যাল কিট বক্স ব্যবহারের দক্ষতাও বাড়াতে হবে।
সময়ের সদ্ব্যবহার করার মাধ্যমে ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীরা সফলতার শিখরে পৌঁছাবে বলেও মন্তব্য করেন বাকৃবি উপাচার্য।
বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ৫৯তম ব্যাচের ১৯৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন নেপালি শিক্ষার্থী ও ৫ জন মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থী।
ভেটেরিনারি অনুষদের ৫৯তম ব্যাচের নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশ আরিয়াল ইউএনবিকে বলেন, কিট বক্স পাওয়ায় প্রতিটি সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি হাতের কাছে থাকবে। ফলে সহজেই প্রতিটি যন্ত্রপাতি চিনতে ও ব্যবহার ভালোভাবে জানতে পারব। এটি আমাদের ভালো ভেটেরিনারিয়ান হতেও সাহায্য করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোমেনা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাভানা ফার্মার মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ডা. মানিক চন্দ্র পাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারিসহ ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ৫৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
সাজেকের সড়ক দুর্ঘটনা: নিহতদের ৫ লাখ; আহতদের ২ লাখ ক্ষতিপূরণ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের বিআরটিএর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার।
তিনি জানান, নিহত প্রতি ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও মরদেহ পরিবহনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাজেক থানা থেকে ৫ জনের মরদেহ খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে আহির উদ্দিন এবং তার ছেলে সামিউলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রিপল বাপ্পি চাকমা জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪ জন।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিভিন্ন এলাকা থেকে সীমান্ত সড়কের কাজ করতে মালামাল ও শ্রমিকসহ উদয়পুরে যাচ্ছিল। ৯০ ডিগ্রি এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ট্রাক ও জিপে করে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা দূরত্বের খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহির উদ্দিন ও তার ছেলে সামিউলকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে 'নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার' হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: বিশেষজ্ঞ
যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ এ অঞ্চলে 'দায়িত্বশীলতার সঙ্গে' 'নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার' হয়ে উঠুক এবং বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য ইস্যুতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে সক্ষম হোক।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আইপিএস এক্সপার্ট ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘কয়েক বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে এবং সেই প্রচেষ্টার অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা আশা করব, বাংলাদেশ সরকার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) কে বাংলাদেশের নিরাপত্তা উদ্বেগ সমাধানে সহায়তা করতে আমাদের এবং আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখবে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দূতাবাসে 'ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) এবং বাংলাদেশের জন্য এর প্রভাব' বিষয়ে সাংবাদিকদের জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মার্কিন এই বিশেষজ্ঞ বলেন, একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা তাদের বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি দিক মাত্র।
মার্টিন বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক আমাদের দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দ্বারা চালিত। এটি ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয় না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল এবং সাধারণভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে দেখেন।
আইপিএস বিশেষজ্ঞ বলেন, 'আমরা অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অন্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি না। গণমাধ্যম ও কিছু লোকজনের মন্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমরা মাঝে মাঝে শুনি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে দেখে। আমি মনে করি এটি সত্য নয়।’
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে অভিন্ন স্বার্থ ও দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখেন।
মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বর্ধিত ও নবায়নযোগ্য সম্পৃক্ততা অবশ্যই ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ।
ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও উন্মুক্ত অঞ্চল নিশ্চিত করতে, সমৃদ্ধ করতে, সংযোগ তৈরি ও আগাম নির্ভরতা বাড়ানোসহ নিরাপত্তা জোরদার করতে চায়।
আরও পড়ুন: ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন
আইপিএস বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা এই সমস্ত বিষয় ঠিক করে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকব এবং পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অংশীদারিত্বের সুস্পষ্ট সুযোগ তৈরি করব।’
তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল একটি ‘ইতিবাচক ও প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি।এটি পাঁচটি সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তঃসংযুক্ত স্তম্ভ নিয়ে গঠিত।’
একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিকের প্রচারের জন্য নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত এবং বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা এই সমস্ত সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখছেন।
মার্টিন বলেন, আইপিএস চীনকে মোকাবিলা করার লক্ষ্যে নয়, এটি কেবল একটি দৃষ্টিভঙ্গি। সেই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে এই অঞ্চল কেমন হওয়া উচিত এবং অঞ্চলটি কীভাবে অবাধ এবং উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, সংযুক্ত এবং সহনশীল হওয়া উচিত এবং কীভাবে এটি ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের জনগণ ও দেশগুলোকে উপকৃত করতে পারে তারা সেটি উপলদ্ধি করে।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের চীনবিষয়ক নীতি আছে। এটি ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি থেকে পৃথক এবং বিনিয়োগ, সারিবদ্ধকরণ ও প্রতিযোগিতার সঙ্গে সম্পর্কিত। চীন এই অঞ্চলে একটি প্রধান নেতৃত্বদানকারী দেশ।’
আইপিএস বিশেষজ্ঞ বলেন, তারা মানুষকে ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল কী তা বুঝতে চান, কারণ কখনো কখনো এটি সম্পর্কে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে চাই। আমরা সব সময় বলে আসছি, বাংলাদেশ সরকার যত দ্রুত এগোচ্ছে আমরা তত দ্রুত অগ্রসর হতে প্রস্তুত এবং এই আলোচনা অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে 'ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশের
মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. তহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ প্রফেসর পাড়ার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় মেহেরপুর শহরের নতুন পাড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জতনের মেয়ে রেবা খাতুনের সঙ্গে জাহিদুল হক মেম্বারের পরিচয় হয়। এরপর রেবা খাতুনকে জর্ডানে ভালো চাকরির আশ্বাস দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নেন এবং বিদেশে পাচার করেন।
২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর রেবার ভাবি গাজু খাতুন বাদি হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬,৭,ও ৮ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এতে আসামি জাহিদুল হক সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায় আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
আসামি পলাতক থাকায় নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন হলে সরকারের উন্নয়নও ব্যাহত হবে: কুজেন্দ্র লাল
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যাঘাত ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইনশৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা বাস্তবায়ন হবে।’
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোনো কথা নেই। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে সরকার। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সবারই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সব সম্প্রদায়-গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মূল স্রোতধারার সঙ্গে এক হয়ে এগোতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পার্বত্য অঞ্চল নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরও বেশি ত্বরান্বিত করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানান, দীর্ঘসময় পর সাজেকে রাস্তা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এত দ্রুতগতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরি করা হচ্ছে।
এছাড়াও কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি পাস হলেই আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে।
বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বন ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
তীব্র তাপপ্রবাহে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জবির
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এই সময়ে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ভার্চুয়ালি সব ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে চলমান তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে শিক্ষার্থীদের বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল জরুরি সভায় এক সপ্তাহের জন্য সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ২৮ এপ্রিল খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ
শিগগিরই তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা না থাকলেও এর মধ্যেই আগামী রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগুলো।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তবে এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় না হওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বা সূর্যের আলোতে যেসব কার্যক্রম থাকে সেগুলো সীমিত করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ ও অন্যান্য কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।
ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনার মোংলায় ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গায় রাতে বৃষ্টি দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি, রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি
টানা ২৫ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ বইছে। এপ্রিলের শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও গত ১০ দিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র রূপ নিয়েছে। এর মধ্যেই গতকাল মধ্যরাতে জেলায় ঝড়ো বৃষ্টি হয়। কিন্তু এতেও কমেনি তাপমাত্রা। বরং বৃষ্টির পর বেড়ে গিয়েছে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ।
এছাড়া গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সেসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।